< فِيلِبِّي 2 >
فَإِنْ كَانَ وَعْظٌ مَا فِي ٱلْمَسِيحِ. إِنْ كَانَتْ تَسْلِيَةٌ مَا لِلْمَحَبَّةِ. إِنْ كَانَتْ شَرِكَةٌ مَا فِي ٱلرُّوحِ. إِنْ كَانَتْ أَحْشَاءٌ وَرَأْفَةٌ، | ١ 1 |
১অতএব খ্রীষ্টে যদি কোনো উত্সাহ, যদি কোনো ভালবাসার সান্ত্বনা, যদি কোনো পবিত্র আত্মার সহভাগীতা, যদি কোনো দয়া ও করুণা হৃদয়ে থাকে,
فَتَمِّمُوا فَرَحِي حَتَّى تَفْتَكِرُوا فِكْرًا وَاحِدًا وَلَكُمْ مَحَبَّةٌ وَاحِدَةٌ بِنَفْسٍ وَاحِدَةٍ، مُفْتَكِرِينَ شَيْئًا وَاحِدًا، | ٢ 2 |
২তবে তোমরা আমার আনন্দ পূর্ণ কর একমন, এক ভালবাসা, এক প্রাণ, এক ভাববিশিষ্ট হও।
لَا شَيْئًا بِتَحَزُّبٍ أَوْ بِعُجْبٍ، بَلْ بِتَوَاضُعٍ، حَاسِبِينَ بَعْضُكُمُ ٱلْبَعْضَ أَفْضَلَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ. | ٣ 3 |
৩প্রতিযোগিতার কিংবা স্বার্থপরতার বশে কিছুই কর না, কিন্তু শান্তভাবে প্রত্যেক জন নিজের থেকে অন্যকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে কর;
لَا تَنْظُرُوا كُلُّ وَاحِدٍ إِلَى مَا هُوَ لِنَفْسِهِ، بَلْ كُلُّ وَاحِدٍ إِلَى مَا هُوَ لِآخَرِينَ أَيْضًا. | ٤ 4 |
৪এবং প্রত্যেক জন নিজের বিষয়ে না, কিন্তু পরের বিষয়েও লক্ষ্য রাখ।
فَلْيَكُنْ فِيكُمْ هَذَا ٱلْفِكْرُ ٱلَّذِي فِي ٱلْمَسِيحِ يَسُوعَ أَيْضًا: | ٥ 5 |
৫খ্রীষ্ট যীশুতে যে ভাব ছিল, তা তোমাদের মনের মধ্যেও হোক।
ٱلَّذِي إِذْ كَانَ فِي صُورَةِ ٱللهِ، لَمْ يَحْسِبْ خُلْسَةً أَنْ يَكُونَ مُعَادِلًا لِلهِ. | ٦ 6 |
৬ঈশ্বরের স্বরূপবিশিষ্ট থাকতেও তিনি ঈশ্বরের সাথে সমান ইচ্ছা মনে করলেন না,
لَكِنَّهُ أَخْلَى نَفْسَهُ، آخِذًا صُورَةَ عَبْدٍ، صَائِرًا فِي شِبْهِ ٱلنَّاسِ. | ٧ 7 |
৭কিন্তু নিজেকে শূন্য করলেন, তিনি দাসের মত হলেন, মানুষের মত হয়ে জন্ম নিলেন;
وَإِذْ وُجِدَ فِي ٱلْهَيْئَةِ كَإِنْسَانٍ، وَضَعَ نَفْسَهُ، وَأَطَاعَ حَتَّى ٱلْمَوْتَ، مَوْتَ ٱلصَّلِيبِ. | ٨ 8 |
৮এবং তিনি মানুষের মত হয়ে নিজেকে অবনত করলেন; মৃত্যু পর্যন্ত, এমনকি, ক্রুশীয় মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হলেন।
لِذَلِكَ رَفَّعَهُ ٱللهُ أَيْضًا، وَأَعْطَاهُ ٱسْمًا فَوْقَ كُلِّ ٱسْمٍ، | ٩ 9 |
৯এই কারণ ঈশ্বর তাঁকে অত্যন্ত উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন করলেন এবং তাঁকে সেই নাম দান করলেন, যা প্রত্যেক নামের থেকে শ্রেষ্ঠ;
لِكَيْ تَجْثُوَ بِٱسْمِ يَسُوعَ كُلُّ رُكْبَةٍ مِمَّنْ فِي ٱلسَّمَاءِ، وَمَنْ عَلَى ٱلْأَرْضِ، وَمَنْ تَحْتَ ٱلْأَرْضِ، | ١٠ 10 |
১০যেন যীশুর নামে স্বর্গ এবং মর্ত্ত্য ও পাতালনিবাসীদের “প্রত্যেক হাঁটু নত হয়,
وَيَعْتَرِفَ كُلُّ لِسَانٍ أَنَّ يَسُوعَ ٱلْمَسِيحَ هُوَ رَبٌّ، لِمَجْدِ ٱللهِ ٱلْآبِ. | ١١ 11 |
১১এবং প্রত্যেক জিভ যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এই ভাবে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।
