< সামসঙ্গীত 44 >

1 হে ঈশ্বৰ, আমি আমাৰ নিজৰ কাণেৰে শুনিলোঁ; পূৰ্বকালত আমাৰ পূর্বপুৰুষ সকলৰ দিনত তুমি যি যি কাৰ্য কৰিছিলা, সেই সম্বন্ধে আমাক তেওঁলোকে ক’লে।
প্রধান সঙ্গীতজ্ঞ জন্য। করোহ-সন্তানদের একটি মস্কীল। ঈশ্বর আমরা আমাদের কানে শুনেছি, আমাদের পিতৃপুরুষেরা আমাদের বলেছিল যে তুমি তাদের পুরোনো দিন গুলোতে কি করেছ।
2 তুমি তোমাৰ নিজৰ হাতেৰেই আন জাতিবোৰক খেদি দিছিলা; সেই ঠাইত তুমি আমাৰ লোকসকলক স্থাপন কৰিলা। তুমি সেই সকলো লোকক নাশ কৰিলা, কিন্তু আমাৰ লোকসকলক তুমি মুক্ত কৰি বিস্তাৰিত কৰিলা।
তুমি তোমার হাত দিয়ে জাতিদেরকে বের করেছ, কিন্তু তুমি আমাদের লোকেদের রোপণ করেছিলে, তুমি লোকদের কষ্ট দিলে, কিন্তু তুমি আমাদের লোকেদের এই দেশের বিস্তার।
3 তেওঁলোকে নিজৰ তৰোৱালৰ দ্বাৰাই সেই দেশ অধিকাৰ কৰা নাছিল, নিজৰ বাহুৰ শক্তিত জয় লাভ কৰা নাছিল; কিন্তু তোমাৰ সোঁ হাত, তোমাৰ বাহু, আৰু তোমাৰ মুখৰ দীপ্তিয়েহে তাক কৰিছিল; কিয়নো আমাৰ লোকসকলৰ ওপৰত তোমাৰ অনুগ্ৰহ আছিল।
কারণ তারা নিজেদের তরোয়াল দ্বারা দেশ অধিকার করে নি, তাদের নিজের বাহু তাদের রক্ষা করে নি, কিন্তু তোমার ডান হাত, তোমার বাহু এবং তোমার মুখের আলো, কারণ তুমি তাদের প্রতি উপযোগী ছিলেন।
4 তুমিয়েই মোৰ ৰজা, তুমিয়েই মোৰ ঈশ্বৰ; যাকোবৰ জয়ৰ বাবে তুমিয়েই আজ্ঞা কৰা।
ঈশ্বর, তুমিই আমার রাজা এবং ঈশ্বর; যাকোবের জন্য পরিত্রান বিজয়ী করতে আদেশ দিন।
5 আমাৰ শত্রুবোৰক আমি তোমাৰ দ্বাৰায়েই তললৈ ঠেলি পঠাম; আমাৰ বিপক্ষে উঠাসকলক আমি তোমাৰ নামত ভৰিৰ তলত গছকিম।
তোমার দ্বারা আমরা আমাদের শত্রুদের ঠেলে নিচে ফেলে দেব; যারা আমার বিরুদ্ধে উঠে, তাদের তোমার নামের মাধ্যমে আমরা তাদের অধীনে চালাই।
6 মই নিজৰ ধনুৰ ওপৰত ভাৰসা নকৰোঁ, মোৰ তৰোৱালে মোক ৰক্ষা কৰিব নোৱাৰে।
কারণ আমি নিজের ধনুকের উপর নির্ভর করব না, আমার তরোয়াল আমাকে রক্ষা করবে না।
7 কিন্তু তুমিয়েই শত্ৰুবোৰৰ পৰা আমাক ৰক্ষা কৰিলা, আৰু আমাক ঘৃণা কৰা সকলক তুমি লাজত পেলালা।
কিন্তু তুমিই আমাদের শত্রুদের থেকে আমাদের রক্ষা করেছ এবং যারা আমাদের ঘৃণা তাদের লজ্জায় ফেলে দাও।
