< رُؤيا 16 >

وَسَمِعْتُ صَوْتًا عَظِيمًا مِنَ ٱلْهَيْكَلِ قَائِلًا لِلسَّبْعَةِ ٱلْمَلَائِكَةِ: «ٱمْضُوا وَٱسْكُبُوا جَامَاتِ غَضَبِ ٱللهِ عَلَى ٱلْأَرْضِ». ١ 1
আমি উপাসনা ঘর থেকে এক চীৎকার শুনতে পেলাম, একজন জোরে সেই সাতটি স্বর্গদূতকে বলছেন, তোমরা যাও এবং ঈশ্বরের ক্রোধের ঐ সাতটি বাটি পৃথিবীতে ঢেলে দাও।
فَمَضَى ٱلْأَوَّلُ وَسَكَبَ جَامَهُ عَلَى ٱلْأَرْضِ، فَحَدَثَتْ دَمَامِلُ خَبِيثَةٌ وَرَدِيَّةٌ عَلَى ٱلنَّاسِ ٱلَّذِينَ بِهِمْ سِمَةُ ٱلْوَحْشِ وَٱلَّذِينَ يَسْجُدُونَ لِصُورَتِهِ. ٢ 2
তখন প্রথম দূত গিয়ে পৃথিবীর উপরে নিজের বাটি ঢেলে দিলেন, ফলে সেই জন্তুটার চিহ্ন যাদের গায়ে ছিল এবং তার মূর্তির পূজো করত মানুষদের গায়ে খুব খারাপ ও বিষাক্ত ঘা দেখা দিল।
ثُمَّ سَكَبَ ٱلْمَلَاكُ ٱلثَّانِي جَامَهُ عَلَى ٱلْبَحْرِ، فَصَارَ دَمًا كَدَمِ مَيِّتٍ. وَكُلُّ نَفْسٍ حَيَّةٍ مَاتَتْ فِي ٱلْبَحْرِ. ٣ 3
পরে দ্বিতীয় দূত সমুদ্রের ওপরে নিজের বাটি ঢেলে দিলেন, তাতে সেটি মরা লোকের রক্তের মত হলো এবং সমুদ্রের সব জীবিত প্রাণী মরে গেল।
ثُمَّ سَكَبَ ٱلْمَلَاكُ ٱلثَّالِثُ جَامَهُ عَلَى ٱلْأَنْهَارِ وَعَلَى يَنَابِيعِ ٱلْمِيَاهِ، فَصَارَتْ دَمًا. ٤ 4
তৃতীয় দূত গিয়ে নদনদী ও জলের ফোয়ারার ওপরে নিজের বাটি ঢাললেন, ফলে সেগুলো রক্তের নদী ও ফোয়ারা হয়ে গেল।
وَسَمِعْتُ مَلَاكَ ٱلْمِيَاهِ يَقُولُ: «عَادِلٌ أَنْتَ أَيُّهَا ٱلْكَائِنُ وَٱلَّذِي كَانَ وَٱلَّذِي يَكُونُ، لِأَنَّكَ حَكَمْتَ هَكَذَا. ٥ 5
জলের উপর যে স্বর্গদূতের ক্ষমতা ছিল তাকে আমি বলতে শুনলাম, হে পবিত্র, তুমি আছ ও তুমি ছিলে, তুমি ন্যায়বান, কারণ তুমি এই রকম বিচার করছ;
لِأَنَّهُمْ سَفَكُوا دَمَ قِدِّيسِينَ وَأَنْبِيَاءَ، فَأَعْطَيْتَهُمْ دَمًا لِيَشْرَبُوا. لِأَنَّهُمْ مُسْتَحِقُّونَ!». ٦ 6
কারণ তারা ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের ও ভাববাদীদের খুন করেছে; তুমি তাদেরকে পান করার জন্য রক্ত দিয়েছ; এটাই তাদের জন্য উপযুক্ত।
وَسَمِعْتُ آخَرَ مِنَ ٱلْمَذْبَحِ قَائِلًا: «نَعَمْ أَيُّهَا ٱلرَّبُّ ٱلْإِلَهُ ٱلْقَادِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ! حَقٌّ وَعَادِلَةٌ هِيَ أَحْكَامُكَ». ٧ 7
পরে আমি বেদি থেকে উত্তর দিতে শুনলাম, হ্যাঁ, প্রভু সর্বশক্তিমান, সবার শাসনকর্ত্তা, তোমার বিচারগুলি সত্য ও ন্যায়বান।
ثُمَّ سَكَبَ ٱلْمَلَاكُ ٱلرَّابِعُ جَامَهُ عَلَى ٱلشَّمْسِ، فَأُعْطِيَتْ أَنْ تُحْرِقَ ٱلنَّاسَ بِنَارٍ، ٨ 8