إِذًا يَا أَحِبَّائِي، كَمَا أَطَعْتُمْ كُلَّ حِينٍ، لَيْسَ كَمَا فِي حُضُورِي فَقَطْ، بَلِ ٱلْآنَ بِٱلْأَوْلَى جِدًّا فِي غِيَابِي، تَمِّمُوا خَلَاصَكُمْ بِخَوْفٍ وَرِعْدَةٍ، | ١٢ 12 |
১২অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, তোমরা সবদিন যেমন আজ্ঞা পালন করে আসছ, তেমনি আমার সামনে যেমন কেবল সেই রকম না, কিন্তু এখন আরও বেশিভাবে আমার অনুপস্থিতিতে, সভয়ে ও সম্মানের সঙ্গে নিজের নিজের পরিত্রান সম্পন্ন কর।
لِأَنَّ ٱللهَ هُوَ ٱلْعَامِلُ فِيكُمْ أَنْ تُرِيدُوا وَأَنْ تَعْمَلُوا مِنْ أَجْلِ ٱلْمَسَرَّةِ. | ١٣ 13 |
১৩কারণ ঈশ্বরই নিজের সন্তুষ্টির জন্য তোমাদের হৃদয়ে ইচ্ছা ও কাজ উভয়ের সাধনকারী।
اِفْعَلُوا كُلَّ شَيْءٍ بِلَا دَمْدَمَةٍ وَلَا مُجَادَلَةٍ، | ١٤ 14 |
১৪তোমরা অভিযোগ ও তর্ক ছাড়া সব কাজ কর,
لِكَيْ تَكُونُوا بِلَا لَوْمٍ، وَبُسَطَاءَ، أَوْلَادًا لِلهِ بِلَا عَيْبٍ فِي وَسَطِ جِيلٍ مُعَوَّجٍ وَمُلْتَوٍ، تُضِيئُونَ بَيْنَهُمْ كَأَنْوَارٍ فِي ٱلْعَالَمِ. | ١٥ 15 |
১৫যেন তোমরা অনিন্দনীয় ও এই দিনের র সেই অসরল ও চরিত্রহীন প্রজন্মের মধ্যে ঈশ্বরের নিষ্কলঙ্ক সন্তান হও, যাদের মধ্যে তোমরা জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্রের প্রকাশ পাচ্ছো,
مُتَمَسِّكِينَ بِكَلِمَةِ ٱلْحَيَاةِ لِٱفْتِخَارِي فِي يَوْمِ ٱلْمَسِيحِ، بِأَنِّي لَمْ أَسْعَ بَاطِلًا وَلَا تَعِبْتُ بَاطِلًا. | ١٦ 16 |
১৬জীবনের বাক্য ধরে রয়েছো; এতে খ্রীষ্টের পুনরাগমনের দিনের আমি এই গর্ব করার কারণ পাব যে, আমি বৃথা দৌড়াইনি, বৃথা পরিশ্রমও করিনি।
لَكِنَّنِي وَإِنْ كُنْتُ أَنْسَكِبُ أَيْضًا عَلَى ذَبِيحَةِ إِيمَانِكُمْ وَخِدْمَتِهِ، أُسَرُّ وَأَفْرَحُ مَعَكُمْ أَجْمَعِينَ. | ١٧ 17 |
১৭কিন্তু তোমাদের বিশ্বাসের আত্মাহুতিতে ও সেবায় যদি আমি উত্সর্গের জন্য সেচিতও হই তবে আমি আরাধনা করছি, আর তোমাদের সবার সঙ্গে আনন্দ করছি।
وَبِهَذَا عَيْنِهِ كُونُوا أَنْتُمْ مَسْرُورِينَ أَيْضًا وَٱفْرَحُوا مَعِي. | ١٨ 18 |
১৮সেইভাবে তোমরাও আনন্দ কর, আর আমার সঙ্গে আনন্দ কর।
عَلَى أَنِّي أَرْجُو فِي ٱلرَّبِّ يَسُوعَ أَنْ أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ سَرِيعًا تِيمُوثَاوُسَ لِكَيْ تَطِيبَ نَفْسِي إِذَا عَرَفْتُ أَحْوَالَكُمْ. | ١٩ 19 |
১৯আমি প্রভু যীশুতে প্রত্যাশা করছি যে, তীমথিয়কে খুব তাড়াতাড়ি তোমাদের কাছে পাঠাব, যেন তোমাদের অবস্থা জেনে আমিও উত্সাহিত হই।
لِأَنْ لَيْسَ لِي أَحَدٌ آخَرُ نَظِيرُ نَفْسِي يَهْتَمُّ بِأَحْوَالِكُمْ بِإِخْلَاصٍ، | ٢٠ 20 |
২০কারণ আমার কাছে তীমথির মত কোনো প্রাণ নেই যে, সত্যিই তোমাদের বিষয়ে চিন্তা করবে।
إِذِ ٱلْجَمِيعُ يَطْلُبُونَ مَا هُوَ لِأَنْفُسِهِمْ لَا مَا هُوَ لِيَسُوعَ ٱلْمَسِيحِ. | ٢١ 21 |
