< أَمْثَالٌ 3 >
يَا ٱبْنِي، لَا تَنْسَ شَرِيعَتِي، بَلْ لِيَحْفَظْ قَلْبُكَ وَصَايَايَ. | ١ 1 |
হে আমার বাছা, তুমি আমার শিক্ষা ভুলে যেয়ো না, কিন্তু তোমার হৃদয়ে আমার আদেশগুলি সঞ্চয় করে রেখো,
فَإِنَّهَا تَزِيدُكَ طُولَ أَيَّامٍ، وَسِنِي حَيَاةٍ وَسَلَامَةً. | ٢ 2 |
কারণ সেগুলি তোমার আয়ু বহু বছর বাড়িয়ে তুলবে ও তোমার জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।
لَا تَدَعِ ٱلرَّحْمَةَ وَٱلْحَقَّ يَتْرُكَانِكَ. تَقَلَّدْهُمَا عَلَى عُنُقِكَ. اُكْتُبْهُمَا عَلَى لَوْحِ قَلْبِكَ، | ٣ 3 |
ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা যেন কখনও তোমাকে ত্যাগ করে না যায়; সেগুলি তোমার গলায় বেঁধে রাখো, সেগুলি তোমার হৃদয়-ফলকে লিখে রাখো।
فَتَجِدَ نِعْمَةً وَفِطْنَةً صَالِحَةً فِي أَعْيُنِ ٱللهِ وَٱلنَّاسِ. | ٤ 4 |
তবেই তুমি ঈশ্বরের ও মানুষের দৃষ্টিতে অনুগ্রহ ও সুখ্যাতি লাভ করবে।
تَوَكَّلْ عَلَى ٱلرَّبِّ بِكُلِّ قَلْبِكَ، وَعَلَى فَهْمِكَ لَا تَعْتَمِدْ. | ٥ 5 |
তুমি সর্বান্তঃকরণে সদাপ্রভুর উপর আস্থা রাখো ও নিজের বিচক্ষণতার উপর নির্ভর কোরো না;
فِي كُلِّ طُرُقِكَ ٱعْرِفْهُ، وَهُوَ يُقَوِّمُ سُبُلَكَ. | ٦ 6 |
তোমার সমস্ত পথে তাঁর বশ্যতাস্বীকার করো, ও তিনি তোমার পথগুলি সোজা করে দেবেন।
لَا تَكُنْ حَكِيمًا فِي عَيْنَيْ نَفْسِكَ. ٱتَّقِ ٱلرَّبَّ وَٱبْعُدْ عَنِ ٱلشَّرِّ، | ٧ 7 |
নিজের দৃষ্টিতে জ্ঞানবান হোয়ো না; সদাপ্রভুকে ভয় করো ও কুকর্ম এড়িয়ে চলো।
فَيَكُونَ شِفَاءً لِسُرَّتِكَ، وَسَقَاءً لِعِظَامِكَ. | ٨ 8 |
এটি তোমার দেহে স্বাস্থ্য ফিরাবে ও তোমার অস্থির পুষ্টিসাধন করবে।
أَكْرِمِ ٱلرَّبَّ مِنْ مَالِكَ وَمِنْ كُلِّ بَاكُورَاتِ غَلَّتِكَ، | ٩ 9 |
সদাপ্রভুর সম্মান করো তোমার ধনসম্পদ ও তোমার সমস্ত ফসলের অগ্রিমাংশ দিয়ে;
فَتَمْتَلِئَ خَزَائِنُكَ شِبْعًا، وَتَفِيضَ مَعَاصِرُكَ مِسْطَارًا. | ١٠ 10 |
তবেই তোমার গোলাঘরগুলি শস্যে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে, ও ভাঁটিগুলি নতুন দ্রাক্ষারসে উপচে পড়বে।
يَا ٱبْنِي، لَا تَحْتَقِرْ تَأْدِيبَ ٱلرَّبِّ وَلَا تَكْرَهْ تَوْبِيخَهُ، | ١١ 11 |
হে আমার বাছা, সদাপ্রভুর শাসন তুচ্ছ কোরো না, ও তাঁর ভর্ৎসনা ক্ষতিকর বলে মনে কোরো না,
لِأَنَّ ٱلَّذِي يُحِبُّهُ ٱلرَّبُّ يُؤَدِّبُهُ، وَكَأَبٍ بِٱبْنٍ يُسَرُّ بِهِ. | ١٢ 12 |
