< اَلْعَدَد 14 >

فَرَفَعَتْ كُلُّ ٱلْجَمَاعَةِ صَوْتَهَا وَصَرَخَتْ، وَبَكَى ٱلشَّعْبُ تِلْكَ ٱللَّيْلَةَ. ١ 1
সেই রাত্রিতে সমস্ত মণ্ডলী খুব চিত্কার করল এবং কাঁদলো।
وَتَذَمَّرَ عَلَى مُوسَى وَعَلَى هَارُونَ جَمِيعُ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَقَالَ لَهُمَا كُلُّ ٱلْجَمَاعَةِ: «لَيْتَنَا مُتْنَا فِي أَرْضِ مِصْرَ، أَوْ لَيْتَنَا مُتْنَا فِي هَذَا ٱلْقَفْرِ! ٢ 2
ইস্রায়েল সন্তানরা সবাই মোশি ও হারোণের বিপরীতে সমালোচনা করল। সমস্ত মণ্ডলী তাদেরকে বলল, “হায় হায়, আমরা কেন এই মরুপ্রান্তের চেয়ে মিশর দেশে মারা যাই নি?
وَلِمَاذَا أَتَى بِنَا ٱلرَّبُّ إِلَى هَذِهِ ٱلْأَرْضِ لِنَسْقُطَ بِٱلسَّيْفِ؟ تَصِيرُ نِسَاؤُنَا وَأَطْفَالُنَا غَنِيمَةً. أَلَيْسَ خَيْرًا لَنَا أَنْ نَرْجِعَ إِلَى مِصْرَ؟» ٣ 3
সদাপ্রভু আমাদেরকে তরোয়াল দিয়ে হত্যা করতে এ দেশে কেন আনলেন? আমাদের স্ত্রী ও বালকরা তো বিনষ্ট হবে। মিশরে ফিরে যাওয়া কি আমাদের জন্য ভাল নয়?”
فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: «نُقِيمُ رَئِيسًا وَنَرْجِعُ إِلَى مِصْرَ». ٤ 4
তারা পরস্পর বলাবলি করল, “এস, আমরা অন্য এক জনকে শাসনকর্ত্তা করে মিশরে ফিরে যাই।”
فَسَقَطَ مُوسَى وَهَارُونُ عَلَى وَجْهَيْهِمَا أَمَامَ كُلِّ مَعْشَرِ جَمَاعَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ. ٥ 5
তাতে মোশি ও হারোণ ইস্রায়েল সন্তানদের মণ্ডলীর সমস্ত সমাজের সামনে উপুড় হয়ে পড়লেন।
وَيَشُوعُ بْنُ نُونَ وَكَالِبُ بْنُ يَفُنَّةَ، مِنَ ٱلَّذِينَ تَجَسَّسُوا ٱلْأَرْضَ، مَزَّقَا ثِيَابَهُمَا ٦ 6
যারা দেশ পরীক্ষা করে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে নূনের ছেলে যিহোশূয় ও যিফূন্নির ছেলে কালেব নিজেদের পোশাক ছিঁড়লেন।
وَكَلَّمَا كُلَّ جَمَاعَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ قَائِلَيْنِ: «ٱلْأَرْضُ ٱلَّتِي مَرَرْنَا فِيهَا لِنَتَجَسَّسَهَا ٱلأَرْضُ جَيِّدَةٌ جِدًّا جِدًّا. ٧ 7
তাঁরা ইস্রায়েল সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীকে বললেন, “আমরা যে দেশ পরীক্ষা করতে গিয়েছিলাম, সেটি খুব ভালো দেশ।
إِنْ سُرَّ بِنَا ٱلرَّبُّ يُدْخِلْنَا إِلَى هَذِهِ ٱلْأَرْضِ وَيُعْطِينَا إِيَّاهَا، أَرْضًا تَفِيضُ لَبَنًا وَعَسَلًا. ٨ 8
সদাপ্রভু যদি আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হন, তবে তিনি আমাদেরকে সেই দেশে প্রবেশ করাবেন ও সেই দুধ ও মধু প্রবাহিত দেশ আমাদেরকে দেবেন।