চতুর্থ স্বর্গদূত তাঁর নিজের বাটি সুর্য্যের ওপরে ঢেলে দিলেন এবং আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারার অনুমতি তাকে দেওয়া হল।
فَٱحْتَرَقَ ٱلنَّاسُ ٱحْتِرَاقًا عَظِيمًا، وَجَدَّفُوا عَلَى ٱسْمِ ٱللهِ ٱلَّذِي لَهُ سُلْطَانٌ عَلَى هَذِهِ ٱلضَّرَبَاتِ، وَلَمْ يَتُوبُوا لِيُعْطُوهُ مَجْدًا. ٩ 9
ভীষণ তাপে মানুষের গা পুড়ে গেল এবং এই সব আঘাতের উপরে যাঁর ক্ষমতা আছে, সেই ঈশ্বরের নামের নিন্দা করতে লাগলো; তাঁকে গৌরব করার জন্য তারা মন ফেরাল না।
ثُمَّ سَكَبَ ٱلْمَلَاكُ ٱلخَامِسُ جَامَهُ عَلَى عَرْشِ ٱلْوَحْشِ، فَصَارَتْ مَمْلَكَتُهُ مُظْلِمَةً. وَكَانُوا يَعَضُّونَ عَلَى أَلْسِنَتِهِمْ مِنَ ٱلْوَجَعِ. ١٠ 10
১০পরে পঞ্চম স্বর্গদূত সেই জন্তুর সিংহাসনের উপরে নিজের বাটি ঢেলে দিলেন; তাতে শয়তানের রাজ্য অন্ধকারে ঢেকে গেল এবং মানুষেরা যন্ত্রণায় তাদের নিজ নিজ জিভ কামড়াতে লাগলো।
وَجَدَّفُوا عَلَى إِلَهِ ٱلسَّمَاءِ مِنْ أَوْجَاعِهِمْ وَمِنْ قُرُوحِهِمْ، وَلَمْ يَتُوبُوا عَنْ أَعْمَالِهِمْ. ١١ 11
১১তাদের যন্ত্রণা ও ঘায়ের জন্য তারা স্বর্গের ঈশ্বরের নিন্দা করতে লাগলো, তবুও তারা নিজেদের মন্দ কাজ থেকে মন ফেরালো না।
ثُمَّ سَكَبَ ٱلْمَلَاكُ ٱلسَّادِسُ جَامَهُ عَلَى ٱلنَّهْرِ ٱلْكَبِيرِ ٱلْفُرَاتِ، فَنَشِفَ مَاؤُهُ لِكَيْ يُعَدَّ طَرِيقُ ٱلْمُلُوكِ ٱلَّذِينَ مِنْ مَشْرِقِ ٱلشَّمْسِ. ١٢ 12
১২ষষ্ঠ স্বর্গদূত ইউফ্রেটীস মহানদীর উপর নিজের বাটি উপুড় করে ঢেলে দিলেন এবং এই নদীর জল শুকিয়ে গেল, যেন পূর্ব দিক থেকে রাজাদের আসার জন্য রাস্তা তৈরী করা যেতে পারে।
وَرَأَيْتُ مِنْ فَمِ ٱلتِّنِّينِ، وَمِنْ فَمِ ٱلْوَحْشِ، وَمِنْ فَمِ ٱلنَّبِيِّ ٱلْكَذَّابِ، ثَلَاثَةَ أَرْوَاحٍ نَجِسَةٍ شِبْهَ ضَفَادِعَ، ١٣ 13
১৩পরে আমি দেখতে পেলাম, সেই বিরাটাকার সাপের মুখ থেকে, জন্তুটির মুখ থেকে এবং ভণ্ড ভাববাদীর মুখ থেকে ব্যাঙের মত দেখতে তিনটে মন্দ আত্মা বের হয়ে আসছে।
فَإِنَّهُمْ أَرْوَاحُ شَيَاطِينَ صَانِعَةٌ آيَاتٍ، تَخْرُجُ عَلَى مُلُوكِ ٱلْعَالَمِ وَكُلِّ ٱلْمَسْكُونَةِ، لِتَجْمَعَهُمْ لِقِتَالِ ذَلِكَ ٱلْيَوْمِ ٱلْعَظِيمِ، يَوْمِ ٱللهِ ٱلْقَادِرِ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ. ١٤ 14
১৪কারণ তারা হলো ভূতেদের আত্মা নানা চিহ্ন ও আশ্চর্য্য কাজ করে; তারা পৃথিবীর সব রাজাদের কাছে গিয়ে সর্বশক্তিমান্ ঈশ্বরের সেই মহান দিনের যুদ্ধের জন্য মন্দ আত্মাদের জড়ো করে।
