< نَحَمْيَا 9 >

وَفِي ٱلْيَوْمِ ٱلرَّابِعِ وَٱلْعِشْرِينَ مِنْ هَذَا ٱلشَّهْرِ ٱجْتَمَعَ بَنُو إِسْرَائِيلَ بِٱلصَّوْمِ، وَعَلَيْهِمْ مُسُوحٌ وَتُرَابٌ. ١ 1
সেই একই মাসের চব্বিশ দিনের দিন ইস্রায়েলীরা একত্র হয়ে উপবাস করল, চট পরল এবং মাথায় ধুলো দিল।
وَٱنْفَصَلَ نَسْلُ إِسْرَائِيلَ مِنْ جَمِيعِ بَنِي ٱلْغُرَبَاءِ، وَوَقَفُوا وَٱعْتَرَفُوا بِخَطَايَاهُمْ وَذُنُوبِ آبَائِهِمْ. ٢ 2
ইস্রায়েলী সন্তানেরা অন্যান্য জাতির সমস্ত লোকদের কাছ থেকে নিজেদের আলাদা করল। তারা দাঁড়িয়ে নিজেদের পাপ ও তাদের পূর্বপুরুষদের অন্যায় স্বীকার করল।
وَأَقَامُوا فِي مَكَانِهِمْ وَقَرَأُوا فِي سِفْرِ شَرِيعَةِ ٱلرَّبِّ إِلَهِهِمْ رُبْعَ ٱلنَّهَارِ، وَفِي ٱلرُّبْعِ ٱلْآخَرِ كَانُوا يَحْمَدُونَ وَيَسْجُدُونَ لِلرَّبِّ إِلَهِهِمْ. ٣ 3
তারা নিজ নিজ জায়গায় দাঁড়িয়ে তিন ঘণ্টা তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিধানপুস্তক পড়ল, এবং আরও তিন ঘণ্টা নিজেদের পাপস্বীকার ও ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপাসনা করল।
وَوَقَفَ عَلَى دَرَجِ ٱللَّاَوِيِّينَ: يَشُوعُ وَبَانِي وَقَدْمِيئِيلُ وَشَبَنْيَا وَبُنِّي وَشَرَبْيَا وَبَانِي وَكَنَانِي، وَصَرَخُوا بِصَوْتٍ عَظِيمٍ إِلَى ٱلرَّبِّ إِلَهِهِمْ. ٤ 4
যেশূয়, বানি, কদ্‌মীয়েল, শবনিয়, বুন্নি, শেরেবিয়, বানি ও কনানী লেবীয়দের মাচায় দাঁড়িয়েছিলেন, তারা উচ্চস্বরে তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ডাকলেন।
وَقَالَ ٱللَّاوِيُّونَ: يَشُوعُ وَقَدْمِيئِيلُ وَبَانِي وَحَشَبْنِيَا وَشَرَبْيَا وَهُودِيَّا وَشَبَنْيَا وَفَتَحْيَا: «قُومُوا بَارِكُوا ٱلرَّبَّ إِلَهَكُمْ مِنَ ٱلْأَزَلِ إِلَى ٱلْأَبَدِ، وَلْيَتَبَارَكِ ٱسْمُ جَلَالِكَ ٱلْمُتَعَالِي عَلَى كُلِّ بَرَكَةٍ وَتَسْبِيحٍ. ٥ 5
আর লেবীয়দের মধ্যে যেশূয়, কদ্‌মীয়েল, বানি, হশ্‌বনিয়, শেরেবিয়, হোদিয়, শবনিয় ও পথাহিয় বললেন, “ওঠো, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করো, যিনি অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত আছেন।” “তোমার প্রতাপান্বিত নাম ধন্য হোক, আমাদের দেওয়া সমস্ত ধন্যবাদ ও প্রশংসার চেয়েও তুমি মহান হও।
