< مَتَّى 16 >
وَجَاءَ إِلَيْهِ ٱلْفَرِّيسِيُّونَ وَٱلصَّدُّوقِيُّونَ لِيُجَرِّبُوهُ، فَسَأَلُوهُ أَنْ يُرِيَهُمْ آيَةً مِنَ ٱلسَّمَاءِ. | ١ 1 |
ফরিশী ও সদ্দূকীরা যীশুর কাছে এসে পরীক্ষা করার জন্য তাঁকে বলল যেন তিনি আকাশ থেকে তাদের কোনো চিহ্ন দেখান।
فَأَجَابَ وَقَالَ لَهُمْ: «إِذَا كَانَ ٱلْمَسَاءُ قُلْتُمْ: صَحْوٌ لِأَنَّ ٱلسَّمَاءَ مُحْمَرَّةٌ. | ٢ 2 |
তিনি উত্তর দিলেন, “যখন সন্ধ্যা আসে, তোমরা বলো, ‘আবহাওয়া মনোরম হবে, কারণ আকাশ লাল হয়েছে,’ আবার সকালবেলায় বলো,
وَفِي ٱلصَّبَاحِ: ٱلْيَوْمَ شِتَاءٌ لِأَنَّ ٱلسَّمَاءَ مُحْمَرَّةٌ بِعُبُوسَةٍ.يَا مُرَاؤُونَ! تَعْرِفُونَ أَنْ تُمَيِّزُوا وَجْهَ ٱلسَّمَاءِ، وَأَمَّا عَلَامَاتُ ٱلْأَزْمِنَةِ فَلَا تَسْتَطِيعُونَ! | ٣ 3 |
‘আজ ঝড় হবে, কারণ আকাশ লাল ও মেঘাচ্ছন্ন হয়েছে।’ তোমরা আকাশের অবস্থা দেখে আবহাওয়ার ব্যাখ্যা করতে পারো, কিন্তু সময়ের চিহ্ন ব্যাখ্যা করতে পারো না।
جِيلٌ شِرِّيرٌ فَاسِقٌ يَلْتَمِسُ آيَةً، وَلَا تُعْطَى لَهُ آيَةٌ إِلَّا آيَةَ يُونَانَ ٱلنَّبِيِّ». ثُمَّ تَرَكَهُمْ وَمَضَى. | ٤ 4 |
এক দুষ্ট ও ব্যভিচারী প্রজন্ম অলৌকিক চিহ্ন খোঁজে কিন্তু যোনার চিহ্ন ছাড়া আর কিছুই তাদের দেওয়া হবে না।” তখন যীশু তাদের ছেড়ে চলে গেলেন।
وَلَمَّا جَاءَ تَلَامِيذُهُ إِلَى ٱلْعَبْرِ نَسُوا أَنْ يَأْخُذُوا خُبْزًا. | ٥ 5 |
তারা যখন সাগরের অপর পারে গেলেন, শিষ্যেরা রুটি সঙ্গে নিতে ভুলে গিয়েছিলেন।
وَقَالَ لَهُمْ يَسُوعُ: «ٱنْظُرُوا، وَتَحَرَّزُوا مِنْ خَمِيرِ ٱلْفَرِّيسِيِّينَ وَٱلصَّدُّوقِيِّينَ». | ٦ 6 |
যীশু তাদের বললেন, “সতর্ক হও, ফরিশী ও সদ্দূকীদের খামির থেকে তোমরা সাবধান থেকো।”
فَفَكَّرُوا فِي أَنْفُسِهِمْ قَائِلِينَ: «إِنَّنَا لَمْ نَأْخُذْ خُبْزًا». | ٧ 7 |
তারা নিজেদের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা করে বললেন, “আমরা রুটি আনিনি বলেই তিনি এরকম বলছেন।”
فَعَلِمَ يَسُوعُ وَقَالَ لَهُمْ: «لِمَاذَا تُفَكِّرُونَ فِي أَنْفُسِكُمْ يا قَلِيلِي ٱلْإِيمَانِ أَنَّكُمْ لَمْ تَأْخُذُوا خُبْزًا؟ | ٨ 8 |
তাদের আলোচনা বুঝতে পেরে যীশু জিজ্ঞাসা করলেন, “অল্পবিশ্বাসী তোমরা, রুটি নেই বলে কেন নিজেদের মধ্যে বিতর্ক করছ?