إِنَّمَا لَا تَتَمَرَّدُوا عَلَى ٱلرَّبِّ، وَلَا تَخَافُوا مِنْ شَعْبِ ٱلْأَرْضِ لِأَنَّهُمْ خُبْزُنَا. قَدْ زَالَ عَنْهُمْ ظِلُّهُمْ، وَٱلرَّبُّ مَعَنَا. لَا تَخَافُوهُمْ». ٩ 9
কিন্তু তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে যেও না ও সে দেশের লোকেদেরকে ভয় কোরো না। কারণ তাদের খাবারের মতই সহজে গ্রাস করব। তাদের আশ্রয় তাদের উপর থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে, কারণ সদাপ্রভু আমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছেন। তাদেরকে ভয় কোরো না।”
وَلَكِنْ قَالَ كُلُّ ٱلْجَمَاعَةِ أَنْ يُرْجَمَا بِٱلْحِجَارَةِ. ثُمَّ ظَهَرَ مَجْدُ ٱلرَّبِّ فِي خَيْمَةِ ٱلِٱجْتِمَاعِ لِكُلِّ بَنِي إِسْرَائِيلَ. ١٠ 10
১০কিন্তু সমস্ত মণ্ডলী সেই দুজনকে পাথরের আঘাতে হত্যা করতে বলল। তখন সমাগম তাঁবুতে সমস্ত ইস্রায়েলের লোকেদের মধ্যে সদাপ্রভুর মহিমা প্রকাশিত হল।
وَقَالَ ٱلرَّبُّ لِمُوسَى: «حَتَّى مَتَى يُهِينُنِي هَذَا ٱلشَّعْبُ؟ وَحَتَّى مَتَى لَا يُصَدِّقُونَنِي بِجَمِيعِ ٱلْآيَاتِ ٱلَّتِي عَمِلْتُ فِي وَسَطِهِمْ؟ ١١ 11
১১সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “এই লোকেরা আর কতকাল আমাকে অবজ্ঞা করবে? আমি এদের মধ্যে যেসব চিহ্ন কাজ করেছি, তা দেখেও এরা কতকাল আমার প্রতি বিশ্বাস করতে ব্যর্থ থাকবে?
إِنِّي أَضْرِبُهُمْ بِٱلْوَبَإِ وَأُبِيدُهُمْ، وَأُصَيِّرُكَ شَعْبًا أَكْبَرَ وَأَعْظَمَ مِنْهُمْ». ١٢ 12
১২আমি মহামারী দিয়ে এদেরকে আঘাত করব, এদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করব এবং তোমাকেই এদের থেকে বড় ও শক্তিশালী জাতি করব।”
فَقَالَ مُوسَى لِلرَّبِّ: «فَيَسْمَعُ ٱلْمِصْرِيُّونَ ٱلَّذِينَ أَصْعَدْتَ بِقُوَّتِكَ هَذَا ٱلشَّعْبَ مِنْ وَسَطِهِمْ، ١٣ 13
১৩তাতে মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “সেটা করলে মিশরীয়েরা তা শুনবে, কারণ তাদেরই মধ্যে থেকে তুমি নিজের শক্তি দিয়ে এই লোকেদেরকে এনেছ।
وَيَقُولُونَ لِسُكَّانِ هَذِهِ ٱلْأَرْضِ ٱلَّذِينَ قَدْ سَمِعُوا أَنَّكَ يَا رَبُّ فِي وَسَطِ هَذَا ٱلشَّعْبِ، ٱلَّذِينَ أَنْتَ يَا رَبُّ قَدْ ظَهَرْتَ لَهُمْ عَيْنًا لِعَيْنٍ، وَسَحَابَتُكَ وَاقِفَةٌ عَلَيْهِمْ، وَأَنْتَ سَائِرٌ أَمَامَهُمْ بِعَمُودِ سَحَابٍ نَهَارًا وَبِعَمُودِ نَارٍ لَيْلًا. ١٤ 14