أَنْتَ هُوَ ٱلرَّبُّ وَحْدَكَ. أَنْتَ صَنَعْتَ ٱلسَّمَاوَاتِ وَسَمَاءَ ٱلسَّمَاوَاتِ وَكُلَّ جُنْدِهَا، وَٱلْأَرْضَ وَكُلَّ مَا عَلَيْهَا، وَٱلْبِحَارَ وَكُلَّ مَا فِيهَا، وَأَنْتَ تُحْيِيهَا كُلَّهَا. وَجُنْدُ ٱلسَّمَاءِ لَكَ يَسْجُدُ. ٦ 6
কেবল তুমিই সদাপ্রভু। তুমিই আকাশমণ্ডল, সর্বোচ্চ আকাশমণ্ডল, তার সমস্ত তারকারাশি, পৃথিবী ও তার উপরের সবকিছু, সমুদ্র ও তার মধ্যে স্থিত সমস্ত কিছু তৈরি করেছ। তুমিই সকলের প্রাণ দিয়েছ এবং স্বর্গের বাহিনী তোমার উপাসনা করে।
أَنْتَ هُوَ ٱلرَّبُّ ٱلْإِلَهُ ٱلَّذِي ٱخْتَرْتَ أَبْرَامَ وَأَخْرَجْتَهُ مِنْ أُورِ ٱلْكَلْدَانِيِّينَ وَجَعَلْتَ ٱسْمَهُ إِبْرَاهِيمَ. ٧ 7
“তুমিই সদাপ্রভু ঈশ্বর, তুমি অব্রামকে মনোনীত করে কলদীয় দেশের ঊর থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলে আর তার নাম অব্রাহাম রেখেছিলে।
وَوَجَدْتَ قَلْبَهُ أَمِينًا أَمَامَكَ، وَقَطَعْتَ مَعَهُ ٱلْعَهْدَ أَنْ تُعْطِيَهُ أَرْضَ ٱلْكَنْعَانِيِّينَ وَٱلْحِثِّيِّينَ وَٱلْأَمُورِيِّينَ وَٱلْفَرِزِّيِّينَ وَٱلْيَبُوسِيِّينَ وَٱلْجِرْجَاشِيِّينَ وَتُعْطِيَهَا لِنَسْلِهِ. وَقَدْ أَنْجَزْتَ وَعْدَكَ لِأَنَّكَ صَادِقٌ. ٨ 8
তুমি তার অন্তর বিশ্বস্ত দেখে কনানীয়, হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিষীয়, যিবূষীয় ও গির্গাশীয়ের দেশ তার বংশকে দেবার জন্য, তার সঙ্গে নিয়ম স্থাপন করেছিলে। তুমি ধর্মময় বলে তোমার প্রতিজ্ঞা তুমি রক্ষা করেছিলে।
وَرَأَيْتَ ذُلَّ آبَائِنَا فِي مِصْرَ، وَسَمِعْتَ صُرَاخَهُمْ عِنْدَ بَحْرِ سُوفٍ، ٩ 9
“মিশর দেশে আমাদের পূর্বপুরুষদের কষ্টভোগ তুমি দেখেছিলে; লোহিত সাগরের তীরে তাদের কান্না শুনেছিলে।
وَأَظْهَرْتَ آيَاتٍ وَعَجَائِبَ عَلَى فَرْعَوْنَ وَعَلَى جَمِيعِ عَبِيدِهِ وَعَلَى كُلِّ شَعْبِ أَرْضِهِ، لِأَنَّكَ عَلِمْتَ أَنَّهُمْ بَغَوْا عَلَيْهِمْ، وَعَمِلْتَ لِنَفْسِكَ ٱسْمًا كَهَذَا ٱلْيَوْمِ. ١٠ 10