أَحَتَّى ٱلْآنَ لَا تَفْهَمُونَ؟ وَلَا تَذْكُرُونَ خَمْسَ خُبْزَاتِ ٱلْخَمْسَةِ ٱلْآلَافِ وَكَمْ قُفَّةً أَخَذْتُمْ؟ | ٩ 9 |
তোমরা কি এখনও বুঝতে পারোনি? তোমাদের কি পাঁচটি রুটি ও পাঁচ হাজার মানুষের কথা মনে পড়ে না, তখন কত ঝুড়ি উদ্বৃত্ত তোমরা তুলে নিয়েছিলে?
وَلَا سَبْعَ خُبْزَاتِ ٱلْأَرْبَعَةِ ٱلْآلَافِ وَكَمْ سَلًّا أَخَذْتُمْ؟ | ١٠ 10 |
কিংবা সেই সাতটি রুটি ও চার হাজার মানুষ, কত ঝুড়ি তোমরা সংগ্রহ করেছিলে?
كَيْفَ لَا تَفْهَمُونَ أَنِّي لَيْسَ عَنِ ٱلْخُبْزِ قُلْتُ لَكُمْ أَنْ تَتَحَرَّزُوا مِنْ خَمِيرِ ٱلْفَرِّيسِيِّينَ وَٱلصَّدُّوقِيِّينَ؟». | ١١ 11 |
আমি যে তোমাদের রুটির কথা বলিনি তা তোমরা বুঝতে পারোনি? তোমরা ফরিশী ও সদ্দূকীদের খামির থেকে সাবধান থেকো।”
حِينَئِذٍ فَهِمُوا أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ أَنْ يَتَحَرَّزُوا مِنْ خَمِيرِ ٱلْخُبْزِ، بَلْ مِنْ تَعْلِيمِ ٱلْفَرِّيسِيِّينَ وَٱلصَّدُّوقِيِّينَ. | ١٢ 12 |
তখন তারা বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাদের রুটিতে ব্যবহৃত খামির থেকে সতর্ক থাকতে বলেননি, কিন্তু ফরিশী ও সদ্দূকীদের দেওয়া শিক্ষা থেকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
وَلَمَّا جَاءَ يَسُوعُ إِلَى نَوَاحِي قَيْصَرِيَّةِ فِيلُبُّسَ سَأَلَ تَلَامِيذَهُ قَائِلًا: «مَنْ يَقُولُ ٱلنَّاسُ إِنِّي أَنَا ٱبْنُ ٱلْإِنْسَانِ؟». | ١٣ 13 |
যীশু যখন কৈসরিয়া-ফিলিপী অঞ্চলে এলেন, তিনি তাঁর শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করলেন, “মনুষ্যপুত্র কে, এ সম্বন্ধে লোকে কী বলে?”
فَقَالُوا: «قَوْمٌ: يُوحَنَّا ٱلْمَعْمَدَانُ، وَآخَرُونَ: إِيلِيَّا، وَآخَرُونَ: إِرْمِيَا أَوْ وَاحِدٌ مِنَ ٱلْأَنْبِيَاءِ». | ١٤ 14 |
তাঁরা উত্তর দিলেন, “কেউ কেউ বলে আপনি বাপ্তিষ্মদাতা যোহন; অন্যেরা বলে এলিয়; আর কেউ কেউ বলে, যিরমিয় বা ভাববাদীদের মধ্যে কোনও একজন।”
قَالَ لَهُمْ: «وَأَنْتُمْ، مَنْ تَقُولُونَ إِنِّي أَنَا؟». | ١٥ 15 |
“কিন্তু তোমরা কী বলো?” তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কী বলো, আমি কে?”