২১কারণ ওরা সবাই যীশু খ্রীষ্টের বিষয় নয়, কিন্তু নিজের নিজের বিষয়ে চেষ্টা করে।
وَأَمَّا ٱخْتِبَارُهُ فَأَنْتُمْ تَعْرِفُونَ أَنَّهُ كَوَلَدٍ مَعَ أَبٍ خَدَمَ مَعِي لِأَجْلِ ٱلْإِنْجِيلِ. | ٢٢ 22 |
২২কিন্তু তোমরা এঁর পক্ষে এই প্রমাণ জানো যে, বাবার সাথে সন্তান যেমন, আমার সাথে ইনি তেমনি সুসমাচার বিস্তারের জন্য দায়িত্ব পালন করেছেন।
هَذَا أَرْجُو أَنْ أُرْسِلَهُ أَوَّلَ مَا أَرَى أَحْوَالِي حَالًا. | ٢٣ 23 |
২৩অতএব আশাকরি, আমার কি ঘটে, তা জানতে পারলেই তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব।
وَأَثِقُ بِٱلرَّبِّ أَنِّي أَنَا أَيْضًا سَآتِي إِلَيْكُمْ سَرِيعًا. | ٢٤ 24 |
২৪আর প্রভুতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই যে, আমি নিজেও তাড়াতাড়ি আসব।
وَلَكِنِّي حَسِبْتُ مِنَ ٱللَّازِمِ أَنْ أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ أَبَفْرُودِتُسَ أَخِي، وَٱلْعَامِلَ مَعِي، وَٱلْمُتَجَنِّدَ مَعِي، وَرَسُولَكُمْ، وَٱلْخَادِمَ لِحَاجَتِي. | ٢٥ 25 |
২৫কিন্তু আমার ভাই, সহকর্মী ও সহসেনা এবং তোমাদের প্রেরিত ও আমার প্রয়োজনীয় উপকারী সেবক ইপাফ্রাদীত তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া প্রয়োজন বলে আমার আবশ্যক মনে হল।
إِذْ كَانَ مُشْتَاقًا إِلَى جَمِيعِكُمْ وَمَغْمُومًا، لِأَنَّكُمْ سَمِعْتُمْ أَنَّهُ كَانَ مَرِيضًا. | ٢٦ 26 |
২৬কারণ তিনি তোমাদের সবাইকে দেখবার জন্য আকাঙ্ক্ষী ছিলেন এবং তোমরা তাঁর অসুস্থতার সংবাদ শুনেছ বলে তিনি ব্যাকুল হয়েছিলেন।
فَإِنَّهُ مَرِضَ قَرِيبًا مِنَ ٱلْمَوْتِ، لَكِنَّ ٱللهَ رَحِمَهُ. وَلَيْسَ إِيَّاهُ وَحْدَهُ بَلْ إِيَّايَ أَيْضًا لِئَلَّا يَكُونَ لِي حُزْنٌ عَلَى حُزْنٍ. | ٢٧ 27 |
২৭আর সত্যিই তিনি অসুস্থতায় মারা যাওয়ার মত হয়েছিলেন; কিন্তু ঈশ্বর তাঁর ওপর দয়া করেছেন, আর কেবল তাঁর ওপর না, আমার ওপরও দয়া করেছেন, যেন দুঃখের উপর দুঃখ আমার না হয়।
فَأَرْسَلْتُهُ إِلَيْكُمْ بِأَوْفَرِ سُرْعَةٍ، حَتَّى إِذَا رَأَيْتُمُوهُ تَفْرَحُونَ أَيْضًا وَأَكُونُ أَنَا أَقَلَّ حُزْنًا. | ٢٨ 28 |
২৮এই জন্য আমি আগ্রহের সঙ্গে তাঁকে পাঠালাম, যেন তোমরা তাঁকে দেখে পুনর্বার আনন্দ কর, আমারও দুঃখের লাঘব হয়।
فَٱقْبَلُوهُ فِي ٱلرَّبِّ بِكُلِّ فَرَحٍ، وَلْيَكُنْ مِثْلُهُ مُكَرَّمًا عِنْدَكُمْ. | ٢٩ 29 |
২৯অতএব তোমরা তাঁকে প্রভুতে সম্পূর্ণ আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করো এবং এই ধরনের লোকদের সম্মান করো;
لِأَنَّهُ مِنْ أَجْلِ عَمَلِ ٱلْمَسِيحِ قَارَبَ ٱلْمَوْتَ، مُخَاطِرًا بِنَفْسِهِ، لِكَيْ يَجْبُرَ نُقْصَانَ خِدْمَتِكُمْ لِي. | ٣٠ 30 |
৩০কারণ খ্রীষ্টের কাজের জন্য তিনি মৃত্যুমুখে উপস্থিত হয়েছিলেন, ফলে আমার সেবায় তোমাদের ত্রুটি পূরনের জন্য তিনি জীবনের ঝুঁকিও নিয়েছিলেন।