ফরৌণ, তার সমস্ত কর্মচারী ও তার দেশের সমস্ত লোকদের বিরুদ্ধে তুমি বিভিন্ন চিহ্ন ও আশ্চর্য কাজ দেখিয়েছিলে, কেননা তুমি জানতে মিশরীয়েরা তাদের বিরুদ্ধে গর্ব করত। তুমি নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করেছিলে, যা আজও আছে।
وَفَلَقْتَ ٱلْيَمَّ أَمَامَهُمْ، وَعَبَرُوا فِي وَسَطِ ٱلْبَحْرِ عَلَى ٱلْيَابِسَةِ، وَطَرَحْتَ مُطَارِدِيهِمْ فِي ٱلْأَعْمَاقِ كَحَجَرٍ فِي مِيَاهٍ قَوِيَّةٍ. ١١ 11
তুমি তাদের সামনে সাগরকে দু-ভাগ করেছিলে, যাতে তারা শুকনো জমির উপর দিয়ে পার হয়েছিল, কিন্তু প্রবল জলে যেমন পাথর ফেলা হয়, যারা তাদের তাড়া করে আসছিল তুমি তাদের তেমনি করে অগাধ জলে ফেলেছিলে।
وَهَدَيْتَهُمْ بِعَمُودِ سَحَابٍ نَهَارًا، وَبِعَمُودِ نَارٍ لَيْلًا لِتَضِيءَ لَهُمْ فِي ٱلطَّرِيقِ ٱلَّتِي يَسِيرُونَ فِيهَا. ١٢ 12
তুমি দিনে মেঘস্তম্ভ ও রাত্রে অগ্নিস্তম্ভ দ্বারা তাদের গন্তব্য পথে আলো দিয়ে তাদের চালাতে।
وَنَزَلْتَ عَلَى جَبَلِ سِينَاءَ، وَكَلَّمْتَهُمْ مِنَ ٱلسَّمَاءِ، وَأَعْطَيْتَهُمْ أَحْكَامًا مُسْتَقِيمَةً وَشَرَائِعَ صَادِقَةً، فَرَائِضَ وَوَصَايَا صَالِحَةً. ١٣ 13
“তুমি সীনয় পর্বতের উপর নেমে এসেছিলে; স্বর্গ থেকে তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলে। তুমি তাদের ন্যায্য নির্দেশ, বিধি ও বিধান দিয়েছিলে।
وَعَرَّفْتَهُمْ سَبْتَكَ ٱلْمُقَدَّسَ، وَأَمَرْتَهُمْ بِوَصَايَا وَفَرَائِضَ وَشَرَائِعَ عَنْ يَدِ مُوسَى عَبْدِكَ. ١٤ 14
তোমার পবিত্র বিশ্রামবার সম্বন্ধে তুমি তাদের জানিয়েছিলে এবং তোমার দাস মোশির মাধ্যমে তাদের আজ্ঞা, বিধি ও বিধান দিয়েছিলে।
وَأَعْطَيْتَهُمْ خُبْزًا مِنَ ٱلسَّمَاءِ لِجُوعِهِمْ، وَأَخْرَجْتَ لَهُمْ مَاءً مِنَ ٱلصَّخْرَةِ لِعَطَشِهِمْ، وَقُلْتَ لَهُمْ أَنْ يَدْخُلُوا وَيَرِثُوا ٱلْأَرْضَ ٱلَّتِي رَفَعْتَ يَدَكَ أَنْ تُعْطِيَهُمْ إِيَّاهَا. ١٥ 15
খিদে মিটাবার জন্য তুমি স্বর্গ থেকে তাদের খাবার আর পিপাসা মিটাবার জন্য পাথর থেকে জল বের করে দিয়েছিলে। যে দেশ তাদের দেবার জন্য তুমি উন্নমিত হাতে শপথ করেছিলে সেখানে গিয়ে তা অধিকার করার জন্য তুমি তাদের আদেশ দিয়েছিল।
