< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 1 >

1 আদমের বংশধরেরা হলেন শেথ, ইনোশ, 2 কৈনন, মহললেল, যেরদ, 3 হনোক, মথূশেলহ, লেমক, নোহ। 4 নোহের ছেলেরা: শেম, হাম ও যেফৎ। 5 যেফতের ছেলেরা: গোমর, মাগোগ, মাদয়, যবন, তূবল, মেশক ও তীরস। 6 গোমরের ছেলেরা: অস্কিনস, রীফৎ এবং তোগর্ম। 7 যবনের ছেলেরা: ইলীশা, তর্শীশ, কিত্তীম এবং রোদানীম। 8 হামের ছেলেরা: কূশ, মিশর, পূট ও কনান। 9 কূশের ছেলেরা: সবা, হবীলা, সব্‌তা, রয়মা ও সব্‌তেকা। রয়মার ছেলেরা: শিবা ও দদান। 10 কূশ সেই নিম্রোদের বাবা, যিনি পৃথিবীতে এক বলশালী যোদ্ধা হয়ে উঠলেন। 11 মিশর ছিলেন সেই লূদীয়, অনামীয়, লহাবীয়, নপ্তুহীয়, 12 পথ্রোষীয়, কস্‌লূহীয় (যাদের থেকে ফিলিস্তিনীরা উৎপন্ন হয়েছে) ও কপ্তোরীয়দের বাবা। 13 কনান ছিলেন তাঁর বড়ো ছেলে সীদোনের, ও হিত্তীয়, 14 যিবূষীয়, ইমোরীয়, গির্গাশীয়, 15 হিব্বীয়, অর্কীয়, সীনীয়, 16 অর্বদীয়, সমারীয় ও হমাতীয়দের বাবা। 17 শেমের ছেলেরা: এলম, অশূর, অর্ফক্‌ষদ, লূদ ও অরাম। অরামের ছেলেরা: ঊষ, হূল, গেথর ও মেশক। 18 অর্ফক্‌ষদ হলেন শেলহের বাবা, এবং শেলহ ছিলেন এবরের বাবা। 19 এবরের দুটি ছেলের জন্ম হল: একজনের নাম দেওয়া হল পেলগ, কারণ তাঁর সময়কালেই পৃথিবী বিভিন্ন ভাষাবাদী জাতির আধারে বিভক্ত হল; তাঁর ভাইয়ের নাম দেওয়া হল যক্তন। 20 যক্তন হলেন অলমোদদ, শেলফ, হৎসর্মাবৎ, যেরহ, 21 হদোরাম, ঊষল, দিক্ল, 22 ওবল, অবীমায়েল, শিবা, 23 ওফীর, হবীলা ও যোববের বাবা। তারা সবাই যক্তনের বংশধর ছিলেন। 24 শেম, অর্ফক্‌ষদ, শেলহ, 25 এবর, পেলগ, রিয়ূ, 26 সরূগ, নাহোর, তেরহ 27 ও অব্রাম (অর্থাৎ, অব্রাহাম)। 28 অব্রাহামের ছেলেরা: ইস্‌হাক ও ইশ্মায়েল। 29 এই তাদের বংশধরেরা: ইশ্মায়েলের বড়ো ছেলে নবায়োৎ, এছাড়াও কেদর, অদবেল, মিবসম, 30 মিশমা, দুমা, মসা, হদদ, তেমা, 31 যিটূর, নাফীশ ও কেদমা। তারাও ইশ্মায়েলের ছেলে। 32 অব্রাহামের উপপত্নী কটূরার গর্ভে যে ছেলেদের জন্ম হল, তারা হলেন: সিম্রণ, যক্‌ষণ, মদান, মিদিয়ন, যিষবক ও শূহ। যক্‌ষণের ছেলেরা: শিবা ও দদান। 33 মিদিয়নের ছেলেরা: ঐফা, এফর, হনোক, অবীদ ও ইলদায়া। এরা সবাই কটূরার বংশধর ছিলেন। 34 অব্রাহাম ছিলেন ইস্‌হাকের বাবা। ইস্‌হাকের ছেলেরা: এষৌ ও ইস্রায়েল। 35 এষৌর ছেলেরা: ইলীফস, রূয়েল, যিয়ূশ, যালম ও কোরহ। 36 ইলীফসের ছেলেরা: তৈমন, ওমার, সেফো, গয়িতম ও কনস; তিম্নার ছেলে: অমালেক। 37 রূয়েলের ছেলেরা: নহৎ, সেরহ, শম্ম ও মিসা। 38 সেয়ীরের ছেলেরা: লোটন, শোবল, শিবিয়োন, অনা, দিশোন, এৎসর ও দীশন। 39 লোটনের ছেলেরা: হোরি ও হোমম। তিম্না ছিলেন লোটনের বোন। 40 শোবলের ছেলেরা: অলবন, মানহৎ, এবল, শফী ও ওনম। সিবিয়োনের ছেলেরা: অয়া ও অনা। 41 অনার সন্তানেরা: দিশোন। দিশোনের ছেলেরা: হিমদন, ইশ্‌বন, যিত্রণ ও করাণ। 42 এৎসরের ছেলেরা: বিলহন, সাবন ও আকন। দীশনের ছেলেরা: ঊষ ও অরাণ। 43 কোনও ইস্রায়েলী রাজা রাজত্ব করার আগে যে রাজারা ইদোমে রাজত্ব করে গেলেন, তারা হলেন: বিয়োরের ছেলে বেলা, যাঁর রাজধানী নগরের নাম দেওয়া হল দিনহাবা। 44 বেলা যখন মারা যান, বস্রানিবাসী সেরহের ছেলে যোবব তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। 45 যোবব যখন মারা যান, তৈমন দেশ থেকে আগত হূশম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। 46 হূশম যখন মারা যান, বেদদের ছেলে সেই হদদ তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন, যিনি মোয়াব দেশে মিদিয়নীয়দের পরাজিত করলেন। তাঁর নগরের নাম দেওয়া হল অবীৎ। 47 হদদ যখন মারা যান, মস্রেকানিবাসী সম্ল তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। 48 সম্ল যখন মারা যান, সেই নদীর নিকটবর্তী রহোবোৎ নিবাসী শৌল তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। 49 শৌল যখন মারা যান, অকবোরের ছেলে বায়াল-হানন তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। 50 বায়াল-হানন যখন মারা যান, হদদ রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। তাঁর নগরের নাম দেওয়া হল পায়ূ, এবং তাঁর স্ত্রীর নাম মহেটবেল, যিনি মট্রেদের মেয়ে, ও মেষাহবের নাতনি ছিলেন। 51 হদদও মারা গেলেন। ইদোমের দলপতিরা হলেন: তিম্ন, অলবা, যিথেৎ, 52 অহলীবামা, এলা, পীনোন, 53 কনস, তৈমন, মিবসর, 54 মগ্‌দীয়েল ও ঈরম। এরাই ইদোমের দলপতি ছিলেন।

< বংশাবলির প্রথম খণ্ড 1 >