< أَمْثَالٌ 24 >
لَا تَحْسِدْ أَهْلَ ٱلشَّرِّ، وَلَا تَشْتَهِ أَنْ تَكُونَ مَعَهُمْ، | ١ 1 |
১যে খারাপ তার ওপরে ঈর্ষান্বিত হয়ো না, তাদের সঙ্গে থাকতেও ইচ্ছা কর না।
لِأَنَّ قَلْبَهُمْ يَلْهَجُ بِٱلِٱغْتِصَابِ، وَشِفَاهَهُمْ تَتَكَلَّمُ بِٱلْمَشَقَّةِ. | ٢ 2 |
২কারণ তাদের হৃদয় অনিষ্টের পরিকল্পনা করে এবং তাদের ঠোঁট বিপদের বিষয়ে কথা বলে।
بِٱلْحِكْمَةِ يُبْنَى ٱلْبَيْتُ وَبِالْفَهْمِ يُثَبَّتُ، | ٣ 3 |
৩প্রজ্ঞার মাধ্যমে বাড়ি নির্মাণ হয় এবং বুদ্ধির মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত হয়;
وَبِالْمَعْرِفَةِ تَمْتَلِئُ ٱلْمَخَادِعُ مِنْ كُلِّ ثَرْوَةٍ كَرِيمَةٍ وَنَفِيسَةٍ. | ٤ 4 |
৪জ্ঞানের মাধ্যমে ঘরগুলি সব পরিপূর্ণ হয়, মূল্যবান ও সুন্দর সমস্ত সম্পদে।
اَلرَّجُلُ ٱلْحَكِيمُ فِي عِزٍّ، وَذُو ٱلْمَعْرِفَةِ مُتَشَدِّدُ ٱلْقُوَّةِ. | ٥ 5 |
৫সাহসী লোক বলবান কিন্তু যার জ্ঞান আছে সে এক জন শক্তিশালী লোকের থেকে ভালো।
لِأَنَّكَ بِٱلتَّدَابِيرِ تَعْمَلُ حَرْبَكَ، وَٱلْخَلَاصُ بِكَثْرَةِ ٱلْمُشِيرِينَ. | ٦ 6 |
৬কারণ সুবিবেচনার নির্দেশে তুমি যুদ্ধ চালাবে এবং অনেকের উপদেশে বিজয় হয়।
اَلْحِكَمُ عَالِيَةٌ عَنِ ٱلْأَحْمَقِ. لَا يَفْتَحْ فَمَهُ فِي ٱلْبَابِ. | ٧ 7 |
৭বোকার জন্য প্রজ্ঞা খুব উঁচু; সে দরজায় তার মুখ খোলে না।
اَلْمُتَفَكِّرُ فِي عَمَلِ ٱلشَّرِّ يُدْعَى مُفْسِدًا. | ٨ 8 |
৮যে মন্দের পরিকল্পনা করে, লোকে তাকে পরিকল্পনাকারীর গুরু বলবে।
فِكْرُ ٱلْحَمَاقَةِ خَطِيَّةٌ، وَمَكْرَهَةُ ٱلنَّاسِ ٱلْمُسْتَهْزِئُ. | ٩ 9 |
৯অজ্ঞানতার পরিকল্পনা পাপময় এবং লোকেরা উপহাসককে তুচ্ছ করে।
إِنِ ٱرْتَخَيْتَ فِي يَوْمِ ٱلضِّيقِ ضَاقَتْ قُوَّتُكَ. | ١٠ 10 |
১০বিপদের দিনের যদি কাপুরুষতা দেখাও, তবে তোমার শক্তি সামান্য।
أَنْقِذِ ٱلْمُنْقَادِينَ إِلَى ٱلْمَوْتِ، وَٱلْمَمْدُودِينَ لِلْقَتْلِ. لَا تَمْتَنِعْ. | ١١ 11 |
১১তাদেরকে উদ্ধার কর, যারা মৃত্যুর কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যারা বধের জন্য কম্পমান হয় তুমি তাদেরকে পিছনে ধরে রাখো।
إِنْ قُلْتَ: «هُوَذَا لَمْ نَعْرِفْ هَذَا»، أَفَلَا يَفْهَمُ وَازِنُ ٱلْقُلُوبِ؟ وَحَافِظُ نَفْسِكَ أَلَا يَعْلَمُ؟ فَيَرُدُّ عَلَى ٱلْإِنْسَانِ مِثْلَ عَمَلِهِ. | ١٢ 12 |
১২যদি বল, “দেখ, আমরা এই বিষয়ে জানতাম না,” তবে যিনি হৃদয় ওজন করেন, তিনি কি তা বোঝেন না যা তুমি বলছ? এবং যিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করেন, তিনি কি তা জানেন না? এবং তিনি কি প্রত্যেককে তার কাজ অনুযায়ী পুরষ্কার দেবেন না?