«وَلَكِنَّهُمْ بَغَوْا هُمْ وَآبَاؤُنَا، وَصَلَّبُوا رِقَابَهُمْ وَلَمْ يَسْمَعُوا لِوَصَايَاكَ، ١٦ 16
“তবুও আমাদের পূর্বপুরুষদের ব্যবহার ছিল অহংকারপূর্ণ ও একগুঁয়ে, তারা তোমার আজ্ঞার বাধ্য হয়নি।
وَأَبَوْا ٱلِٱسْتِمَاعَ، وَلَمْ يَذْكُرُوا عَجَائِبَكَ ٱلَّتِي صَنَعْتَ مَعَهُمْ، وَصَلَّبُوا رِقَابَهُمْ. وَعِنْدَ تَمَرُّدِهِمْ أَقَامُوا رَئِيسًا لِيَرْجِعُوا إِلَى عُبُودِيَّتِهِمْ. وَأَنْتَ إِلَهٌ غَفُورٌ وَحَنَّانٌ وَرَحِيمٌ، طَوِيلُ ٱلرُّوحِ وَكَثِيرُ ٱلرَّحْمَةِ، فَلَمْ تَتْرُكْهُمْ. ١٧ 17
তারা শুনতে অস্বীকার করেছিল, আর তুমি তাদের মধ্যে যেসব আশ্চর্য কাজ করেছিলে তাও তারা মনে রাখেনি। তারা একগুঁয়েমি করে আবার দাসত্বে ফিরে যাবার জন্য বিদ্রোহভাবে একজন নেতাকে নিযুক্ত করেছিল। কিন্তু তুমি ক্ষমাবান ঈশ্বর, কৃপাময় ও স্নেহশীল, ক্রোধে ধীর ও দয়াতে মহান, তাই তাদের তুমি ত্যাগ করোনি,
مَعَ أَنَّهُمْ عَمِلُوا لِأَنْفُسِهِمْ عِجْلًا مَسْبُوكًا وَقَالُوا: هَذَا إِلَهُكَ ٱلَّذِي أَخْرَجَكَ مِنْ مِصْرَ، وَعَمِلُوا إِهَانَةً عَظِيمَةً. ١٨ 18
এমনকি, তারা নিজেদের জন্য ছাঁচে ফেলে একটি বাছুরের মূর্তি তৈরি করে বলেছিল, ‘এই তোমাদের ঈশ্বর, মিশর থেকে যিনি তোমাদের বের করে এনেছেন,’ অথবা তারা যখন তোমাকে ভীষণ অপমান করেছিল।
أَنْتَ بِرَحْمَتِكَ ٱلْكَثِيرَةِ لَمْ تَتْرُكْهُمْ فِي ٱلْبَرِّيَّةِ، وَلَمْ يَزُلْ عَنْهُمْ عَمُودُ ٱلسَّحَابِ نَهَارًا لِهِدَايَتِهِمْ فِي ٱلطَّرِيقِ، وَلَا عَمُودُ ٱلنَّارِ لَيْلًا لِيُضِيءَ لَهُمْ فِي ٱلطَّرِيقِ ٱلَّتِي يَسِيرُونَ فِيهَا. ١٩ 19
“তোমার প্রচুর করুণায় তুমি তাদের প্রান্তরে পরিত্যাগ করোনি। দিনে তাদের পথ দেখাবার জন্য মেঘস্তম্ভ, এবং রাত্রে তাদের চলার পথে আলো দেবার জন্য অগ্নিস্তম্ভ তাদের উপর থেকে সরিয়ে নাওনি।
وَأَعْطَيْتَهُمْ رُوحَكَ ٱلصَّالِحَ لِتَعْلِيمِهِمْ، وَلَمْ تَمْنَعْ مَنَّكَ عَنْ أَفْوَاهِهِمْ، وَأَعْطَيْتَهُمْ مَاءً لِعَطَشِهِمْ. ٢٠ 20
তুমি তাদের শিক্ষা দেবার জন্য তোমার মঙ্গলময় আত্মা দান করেছিলে। তাদের খাওয়ার জন্য যে মান্না দিয়েছিলে তা বন্ধ করোনি, আর তুমি তাদের পিপাসা মিটাবার জন্য জল দিয়েছিলে।
