< مَتَّى 20 >

«فَإِنَّ مَلَكُوتَ ٱلسَّمَاوَاتِ يُشْبِهُ رَجُلًا رَبَّ بَيْتٍ خَرَجَ مَعَ ٱلصُّبْحِ لِيَسْتَأْجِرَ فَعَلَةً لِكَرْمِهِ، ١ 1
কারণ স্বর্গরাজ্য এমন একজন জমির মালিকের মতো, যিনি সকালে তাঁর আঙুরের ক্ষেতে মজুর নিযুক্ত করার জন্য বাইরে গেলেন।
فَٱتَّفَقَ مَعَ ٱلْفَعَلَةِ عَلَى دِينَارٍ فِي ٱلْيَوْمِ، وَأَرْسَلَهُمْ إِلَى كَرْمِهِ. ٢ 2
তিনি মজুরদের দিনের এক দিনের মজুরির সমান বেতন দেবেন বলে স্থির করে তাদের তাঁর আঙ্গুর ক্ষেতে কাজ করার জন্য পাঠালেন।
ثُمَّ خَرَجَ نَحْوَ ٱلسَّاعَةِ ٱلثَّالِثَةِ وَرَأَى آخَرِينَ قِيَامًا فِي ٱلسُّوقِ بَطَّالِينَ، ٣ 3
পরে তিনি সকাল নটায় দিনের বাইরে গিয়ে দেখলেন, অন্য কয়েক জন বাজারে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে,
فَقَالَ لَهُمُ: ٱذْهَبُوا أَنْتُمْ أَيْضًا إِلَى ٱلْكَرْمِ فَأُعْطِيَكُمْ مَا يَحِقُّ لَكُمْ. فَمَضَوْا. ٤ 4
তিনি তাদের বললেন, “তোমরাও আঙ্গুর ক্ষেতে কাজ করতে যাও, যা ন্যায্য মজুরী, তা তোমাদের দেব,” তাতে তারা গেল।
وَخَرَجَ أَيْضًا نَحْوَ ٱلسَّاعَةِ ٱلسَّادِسَةِ وَٱلتَّاسِعَةِ وَفَعَلَ كَذَلِكَ. ٥ 5
আবার তিনি বারোটা ও বিকাল তিনটের দিনের ও বাইরে গিয়ে তেমন করলেন।
ثُمَّ نَحْوَ ٱلسَّاعَةِ ٱلْحَادِيَةَ عَشْرَةَ خَرَجَ وَوَجَدَ آخَرِينَ قِيَامًا بَطَّالِينَ، فَقَالَ لَهُمْ: لِمَاذَا وَقَفْتُمْ هَهُنَا كُلَّ ٱلنَّهَارِ بَطَّالِينَ؟ ٦ 6
পরে বিকেল পাঁচটি র দিনের বাইরে গিয়ে আর কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন, আর তাদের বললেন, “কিজন্য সমস্ত দিন এখানে কোন জায়গায় কাজ না করে এখানে দাঁড়িয়ে আছ?”
قَالُوا لَهُ: لِأَنَّهُ لَمْ يَسْتَأْجِرْنَا أَحَدٌ. قَالَ لَهُمُ: ٱذْهَبُوا أَنْتُمْ أَيْضًا إِلَى ٱلْكَرْمِ فَتَأْخُذُوا مَا يَحِقُّ لَكُمْ. ٧ 7
তারা তাঁকে বলল, “কেউই আমাদেরকে কাজে লাগায় নি।” তিনি তাদের বললেন, “তোমরাও আঙ্গুর ক্ষেতে যাও।”
فَلَمَّا كَانَ ٱلْمَسَاءُ قَالَ صَاحِبُ ٱلْكَرْمِ لِوَكِيلِهِ: ٱدْعُ ٱلْفَعَلَةَ وَأَعْطِهِمُ ٱلْأُجْرَةَ مُبْتَدِئًا مِنَ ٱلْآخِرِينَ إِلَى ٱلْأَوَّلِينَ. ٨ 8
পরে সন্ধ্যা হলে সেই আঙ্গুর ক্ষেতের মালিক তাঁর কর্মচারীকে বললেন, “মজুরদের ডেকে মজুরী দাও, শেষজন থেকে আরম্ভ করে প্রথমজন পর্যন্ত দাও।”
فَجَاءَ أَصْحَابُ ٱلسَّاعَةِ ٱلْحَادِيَةَ عَشْرَةَ وَأَخَذُوا دِينَارًا دِينَارًا. ٩ 9
