< زَكَريَّا 11 >

اِفْتَحْ أَبْوَابَكَ يَا لُبْنَانُ، فَتَأْكُلَ ٱلنَّارُ أَرْزَكَ. ١ 1
হে লিবানোন, তোমার দরজাগুলো খুলে দাও, যাতে আগুন তোমার এরস গাছগুলিকে গ্রাস করতে পারে।
وَلْوِلْ يَا سَرْوُ، لِأَنَّ ٱلْأَرْزَ سَقَطَ، لِأَنَّ ٱلْأَعِزَّاءَ قَدْ خَرِبُوا. وَلْوِلْ يَا بَلُّوطَ بَاشَانَ، لِأَنَّ ٱلْوَعْرَ ٱلْمَنِيعَ قَدْ هَبَطَ. ٢ 2
হে দেবদারু গাছ, বিলাপ কর, কারণ এরস গাছ পড়ে গেছে! সমস্ত মহান গাছগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাশনের এলোন গাছেরা, তোমরা বিলাপ কর, কারণ গভীর বন ধ্বংস হয়েছে।
صَوْتُ وَلْوَلَةِ ٱلرُّعَاةِ، لِأَنَّ فَخْرَهُمْ خَرِبَ. صَوْتُ زَمْجَرَةِ ٱلْأَشْبَالِ، لِأَنَّ كِبْرِيَاءَ ٱلْأُرْدُنِّ خَرِبَتْ. ٣ 3
মেষপালকদের আর্তনাদের শব্দ; কারণ তাদের মহিমা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যুবসিংহদের গর্জনের আওয়াজ; কারণ যর্দ্দন নদীর গর্ব ধ্বংস হয়ে গিয়েছে!
هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ إِلَهِي: «ٱرْعَ غَنَمَ ٱلذَّبْحِ ٤ 4
সদাপ্রভু আমার ঈশ্বর বলছেন, “হত্যা করবার জন্য যে ভেড়ার পাল ঠিক হয়েছে সেই পাল চরাও।
ٱلَّذِينَ يَذْبَحُهُمْ مَالِكُوهُمْ وَلَا يَأْثَمُونَ، وَبَائِعُوهُمْ يَقُولُونَ: مُبَارَكٌ ٱلرَّبُّ! قَدِ ٱسْتَغْنَيْتُ. وَرُعَاتُهُمْ لَا يُشْفِقُونَ عَلَيْهِمْ. ٥ 5
যারা তাদের কিনে নেয়, হত্যা করে তারা কোনো শাস্তি পায় না এবং যারা তাদের বিক্রি করে তারা বলে, ‘সদাপ্রভু ধন্য, আমি ধনী হয়েছি!’ কারণ তাদের নিজদের পালকেরা তাদের উপর দয়া করে না।
لِأَنِّي لَا أُشْفِقُ بَعْدُ عَلَى سُكَّانِ ٱلْأَرْضِ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، بَلْ هَأَنَذَا مُسَلِّمٌ ٱلْإِنْسَانَ، كُلَّ رَجُلٍ لِيَدِ قَرِيبِهِ وَلِيَدِ مَلِكِهِ، فَيَضْرِبُونَ ٱلْأَرْضَ وَلَا أُنْقِذُ مِنْ يَدِهِمْ». ٦ 6