يَا ٱبْنِي، كُلْ عَسَلًا لِأَنَّهُ طَيِّبٌ، وَقَطْرَ ٱلْعَسَلِ حُلْوٌ فِي حَنَكِكَ. | ١٣ 13 |
১৩আমার পুত্র, মধু খাও, কারণ তা ভালো, কারণ মধুর চাকের ক্ষরণ তোমার স্বাদে মিষ্টি লাগে;
كَذَلِكَ مَعْرِفَةُ ٱلْحِكْمَةِ لِنَفْسِكَ. إِذَا وَجَدْتَهَا فَلَا بُدَّ مِنْ ثَوَابٍ، وَرَجَاؤُكَ لَا يَخِيبُ. | ١٤ 14 |
১৪তোমার প্রাণের জন্যে প্রজ্ঞা তেমন; যদি তুমি এটা খুঁজে পাও, তা ভবিষ্যতে হবে এবং তোমার আশা উছিন্ন হবে না।
لَا تَكْمُنْ أَيُّهَا ٱلشِّرِّيرُ لِمَسْكَنِ ٱلصِّدِّيقِ. لَا تُخْرِبْ رَبْعَهُ. | ١٥ 15 |
১৫দুষ্টের মতো অপেক্ষা করে বসে থেকো না, যে ধার্ম্মিকের বাড়িতে আক্রমণ করে। তার ঘর ধ্বংস কর না।
لِأَنَّ ٱلصِّدِّيقَ يَسْقُطُ سَبْعَ مَرَّاتٍ وَيَقُومُ، أَمَّا ٱلْأَشْرَارُ فَيَعْثُرُونَ بِٱلشَّرِّ. | ١٦ 16 |
১৬কারণ ধার্মিক সাত বার পড়লেও সে আবার ওঠে; কিন্তু দুষ্টেরা বিপর্যয়ের দ্বারা পরাজিত হবে।
لَا تَفْرَحْ بِسُقُوطِ عَدُوِّكَ، وَلَا يَبْتَهِجْ قَلْبُكَ إِذَا عَثَرَ، | ١٧ 17 |
১৭তোমার শত্রুর পতনে আনন্দ কর না এবং সে হোঁচট খেলে তোমার হৃদয় উল্লাসিত না হোক;
لِئَلَّا يَرَى ٱلرَّبُّ وَيَسُوءَ ذَلِكَ فِي عَيْنَيْهِ، فَيَرُدَّ عَنْهُ غَضَبَهُ. | ١٨ 18 |
১৮অথবা সদাপ্রভু দেখবেন এবং অগ্রাহ্য করবেন এবং তার থেকে তার ক্রোধ সরিয়ে নেন।
لَا تَغَرْ مِنَ ٱلْأَشْرَارِ وَلَا تَحْسِدِ ٱلْأَثَمَةَ، | ١٩ 19 |
১৯যারা খারাপ কাজ করে তাদের কারণে তুমি বিরক্ত হয়ো না এবং দুষ্টদের প্রতি ঈর্ষা কর না।
لِأَنَّهُ لَا يَكُونُ ثَوَابٌ لِلْأَشْرَارِ. سِرَاجُ ٱلْأَثَمَةِ يَنْطَفِئُ. | ٢٠ 20 |
২০কারণ খারাপ লোকের কোনো ভবিষ্যত নেই এবং দুষ্টদের বাতি নিভে যাবে।
يَا ٱبْنِي، ٱخْشَ ٱلرَّبَّ وَٱلْمَلِكَ. لَا تُخَالِطِ ٱلْمُتَقَلِّبِينَ، | ٢١ 21 |
২১আমার পুত্র, সদাপ্রভুকে ভয় কর এবং রাজাকে ভয় কর, যারা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তাদের সঙ্গে যোগ দিও না;
لِأَنَّ بَلِيَّتَهُمْ تَقُومُ بَغْتَةً، وَمَنْ يَعْلَمُ بَلَاءَهُمَا كِلَيْهِمَا. | ٢٢ 22 |
২২কারণ হঠাৎ তাদের বিপদ আসবে এবং উভয়ের দ্বারা যে ধ্বংসের বিস্তার হবে তা কে জানে?