وَعُلْتَهُمْ أَرْبَعِينَ سَنَةً فِي ٱلْبَرِّيَّةِ فَلَمْ يَحْتَاجُوا. لَمْ تَبْلَ ثِيَابُهُمْ، وَلَمْ تَتَوَرَّمْ أَرْجُلُهُمْ. ٢١ 21
চল্লিশ বছর পর্যন্ত প্রান্তরে তাদের প্রতিপালন করেছিলে, তাদের অভাব হয়নি, তাদের কাপড় পুরানো হয়নি এমনকি তাদের পা-ও ফোলেনি।
وَأَعْطَيْتَهُمْ مَمَالِكَ وَشُعُوبًا، وَفَرَّقْتَهُمْ إِلَى جِهَاتٍ، فَٱمْتَلَكُوا أَرْضَ سِيحُونَ، وَأَرْضَ مَلِكِ حَشْبُونَ، وَأَرْضَ عُوجٍ مَلِكِ بَاشَانَ. ٢٢ 22
“পরে তুমি অনেক রাজ্য ও জাতি তাদের হাতে দিয়েছিলে, এমনকি, তাদের সমস্ত জায়গাও তাদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিলে। তারা হিষ্‌বোনের রাজা সীহোনের দেশ ও বাশন-রাজ ওগের দেশ অধিকার করেছিল।
وَأَكْثَرْتَ بَنِيهِمْ كَنُجُومِ ٱلسَّمَاءِ، وَأَتَيْتَ بِهِمْ إِلَى ٱلْأَرْضِ ٱلَّتِي قُلْتَ لِآبَائِهِمْ أَنْ يَدْخُلُوا وَيَرِثُوهَا. ٢٣ 23
আকাশের তারার মতন তুমি তাদের অসংখ্য সন্তান দিয়েছিলে, এবং সেই দেশে তাদের নিয়ে এসেছিলে, যে দেশের বিষয় তুমি তাদের পিতৃপুরুষদের কাছে বলেছিলে, যে তাতে ঢুকে অধিকার করবে।
فَدَخَلَ ٱلْبَنُونَ وَوَرِثُوا ٱلْأَرْضَ، وَأَخْضَعْتَ لَهُمْ سُكَّانَ أَرْضِ ٱلْكَنْعَانِيِّينَ، وَدَفَعْتَهُمْ لِيَدِهِمْ مَعَ مُلُوكِهِمْ وَشُعُوبِ ٱلْأَرْضِ لِيَعْمَلُوا بِهِمْ حَسَبَ إِرَادَتِهِمْ. ٢٤ 24
তাদের সন্তানেরা সেই দেশে গিয়ে তা অধিকার করে নিয়েছিল। সেই দেশে বসবাসকারী কনানীয়দের তুমি তাদের সামনে ছোটো করেছিলে, তুমি কানানীয়দের, তাদের রাজাদের ও দেশের অন্যান্য জাতিদের তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলে যাতে তারা তাদের উপর যা খুশি তাই করতে পারে।
وَأَخَذُوا مُدُنًا حَصِينَةً وَأَرْضًا سَمِينَةً، وَوَرِثُوا بُيُوتًا مَلآنَةً كُلَّ خَيْرٍ، وَآبَارًا مَحْفُورَةً وَكُرُومًا وَزَيْتُونًا وَأَشْجَارًا مُثْمِرَةً بِكَثْرَةٍ، فَأَكَلُوا وَشَبِعُوا وَسَمِنُوا وَتَلَذَّذُوا بِخَيْرِكَ ٱلْعَظِيمِ. ٢٥ 25