১৪তারা এই দেশবাসী লোকেদেরও এটা বলবে। তারা শুনেছে যে, তুমি, সদাপ্রভু এই লোকেদের সঙ্গে থাক, কারণ তুমি, সদাপ্রভু মুখোমুখী দর্শন দাও, আর তোমার মেঘ এদের উপরে অবস্থান করছে এবং তুমি দিনের র বেলা মেঘস্তম্ভে ও রাতে অগ্নিস্তম্ভে থেকে এদের আগে আগে যাচ্ছ।
فَإِنْ قَتَلْتَ هَذَا ٱلشَّعْبَ كَرَجُلٍ وَاحِدٍ، يَتَكَلَّمُ ٱلشُّعُوبُ ٱلَّذِينَ سَمِعُوا بِخَبَرِكَ قَائِلِينَ: ١٥ 15
১৫এখন যদি তুমি এই লোকেদেরকে একটি ব্যক্তির মত হত্যা কর, তবে ঐ যে জাতিরা তোমার সুনাম শুনেছে, তারা বলবে,
لِأَنَّ ٱلرَّبَّ لَمْ يَقْدِرْ أَنْ يُدْخِلَ هَذَا ٱلشَّعْبَ إِلَى ٱلْأَرْضِ ٱلَّتِي حَلَفَ لَهُمْ، قَتَلَهُمْ فِي ٱلْقَفْرِ. ١٦ 16
১৬‘সদাপ্রভু এই লোকেদেরকে যে দেশ দিতে শপথ করেছিলেন, সেই দেশে তাদেরকে দিতে পারেননি; এই জন্য মরুপ্রান্তে তাদেরকে হত্যা করলেন’।
فَٱلْآنَ لِتَعْظُمْ قُدْرَةُ سَيِّدِي كَمَا تَكَلَّمْتَ قَائِلًا: ١٧ 17
১৭এখন, আমি তোমার কাছে অনুরোধ করি, তোমার মহান শক্তি ব্যবহার কর। যেমন তুমি বলেছ,
ٱلرَّبُّ طَوِيلُ ٱلرُّوحِ كَثِيرُ ٱلْإِحْسَانِ، يَغْفِرُ ٱلذَّنْبَ وَٱلسَّيِّئَةَ، لَكِنَّهُ لَا يُبْرِئُ. بَلْ يَجْعَلُ ذَنْبَ ٱلْآبَاءِ عَلَى ٱلْأَبْنَاءِ إِلَى ٱلْجِيلِ ٱلثَّالِثِ وَٱلرَّابِعِ. ١٨ 18
১৮‘সদাপ্রভু ক্রোধে ধীর ও দয়াতে মহান এবং অধর্ম্মের ও অপরাধের ক্ষমাকারী, তবুও অবশ্যই পাপের শাস্তি দেন, তিনি তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত সন্তানদের উপরে পূর্বপুরুষের অপরাধের শাস্তি দেন’।
اِصْفَحْ عَنْ ذَنْبِ هَذَا ٱلشَّعْبِ كَعَظَمَةِ نِعْمَتِكَ، وَكَمَا غَفَرْتَ لِهَذَا ٱلشَّعْبِ مِنْ مِصْرَ إِلَى هَهُنَا». ١٩ 19
১৯অনুরোধ করি, তোমার দয়ার মহত্ত্ব অনুসারে এবং মিশর দেশ থেকে এ পর্যন্ত এই লোকেদেরকে যেমন ক্ষমা কর, সেইমত এই লোকেদের অপরাধ ক্ষমা কর।”
فَقَالَ ٱلرَّبُّ: «قَدْ صَفَحْتُ حَسَبَ قَوْلِكَ. ٢٠ 20
২০তখন সদাপ্রভু বললেন, “তোমার বাক্য অনুসারে আমি ক্ষমা করলাম।
وَلَكِنْ حَيٌّ أَنَا فَتُمْلَأُ كُلُّ ٱلْأَرْضِ مِنْ مَجْدِ ٱلرَّبِّ، ٢١ 21
২১সত্যিই আমি জীবন্ত এবং সমস্ত পৃথিবী সদাপ্রভুর মহিমায় পরিপূর্ণ হবে,
إِنَّ جَمِيعَ ٱلرِّجَالِ ٱلَّذِينَ رَأَوْا مَجْدِي وَآيَاتِي ٱلَّتِي عَمِلْتُهَا فِي مِصْرَ وَفِي ٱلْبَرِّيَّةِ، وَجَرَّبُونِي ٱلْآنَ عَشَرَ مَرَّاتٍ، وَلَمْ يَسْمَعُوا لِقَوْلِي، ٢٢ 22
২২তাই যত লোক আমার মহিমা এবং মিশরে ও মরুপ্রান্তে করা আমার সমস্ত চিহ্ন কাজ দেখেছে, তবুও এই দশ বার আমার পরীক্ষা করেছে ও আমার কথা শোনেনি;