8 ঈশ্বৰৰ নামতে আমি সকলো সময়তে গর্ব কৰি আহিছোঁ; চিৰকাল আমি তোমাৰ নামৰ ধন্যবাদ কৰি থাকিম। (চেলা)
আমরা সমস্ত দিন ধরে ঈশ্বরেতে গর্ব করলাম এবং চিরকাল জন্য তোমার নামের ধন্যবাদ করব। (সেলা)
9 কিন্তু তুমি এতিয়া আমাক ত্যাগ কৰিলা, আমাক অপমানিত কৰিলা; আমাৰ সৈন্য সমূহৰ লগত তুমি যাত্রা নকৰা।
কিন্তু এখন তুমি আমাকে ত্যাগ করেছ এবং আমাদের অপমানের মধ্যে নিয়ে এসেছ এবং আমাদের সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে যাত্রা কর না।
10 ১০ শত্রুৰ সন্মুখৰ পৰা তুমি আমাক পাছ হুঁহুকি আহিবলৈ বাধ্য কৰিলা; আমাক শত্রুবোৰে আমাক লুট কৰিছে।
১০তুমি বিপক্ষদের থেকে আমাদেরকে ফিরিয়েছ এবং আমাদের যারা ঘৃণা করে তারা নিজেদের জন্য লুটপাট করে।
11 ১১ তুমি আমাক কাটিবলৈ নিয়া মেৰ-ছাগৰ দৰে কৰিলা; জাতিবোৰৰ মাজত আমাক সিঁচৰতি কৰিলা।
১১তুমি আমাদের খাবার জন্য ভেড়ার মত করে তৈরী করেছ এবং জাতিদের মধ্যে আমাদের ছিন্নভিন্ন করেছ।
12 ১২ তুমি তোমাৰ লোক সমূহক, বিনামূল্যেই বেচিলা, তেওঁলোকৰ বিনিময়ত তুমি অধিক ধন নিবিচাৰিলা।
১২তুমি আপন লোকেদের বিনামূল্যে বিক্রি করেছ, তাদের মূল্যর দ্বারা ধন বৃদ্ধি কর নাই।
13 ১৩ ওচৰ-চুবুৰীয়াৰ আগত তুমি আমাক নিন্দাৰ বিষয় কৰিছা; চাৰিওফালৰ লোক সকলৰ ওচৰত আমাক বিদ্ৰূপ আৰু তুচ্ছজ্ঞানৰ পাত্ৰ কৰিছা।
১৩তুমি আমাদের প্রতিবেশীদের কাছে আমাদের তিরস্কার করেছ, আমাদের চারপাশে লোকদের উপহাস ও বিদ্রূপের পাত্র করেছ।
14 ১৪ অন্যান্য জাতিবোৰৰ মাজত তুমি আমাক দৃষ্টান্ত কৰিছা; লোক সকলৰ মাজত আমাক হাঁহিয়াতৰ পাত্র কৰিছা।
১৪তুমি জাতিদের মধ্যে আমাদের অপমান করেছ, লোকেদের মধ্যে মাথাকে কম্পন করেছ।
15 ১৫ ওৰে দিনটো মোৰ অপমান মোৰ আগতে আছে, আৰু মোৰ মুখৰ লাজে মোক ঢাকিছে;
১৫সমস্ত দিন আমার অপমান আমার সামনে থাকে এবং আমার মুখের লজ্জা আমাকে ঢেকে দিয়েছে।
16 ১৬ মোক নিন্দা আৰু তুচ্ছ জ্ঞান কৰাসকলৰ কথাৰ কাৰণে, শত্রু আৰু প্রতিহিংসাকাৰী সকলৰ কাৰণে,
১৬কারণ অপমান ও নিন্দাকারীর কন্ঠস্বর সহ্য করে, কারণ শত্রু ও প্রতিহিংসাকারীর উপস্থিতির জন্য।