তারা প্রাচীরে ঘেরা অনেক নগর ও উর্বর জমি অধিকার করেছিল, তারা সব রকম ভালো ভালো জিনিসে ভরা বাড়িঘর ও আগেই খোঁড়া হয়েছে এমন অনেক কুয়ো, দ্রাক্ষাক্ষেত্র, জলপাইয়ের বাগান এবং অনেক ফলের গাছ অধিকার করেছিল। তারা খেয়ে তৃপ্ত ও পুষ্ট হয়েছিল, এবং তোমার দেওয়া প্রচুর মঙ্গল ভোগ করেছিল।
وَعَصَوْا وَتَمَرَّدُوا عَلَيْكَ، وَطَرَحُوا شَرِيعَتَكَ وَرَاءَ ظُهُورِهِمْ، وَقَتَلُوا أَنْبِيَاءَكَ ٱلَّذِينَ أَشْهَدُوا عَلَيْهِمْ لِيَرُدُّوهُمْ إِلَيْكَ، وَعَمِلُوا إِهَانَةً عَظِيمَةً. ٢٦ 26
“তবুও তারা অবাধ্য হয়ে তোমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল; তোমার বিধান তারা ত্যাগ করেছিল। তোমার যে ভাববাদীরা তোমার প্রতি তাদের ফিরাবার জন্য সাক্ষ্য দিতেন, তাদের হত্যা করেছিল, তারা ভয়ানক অসন্তোষের কাজ করেছিল।
فَدَفَعْتَهُمْ لِيَدِ مُضَايِقِيهِمْ فَضَايَقُوهُمْ. وَفِي وَقْتِ ضِيقِهِمْ صَرَخُوا إِلَيْكَ، وَأَنْتَ مِنَ ٱلسَّمَاءِ سَمِعْتَ، وَحَسَبَ مَرَاحِمِكَ ٱلْكَثِيرَةِ أَعْطَيْتَهُمْ مُخَلِّصِينَ خَلَّصُوهُمْ مِنْ يَدِ مُضَايِقِيهِمْ. ٢٧ 27
সেইজন্য তুমি তাদের শত্রুদের হাতে তুলে দিয়েছিলে, যারা তাদের উপর অত্যাচার করেছিল। কিন্তু কষ্টের সময় তারা তোমার কাছে কাঁদত। তুমি স্বর্গ থেকে সেই কান্না শুনেছিলে এবং তোমার প্রচুর করুণায় তাদের উদ্ধারকারীদের পাঠিয়ে দিয়েছিলে, যারা শত্রুদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করেছিল।
وَلَكِنْ لَمَّا ٱسْتَرَاحُوا رَجَعُوا إِلَى عَمَلِ ٱلشَّرِّ قُدَّامَكَ، فَتَرَكْتَهُمْ بِيَدِ أَعْدَائِهِمْ، فَتَسَلَّطُوا عَلَيْهِمْ ثُمَّ رَجَعُوا وَصَرَخُوا إِلَيْكَ، وَأَنْتَ مِنَ ٱلسَّمَاءِ سَمِعْتَ وَأَنْقَذْتَهُمْ حَسَبَ مَرَاحِمِكَ ٱلْكَثِيرَةِ أَحْيَانًا كَثِيرَةً. ٢٨ 28
“কিন্তু যেই তারা বিশ্রাম পেত অমনি আবার তারা তোমার চোখে যা মন্দ তাই করত। এরপর তুমি শত্রুদের হাতে তাদের ছেড়ে দিয়েছিলে যাতে শত্রুরা তাদের উপর কর্তৃত্ব করে। কিন্তু আবার যখন তারা তোমার কাছে কাঁদত তখন স্বর্গ থেকে তা শুনে তোমার করুণায় তুমি বারে বারে তাদের উদ্ধার করতে।