কারণ, সদাপ্রভু বলেন আমি সেই দেশের লোকদের উপর আর দয়া করব না!” “আমি নিজে তাদেরকে লোকেদের সম্মুখীন করব, যেন প্রত্যেকে তার ভেড়ার পালকদের হাতে ও তার রাজার হাতে পড়ে। এবং তারা দেশটাকে চূর্ণবিচূর্ণ করবে, কিন্তু তাদের হাত থেকে আমি যিহূদাকে উদ্ধার করব না।”
فَرَعَيْتُ غَنَمَ ٱلذَّبْحِ. لَكِنَّهُمْ أَذَلُّ ٱلْغَنَمِ. وَأَخَذْتُ لِنَفْسِي عَصَوَيْنِ، فَسَمَّيْتُ ٱلْوَاحِدَةَ «نِعْمَةَ» وَسَمَّيْتُ ٱلْأُخْرَى «حِبَالًا» وَرَعَيْتُ ٱلْغَنَمَ. ٧ 7
তাই আমি সেই হত্যা করবার জন্য যে ভেড়ার পাল ঠিক হয়েছিল তাদের পালক হলাম, বিশেষ করে সেই পালের দুঃখীদের। তারপর আমি দুইটি লাঠি নিলাম এবং তার একটির নাম দিলাম “দয়া” ও অন্যটির নাম দিলাম “একতা।” এবং আমি সেই ভেড়ার পাল চরালাম।
وَأَبَدْتُ ٱلرُّعَاةَ ٱلثَّلَاثَةَ فِي شَهْرٍ وَاحِدٍ، وَضَاقَتْ نَفْسِي بِهِمْ، وَكَرِهَتْنِي أَيْضًا نَفْسُهُمْ. ٨ 8
এক মাসের মধ্যে আমি তিনজন ভেড়ার পালককে ধ্বংস করলাম। আমি সেই সমস্ত ভেড়ার ব্যবসায়ীদের, যারা আমাকে ভাড়া করেছিল তাদের নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম, কারণ তাদের প্রাণও আমাকে ঘৃণা করেছিল।
فَقُلْتُ: «لَا أَرْعَاكُمْ. مَنْ يَمُتْ فَلْيَمُتْ، وَمَنْ يُبَدْ فَلْيُبَدْ. وَٱلْبَقِيَّةُ فَلْيَأْكُلْ بَعْضُهَا لَحْمَ بَعْضٍ!». ٩ 9
তখন আমি বললাম, “আমিও আর তোমাদের সঙ্গে ভেড়া চরাব না। যেগুলি মারা যাচ্ছে সেগুলি মারা যাক; যেগুলি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সেগুলো ধ্বংস হোক। যারা বাকি আছে তারা প্রত্যেকে তার প্রতিবেশির মাংস খাক।”
فَأَخَذْتُ عَصَايَ «نِعْمَةَ» وَقَصَفْتُهَا لِأَنْقُضَ عَهْدِي ٱلَّذِي قَطَعْتُهُ مَعَ كُلِّ ٱلْأَسْبَاطِ. ١٠ 10
১০তাই আমি “দয়া” নামে সেই লাঠিটা নিয়ে ভেঙে ফেলে সমস্ত জাতির সঙ্গে আমার যে চুক্তি ছিল তা ভঙ্গ করলাম।
فَنُقِضَ فِي ذَلِكَ ٱلْيَوْمِ. وَهَكَذَا عَلِمَ أَذَلُّ ٱلْغَنَمِ ٱلْمُنْتَظِرُونَ لِي أَنَّهَا كَلِمَةُ ٱلرَّبِّ. ١١ 11
১১সেই দিনের ই সেই নিয়ম ভঙ্গ হয়েছিল এবং পালের দুঃখী ভেড়া যারা আমাকে লক্ষ্য করছিল তারা জানত যে, সদাপ্রভু কথা বলেছেন!
