< رُؤيا 6 >
وَنَظَرْتُ لَمَّا فَتَحَ ٱلْخَرُوفُ وَاحِدًا مِنَ ٱلْخُتُومِ ٱلسَّبْعَةِ، وَسَمِعْتُ وَاحِدًا مِنَ ٱلْأَرْبَعَةِ ٱلْحَيَوَانَاتِ قَائِلًا كَصَوْتِ رَعْدٍ: «هَلُمَّ وَٱنْظُرْ!». | ١ 1 |
১সেই মেষ শিশু যখন ঐ সাতটা সীলমোহরের মধ্য থেকে একটা খুললেন তখন আমি দেখলাম এবং আমি সেই চারজন জীবন্ত প্রাণীর মধ্য থেকে এক জনকে মেঘ গর্জনের মত শব্দ করে বলতে শুনলাম, “এস।”
فَنَظَرْتُ، وَإِذَا فَرَسٌ أَبْيَضُ، وَٱلْجَالِسُ عَلَيْهِ مَعَهُ قَوْسٌ، وَقَدْ أُعْطِيَ إِكْلِيلًا، وَخَرَجَ غَالِبًا وَلِكَيْ يَغْلِبَ. | ٢ 2 |
২আমি একটা সাদা ঘোড়া দেখতে পেলাম। যিনি তার ওপরে বসে ছিলেন তাঁর হাতে একটা ধনুক ছিল। তাঁকে একটা মুকুট দেওয়া হয়েছিল। তিনি জয়ীর মত বের হয়ে জয় করতে করতে চললেন।
وَلَمَّا فَتَحَ ٱلْخَتْمَ ٱلثَّانِيَ، سَمِعْتُ ٱلْحَيَوَانَ ٱلثَّانِيَ قَائِلًا: «هَلُمَّ وَٱنْظُرْ!» | ٣ 3 |
৩মেষ শিশু যখন দ্বিতীয় সীলমোহর খুললেন তখন আমি দ্বিতীয় জীবন্ত প্রাণীকে বলতে শুনলাম “এস।”
فَخَرَجَ فَرَسٌ آخَرُ أَحْمَرُ، وَلِلْجَالِسِ عَلَيْهِ أُعْطِيَ أَنْ يَنْزِعَ ٱلسَّلَامَ مِنَ ٱلْأَرْضِ، وَأَنْ يَقْتُلَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، وَأُعْطِيَ سَيْفًا عَظِيمًا. | ٤ 4 |
৪তারপর আগুনের মত লাল অপর একটা ঘোড়া বের হয়ে এল। যিনি তার ওপরে বসে ছিলেন, তাঁকে পৃথিবী থেকে শান্তি তুলে নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হল যাতে লোকে একে অপরকে মেরে ফেলে। তাঁকে একটা বড় তরোয়াল দেওয়া হয়েছিল।
وَلَمَّا فَتَحَ ٱلْخَتْمَ ٱلثَّالِثَ، سَمِعْتُ ٱلْحَيَوَانَ ٱلثَّالِثَ قَائِلًا: «هَلُمَّ وَٱنْظُرْ!». فَنَظَرْتُ وَإِذَا فَرَسٌ أَسْوَدُ، وَٱلْجَالِسُ عَلَيْهِ مَعَهُ مِيزَانٌ فِي يَدِهِ. | ٥ 5 |
৫মেষ শিশু যখন তৃতীয় সীলমোহর খুললেন তখন আমি তৃতীয় জীবন্ত প্রাণীকে বলতে শুনলাম, “এস!” আমি একটা কালো ঘোড়া দেখতে পেলাম। যিনি সেই ঘোড়াটার ওপরে বসেছিলেন তাঁর হাতে একটা দাঁড়িপাল্লা ছিল।