কারণ সদাপ্রভু যাদের প্রেম করেন, তাদেরই শাস্তি দেন, যেভাবে একজন বাবা তাঁর প্রিয় ছেলেকে দেন।
طُوبَى لِلْإِنْسَانِ ٱلَّذِي يَجِدُ ٱلْحِكْمَةَ، وَلِلرَّجُلِ ٱلَّذِي يَنَالُ ٱلْفَهْمَ، | ١٣ 13 |
তারাই আশীর্বাদধন্য যারা প্রজ্ঞা খুঁজে পায়, যারা বিচক্ষণতা লাভ করে,
لِأَنَّ تِجَارَتَهَا خَيْرٌ مِنْ تِجَارَةِ ٱلْفِضَّةِ، وَرِبْحَهَا خَيْرٌ مِنَ ٱلذَّهَبِ ٱلْخَالِصِ. | ١٤ 14 |
কারণ প্রজ্ঞা রুপোর চেয়েও বেশি লাভজনক ও সোনার চেয়েও ভালো প্রতিদান দেয়।
هِيَ أَثْمَنُ مِنَ ٱلَّلآلِئِ، وَكُلُّ جَوَاهِرِكَ لَا تُسَاوِيهَا. | ١٥ 15 |
প্রজ্ঞা পদ্মরাগমণির চেয়েও বেশি মূল্যবান; তোমার আকাঙ্ক্ষিত কোনো কিছুকেই তার সাথে তুলনা করা যায় না।
فِي يَمِينِهَا طُولُ أَيَّامٍ، وَفِي يَسَارِهَا ٱلْغِنَى وَٱلْمَجْدُ. | ١٦ 16 |
প্রজ্ঞার ডান হাতে দীর্ঘ পরমায়ু আছে; বাঁ হাতে ধন ও সম্মান আছে।
طُرُقُهَا طُرُقُ نِعَمٍ، وَكُلُّ مَسَالِكِهَا سَلَامٌ. | ١٧ 17 |
তার পথগুলি সুখকর পথ, ও তার সব পথে শান্তি আছে।
هِيَ شَجَرَةُ حَيَاةٍ لِمُمْسِكِيهَا، وَٱلْمُتَمَسِّكُ بِهَا مَغْبُوطٌ. | ١٨ 18 |
যারা প্রজ্ঞাকে ধরে রাখে তাদের কাছে সে এক জীবনবৃক্ষ; যারা তাকে অটলভাবে ধরে রাখে তারা আশীর্বাদধন্য হবে।
ٱلرَّبُّ بِٱلْحِكْمَةِ أَسَّسَ ٱلْأَرْضَ. أَثْبَتَ ٱلسَّمَاوَاتِ بِٱلْفَهْمِ. | ١٩ 19 |
সদাপ্রভু প্রজ্ঞা দ্বারাই পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছেন, বিচক্ষণতা দ্বারাই তিনি আকাশমণ্ডলকে যথাস্থানে রেখেছেন;
بِعِلْمِهِ ٱنْشَقَّتِ ٱللُّجَجُ، وَتَقْطُرُ ٱلسَّحَابُ نَدًى. | ٢٠ 20 |
তাঁর জ্ঞানের দ্বারাই গভীর জলরাশি বিভক্ত হয়েছিল, ও মেঘরাশি শিশির বর্ষণ করে।
يَا ٱبْنِي، لَا تَبْرَحْ هَذِهِ مِنْ عَيْنَيْكَ. ٱحْفَظِ ٱلرَّأْيَ وَٱلتَّدْبِيرَ، | ٢١ 21 |
হে আমার বাছা, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা যেন তোমার দৃষ্টি-বহির্ভূত না হয়, সূক্ষ্ম বিচার ও বিচক্ষণতা অক্ষুণ্ণ রেখো;
فَيَكُونَا حَيَاةً لِنَفْسِكَ، وَنِعْمَةً لِعُنُقِكَ. | ٢٢ 22 |
তোমার জন্য সেগুলি জীবনস্বরূপ হবে, তোমার গলার শোভাবর্ধক এক অলংকার হবে।
حِينَئِذٍ تَسْلُكُ فِي طَرِيقِكَ آمِنًا، وَلَا تَعْثُرُ رِجْلُكَ. | ٢٣ 23 |
তখন তুমি নিরাপদে তোমার পথে চলে যাবে, ও তোমার পায়ে হোঁচট লাগবে না।
إِذَا ٱضْطَجَعْتَ فَلَا تَخَافُ، بَلْ تَضْطَجِعُ وَيَلُذُّ نَوْمُكَ. | ٢٤ 24 |