هَذِهِ أَيْضًا لِلْحُكَمَاءِ: مُحَابَاةُ ٱلْوُجُوهِ فِي ٱلْحُكْمِ لَيْسَتْ صَالِحَةً. | ٢٣ 23 |
২৩এইগুলিও জ্ঞানবানদের উক্তি। বিচারে পক্ষপাত করা ভাল নয়।
مَنْ يَقُولُ لِلشِّرِّيرِ: «أَنْتَ صِدِّيقٌ» تَسُبُّهُ ٱلْعَامَّةُ. تَلْعَنُهُ ٱلشُّعُوبُ. | ٢٤ 24 |
২৪যে দুষ্টকে বলে, “তুমি ধার্মিক,” লোকদের দ্বারা অভিশপ্ত এবং জাতির দ্বারা ঘৃণিত হবে।
أَمَّا ٱلَّذِينَ يُؤَدِّبُونَ فَيَنْعَمُونَ، وَبَرَكَةُ خَيْرٍ تَأْتِي عَلَيْهِمْ. | ٢٥ 25 |
২৫কিন্তু যারা তাকে তিরষ্কার করে, তারা আনন্দিত হবে এবং তাদের প্রতি ধার্মিকতার উপহার আসবে।
تُقَبَّلُ شَفَتَا مَنْ يُجَاوِبُ بِكَلَامٍ مُسْتَقِيمٍ. | ٢٦ 26 |
২৬যে ব্যক্তি সৎ উত্তর দেয়, সে ঠোঁটে চুম্বন দেয়।
هَيِّئْ عَمَلَكَ فِي ٱلْخَارِجِ وَأَعِدَّهُ فِي حَقْلِكَ، بَعْدُ تَبْنِي بَيْتَكَ. | ٢٧ 27 |
২৭বাইরে তোমার কাজ প্রস্তুত কর এবং ক্ষেত্রে নিজের জন্য সব প্রস্তুত কর এবং পরে তোমার ঘর নির্মাণ কর।
لَا تَكُنْ شَاهِدًا عَلَى قَرِيبِكَ بِلَا سَبَبٍ، فَهَلْ تُخَادِعُ بِشَفَتَيْكَ؟ | ٢٨ 28 |
২৮অকারণে তোমার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ো না; এবং তুমি কি ঠোঁটের দ্বারা প্রতারণা কর না?
لَا تَقُلْ: «كَمَا فَعَلَ بِي هَكَذَا أَفْعَلُ بِهِ. أَرُدُّ عَلَى ٱلْإِنْسَانِ مِثْلَ عَمَلِهِ». | ٢٩ 29 |
২৯বল না, “সে আমার প্রতি যেমন করেছে, আমিও তার প্রতি তেমনি করব; যা সে করেছে আমি তার ফল ফিরিয়ে দেব।”
عَبَرْتُ بِحَقْلِ ٱلْكَسْلَانِ وَبِكَرْمِ ٱلرَّجُلِ ٱلنَّاقِصِ ٱلْفَهْمِ، | ٣٠ 30 |
৩০আমি অলসের ক্ষেতের কাছ দিয়ে গেলাম, নির্বোধের দ্রাক্ষাক্ষেতের কাছ দিয়ে গেলাম;
فَإِذَا هُوَ قَدْ عَلَاهُ كُلَّهُ ٱلْقَرِيصُ، وَقَدْ غَطَّى ٱلْعَوْسَجُ وَجْهَهُ، وَجِدَارُ حِجَارَتِهِ ٱنْهَدَمَ. | ٣١ 31 |
৩১সব জায়গার কাঁটাবন বেড়ে উঠেছে, ভূমি বিছুটিতে ঢাকা রয়েছে এবং তার পাথরের পাঁচিল ভেঙে গিয়েছে।
ثُمَّ نَظَرْتُ وَوَجَّهْتُ قَلْبِي. رَأَيْتُ وَقَبِلْتُ تَعْلِيمًا: | ٣٢ 32 |
৩২আমি দেখলাম এবং বিবেচনা করলাম, তা দেখলাম এবং উপদেশ গ্রহণ করলাম;
نَوْمٌ قَلِيلٌ بَعْدُ نُعَاسٌ قَلِيلٌ، وَطَيُّ ٱلْيَدَيْنِ قَلِيلًا لِلرُّقُودِ، | ٣٣ 33 |
৩৩আর একটু ঘুম, আর একটু তন্দ্রা, আর একটু শুয়ে হাত ভাঁজ করব,
فَيَأْتِي فَقْرُكَ كَعَدَّاءٍ وَعَوَزُكَ كَغَازٍ. | ٣٤ 34 |
৩৪এবং তোমার দরিদ্রতা ডাকাতের মতো আসবে, তোমার প্রয়োজনীয়তা সশস্ত্র সৈনিকের মতো আসবে।