وَأَشْهَدْتَ عَلَيْهِمْ لِتَرُدَّهُمْ إِلَى شَرِيعَتِكَ، وَأَمَّا هُمْ فَبَغَوْا وَلَمْ يَسْمَعُوا لِوَصَايَاكَ وَأَخْطَأُوا ضِدَّ أَحْكَامِكَ، ٱلَّتِي إِذَا عَمِلَهَا إِنْسَانٌ يَحْيَا بِهَا. وَأَعْطَوْا كَتِفًا مُعَانِدَةً، وَصَلَّبُوا رِقَابَهُمْ وَلَمْ يَسْمَعُوا. ٢٩ 29
“তোমার বিধানের দিকে ফিরে আসবার জন্য তুমি তাদের সতর্ক করেছিলে, কিন্তু তারা অহংকারে পূর্ণ ছিল, ও তোমার আজ্ঞা অমান্য করেছিল। তোমার যেসব নির্দেশ পালন করলে মানুষ বাঁচে তার বিরুদ্ধে তারা পাপ করেছিল। তারা একগুঁয়ে হয়ে এবং ঘাড় শক্ত করে তোমার কথা শুনতে চায়নি।
فَٱحْتَمَلْتَهُمْ سِنِينَ كَثِيرَةً، وَأَشْهَدْتَ عَلَيْهِمْ بِرُوحِكَ عَنْ يَدِ أَنْبِيَائِكَ فَلَمْ يُصْغُوا، فَدَفَعْتَهُمْ لِيَدِ شُعُوبِ ٱلْأَرَاضِي. ٣٠ 30
কিন্তু তবুও অনেক বছর ধরে তুমি তাদের উপর ধৈর্য ধরেছিলে। তোমার ভাববাদীদের মাধ্যমে তোমার আত্মার দ্বারা তুমি তাদের সতর্ক করেছিলে। অথচ তাতে তারা কান দেয়নি, সেইজন্য প্রতিবেশী অন্য জাতির লোকদের হাতে তুমি তাদের তুলে দিয়েছিলে।
وَلَكِنْ لِأَجْلِ مَرَاحِمِكَ ٱلْكَثِيرَةِ لَمْ تُفْنِهِمْ وَلَمْ تَتْرُكْهُمْ، لِأَنَّكَ إِلَهٌ حَنَّانٌ وَرَحِيمٌ. ٣١ 31
কিন্তু তোমার প্রচুর করুণার জন্য তুমি তাদের নিঃশেষ অথবা ত্যাগ করোনি, কারণ তুমি কৃপাময় ও স্নেহশীল ঈশ্বর।
«وَٱلْآنَ يَا إِلَهَنَا، ٱلْإِلَهَ ٱلْعَظِيمَ ٱلْجَبَّارَ ٱلْمَخُوفَ، حَافِظَ ٱلْعَهْدِ وَٱلرَّحْمَةِ، لَا تَصْغُرْ لَدَيْكَ كُلُّ ٱلْمَشَقَّاتِ ٱلَّتِي أَصَابَتْنَا نَحْنُ وَمُلُوكَنَا وَرُؤَسَاءَنَا وَكَهَنَتَنَا وَأَنْبِيَاءَنَا وَآبَاءَنَا وَكُلَّ شَعْبِكَ، مِنْ أَيَّامِ مُلُوكِ أَشُّورَ إِلَى هَذَا ٱلْيَوْمِ. ٣٢ 32
“অতএব, হে আমাদের ঈশ্বর, তুমি মহান, শক্তিশালী ও ভয়ংকর ঈশ্বর, তুমি তোমার ভালোবাসার বিধান রক্ষা করে থাকো। আসিরিয়ার রাজাদের সময় থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই যে সকল ক্লেশ আমাদের উপর এবং আমাদের রাজাদের, কর্মকর্তাদের, যাজকদের, ভাববাদীদের, পিতৃপুরুষদের ও তোমার সকল প্রজাদের উপর যে ক্লেশ ঘটেছে তা তোমার চোখে যেন সামান্য মনে না হয়।
وَأَنْتَ بَارٌّ فِي كُلِّ مَا أَتَى عَلَيْنَا لِأَنَّكَ عَمِلْتَ بِٱلْحَقِّ، وَنَحْنُ أَذْنَبْنَا. ٣٣ 33
