< رُؤيا 11 >

ثُمَّ أُعْطِيتُ قَصَبَةً شِبْهَ عَصًا، وَوَقَفَ ٱلْمَلَاكُ قَائِلًا لِي: «قُمْ وَقِسْ هَيْكَلَ ٱللهِ وَٱلْمَذْبَحَ وَٱلسَّاجِدِينَ فِيهِ. ١ 1
মাপকাঠির মত একটা নলের কাঠি আমাকে দেওয়া হল। আমাকে বলা হলো, “ওঠ এবং ঈশ্বরের উপাসনা ঘর ও বেদি মাপ কর এবং কত জন সেখানে উপাসনা করে তাদের গোন।”
وَأَمَّا ٱلدَّارُ ٱلَّتِي هِيَ خَارِجَ ٱلْهَيْكَلِ، فَٱطْرَحْهَا خَارِجًا وَلَا تَقِسْهَا، لِأَنَّهَا قَدْ أُعْطِيَتْ لِلْأُمَمِ، وَسَيَدُوسُونَ ٱلْمَدِينَةَ ٱلْمُقَدَّسَةَ ٱثْنَيْنِ وَأَرْبَعِينَ شَهْرًا. ٢ 2
কিন্তু উপাসনা ঘরের বাইরে যে উঠোন আছে সেটা বাদ দিয়ে মাপ কর, কারণ ওটা অইহূদিদের দেওয়া হয়েছে। তারা বিয়াল্লিশ মাস ধরে পবিত্র শহরটাকে পা দিয়ে মাড়াবে।
وَسَأُعْطِي لِشَاهِدَيَّ، فَيَتَنَبَّآنِ أَلْفًا وَمِئَتَيْنِ وَسِتِّينَ يَوْمًا، لَابِسَيْنِ مُسُوحًا». ٣ 3
আমি আমার দুই জন সাক্ষীকে এমন ক্ষমতা দেব তাঁরা চটের কাপড় পরে এক হাজার দুশো ষাট দিন ধরে ভবিষ্যতের কথা বলবেন।
هَذَانِ هُمَا ٱلزَّيْتُونَتَانِ وَٱلْمَنَارَتَانِ ٱلْقَائِمَتَانِ أَمَامَ رَبِّ ٱلْأَرْضِ. ٤ 4
সেই দুই জন সাক্ষী সেই দুইটি জলপাই গাছ এবং দুইটি বাতিস্তম্ভ যাঁরা পৃথিবীর প্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।
وَإِنْ كَانَ أَحَدٌ يُرِيدُ أَنْ يُؤْذِيَهُمَا، تَخْرُجُ نَارٌ مِنْ فَمِهِمَا وَتَأْكُلُ أَعْدَاءَهُمَا. وَإِنْ كَانَ أَحَدٌ يُرِيدُ أَنْ يُؤْذِيَهُمَا، فَهَكَذَا لَا بُدَّ أَنَّهُ يُقْتَلُ. ٥ 5
কেউ যদি তাঁদের ক্ষতি করতে চায়, তবে তাঁদের মুখ থেকে আগুন বের হয়ে সেই শত্রুদের পুড়িয়ে ফেলবে। যে কেউ তাঁদের ক্ষতি করতে চাইবে তাকে এই ভাবে মরতে হবে।
هَذَانِ لَهُمَا ٱلسُّلْطَانُ أَنْ يُغْلِقَا ٱلسَّمَاءَ حَتَّى لَا تُمْطِرَ مَطَرًا فِي أَيَّامِ نُبُوَّتِهِمَا، وَلَهُمَا سُلْطَانٌ عَلَى ٱلْمِيَاهِ أَنْ يُحَوِّلَاهَا إِلَى دَمٍ، وَأَنْ يَضْرِبَا ٱلْأَرْضَ بِكُلِّ ضَرْبَةٍ كُلَّمَا أَرَادَا. ٦ 6
এই লোকেরা যতদিন ভাববাদী হিসাবে কথা বলবেন ততদিন যেন বৃষ্টি না হয় সেইজন্য আকাশ বন্ধ করে দেবার ক্ষমতা তাঁদের থাকবে। জলকে রক্ত করবার এবং যতবার ইচ্ছা তত বার যে কোনো আঘাত দিয়ে পৃথিবীর ক্ষতি করবার ক্ষমতাও তাঁদের থাকবে।
وَمَتَى تَمَّمَا شَهَادَتَهُمَا، فَٱلْوَحْشُ ٱلصَّاعِدُ مِنَ ٱلْهَاوِيَةِ سَيَصْنَعُ مَعَهُمَا حَرْبًا وَيَغْلِبُهُمَا وَيَقْتُلُهُمَا. (Abyssos g12) ٧ 7
তাঁদের সাক্ষ্য দেওয়া শেষ হলে, সেই গভীর এবং অতল গর্ত থেকে একটা পশু উঠে এসে তাঁদের সাথে যুদ্ধ করবে। পশুটি জয়লাভ করে তাঁদের মেরে ফেলবে। (Abyssos g12)
