< زَكَريَّا 6 >

فَعُدْتُ وَرَفَعْتُ عَيْنَيَّ وَنَظَرْتُ وَإِذَا بِأَرْبَعِ مَرْكَبَاتٍ خَارِجَاتٍ مِنْ بَيْنِ جَبَلَيْنِ، وَٱلْجَبَلَانِ جَبَلَا نُحَاسٍ. ١ 1
তখন আমি পিছনে ফিরলাম এবং চোখ তুলে তাকালাম এবং আমি দেখতে পেলাম চারটি রথ দুইটি পাহাড়ের মাঝখান থেকে বের হয়ে আসছিল এবং সেই পাহাড় দুইটি ব্রোঞ্জের তৈরী।
فِي ٱلْمَرْكَبَةِ ٱلْأُولَى خَيْلٌ حُمْرٌ، وَفِي ٱلْمَرْكَبَةِ ٱلثَّانِيَةِ خَيْلٌ دُهْمٌ، ٢ 2
প্রথম রথটিতে সব লাল রঙের ঘোড়া ছিল, দ্বিতীয় রথটিতে সব কালো রঙের ঘোড়া ছিল,
وَفِي ٱلْمَرْكَبَةِ ٱلثَّالِثَةِ خَيْلٌ شُهْبٌ، وَفِي ٱلْمَرْكَبَةِ ٱلرَّابِعَةِ خَيْلٌ مُنَمَّرَةٌ شُقْرٌ. ٣ 3
তৃতীয় রথটিতে সব সাদা রঙের ঘোড়া ছিল এবং চতুর্থ রথটিতে সব বিন্দু বিন্দু ধূসর রঙের ঘোড়া ছিল; সব ঘোড়াই ছিল শক্তিশালী।
فَأَجَبْتُ وَقُلْتُ لِلْمَلَاكِ ٱلَّذِي كَلَّمَنِي: «مَا هَذِهِ يَا سَيِّدِي؟» ٤ 4
তাই আমি উত্তর দিয়ে সেই স্বর্গদূত যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “হে আমার প্রভু, এগুলো কি?”
فَأَجَابَ ٱلْمَلَاكُ وَقَالَ لِي: «هَذِهِ هِيَ أَرْوَاحُ ٱلسَّمَاءِ ٱلْأَرْبَعُ خَارِجَةٌ مِنَ ٱلْوُقُوفِ لَدَى سَيِّدِ ٱلْأَرْضِ كُلِّهَا. ٥ 5
সেই স্বর্গদূত উত্তর দিয়ে আমাকে বললেন, “এগুলো স্বর্গের চারটি বায়ু; সমস্ত পৃথিবীর প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকবার পরে এগুলো বের হয়ে আসছে।
ٱلَّتِي فِيهَا ٱلْخَيْلُ ٱلدُّهْمُ تَخْرُجُ إِلَى أَرْضِ ٱلشِّمَالِ، وَٱلشُّهْبُ خَارِجَةٌ وَرَاءَهَا، وَٱلْمُنَمَّرَةُ تَخْرُجُ نَحْوَ أَرْضِ ٱلْجَنُوبِ». ٦ 6
কালো ঘোড়ার রথটা উত্তর দেশের দিকে যাচ্ছে, সাদা ঘোড়ার রথটা যাচ্ছে পশ্চিম দিকে এবং বিন্দু বিন্দু ধূসর রঙের ঘোড়ার রথটা যাচ্ছে দক্ষিণ দিকে।”
أَمَّا ٱلشُّقْرُ فَخَرَجَتْ وَٱلْتَمَسَتْ أَنْ تَذْهَبَ لِتَتَمَشَّى فِي ٱلْأَرْضِ، فَقَالَ: «ٱذْهَبِي وَتَمَشَّيْ فِي ٱلْأَرْضِ». فَتَمَشَّتْ فِي ٱلْأَرْضِ. ٧ 7
এই শক্তিশালী ঘোড়াগুলো বের হয়ে সারা পৃথিবী ঘুরে দেখতে চাইছে। তাই সেই স্বর্গদূত বললেন, “যাও এবং পৃথিবী ঘুরে দেখ।” এবং তারা সমস্ত পৃথিবী ঘুরে দেখতে গেল।
فَصَرَخَ عَلَيَّ وَكَلَّمنِي قَائِلًا: «هُوَذَا ٱلْخَارِجُونَ إِلَى أَرْضِ ٱلشِّمَالِ قَدْ سَكَّنُوا رُوحِي فِي أَرْضِ ٱلشِّمَالِ». ٨ 8
তারপর তিনি আমাকে ডাকলেন এবং আমার সঙ্গে কথা বললেন, “দেখ, এই মূহর্তে যারা উত্তর দেশের দিকে যাচ্ছে তারা উত্তর দেশের প্রতি আমার আত্মাকে শান্তি দিয়েছে।”
وَكَانَ إِلَيَّ كَلَامُ ٱلرَّبِّ قَائِلًا: ٩ 9
পরে সদাপ্রভু বাক্য আমার কাছে উপস্থিত হল এবং বললেন,