আমাদের প্রতি যা কিছু ঘটেছে, তুমি ন্যায়পরায়ণ থেকে বিশ্বস্তভাবে কাজ করেছ, কিন্তু আমরা অন্যায় করেছি।
وَمُلُوكُنَا وَرُؤَسَاؤُنَا وَكَهَنَتُنَا وَآبَاؤُنَا لَمْ يَعْمَلُوا شَرِيعَتَكَ، وَلَا أَصْغَوْا إِلَى وَصَايَاكَ وَشَهَادَاتِكَ ٱلَّتِي أَشْهَدْتَهَا عَلَيْهِمْ. ٣٤ 34
আমাদের রাজারা, আমাদের কর্মকর্তারা, আমাদের যাজকেরা এবং আমাদের পিতৃপুরুষেরা তোমার বিধান পালন করেননি; তারা তোমার আজ্ঞায় অথবা সতর্কবাণীতে মনোযোগ দেয়নি।
وَهُمْ لَمْ يَعْبُدُوكَ فِي مَمْلَكَتِهِمْ وَفِي خَيْرِكَ ٱلْكَثِيرِ ٱلَّذِي أَعْطَيْتَهُمْ، وَفِي ٱلْأَرْضِ ٱلْوَاسِعَةِ ٱلسَّمِينَةِ ٱلَّتِي جَعَلْتَهَا أَمَامَهُمْ، وَلَمْ يَرْجِعُوا عَنْ أَعْمَالِهِمِ ٱلرَّدِيَّةِ. ٣٥ 35
আর তাদের রাজত্বকালে তোমার দেওয়া বড়ো ও উর্বর দেশে প্রচুর মঙ্গল ভোগ করেছিল, তবুও তারা তোমার সেবা করেনি কিংবা তাদের মন্দ পথ থেকে ফেরেনি।
هَا نَحْنُ ٱلْيَوْمَ عَبِيدٌ، وَٱلْأَرْضَ ٱلَّتِي أَعْطَيْتَ لِآبَائِنَا لِيَأْكُلُوا أَثْمَارَهَا وَخَيْرَهَا، هَا نَحْنُ عَبِيدٌ فِيهَا. ٣٦ 36
“কিন্তু দেখো, আজ আমরা দাস, ফলে যে দেশ তুমি আমাদের পিতৃপুরুষদের দিয়েছিলে যেন তারা তার ফল ও ভালো জিনিস খেতে পারে, আমরা সেখানেই দাস হয়ে রয়েছি।
وَغَلَّاتُهَا كَثِيرَةٌ لِلْمُلُوكِ ٱلَّذِينَ جَعَلْتَهُمْ عَلَيْنَا لِأَجْلِ خَطَايَانَا، وَهُمْ يَتَسَلَّطُونَ عَلَى أَجْسَادِنَا وَعَلَى بَهَائِمِنَا حَسَبَ إِرَادَتِهِمْ، وَنَحْنُ فِي كَرْبٍ عَظِيمٍ. ٣٧ 37
আমাদের পাপের জন্য যে রাজাদের তুমি আমাদের উপর রাজত্ব করতে দিয়েছ দেশের প্রচুর ফসল তাদের কাছেই যায়। তারা তাদের খুশি মতোই আমাদের শরীরের উপরে ও আমাদের পশুপালের উপরে কর্তৃত্ব করেন। আমরা মহা সংকটের মধ্যে রয়েছি।
«وَمِنْ أَجْلِ كُلِّ ذَلِكَ نَحْنُ نَقْطَعُ مِيثَاقًا وَنَكْتُبُهُ. وَرُؤَسَاؤُنَا وَلَاوِيُّونَا وَكَهَنَتُنَا يَخْتِمُونَ». ٣٨ 38
“এসব কারণে আমরা এখন নিজেদের মধ্যে লিখিতভাবে চুক্তি করছি আর তার উপর আমাদের কর্মকর্তারা, আমাদের লেবীয়রা এবং আমাদের যাজকেরা তাদের সিলমোহর দিচ্ছেন।”

< نَحَمْيَا 9 >