وَتَكُونُ جُثَّتَاهُمَا عَلَى شَارِعِ ٱلْمَدِينَةِ ٱلْعَظِيمَةِ ٱلَّتِي تُدْعَى رُوحِيًّا سَدُومَ وَمِصْرَ، حَيْثُ صُلِبَ رَبُّنَا أَيْضًا. ٨ 8
সেই মহাশহরের রাস্তায় তাঁদের মৃতদেহ পড়ে থাকবে। যে শহরকে আত্মিক ভাবে সদোম ও মিশর বলে, তাঁদের প্রভুকে যে শহরে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল।
وَيَنْظُرُ أُنَاسٌ مِنَ ٱلشُّعُوبِ وَٱلْقَبَائِلِ وَٱلْأَلْسِنَةِ وَٱلْأُمَمِ جُثَّتَيْهِمَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَنِصْفًا، وَلَا يَدَعُونَ جُثَّتَيْهِمَا تُوضَعَانِ فِي قُبُورٍ. ٩ 9
তখন সমস্ত জাতি, বংশ, ভাষা ও জাতির ভেতর থেকে লোকেরা সাড়ে তিনদিন ধরে তাঁদের মৃতদেহগুলো দেখবে, তারা তাঁদের দেহগুলো কবরে দেবার অনুমতি দেবে না।
وَيَشْمَتُ بِهِمَا ٱلسَّاكِنُونَ عَلَى ٱلْأَرْضِ وَيَتَهَلَّلُونَ، وَيُرْسِلُونَ هَدَايَا بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ لِأَنَّ هَذَيْنِ ٱلنَّبِيَّيْنِ كَانَا قَدْ عَذَّبَا ٱلسَّاكِنِينَ عَلَى ٱلْأَرْضِ. ١٠ 10
১০যারা এই পৃথিবীতে বাস করে তারা খুশি হবে এবং আনন্দ করবে, লোকেরা একে অপরের কাছে উপহার পাঠাবে, কারণ যারা এই পৃথিবীর, তারা এই দুই জন ভাববাদীর জন্য কষ্ট পেয়েছিল।
ثُمَّ بَعْدَ ٱلثَّلَاثَةِ ٱلْأَيَّامِ وَٱلنِّصْفِ، دَخَلَ فِيهِمَا رُوحُ حَيَاةٍ مِنَ ٱللهِ، فَوَقَفَا عَلَى أَرْجُلِهِمَا. وَوَقَعَ خَوْفٌ عَظِيمٌ عَلَى ٱلَّذِينَ كَانُوا يَنْظُرُونَهُمَا. ١١ 11
১১কিন্তু সাড়ে তিনদিন পরে ঈশ্বরের দেওয়া নিঃশ্বাস তাঁদের ভেতরে ঢুকল এবং এতে তাঁরা পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ালেন, তখন যারা তাঁদের দেখল, তারা খুব ভয় পেল।
وَسَمِعُوا صَوْتًا عَظِيمًا مِنَ ٱلسَّمَاءِ قَائِلًا لَهُمَا: «ٱصْعَدَا إِلَى هَهُنَا». فَصَعِدَا إِلَى ٱلسَّمَاءِ فِي ٱلسَّحَابَةِ، وَنَظَرَهُمَا أَعْدَاؤُهُمَا. ١٢ 12
১২পরে তাঁরা স্বর্গ থেকে কাউকে জোরে চিত্কার করে এই কথা বলতে শুনলেন “এখানে উঠে এস!” এবং তাঁরা তাঁদের শত্রুদের চোখের সামনেই একটা মেঘে করে স্বর্গে উঠে গেলেন।
وَفِي تِلْكَ ٱلسَّاعَةِ حَدَثَتْ زَلْزَلَةٌ عَظِيمَةٌ، فَسَقَطَ عُشْرُ ٱلْمَدِينَةِ، وَقُتِلَ بِٱلزَّلْزَلَةِ أَسْمَاءٌ مِنَ ٱلنَّاسِ: سَبْعَةُ آلَافٍ. وَصَارَ ٱلْبَاقُونَ فِي رَعْبَةٍ، وَأَعْطَوْا مَجْدًا لِإِلَهِ ٱلسَّمَاءِ. ١٣ 13
১৩সেই দিন ভীষণ ভূমিকম্প হল এবং সেই শহরের দশ ভাগের একভাগ ভেঙে পড়ে গেল। সেই ভূমিকম্পে সাত হাজার লোক মারা গেল এবং বাকি সবাই ভয় পেয়ে স্বর্গের ঈশ্বরের গৌরব করতে লাগল।
