زَكَريَّا 5

١ 1 فَعُدْتُ وَرَفَعْتُ عَيْنَيَّ وَنَظَرْتُ وَإِذَا بِدَرْجٍ طَائِرٍ.

পরে আমি আবার তাকালাম, আর দেখলাম আমার সামনে একটি উড়ন্ত গুটানো চামড়ার পুঁথি!

٢ 2 فَقَالَ لِي: «مَاذَا تَرَى؟» فَقُلْتُ: «إِنِّي أَرَى دَرْجًا طَائِرًا، طُولُهُ عِشْرُونَ ذِرَاعًا، وَعَرْضُهُ عَشَرُ أَذْرُعٍ».

তিনি আমায় জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কী দেখছ?” আমি উত্তর দিলাম, “আমি ত্রিশ ফুট লম্বা ও পনেরো ফুট চওড়া একটি উড়ন্ত গুটানো চামড়ার পুঁথি দেখছি।”

٣ 3 فَقَالَ لِي: «هَذِهِ هِيَ ٱللَّعْنَةُ ٱلْخَارِجَةُ عَلَى وَجْهِ كُلِّ ٱلْأَرْضِ. لِأَنَّ كُلَّ سَارِقٍ يُبَادُ مِنْ هُنَا بِحَسَبِهَا، وَكُلَّ حَالِفٍ يُبَادُ مِنْ هُنَاكَ بِحَسَبِهَا.

তিনি আমাকে আবার বললেন, “এটি হল সেই অভিশাপ যা সমস্ত দেশের উপর পড়বে; কারণ একদিকে যা লেখা আছে সেই অনুসারে, সব চোরেরা নির্বাসিত হবে, এবং অন্য দিকের কথা অনুসারে, মিথ্যা শপথকারীরা নির্বাসিত হবে।

٤ 4 إِنِّي أُخْرِجُهَا، يَقُولُ رَبُّ ٱلْجُنُودِ، فَتَدْخُلُ بَيْتَ ٱلسَّارِقِ وَبَيْتَ ٱلْحَالِفِ بِٱسْمِي زُورًا، وَتَبِيتُ فِي وَسَطِ بَيْتِهِ وَتُفْنِيهِ مَعَ خَشَبِهِ وَحِجَارَتِهِ».

সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, ‘আমি তাকে বের করে আনব, এবং সে চোরেদের বাড়িতে ও আমার নামে মিথ্যা শপথকারীদের বাড়িতে ঢুকবে। সে সেই বাড়িতে থেকে কাঠ ও পাথর শুদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করবে।’”

٥ 5 ثُمَّ خَرَجَ ٱلْمَلَاكُ ٱلَّذِي كَلَّمَنِي وَقَالَ لِي: «ٱرْفَعْ عَيْنَيْكَ وَٱنْظُرْ مَا هَذَا ٱلْخَارِجُ».

পরে সেই স্বর্গদূত যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি এগিয়ে এসে আমাকে বললেন, “তুমি উপরে তাকিয়ে দেখো কী আসছে।”

٦ 6 فَقُلْتُ: «مَا هُوَ؟» فَقَالَ: «هَذِهِ هِيَ ٱلْإِيفَةُ ٱلْخَارِجَةُ». وَقَالَ: «هَذِهِ عَيْنُهُمْ فِي كُلِّ ٱلْأَرْضِ».

আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “ওটি কী?” তিনি উত্তর দিলেন, “এটি ঐফা।” আর তিনি আরও বললেন, “এটি সমস্ত দেশে তাদের অধর্ম।”

٧ 7 وَإِذَا بِوَزْنَةِ رَصَاصٍ رُفِعَتْ. وَكَانَتِ ٱمْرَأَةٌ جَالِسَةٌ فِي وَسَطِ ٱلْإِيفَةِ.

তারপর সীসার ঢাকনি তোলা হল, আর ঐফার মধ্যে একজন স্ত্রীলোক বসেছিল!

٨ 8 فَقَالَ: «هَذِهِ هِيَ ٱلشَّرُّ». فَطَرَحَهَا إِلَى وَسَطِ ٱلْإِيفَةِ، وَطَرَحَ ثِقْلَ ٱلرَّصَاصِ عَلَى فَمِهَا.

তিনি বললেন, “এ হল দুষ্টতা,” এই বলে তিনি সেই স্ত্রীলোকটিকে ঐফার মধ্যে ঠেলে দিয়ে ঐফার মুখে সীসার ঢাকনিটা চেপে দিলেন।

٩ 9 وَرَفَعْتُ عَيْنَيَّ وَنَظَرْتُ وَإِذَا بِٱمْرَأَتَيْنِ خَرَجَتَا وَٱلرِّيحُ فِي أَجْنِحَتِهِمَا، وَلَهُمَا أَجْنِحَةٌ كَأَجْنِحَةِ ٱللَّقْلَقِ، فَرَفَعَتَا ٱلْإِيفَةَ بَيْنَ ٱلْأَرْضِ وَٱلسَّمَاءِ.

তারপর আমি উপরে তাকালাম, আর দেখলাম আমার সামনে দুজন স্ত্রীলোক, তাদের ডানায় বাতাস ছিল! তাদের ডানা ছিল সারস পাখির ডানার মতো, এবং তারা পৃথিবী ও আকাশের মাঝখানে সেই ঐফাকে উঠিয়ে নিয়ে গেল।

١٠ 10 فَقُلْتُ لِلْمَلَاكِ ٱلَّذِي كَلَّمَنِي: «إِلَى أَيْنَ هُمَا ذَاهِبَتَانِ بِٱلْإِيفَةِ؟»

যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “তারা ঐফা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?”

١١ 11 فَقَالَ لِي: «لِتَبْنِيَا لَهَا بَيْتًا فِي أَرْضِ شِنْعَارَ. وَإِذَا تَهَيَّأَ تَقِرُّ هُنَاكَ عَلَى قَاعِدَتِهَا».

তিনি উত্তর দিলেন, “তার জন্য বাড়ি তৈরি করতে ব্যাবিলন দেশে নিয়ে যাচ্ছে। সেটা যখন প্রস্তুত হবে; ঐফাকে তার জায়গায় বসানো হবে।”