وَسَمِعْتُ صَوْتًا فِي وَسَطِ ٱلْأَرْبَعَةِ ٱلْحَيَوَانَاتِ قَائِلًا: «ثُمْنِيَّةُ قَمْحٍ بِدِينَارٍ، وَثَلَاثُ ثَمَانِيِّ شَعِيرٍ بِدِينَارٍ. وَأَمَّا ٱلزَّيْتُ وَٱلْخَمْرُ فَلَا تَضُرَّهُمَا». | ٦ 6 |
৬আমি সেই চারজন জীবন্ত প্রাণীদের মাঝখানে কাউকে বলতে শুনলাম, এক সের গমের দাম এক সিকি, আর তিন সের যবের দাম এক সিকি, কিন্তু তুমি তেল ও আঙুর রস ক্ষতি করো না।
وَلَمَّا فَتَحَ ٱلْخَتْمَ ٱلرَّابِعَ، سَمِعْتُ صَوْتَ ٱلْحَيَوَانِ ٱلرَّابِعِ قَائِلًا: «هَلُمَّ وَٱنْظُرْ!». | ٧ 7 |
৭যখন মেষ শিশু চতুর্থ সীলমোহর খুললেন তখন আমি চতুর্থ জীবন্ত প্রাণীকে বলতে শুনলাম, “এস।”
فَنَظَرْتُ وَإِذَا فَرَسٌ أَخْضَرُ، وَٱلْجَالِسُ عَلَيْهِ ٱسْمُهُ ٱلْمَوْتُ، وَٱلْهَاوِيَةُ تَتْبَعُهُ، وَأُعْطِيَا سُلْطَانًا عَلَى رُبْعِ ٱلْأَرْضِ أَنْ يَقْتُلَا بِٱلسَّيْفِ وَٱلْجُوعِ وَٱلْمَوْتِ وَبِوُحُوشِ ٱلْأَرْضِ. (Hadēs ) | ٨ 8 |
৮তারপর আমি একটা ফ্যাকাসে রং এর ঘোড়া দেখতে পেলাম। যিনি সেই ঘোড়ার ওপরে বসে ছিলেন তাঁর নাম মৃত্যু এবং নরক তার পেছনে পেছনে চলছিল। পৃথিবীর চার ভাগের এক ভাগের ওপরে তাদের ক্ষমতা দেওয়া হল, যেন তারা তরোয়াল দূর্ভিক্ষ, অসুখ ও পৃথিবীর বুনোপশু দিয়ে লোকদের মেরে ফেলে। (Hadēs )
وَلَمَّا فَتَحَ ٱلْخَتْمَ ٱلْخَامِسَ، رَأَيْتُ تَحْتَ ٱلْمَذْبَحِ نُفُوسَ ٱلَّذِينَ قُتِلُوا مِنْ أَجْلِ كَلِمَةِ ٱللهِ، وَمِنْ أَجْلِ ٱلشَّهَادَةِ ٱلَّتِي كَانَتْ عِنْدَهُمْ، | ٩ 9 |
৯যখন মেষ শিশু পঞ্চম সীলমোহর খুললেন, তখন আমি একটা বেদির নীচে এমন সব লোকের আত্মা দেখতে পেলাম, যাঁদের ঈশ্বরের বাক্যের জন্য এবং সাক্ষ্য দেবার জন্য মেরে ফেলা হয়েছিল।
وَصَرَخُوا بِصَوْتٍ عَظِيمٍ قَائِلِينَ: «حَتَّى مَتَى أَيُّهَا ٱلسَّيِّدُ ٱلْقُدُّوسُ وَٱلْحَقُّ، لَا تَقْضِي وَتَنْتَقِمُ لِدِمَائِنَا مِنَ ٱلسَّاكِنِينَ عَلَى ٱلْأَرْضِ؟» | ١٠ 10 |
১০তাঁরা জোরে চিত্কার করে বলছিলেন, “পবিত্র ও সত্য প্রভু, যারা এই পৃথিবীর, তাদের বিচার করতে ও তাদের ওপর আমাদের রক্তের শোধ নিতে তুমি আর কত দেরী করবে?”