তাতে যারা বিকেল পাঁচটির দিনের কাজে লেগেছিল, তারা এসে এক একজন এক দিনের র করে মজুরী পেল।
فَلَمَّا جَاءَ ٱلْأَوَّلُونَ ظَنُّوا أَنَّهُمْ يَأْخُذُونَ أَكْثَرَ. فَأَخَذُوا هُمْ أَيْضًا دِينَارًا دِينَارًا. ١٠ 10
১০যারা প্রথমে কাজে লেগেছিল, তারা এসে মনে করল, আমরা বেশি পাব, কিন্তু তারাও একদিনের র মজুরী পেল।
وَفِيمَا هُمْ يَأْخُذُونَ تَذَمَّرُوا عَلَى رَبِّ ٱلْبَيْتِ ١١ 11
১১এবং তারা সেই জমির মালিকের বিরুদ্ধে বচসা করে বলতে লাগল,
قَائِلِينَ: هَؤُلَاءِ ٱلْآخِرُونَ عَمِلُوا سَاعَةً وَاحِدَةً، وَقَدْ سَاوَيْتَهُمْ بِنَا نَحْنُ ٱلَّذِينَ ٱحْتَمَلْنَا ثِقَلَ ٱلنَّهَارِ وَٱلْحَرَّ! ١٢ 12
১২“শেষের এরা তো এক ঘন্টা মাত্র খেটেছে, আমরা সমস্ত দিন খেটেছি ও রোদে পুড়েছি, আপনি এদেরকে আমাদের সমান মজুরী দিলেন।”
فَأجَابَ وَقَالَ لِوَاحِدٍ مِنْهُمْ: يا صَاحِبُ، مَا ظَلَمْتُكَ! أَمَا اتَّفَقْتَ مَعِي عَلَى دِينَارٍ؟ ١٣ 13
১৩তিনি এর উত্তরে তাদের এক জনকে বললেন, “বন্ধু! আমি তোমার প্রতি কিছু অন্যায় করিনি, তুমি কি আমার কাছে এক দিনের মজুরীতে কাজ করতে রাজি হওনি?”
فَخُذِ ٱلَّذِي لَكَ وَٱذْهَبْ، فَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُعْطِيَ هَذَا ٱلْأَخِيرَ مِثْلَكَ. ١٤ 14
১৪তোমার যা পাওনা, তা নিয়ে চলে যাও, আমার ইচ্ছা, তোমাকে যা, ঐ শেষের জনকেও তাই দেব।
أَوَ مَا يَحِلُّ لِي أَنْ أَفْعَلَ مَا أُرِيدُ بِمَا لِي؟ أَمْ عَيْنُكَ شِرِّيرَةٌ لِأَنِّي أَنَا صَالِحٌ؟ ١٥ 15
১৫আমার নিজের যা, তা নিজের ইচ্ছামত ব্যবহার করার কি আমার উচিত নয়? না আমি দয়ালু বলে তোমার হিংসা হচ্ছে?
هَكَذَا يَكُونُ ٱلْآخِرُونَ أَوَّلِينَ وَٱلْأَوَّلُونَ آخِرِينَ، لِأَنَّ كَثِيرِينَ يُدْعَوْنَ وَقَلِيلِينَ يُنْتَخَبُونَ». ١٦ 16
১৬এইভাবেই যারা শেষের, তারা প্রথম হবে এবং যারা প্রথম, তারা শেষে পড়বে।
وَفِيمَا كَانَ يَسُوعُ صَاعِدًا إِلَى أُورُشَلِيمَ أَخَذَ ٱلِٱثْنَيْ عَشَرَ تِلْمِيذًا عَلَى ٱنْفِرَادٍ فِي ٱلطَّرِيقِ وَقَالَ لَهُمْ: ١٧ 17
১৭পরে যখন যীশু যিরূশালেম যাওয়ার জন্য তৈরী হলেন, তখন তিনি সেই বারো জন শিষ্যকে এক পাশে ডেকে নিয়ে গেলেন এবং রাস্তায় তাঁদের বললেন,
«هَا نَحْنُ صَاعِدُونَ إِلَى أُورُشَلِيمَ، وَٱبْنُ ٱلْإِنْسَانِ يُسَلَّمُ إِلَى رُؤَسَاءِ ٱلْكَهَنَةِ وَٱلْكَتَبَةِ، فَيَحْكُمُونَ عَلَيْهِ بِٱلْمَوْتِ، ١٨ 18