তুমি যখন শুয়ে থাকবে, তখন তুমি ভয় পাবে না; তুমি যখন শুয়ে থাকবে, তখন তোমার ঘুমও তৃপ্তিদায়ক হবে।
لَا تَخْشَى مِنْ خَوْفٍ بَاغِتٍ، وَلَا مِنْ خَرَابِ ٱلْأَشْرَارِ إِذَا جَاءَ. | ٢٥ 25 |
আকস্মিক বিপর্যয় দেখে ভয় পাবে না বা দুষ্টদের সর্বনাশ হতে দেখেও ভয় পাবে না,
لِأَنَّ ٱلرَّبَّ يَكُونُ مُعْتَمَدَكَ، وَيَصُونُ رِجْلَكَ مِنْ أَنْ تُؤْخَذَ. | ٢٦ 26 |
কারণ সদাপ্রভু তোমার পাশে দাঁড়াবেন ও তোমার পা-কে ফাঁদে পড়া থেকে তিনিই রক্ষা করবেন।
لَا تَمْنَعِ ٱلْخَيْرَ عَنْ أَهْلِهِ، حِينَ يَكُونُ فِي طَاقَةِ يَدِكَ أَنْ تَفْعَلَهُ. | ٢٧ 27 |
যাদের মঙ্গল করা উচিত তাদের মঙ্গল করতে অসম্মত হোয়ো না, যখন তা করার ক্ষমতা তোমার আছে।
لَا تَقُلْ لِصَاحِبِكَ: «ٱذْهَبْ وَعُدْ فَأُعْطِيَكَ غَدًا» وَمَوْجُودٌ عِنْدَكَ. | ٢٨ 28 |
তোমার প্রতিবেশীকে বোলো না, “আগামীকাল আবার এসো ও আমি তোমাকে তা দেব”— যখন তোমার কাছেই তা আছে।
لَا تَخْتَرِعْ شَرًّا عَلَى صَاحِبِكَ، وَهُوَ سَاكِنٌ لَدَيْكَ آمِنًا. | ٢٩ 29 |
তোমার সেই প্রতিবেশীর অনিষ্ট করার ষড়যন্ত্র কোরো না, যে তোমাকে বিশ্বাস করে তোমার পাশেই বসবাস করছে।
لَا تُخَاصِمْ إِنْسَانًا بِدُونِ سَبَبٍ، إِنْ لَمْ يَكُنْ قَدْ صَنَعَ مَعَكَ شَرًّا. | ٣٠ 30 |
অকারণে কাউকে দোষারোপ কোরো না— যখন সে তোমার কোনও ক্ষতি করেনি।
لَا تَحْسِدِ ٱلظَّالِمَ وَلَا تَخْتَرْ شَيْئًا مِنْ طُرُقِهِ، | ٣١ 31 |
হিংস্র প্রকৃতির মানুষকে হিংসা কোরো না বা তাদের কোনও পথ মনোনীত কোরো না।
لِأَنَّ ٱلْمُلْتَوِيَ رَجْسٌ عِنْدَ ٱلرَّبِّ، أَمَّا سِرُّهُ فَعِنْدَ ٱلْمُسْتَقِيمِينَ. | ٣٢ 32 |
কারণ সদাপ্রভু উচ্ছৃঙ্খলদের ঘৃণা করেন কিন্তু ন্যায়পরায়ণদের সাথে তিনি ঘনিষ্ঠতা বাড়ান।
لَعْنَةُ ٱلرَّبِّ فِي بَيْتِ ٱلشِّرِّيرِ، لَكِنَّهُ يُبَارِكُ مَسْكَنَ ٱلصِّدِّيقِينَ. | ٣٣ 33 |
দুষ্টের বাড়ির উপরে সদাপ্রভুর অভিশাপ নেমে আসে, কিন্তু ধার্মিকের ঘরকে তিনি আশীর্বাদ করেন।
كَمَا أَنَّهُ يَسْتَهْزِئُ بِٱلْمُسْتَهْزِئِينَ، هَكَذَا يُعْطِي نِعْمَةً لِلْمُتَوَاضِعِينَ. | ٣٤ 34 |
অহংকারী ঠাট্টা-বিদ্রুপকারীদের তিনি বিদ্রুপ করেন কিন্তু নম্র ও নিপীড়িতদের প্রতি তিনি অনুগ্রহ দেখান।
ٱلْحُكَمَاءُ يَرِثُونَ مَجْدًا وَٱلْحَمْقَى يَحْمِلُونَ هَوَانًا. | ٣٥ 35 |
জ্ঞানবানেরা সম্মানের অধিকারী হয়, কিন্তু মূর্খেরা শুধু লজ্জাই পায়।