لَنْ يَرَوْا ٱلْأَرْضَ ٱلَّتِي حَلَفْتُ لِآبَائِهِمْ. وَجَمِيعُ ٱلَّذِينَ أَهَانُونِي لَا يَرَوْنَهَا. ٢٣ 23
২৩আমি তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে যে দেশের বিষয়ে শপথ করেছি, তারা সেই দেশ দেখতে পাবে না; যারা আমাকে অবজ্ঞা করেছে, তাদের মধ্যে কেউই তা দেখতে পাবে না।
وَأَمَّا عَبْدِي كَالِبُ فَمِنْ أَجْلِ أَنَّهُ كَانَتْ مَعَهُ رُوحٌ أُخْرَى، وَقَدِ ٱتَّبَعَنِي تَمَامًا، أُدْخِلُهُ إِلَى ٱلْأَرْضِ ٱلَّتِي ذَهَبَ إِلَيْهَا، وَزَرْعُهُ يَرِثُهَا. ٢٤ 24
২৪কিন্তু আমার দাস কালেবের অন্তরে অন্য আত্মা ছিল এবং সে সম্পূর্ণভাবে আমার অনুগত হয়ে চলেছে, এই জন্য সে যে দেশে গিয়েছিল, সে দেশে আমি তাকে প্রবেশ করাব ও তার বংশ সেটা অধিকার করবে।
وَإِذِ ٱلْعَمَالِقَةُ وَٱلْكَنْعَانِيُّونَ سَاكِنُونَ فِي ٱلْوَادِي، فَٱنْصَرِفُوا غَدًا وَٱرْتَحِلُوا إِلَى ٱلْقَفْرِ فِي طَرِيقِ بَحْرِ سُوفَ». ٢٥ 25
২৫(অমালেকীয়েরা ও কনানীয়েরা উপত্যকায় বাস করছে।) কাল তোমরা ফিরে সূফসাগরের পথ দিয়ে মরুপ্রান্তে যাও।”
وَكَلَّمَ ٱلرَّبُّ مُوسَى وَهَارُونَ قَائِلًا: ٢٦ 26
২৬সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
«حَتَّى مَتَى أَغْفِرُ لِهَذِهِ ٱلْجَمَاعَةِ ٱلشِّرِّيرَةِ ٱلْمُتَذَمِّرَةِ عَلَيَّ؟ قَدْ سَمِعْتُ تَذَمُّرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ ٱلَّذِي يَتَذَمَّرُونَهُ عَلَيَّ. ٢٧ 27
২৭“আমার বিরুদ্ধে মন্দ মণ্ডলীর আমি আর কতকাল সহ্য করব যারা আমার সমালোচনা করে? ইস্রায়েল সন্তানরা আমার বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ করে, তা আমি শুনেছি।
قُلْ لَهُمْ: حَيٌّ أَنَا يَقُولُ ٱلرَّبُّ، لَأَفْعَلَنَّ بِكُمْ كَمَا تَكَلَّمْتُمْ فِي أُذُنَيَّ. ٢٨ 28
২৮তুমি তাদেরকে বল, ‘সদাপ্রভু বলেন, আমি জীবন্ত, আমার কানের কাছে তোমরা যা বলেছ, তাই আমি তোমাদের প্রতি করব;
فِي هَذَا ٱلْقَفْرِ تَسْقُطُ جُثَثُكُمْ، جَمِيعُ ٱلْمَعْدُودِينَ مِنْكُمْ حَسَبَ عَدَدِكُمْ مِنِ ٱبْنِ عِشْرِينَ سَنَةً فَصَاعِدًا ٱلَّذِينَ تَذَمَّرُوا عَلَيَّ. ٢٩ 29
২৯এই মরুপ্রান্তে তোমাদের মৃতদেহ পড়ে থাকবে; তোমাদের সম্পূর্ণ সংখ্যা অনুসারে গণনা করা কুড়ি বছর ও তার থেকে বয়সী তোমরা যে সমস্ত লোক আমার বিপরীতে বচসা করেছ,
لَنْ تَدْخُلُوا ٱلْأَرْضَ ٱلَّتِي رَفَعْتُ يَدِي لِأُسْكِنَنَّكُمْ فِيهَا، مَا عَدَا كَالِبَ بْنَ يَفُنَّةَ وَيَشُوعَ بْنَ نُونٍ. ٣٠ 30