১৮“দেখ, আমরা যিরুশালেমে যাচ্ছি, আর মনুষ্যপুত্র প্রধান যাজকদের ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের হাতে সমর্পিত হবেন, তারা তাঁকে মৃত্যুদন্ডের জন্য দোষী করবে,
وَيُسَلِّمُونَهُ إِلَى ٱلْأُمَمِ لِكَيْ يَهْزَأُوا بِهِ وَيَجْلِدُوهُ وَيَصْلِبُوهُ، وَفِي ٱلْيَوْمِ ٱلثَّالِثِ يَقُومُ». ١٩ 19
১৯এবং ঠাট্টা করার জন্য, চাবুক মারার ও ক্রুশে দেওয়ার জন্য অইহূদিদের হাতে তাঁকে তুলে দেবে, পরে তিনি তৃতীয় দিনের মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবেন।”
حِينَئِذٍ تَقَدَّمَتْ إِلَيْهِ أُمُّ ٱبْنَيْ زَبْدِي مَعَ ٱبْنَيْهَا، وَسَجَدَتْ وَطَلَبَتْ مِنْهُ شَيْئًا. ٢٠ 20
২০তখন সিবদিয়ের স্ত্রী, তাঁর দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর কাছে এসে নমস্কার করে তাঁর কাছে কিছু চাইলেন।
فَقَالَ لَهَا: «مَاذَا تُرِيدِينَ؟». قَالَتْ لَهُ: «قُلْ أَنْ يَجْلِسَ ٱبْنَايَ هَذَانِ وَاحِدٌ عَنْ يَمِينِكَ وَٱلْآخَرُ عَنِ ٱلْيَسَارِ فِي مَلَكُوتِكَ». ٢١ 21
২১তিনি তাঁকে বললেন, “তুমি কি চাও?” তিনি বললেন, “আদেশ করুন, যেন আপনার রাজ্যে আমার এই দুই ছেলের একজন আপনার ডান দিকে, আর একজন বাম দিকে বসতে পারে।”
فَأَجَابَ يَسُوعُ وَقَالَ: «لَسْتُمَا تَعْلَمَانِ مَا تَطْلُبَانِ. أَتَسْتَطِيعَانِ أَنْ تَشْرَبَا ٱلْكَأْسَ ٱلَّتِي سَوْفَ أَشْرَبُهَا أَنَا، وَأَنْ تَصْطَبِغَا بِٱلصِّبْغَةِ ٱلَّتِي أَصْطَبِغُ بِهَا أَنَا؟». قَالَا لَهُ: «نَسْتَطِيعُ». ٢٢ 22
২২কিন্তু যীশু এর উত্তরে বললেন, “তোমরা কি চাইছ, তা বোঝ না, আমি যে পাত্রে পান করতে যাচ্ছি, তাতে কি তোমরা পান করতে পার?” তাঁরা বললেন, “পারি।”
فَقَالَ لَهُمَا: «أَمَّا كَأْسِي فَتَشْرَبَانِهَا، وَبِالصِّبْغَةِ ٱلَّتِي أَصْطَبِغُ بِهَا أَنَا تَصْطَبِغَانِ. وَأَمَّا ٱلْجُلُوسُ عَنْ يَمِينِي وَعَنْ يَسَارِي فَلَيْسَ لِي أَنْ أُعْطِيَهُ إِلَّا لِلَّذِينَ أُعِدَّ لَهُمْ مِنْ أَبِي». ٢٣ 23
২৩তিনি তাঁদের বললেন, “যদিও তোমরা আমার পাত্রে পান করবে, কিন্তু যাদের জন্য আমার পিতা স্থান প্রস্তুত করে রেখেছেন, তারা ছাড়া আর কাউকেই আমার ডান পাশে ও বাঁ পাশে বসানোর অধিকার আমার নেই।”
فَلَمَّا سَمِعَ ٱلْعَشَرَةُ ٱغْتَاظُوا مِنْ أَجْلِ ٱلْأَخَوَيْنِ. ٢٤ 24
২৪এই কথা শুনে অন্য দশ জন শিষ্য ঐ দুই ভাইয়ের প্রতি অসন্তুষ্ট হলেন।
فَدَعَاهُمْ يَسُوعُ وَقَالَ: «أَنْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رُؤَسَاءَ ٱلْأُمَمِ يَسُودُونَهُمْ، وَٱلْعُظَمَاءَ يَتَسَلَّطُونَ عَلَيْهِمْ. ٢٥ 25