17 ১৭ আমালৈ এই সকলো ঘটিল; তথাপি আমি তোমাক পাহৰা নাই, অথবা তোমাৰ ব্যৱস্থাৰ বিষয়ে বিশ্বাস-ঘাতকতা কৰা নাই।
১৭এইসব আমাদের উপর এসেছে; কিন্তু আমরা তোমাকে ভুলে যাই নি, বা তোমার নিয়ম বিষয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি।
18 ১৮ তোমাৰ পৰা আমাৰ মন ঘূৰা নাই; তোমাৰ পথৰ পৰাও আমাৰ ভৰি আঁতৰি যোৱা নাই।
১৮আমাদের হৃদয়ে ফিরে যায় নি; আমাদের পদক্ষেপ তোমার পথে থেকে চলে যাই নি।
19 ১৯ তথাপিও তুমি আমাক শিয়ালবোৰৰ ঠাইত গুড়ি কৰিলা, মৃত্যুচ্ছায়াৰে আমাক ঢাকি ধৰিলা।
১৯তবুও তুমি আমাদেরকে শিয়ালের জায়গায় তীব্রভাবে আমাদের ছিঁড়ে ফেলেছ এবং মৃত্যুরছায়ার সঙ্গে আমাদেরকে আচ্ছন্ন করেছ।
20 ২০ আমাৰ ঈশ্বৰক যদি আমি পাহৰিলোঁ, নাইবা আমাৰ হাত যদি আন কোনো দেৱতাৰ ফালে আগবঢ়াইছো,
২০আমরা যদি নিজের ঈশ্বরের নাম ভুলে যাই বা যদি অন্য দেবের প্রতি অঞ্জলি দিয়ে থাকি।
21 ২১ তেন্তে ঈশ্বৰে জানো তাক নাজানিব? কিয়নো তেওঁ মনৰ গোপনীয় সকলো কথাই জানে।
২১তবে ঈশ্বর কি এই বিষয় অনুসন্ধান করবেন না? কারণ তিনি হৃদয়ের গুপ্ত বিষয় সব জানেন।
22 ২২ কিন্তু তথাপিও তোমাৰ কাৰণেই আমি গোটেই দিনটো হত হৈছোঁ; আমি বধ কৰিব লগীয়া মেৰ-ছাগৰ নিচিনা গণিত হৈছোঁ।
২২প্রকৃত পক্ষে, তোমার জন্য আমরা সমস্ত দিন মারা যাচ্ছি; আমাদের বধের ভেড়া বলে মনে করা হয়।
23 ২৩ হে যিহোৱা, সাৰ পোৱা, তুমি কিয় টোপনিয়াই আছা? জাগি উঠা, চিৰকাললৈকে আমাক ত্যাগ নকৰিবা!
২৩জেগে উঠ, প্রভু কেন নিদ্রা যাও? উঠ, আমাদের স্হায়ীভাবে ত্যাগ করেন না।
24 ২৪ তুমি কিয় তোমাৰ মুখ ঢাকি ৰাখিছা? আমাৰ ক্লেশ আৰু উপদ্ৰৱ কিয় পাহৰিছা?
২৪তুমি কেন তোমার মুখ লুকাচ্ছ এবং আমাদের দুঃখ ও অত্যাচার কেন ভুলে যাচ্ছ।
25 ২৫ আমাৰ প্ৰাণ ধূলিলৈকে নামি হৈছে, আমাৰ শৰীৰ মাটিত লাগি গৈছে।
২৫কারণ আমার প্রাণ ধূলোতে অবনত হয়েছে, আমাদের শরীর ভূমিতে আটকে আছে।
26 ২৬ উঠি আহা, আমাক সহায় কৰা; তোমাৰ গভীৰ প্রেম অনুসাৰে তুমি আমাক মুক্ত কৰা।
২৬আমাদের সাহায্যের জন্য উঠ এবং নিজের চুক্তির নিয়মে আমাদেরকে মুক্ত কর।

< সামসঙ্গীত 44 >