৩০আমি তোমাদেরকে যে দেশে বাস করাব বলে হাত তুলেছিলাম, সেই দেশে তোমরা প্রবেশ করবে না, শুধু যিফূন্নির ছেলে কালেব ও নূনের ছেলে যিহোশূয় প্রবেশ করবে।
وَأَمَّا أَطْفَالُكُمُ ٱلَّذِينَ قُلْتُمْ يَكُونُونَ غَنِيمَةً فَإِنِّي سَأُدْخِلُهُمْ، فَيَعْرِفُونَ ٱلْأَرْضَ ٱلَّتِي ٱحْتَقَرْتُمُوهَا. ٣١ 31
৩১কিন্তু তোমরা তোমাদের যে বালকদের বিষয়ে বলেছিলে, তারা বিনষ্ট হবে, তাদেরকে আমি সেখানে প্রবেশ করাব ও তোমরা যে দেশ অগ্রাহ্য করেছ, তারা তার পরিচয় পাবে।
فَجُثَثُكُمْ أَنْتُمْ تَسْقُطُ فِي هَذَا ٱلْقَفْرِ، ٣٢ 32
৩২কিন্তু তোমাদের মৃতদেহ এই মরুপ্রান্তে পড়ে থাকবে।
وَبَنُوكُمْ يَكُونُونَ رُعَاةً فِي ٱلْقَفْرِ أَرْبَعِينَ سَنَةً، وَيَحْمِلُونَ فُجُورَكُمْ حَتَّى تَفْنَى جُثَثُكُمْ فِي ٱلْقَفْرِ. ٣٣ 33
৩৩তোমাদের সন্তানরা চল্লিশ বছর এই মরুপ্রান্তে পশু চরাবে এবং এই মরুপ্রান্তে তোমাদের মৃতদেহের সংখ্যা যে পর্যন্ত সম্পূর্ণ না হয়, সে পর্যন্ত তারা তোমাদের ব্যভিচারের ফল ভোগ করবে।
كَعَدَدِ ٱلْأَيَّامِ ٱلَّتِي تَجَسَّسْتُمْ فِيهَا ٱلْأَرْضَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، لِلسَّنَةِ يَوْمٌ. تَحْمِلُونَ ذُنُوبَكُمْ أَرْبَعِينَ سَنَةً فَتَعْرِفُونَ ٱبْتِعَادِي. ٣٤ 34
৩৪তোমরা যে চল্লিশ দিন দেশ পরীক্ষা করেছ, সেই দিনের র সংখ্যা অনুসারে চল্লিশ বছর, এক এক দিনের র জন্য এক এক বছর, তোমরা তোমাদের অপরাধ বহন করবে, আর আমার শত্রুতা কেমন, তা তোমরা জানবে’।
أَنَا ٱلرَّبُّ قَدْ تَكَلَّمْتُ. لَأَفْعَلَنَّ هَذَا بِكُلِّ هَذِهِ ٱلْجَمَاعَةِ ٱلشِّرِّيرَةِ ٱلْمُتَّفِقَةِ عَلَيَّ. فِي هَذَا ٱلْقَفْرِ يَفْنَوْنَ، وَفِيهِ يَمُوتُونَ». ٣٥ 35
৩৫আমি, সদাপ্রভু, বলেছি, আমার বিপরীতে চক্রান্তকারী এই সমস্ত মন্দ মণ্ডলীর প্রতি আমি এইসব অবশ্যই করব; এই মরুপ্রান্তে তারা শেষ হবে, এখানেই তারা মারা যাবে।”
أَمَّا ٱلرِّجَالُ ٱلَّذِينَ أَرْسَلَهُمْ مُوسَى لِيَتَجَسَّسُوا ٱلْأَرْضَ، وَرَجَعُوا وَسَجَّسُوا عَلَيْهِ كُلَّ ٱلْجَمَاعَةِ بِإِشَاعَةِ ٱلْمَذَمَّةِ عَلَى ٱلْأَرْضِ، ٣٦ 36
৩৬আর দেশ পরীক্ষা করতে মোশি যে লোকেদেরকে পাঠিয়েছিলেন, যারা ফিরে এসে ঐ দেশের বদনাম করে তার বিরুদ্ধে সমস্ত মণ্ডলীকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছিল,
فَمَاتَ ٱلرِّجَالُ ٱلَّذِينَ أَشَاعُوا ٱلْمَذَمَّةَ ٱلرَّدِيئَةَ عَلَى ٱلْأَرْضِ بِٱلْوَبَإِ أَمَامَ ٱلرَّبِّ. ٣٧ 37
৩৭দেশের বদনামকারী সেই ব্যক্তিরা সদাপ্রভুর সামনে মহামারীতে মারা গেল।