فَقُلْتُ لَهُمْ: «إِنْ حَسُنَ فِي أَعْيُنِكُمْ فَأَعْطُونِي أُجْرَتِي وَإِلَّا فَٱمْتَنِعُوا». فَوَزَنُوا أُجْرَتِي ثَلَاثِينَ مِنَ ٱلْفِضَّةِ. ١٢ 12
১২আমি তাদের বললাম, “যদি এটা তোমাদের ভাল মনে হয় তবে আমার বেতন দাও; কিন্তু যদি ভাল মনে না হয় তবে তা করো না।” তাই তারা আমার বেতন ত্রিশটি রূপার টুকরো পরিমাপ করে দিল।
فَقَالَ لِي ٱلرَّبُّ: «أَلْقِهَا إِلَى ٱلْفَخَّارِيِّ، ٱلثَّمَنَ ٱلْكَرِيمَ ٱلَّذِي ثَمَّنُونِي بِهِ». فَأَخَذْتُ ٱلثَّلَاثِينَ مِنَ ٱلْفِضَّةِ وَأَلْقَيْتُهَا إِلَى ٱلْفَخَّارِيِّ فِي بَيْتِ ٱلرَّبِّ. ١٣ 13
১৩তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “সেই রূপা কুমারের কাছে ফেলে দাও, যা দিয়ে তারা তোমার মূল্য ঠিক করেছে!” তাই আমি সেই ত্রিশটি সেকেল রূপার টুকরো নিয়ে সদাপ্রভুর ঘরে কুমারের কাছে ফেলে দিলাম।
ثُمَّ قَصَفْتُ عَصَايَ ٱلْأُخْرَى «حِبَالًا» لِأَنْقُضَ ٱلْإِخَاءَ بَيْنَ يَهُوذَا وَإِسْرَائِيلَ. ١٤ 14
১৪পরে আমি “একতা” নামে সেই দ্বিতীয় লাঠিটা ভেঙে যিহূদা ও ইস্রায়েলের মধ্যে ভাইয়ের যে সম্বন্ধ ছিল তা ভঙ্গ করলাম।
فَقَالَ لِي ٱلرَّبُّ: «خُذْ لِنَفْسِكَ بَعْدُ أَدَوَاتِ رَاعٍ أَحْمَقَ، ١٥ 15
১৫সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এবার, তুমি একজন মূর্খ পালকের বাদ্যযন্ত্র তোমার জন্য নাও,
لِأَنِّي هَأَنَذَا مُقِيمٌ رَاعِيًا فِي ٱلْأَرْضِ لَا يَفْتَقِدُ ٱلْمُنْقَطِعِينَ، وَلَا يَطْلُبُ ٱلْمُنْسَاقَ، وَلَا يَجْبُرُ ٱلْمُنْكَسِرَ، وَلَا يُرَبِّي ٱلْقَائِمَ. وَلَكِنْ يَأْكُلُ لَحْمَ ٱلسِّمَانِ وَيَنْزِعُ أَظْلَافَهَا». ١٦ 16
১৬কারণ দেখ! সেই দেশে আমি একজন পালককে তুলব! সে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভেড়াদের দেখাশোনা করবে না! যে সমস্ত ভেড়া বিপথে চলে গিয়েছে সে তাদের খোঁজ করবে না, না পঙ্গু ভেড়াদের সুস্থ করবে। সে সেই সমস্ত ভেড়াদের খাওয়াবে না যারা শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকে; কিন্তু সে স্বাস্থ্যবান ভেড়াগুলোর মাংস খাবে এবং তাদের খুর ছিন্নভিন্ন করবে।
وَيْلٌ لِلرَّاعِي ٱلْبَاطِلِ ٱلتَّارِكِ ٱلْغَنَمِ! اَلسَّيْفُ عَلَى ذِرَاعِهِ وَعَلَى عَيْنِهِ ٱلْيُمْنَى. ذِرَاعُهُ تَيْبَسُ يَبْسًا، وَعَيْنُهُ ٱلْيُمْنَى تَكِلُّ كُلُولًا! ١٧ 17
১৭“ধিক, সেই অপদার্থ পালককে, যে ভেড়ার পালকে ত্যাগ করে! তলোয়ার যেন তার হাত ও ডান চোখের বিরুদ্ধে উপস্থিত হয়! যেন তার ডান হাত শুকিয়ে যায় এবং তার ডান চোখ অন্ধ হয়ে যায়!”

< زَكَريَّا 11 >