فَأُعْطُوا كُلُّ وَاحِدٍ ثِيَابًا بِيضًا، وَقِيلَ لَهُمْ أَنْ يَسْتَرِيحُوا زَمَانًا يَسِيرًا أَيْضًا حَتَّى يَكْمَلَ ٱلْعَبِيدُ رُفَقَاؤُهُمْ، وَإِخْوَتُهُمْ أَيْضًا، ٱلْعَتِيدُونَ أَنْ يُقْتَلُوا مِثْلَهُمْ. | ١١ 11 |
১১তারপর তাঁদের প্রত্যেককে একটা করে সাদা পোষাক দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের বলা হয়েছিল যে, তাদের অনুসরণকারী দাসদের, তাদের ভাইদের ও বোনদের যাদের তাদেরই মত করে মেরে ফেলা হবে, তাদের সংখ্যা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তারা যেন আরও কিছুকাল অপেক্ষা করেন।
وَنَظَرْتُ لَمَّا فَتَحَ ٱلْخَتْمَ ٱلسَّادِسَ، وَإِذَا زَلْزَلَةٌ عَظِيمَةٌ حَدَثَتْ، وَٱلشَّمْسُ صَارَتْ سَوْدَاءَ كَمِسْحٍ مِنْ شَعْرٍ، وَٱلْقَمَرُ صَارَ كَٱلدَّمِ، | ١٢ 12 |
১২তারপর আমি দেখলাম, মেষ শিশু যখন ষষ্ঠ সীলমোহর খুললেন, তখন ভীষণ ভূমিকম্প হল। সূর্য্য একেবারে চট বস্ত্রের মত কালো হয়ে গেল এবং পুরো চাঁদটাই রক্তের মত লাল হয়ে উঠল।
وَنُجُومُ ٱلسَّمَاءِ سَقَطَتْ إِلَى ٱلْأَرْضِ كَمَا تَطْرَحُ شَجَرَةُ ٱلتِّينِ سُقَاطَهَا إِذَا هَزَّتْهَا رِيحٌ عَظِيمَةٌ. | ١٣ 13 |
১৩জোরে হাওয়া দিলে যেমন ডুমুরগাছ থেকে ডুমুর অদিনের পড়ে যায়, তেমনি করে আকাশের তারাগুলো পৃথিবীর ওপর খসে পড়ল।
وَٱلسَّمَاءُ ٱنْفَلَقَتْ كَدَرْجٍ مُلْتَفٍّ، وَكُلُّ جَبَلٍ وَجَزِيرَةٍ تَزَحْزَحَا مِنْ مَوْضِعِهِمَا. | ١٤ 14 |
১৪গুটিয়ে রাখা বই এর মত আকাশ সরে গেল। প্রত্যেকটি পর্বত ও দ্বীপ নিজ নিজ জায়গা থেকে সরে গেল।
وَمُلُوكُ ٱلْأَرْضِ وَٱلْعُظَمَاءُ وَٱلْأَغْنِيَاءُ وَٱلْأُمَرَاءُ وَٱلْأَقْوِيَاءُ وَكُلُّ عَبْدٍ وَكُلُّ حُرٍّ، أَخْفَوْا أَنْفُسَهُمْ فِي ٱلْمَغَايِرِ وَفِي صُخُورِ ٱلْجِبَالِ، | ١٥ 15 |
১৫পৃথিবীর সব রাজা ও প্রধানলোক, সেনাপতি, ধনী, শক্তিশালী লোক এবং প্রত্যেকটি দাস ও স্বাধীন লোক পাহাড়ের গুহায় এবং পর্বতের পাথরের আড়ালে লুকিয়ে পড়ল।
وَهُمْ يَقُولُونَ لِلْجِبَالِ وَٱلصُّخُورِ: «ٱسْقُطِي عَلَيْنَا وَأَخْفِينَا عَنْ وَجْهِ ٱلْجَالِسِ عَلَى ٱلْعَرْشِ وَعَنْ غَضَبِ ٱلْخَرُوفِ، | ١٦ 16 |
১৬তারা পর্বত ও পাথরগুলিকে বলল, আমাদের ওপরে পড়! যিনি সেই সিংহাসনে বসে আছেন তাঁর মুখের সামনে থেকে এবং মেষশিশুর রাগ থেকে আমাদের লুকিয়ে রাখ;
لِأَنَّهُ قَدْ جَاءَ يَوْمُ غَضَبِهِ ٱلْعَظِيمُ. وَمَنْ يَسْتَطِيعُ ٱلْوُقُوفَ؟». | ١٧ 17 |
১৭কারণ তাঁদের রাগ প্রকাশের সেই মহান দিন এসে পড়েছে এবং কে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে? ঈশ্বরের দাসদিগের সীলমোহর চিহ্ন ও স্বর্গীয় সুখের বর্ণনা।