«خُذْ مِنْ أَهْلِ ٱلسَّبْيِ مِنْ حَلْدَايَ وَمِنْ طُوبِيَّا وَمِنْ يَدَعْيَا ٱلَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَابِلَ، وَتَعَالَ أَنْتَ فِي ذَلِكَ ٱلْيَوْمِ وَٱدْخُلْ إِلَى بَيْتِ يُوشِيَّا بْنِ صَفَنْيَا. ١٠ 10
১০“বন্দীদের কাছ থেকে অর্থাৎ হিলদয়, টোবিয় ও যিদায়ের কাছ থেকে উপহার সংগ্রহ করো, একই দিনে তুমি এটি নিয়ে সফনিয়ের ছেলে যোশিয়ের বাড়িতে যাও, যে ব্যাবিলন থেকে এসেছে।
ثُمَّ خُذْ فِضَّةً وَذَهَبًا وَٱعْمَلْ تِيجَانًا وَضَعْهَا عَلَى رَأْسِ يَهُوشَعَ بْنِ يَهُوصَادَقَ ٱلْكَاهِنِ ٱلْعَظِيمِ. ١١ 11
১১পরে সোনা ও রূপা নিয়ে, একটা মুকুট তৈরী কর এবং সেটা যিহোষাদকের ছেলে যিহোশূয় মহাযাজকের মাথায় উপরে রাখো।
وَكَلِّمْهُ قَائِلًا: هَكَذَا قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ قَائِلًا: هُوَذَا ٱلرَّجُلُ «ٱلْغُصْنُ» ٱسْمُهُ. وَمِنْ مَكَانِهِ يَنْبُتُ وَيَبْنِي هَيْكَلَ ٱلرَّبِّ. ١٢ 12
১২তার সঙ্গে কথা বল এবং বলবে, এটা বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন, ‘এই ব্যক্তি, যার নাম শাখা! এবং সেখানে তিনি বেড়ে উঠবেন যেখানে তিনি সদাপ্রভুর মন্দির তৈরী করবেন!
فَهُوَ يَبْنِي هَيْكَلَ ٱلرَّبِّ، وَهُوَ يَحْمِلُ ٱلْجَلَالَ وَيَجْلِسُ وَيَتَسَلَّطُ عَلَى كُرْسِيِّهِ، وَيَكُونُ كَاهِنًا عَلَى كُرْسِيِّهِ، وَتَكُونُ مَشُورَةُ ٱلسَّلَامِ بَيْنَهُمَا كِلَيْهِمَا. ١٣ 13
১৩যিনি সদাপ্রভুর মন্দির তৈরী করবেন এবং এর মহিমা বৃদ্ধি করবেন; তখন তিনি সিংহাসনে বসবেন এবং শাসন করবেন। তাঁর সিংহাসনে যাজক হিসাবে বসবেন এবং দুই পদের মধ্যে শান্তির জ্ঞান থাকবে।’
وَتَكُونُ ٱلتِّيجَانُ لِحَالِمَ وَلِطُوبِيَّا وَلِيَدَعْيَا وَلِحَيْنِ بْنِ صَفَنْيَا تَذْكَارًا فِي هَيْكَلِ ٱلرَّبِّ. ١٤ 14
১৪হিলদয়, টোবিয়, যিদায় ও সফনিয়ের ছেলের যোশিয়া স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি মুকুট সদাপ্রভুর গৃহের মধ্যে রাখা হবে।
وَٱلْبَعِيدُونَ يَأْتُونَ وَيَبْنُونَ فِي هَيْكَلِ ٱلرَّبِّ، فَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَبَّ ٱلْجُنُودِ أَرْسَلَنِي إِلَيْكُمْ. وَيَكُونُ، إِذَا سَمِعْتُمْ سَمَعًا صَوْتَ ٱلرَّبِّ إِلَهِكُمْ». ١٥ 15
১৫তখন যারা দূরে আছে তারা আসবে এবং সদাপ্রভুর মন্দির স্থাপন করবে, তখন তোমরা জানতে পারবে যে, বাহিনীদের সদাপ্রভুই আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন; কারণ এইসব ঘটবে যদি তোমরা সত্যিই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা শোন!”

< زَكَريَّا 6 >