فَأَجَابَ سِمْعَانُ بُطْرُسُ وَقَالَ: «أَنْتَ هُوَ ٱلْمَسِيحُ ٱبْنُ ٱللهِ ٱلْحَيِّ!». | ١٦ 16 |
শিমোন পিতর উত্তর দিলেন, “আপনি সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র।”
فَأجَابَ يَسُوعُ وَقَالَ لَهُ: «طُوبَى لَكَ يا سِمْعَانُ بْنَ يُونَا، إِنَّ لَحْمًا وَدَمًا لَمْ يُعْلِنْ لَكَ، لَكِنَّ أَبِي ٱلَّذِي فِي ٱلسَّمَاوَاتِ. | ١٧ 17 |
যীশু উত্তর দিলেন, “যোনার পুত্র শিমোন ধন্য তুমি, কারণ রক্তমাংসের কোনো মানুষ এ তোমার কাছে প্রকাশ করেনি, কিন্তু আমার স্বর্গস্থ পিতাই প্রকাশ করেছেন।
وَأَنَا أَقُولُ لَكَ أَيْضًا: أَنْتَ بُطْرُسُ، وَعَلَى هَذِهِ ٱلصَّخْرَةِ أَبْنِي كَنِيسَتِي، وَأَبْوَابُ ٱلْجَحِيمِ لَنْ تَقْوَى عَلَيْهَا. (Hadēs ) | ١٨ 18 |
আর আমি তোমাকে বলি, তুমি পিতর, আর আমি এই পাথরের উপরে আমার মণ্ডলী নির্মাণ করব। আর পাতালের দ্বারসকল এর বিপক্ষে জয়ী হতে পারবে না। (Hadēs )
وَأُعْطِيكَ مَفَاتِيحَ مَلَكُوتِ ٱلسَّمَاوَاتِ، فَكُلُّ مَا تَرْبِطُهُ عَلَى ٱلْأَرْضِ يَكُونُ مَرْبُوطًا فِي ٱلسَّمَاوَاتِ. وَكُلُّ مَا تَحُلُّهُ عَلَى ٱلْأَرْضِ يَكُونُ مَحْلُولًا فِي ٱلسَّمَاوَاتِ». | ١٩ 19 |
আমি তোমাকে স্বর্গরাজ্যের চাবি দেব; তোমরা পৃথিবীতে যা আবদ্ধ করবে তা স্বর্গেও আবদ্ধ হবে এবং পৃথিবীতে যা কিছু মুক্ত করবে তা স্বর্গেও মুক্ত হবে।”
حِينَئِذٍ أَوْصَى تَلَامِيذَهُ أَنْ لَا يَقُولُوا لِأَحَدٍ إِنَّهُ يَسُوعُ ٱلْمَسِيحُ. | ٢٠ 20 |
তারপর তিনি তাঁর শিষ্যদের সতর্ক করে বলে দিলেন, তিনি যে খ্রীষ্ট একথা তাঁরা যেন কাউকে না বলেন।
مِنْ ذَلِكَ ٱلْوَقْتِ ٱبْتَدَأَ يَسُوعُ يُظْهِرُ لِتَلَامِيذِهِ أَنَّهُ يَنْبَغِي أَنْ يَذْهَبَ إِلَى أُورُشَلِيمَ وَيَتَأَلَّمَ كَثِيرًا مِنَ ٱلشُّيُوخِ وَرُؤَسَاءِ ٱلْكَهَنَةِ وَٱلْكَتَبَةِ، وَيُقْتَلَ، وَفِي ٱلْيَوْمِ ٱلثَّالِثِ يَقُومَ. | ٢١ 21 |
সেই সময় থেকে যীশু তাঁর শিষ্যদের কাছে স্পষ্টরূপে বলতে লাগলেন যে, তাঁকে অবশ্যই জেরুশালেমে যেতে হবে। সেখানে তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে দুঃখভোগ করতে হবে; প্রাচীনবর্গ, মহাযাজকবৃন্দ ও শাস্ত্রবিদরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবে। তাঁকে হত্যা করা হবে এবং তৃতীয় দিনে তাঁর পুনরুত্থান হবে।
فَأَخَذَهُ بُطْرُسُ إِلَيْهِ وَٱبْتَدَأَ يَنْتَهِرُهُ قَائِلًا: «حَاشَاكَ يَارَبُّ! لَا يَكُونُ لَكَ هَذَا!». | ٢٢ 22 |
পিতর তাঁকে এক পাশে নিয়ে গিয়ে অনুযোগ করে বললেন, “প্রভু, তা নয়! এরকম আপনার প্রতি কখনও ঘটবে না!”