«هَا أَنَا آتِي كَلِصٍّ! طُوبَى لِمَنْ يَسْهَرُ وَيَحْفَظُ ثِيَابَهُ لِئَلَّا يَمْشِيَ عُرْيَانًا فَيَرَوْا عُرْيَتَهُ». ١٥ 15
১৫দেখ, আমি চোরের মত আসবো; ধন্য সেই ব্যক্তি যে জেগে থাকে এবং নিজের কাপড় পরে থাকে যেন সে উলঙ্গ না হয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং লোকে তার লজ্জা না দেখে।
فَجَمَعَهُمْ إِلَى ٱلْمَوْضِعِ ٱلَّذِي يُدْعَى بِٱلْعِبْرَانِيَّةِ «هَرْمَجَدُّونَ». ١٦ 16
১৬তারা রাজাদের এক জায়গায় জড়ো করলো যে জায়গার নাম ইব্রীয় ভাষায় হরমাগিদোন বলে।
ثُمَّ سَكَبَ ٱلْمَلَاكُ ٱلسَّابِعُ جَامَهُ عَلَى ٱلْهَوَاءِ، فَخَرَجَ صَوْتٌ عَظِيمٌ مِنْ هَيْكَلِ ٱلسَّمَاءِ مِنَ ٱلْعَرْشِ قَائِلًا: «قَدْ تَمَّ!». ١٧ 17
১৭পরে সপ্তম স্বর্গদূত আকাশের বাতাসের ওপরে নিজ বাটি ঢেলে দিলেন, তখন উপাসনা ঘরের সিংহাসন থেকে জোরে এই কথা গুলি বলা হলো, “এটা করা হয়েছে।”
فَحَدَثَتْ أَصْوَاتٌ وَرُعُودٌ وَبُرُوقٌ. وَحَدَثَتْ زَلْزَلَةٌ عَظِيمَةٌ، لَمْ يَحْدُثْ مِثْلُهَا مُنْذُ صَارَ ٱلنَّاسُ عَلَى ٱلْأَرْضِ، زَلْزَلَةٌ بِمِقْدَارِهَا عَظِيمَةٌ هَكَذَا. ١٨ 18
১৮আর তখন বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো, বিকট শব্দ ও বাজ পড়তে লাগলো এবং এমন এক ভূমিকম্প হল যা পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টির পর থেকে কখনও হয়নি, এটা খুব ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ছিল।
وَصَارَتِ ٱلْمَدِينَةُ ٱلْعَظِيمَةُ ثَلَاثَةَ أَقْسَامٍ، وَمُدُنُ ٱلْأُمَمِ سَقَطَتْ، وَبَابِلُ ٱلْعَظِيمَةُ ذُكِرَتْ أَمَامَ ٱللهِ لِيُعْطِيَهَا كَأْسَ خَمْرِ سَخَطِ غَضَبِهِ. ١٩ 19
১৯ফলে সেই মহান শহরটি তিন ভাগে ভাগ হয়ে গেল এবং নানা জাতির শহরগুলি ভেঙে পড়ল; তখন ঈশ্বর সেই মহান বাবিলনকে মনে করলেন এবং ঈশ্বর তাঁর ক্রোধের মদ পূর্ণ পেয়ালা বাবিলকে পান করতে দিলেন।
وَكُلُّ جَزِيرَةٍ هَرَبَتْ، وَجِبَالٌ لَمْ تُوجَدْ. ٢٠ 20
২০প্রত্যেকটি দ্বীপ তখন অদৃশ্য হয়ে গেল এবং পর্বত গুলিকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না।
وَبَرَدٌ عَظِيمٌ، نَحْوُ ثِقَلِ وَزْنَةٍ، نَزَلَ مِنَ ٱلسَّمَاءِ عَلَى ٱلنَّاسِ. فَجَدَّفَ ٱلنَّاسُ عَلَى ٱللهِ مِنْ ضَرْبَةِ ٱلْبَرَدِ، لِأَنَّ ضَرْبَتَهُ عَظِيمَةٌ جِدًّا. ٢١ 21
২১আর আকাশ থেকে মানুষের ওপর বড় বড় শীল বৃষ্টির মত পড়ল, তার এক একটির ওজন প্রায় এক তালন্ত (প্রায় ছত্রিশ কেজি); এই শিলাবৃষ্টিতে আঘাত পেয়ে মানুষেরা ঈশ্বরের নিন্দা করল; কারণ সেই আঘাত খুব ভয়ানক ছিল।

< رُؤيا 16 >