ٱلْوَيْلُ ٱلثَّانِي مَضَى، وَهُوَذَا ٱلْوَيْلُ ٱلثَّالِثُ يَأْتِي سَرِيعًا. ١٤ 14
১৪এই ভাবে দ্বিতীয় বিপদ কাটল। দেখ, তৃতীয় বিপদ তাড়াতাড়ি আসছে।
ثُمَّ بَوَّقَ ٱلْمَلَاكُ ٱلسَّابِعُ، فَحَدَثَتْ أَصْوَاتٌ عَظِيمَةٌ فِي ٱلسَّمَاءِ قَائِلَةً: «قَدْ صَارَتْ مَمَالِكُ ٱلْعَالَمِ لِرَبِّنَا وَمَسِيحِهِ، فَسَيَمْلِكُ إِلَى أَبَدِ ٱلْآبِدِينَ». (aiōn g165) ١٥ 15
১৫পরে সপ্তম দূত তূরী বাজালেন, তখন স্বর্গে জোরে জোরে বলা হল, “জগতের রাজ্য এখন আমাদের প্রভুর ও তাঁর খ্রীষ্টের হয়েছে। তিনি চিরকাল ধরে রাজত্ব করবেন।” (aiōn g165)
وَٱلْأَرْبَعَةُ وَٱلْعِشْرُونَ شَيْخًا ٱلْجَالِسُونَ أَمَامَ ٱللهِ عَلَى عُرُوشِهِمْ، خَرُّوا عَلَى وُجُوهِهِمْ وَسَجَدُوا لِلهِ، ١٦ 16
১৬তারপর যে চব্বিশ জন নেতা ঈশ্বরের সামনে তাঁদের সিংহাসনের ওপর বসে ছিলেন তাঁরা উপুড় হয়ে ঈশ্বরের উপাসনা করে বললেন,
قَائِلِينَ: «نَشْكُرُكَ أَيُّهَا ٱلرَّبُّ ٱلْإِلَهُ ٱلْقَادِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ، ٱلْكَائِنُ وَٱلَّذِي كَانَ وَٱلَّذِي يَأْتِي، لِأَنَّكَ أَخَذْتَ قُدْرَتَكَ ٱلْعَظِيمَةَ وَمَلَكْتَ. ١٧ 17
১৭সর্বশক্তিমান প্রভু ঈশ্বর, তুমি আছ এবং তুমি ছিলে। আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দিই কারণ তুমি তোমার ভীষণ ক্ষমতা নিয়ে রাজত্ব করতে শুরু করেছ।
وَغَضِبَتِ ٱلْأُمَمُ، فَأَتَى غَضَبُكَ وَزَمَانُ ٱلْأَمْوَاتِ لِيُدَانُوا، وَلِتُعْطَى ٱلْأُجْرَةُ لِعَبِيدِكَ ٱلْأَنْبِيَاءِ وَٱلْقِدِّيسِينَ وَٱلْخَائِفِينَ ٱسْمَكَ، ٱلصِّغَارِ وَٱلْكِبَارِ، وَلِيُهْلَكَ ٱلَّذِينَ كَانُوا يُهْلِكُونَ ٱلْأَرْضَ». ١٨ 18
১৮সব জাতি রাগ করেছে, কিন্তু তোমার রাগ দেখানোর দিন হল। মৃত লোকদের বিচার করবার দিন এসেছে, তোমার দাসদের অর্থাৎ ভাববাদীদের ও তোমার পবিত্র লোকদের এবং ছোট বড় সবাই যারা তোমায় নামে ভক্তি করে, তাদের উপহার দেবার দিন এসেছে। এছাড়া যারা পৃথিবীর ক্ষতি করেছে, তাদের ধ্বংস কারবার দিন ও এসেছে।
وَٱنْفَتَحَ هَيْكَلُ ٱللهِ فِي ٱلسَّمَاءِ، وَظَهَرَ تَابُوتُ عَهْدِهِ فِي هَيْكَلِهِ، وَحَدَثَتْ بُرُوقٌ وَأَصْوَاتٌ وَرُعُودٌ وَزَلْزَلَةٌ وَبَرَدٌ عَظِيمٌ. ١٩ 19
১৯তারপর স্বর্গে ঈশ্বরের উপাসনা ঘরের দরজা খোলা হল এবং তাঁর উপাসনালয়ের ভেতরে তাঁর নিয়মের বাক্সটা দেখা গেল। তখন বিদ্যুৎ চমকাতে ও ভীষণ আওয়াজ করে বাজ পড়তে লাগল, ভূমিকম্প ও ভীষণ শিলাবৃষ্টি হতে লাগলো।

< رُؤيا 11 >