২৫কিন্তু যীশু তাঁদের কাছে ডেকে বললেন, “তোমরা জান, অইহূদি জাতির তত্ত্বাবধায়ক তাদের উপরে রাজত্ব করে এবং যারা মহান, তারা তাদের উপরে কর্তৃত্ব করে।”
فَلَا يَكُونُ هَكَذَا فِيكُمْ. بَلْ مَنْ أَرَادَ أَنْ يَكُونَ فِيكُمْ عَظِيمًا فَلْيَكُنْ لَكُمْ خَادِمًا، ٢٦ 26
২৬তোমাদের মধ্যে তেমন হবে না, কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে কেউ মহান হতে চায়, সে তোমাদের মধ্য সেবক হবে,
وَمَنْ أَرَادَ أَنْ يَكُونَ فِيكُمْ أَوَّلًا فَلْيَكُنْ لَكُمْ عَبْدًا، ٢٧ 27
২৭এবং তোমাদের মধ্যে যে কেউ প্রধান হতে চায়, সে তোমাদের দাস হবে,
كَمَا أَنَّ ٱبْنَ ٱلْإِنْسَانِ لَمْ يَأْتِ لِيُخْدَمَ بَلْ لِيَخْدِمَ، وَلِيَبْذِلَ نَفْسَهُ فِدْيَةً عَنْ كَثِيرِينَ». ٢٨ 28
২৮যেমন মনুষ্যপুত্র সেবা পেতে আসেননি, কিন্তু সেবা করতে এসেছে এবং মানুষের জন্য নিজের জীবন মুক্তির মূল্য হিসাবে দিতে এসেছেন।
وَفِيمَا هُمْ خَارِجُونَ مِنْ أَرِيحَا تَبِعَهُ جَمْعٌ كَثِيرٌ، ٢٩ 29
২৯পরে যিরীহো থেকে যীশু এবং তাঁর শিষ্যদের বের হওয়ার দিনের অনেক লোক তাঁকে অনুসরণ করল।
وَإِذَا أَعْمَيَانِ جَالِسَانِ عَلَى ٱلطَّرِيقِ. فَلَمَّا سَمِعَا أَنَّ يَسُوعَ مُجْتَازٌ صَرَخَا قَائِلَيْنِ: «ٱرْحَمْنَا ياسَيِّدُ، يا ٱبْنَ دَاوُدَ!». ٣٠ 30
৩০আর দেখ, দুই জন অন্ধ পথের পাশে বসেছিল, সেই পথ দিয়ে যীশু যাচ্ছেন শুনে তারা চিত্কার করে বলল, “প্রভু, দায়ূদ-সন্তান, আমাদের প্রতি দয়া করুন।”
فَٱنْتَهَرَهُمَا ٱلْجَمْعُ لِيَسْكُتَا، فَكَانَا يَصْرُخَانِ أَكْثَرَ قَائِلَيْنِ: «ٱرْحَمْنَا ياسَيِّدُ، يا ٱبْنَ دَاوُدَ!». ٣١ 31
৩১তাতে লোকেরা চুপ চুপ বলে তাদের ধমক দিল, কিন্তু তারা আরও জোরে চিত্কার করে বলল, “প্রভু, দায়ূদ-সন্তান, আমাদের প্রতি দয়া করুন।”
فَوَقَفَ يَسُوعُ وَنَادَاهُمَا وَقَالَ: «مَاذَا تُرِيدَانِ أَنْ أَفْعَلَ بِكُمَا؟». ٣٢ 32
৩২তখন যীশু থেমে, তাদের ডাকলেন, “আর বললেন, তোমরা কি চাও? আমি তোমাদের জন্য কি করব?”
قَالَا لَهُ: «يَا سَيِّدُ، أَنْ تَنْفَتِحَ أَعْيُنُنَا!». ٣٣ 33
৩৩তারা তাঁকে বলল, “প্রভু, আমাদের চোখ যেন ঠিক হয়ে যায়।”
فَتَحَنَّنَ يَسُوعُ وَلَمَسَ أَعْيُنَهُمَا، فَلِلْوَقْتِ أَبْصَرَتْ أَعْيُنُهُمَا فَتَبِعَاهُ. ٣٤ 34
৩৪তখন যীশুর করুণা হল এবং তিনি তাদের চোখ স্পর্শ করলেন, আর তখনই তারা দেখতে পেল ও তাঁর পেছন পেছন চলল।

< مَتَّى 20 >