فَٱلْتَفَتَ وَقَالَ لِبُطْرُسَ: «ٱذْهَبْ عَنِّي يَاشَيْطَانُ! أَنْتَ مَعْثَرَةٌ لِي، لِأَنَّكَ لَا تَهْتَمُّ بِمَا لِلهِ لَكِنْ بِمَا لِلنَّاسِ». | ٢٣ 23 |
যীশু ফিরে পিতরকে বললেন, “দূর হও শয়তান! তুমি আমার কাছে এক বাধাস্বরূপ; তোমার মনে ঈশ্বরের বিষয়গুলি নেই কেবল মানুষের বিষয়গুলিই আছে।”
حِينَئِذٍ قَالَ يَسُوعُ لِتَلَامِيذِهِ: «إِنْ أَرَادَ أَحَدٌ أَنْ يَأْتِيَ وَرَائِي فَلْيُنْكِرْ نَفْسَهُ وَيَحْمِلْ صَلِيبَهُ وَيَتْبَعْنِي، | ٢٤ 24 |
তারপর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “কেউ যদি আমাকে অনুসরণ করতে চায়, সে অবশ্যই নিজেকে অস্বীকার করবে, তার ক্রুশ তুলে নেবে ও আমাকে অনুসরণ করবে।
فَإِنَّ مَنْ أَرَادَ أَنْ يُخَلِّصَ نَفْسَهُ يُهْلِكُهَا، وَمَنْ يُهْلِكُ نَفْسَهُ مِنْ أَجْلِي يَجِدُهَا. | ٢٥ 25 |
কারণ যে কেউ তার প্রাণরক্ষা করতে চায় সে তা হারাবে, কিন্তু কেউ যদি আমার কারণে তার প্রাণ হারায় সে তা লাভ করবে।
لِأَنَّهُ مَاذَا يَنْتَفِعُ ٱلْإِنْسَانُ لَوْ رَبِحَ ٱلْعَالَمَ كُلَّهُ وَخَسِرَ نَفْسَهُ؟ أَوْ مَاذَا يُعْطِي ٱلْإِنْسَانُ فِدَاءً عَنْ نَفْسِهِ؟ | ٢٦ 26 |
কেউ যদি সমস্ত জগতের অধিকার লাভ করে ও তার নিজের প্রাণ হারায়, তাহলে তার কী লাভ হবে? কিংবা কোনো মানুষ তার প্রাণের বিনিময়ে আর কী দিতে পারে?
فَإِنَّ ٱبْنَ ٱلْإِنْسَانِ سَوْفَ يَأْتِي فِي مَجْدِ أَبِيهِ مَعَ مَلَائِكَتِهِ، وَحِينَئِذٍ يُجَازِي كُلَّ وَاحِدٍ حَسَبَ عَمَلِهِ. | ٢٧ 27 |
কারণ মনুষ্যপুত্র তাঁর দূতদের সঙ্গে নিয়ে নিজ পিতার মহিমায় ফিরে আসবেন, তখন তিনি প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কাজ অনুসারে ফল দেবেন।
اَلْحَقَّ أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّ مِنَ ٱلْقِيَامِ هَهُنَا قَوْمًا لَا يَذُوقُونَ ٱلْمَوْتَ حَتَّى يَرَوْا ٱبْنَ ٱلْإِنْسَانِ آتِيًا فِي مَلَكُوتِهِ». | ٢٨ 28 |
“আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ, যতদিন না মনুষ্যপুত্রকে তাঁর রাজ্যে আসতে দেখবে ততদিন পর্যন্ত মৃত্যুর আস্বাদ পাবে না।”