وَأَمَّا يَشُوعُ بْنُ نُونَ وَكَالِبُ بْنُ يَفُنَّةَ، مِنْ أُولَئِكَ ٱلرِّجَالِ ٱلَّذِينَ ذَهَبُوا لِيَتَجَسَّسُوا ٱلْأَرْضَ، فَعَاشَا. ٣٨ 38
৩৮যে ব্যক্তিরা পরীক্ষা করতে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে শুধু নূনের ছেলে যিহোশূয় ও যিফূন্নির ছেলে কালেব জীবিত থাকলেন।
وَلَمَّا تَكَلَّمَ مُوسَى بِهَذَا ٱلْكَلَامِ إِلَى جَمِيعِ بَنِي إِسْرَائِيلَ بَكَى ٱلشَّعْبُ جِدًّا. ٣٩ 39
৩৯যখন মোশি সমস্ত ইস্রায়েল সন্তানকে সেই কথা বললেন, লোকেরা খুব শোক করল।
ثُمَّ بَكَّرُوا صَبَاحًا وَصَعِدُوا إِلَى رَأْسِ ٱلْجَبَلِ قَائِلِينَ: «هُوَذَا نَحْنُ! نَصْعَدُ إِلَى ٱلْمَوْضِعِ ٱلَّذِي قَالَ ٱلرَّبُّ عَنْهُ، فَإِنَّنَا قَدْ أَخْطَأْنَا». ٤٠ 40
৪০তারা ভোরে উঠে পর্বতের চূড়ায় উঠতে উদ্যত হয়ে বলল, “দেখ, আমরা এখানে, সদাপ্রভু যে স্থানের কথা বলেছেন, আমরা সেই স্থানে যাই, কারণ আমরা পাপ করেছি।”
فَقَالَ مُوسَى: «لِمَاذَا تَتَجَاوَزُونَ قَوْلَ ٱلرَّبِّ؟ فَهَذَا لَا يَنْجَحُ. ٤١ 41
৪১কিন্তু মোশি বললেন, “এখন সদাপ্রভুর আদেশ কেন অমান্য করছ? তোমরা সফল হবে না।
لَا تَصْعَدُوا، لِأَنَّ ٱلرَّبَّ لَيْسَ فِي وَسَطِكُمْ لِئَلَّا تَنْهَزِمُوا أَمَامَ أَعْدَائِكُمْ. ٤٢ 42
৪২তোমরা যেও না, কারণ সদাপ্রভু তোমাদের মধ্যে নেই, তাই গেলে তোমরা শত্রুদের কাছে পরাজিত হবে।
لِأَنَّ ٱلْعَمَالِقَةَ وَٱلْكَنْعَانِيِّينَ هُنَاكَ قُدَّامَكُمْ تَسْقُطُونَ بِٱلسَّيْفِ. إِنَّكُمْ قَدِ ٱرْتَدَدْتُمْ عَنِ ٱلرَّبِّ، فَٱلرَّبُّ لَا يَكُونُ مَعَكُمْ». ٤٣ 43
৪৩কারণ অমালেকীয়েরা ও কনানীয়েরা সে স্থানে তোমাদের সামনে আছে; তোমরা তরোয়ালের আঘাতে মারা যাবে, কারণ তোমরা সদাপ্রভুর অনুসরণ করা থেকে পিছু ফিরেছ, তাই সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে থাকবেন না।”
لَكِنَّهُمْ تَجَبَّرُوا وَصَعِدُوا إِلَى رَأْسِ ٱلْجَبَلِ. وَأَمَّا تَابُوتُ عَهْدِ ٱلرَّبِّ وَمُوسَى فَلَمْ يَبْرَحَا مِنْ وَسَطِ ٱلْمَحَلَّةِ. ٤٤ 44
৪৪কিন্তু তারা দুঃসাহসী হয়ে পর্বতের চূড়ায় উঠতে লাগল; কিন্তু সদাপ্রভুর সাক্ষ্য-সিন্দুক ও মোশি শিবির ত্যাগ করলেন না।
فَنَزَلَ ٱلْعَمَالِقَةُ وَٱلْكَنْعَانِيُّونَ ٱلسَّاكِنُونَ فِي ذَلِكَ ٱلْجَبَلِ وَضَرَبُوهُمْ وَكَسَّرُوهُمْ إِلَى حُرْمَةَ. ٤٥ 45
৪৫তখন ঐ পর্বতবাসী অমালেকীয়েরা ও কনানীয়েরা নেমে এসে তাদেরকে আঘাত করল ও হর্মা পর্যন্ত তাদেরকে তাড়িয়ে দিল।

< اَلْعَدَد 14 >