< مَرْقُس 5 >

وَجَاءُوا إِلَى عَبْرِ ٱلْبَحْرِ إِلَى كُورَةِ ٱلْجَدَرِيِّينَ. ١ 1
পরে তাঁরা সমুদ্রের ওপারে গেরাসেনীদের দেশে পৌঁছালেন।
وَلَمَّا خَرَجَ مِنَ ٱلسَّفِينَةِ لِلْوَقْتِ ٱسْتَقْبَلَهُ مِنَ ٱلْقُبُورِ إِنْسَانٌ بِهِ رُوحٌ نَجِسٌ، ٢ 2
তিনি নৌকা থেকে বের হলেন তখনি একজন লোক কবরস্থান থেকে তাঁর সামনে আসলো, তাকে মন্দ আত্মায় পেয়েছিল।
كَانَ مَسْكَنُهُ فِي ٱلْقُبُورِ، وَلَمْ يَقْدِرْ أَحَدٌ أَنْ يَرْبِطَهُ وَلَا بِسَلَاسِلَ، ٣ 3
সে কবর স্থানে বাস করত এবং কেউ তাকে শিকল দিয়েও আর বেঁধে রাখতে পারত না।
لِأَنَّهُ قَدْ رُبِطَ كَثِيرًا بِقُيُودٍ وَسَلَاسِلَ فَقَطَّعَ ٱلسَّلَاسِلَ وَكَسَّرَ ٱلْقُيُودَ، فَلَمْ يَقْدِرْ أَحَدٌ أَنْ يُذَلِّلَهُ. ٤ 4
লোকে বার বার তাকে বেড়ি ও শিকল দিয়ে বাঁধত, কিন্তু সে শিকল ছিঁড়ে ফেলত এবং বেড়ি ভেঙে টুকরো টুকরো করত; কেউ তাকে সামলাতে পারত না।
وَكَانَ دَائِمًا لَيْلًا وَنَهَارًا فِي ٱلْجِبَالِ وَفِي ٱلْقُبُورِ، يَصِيحُ وَيُجَرِّحُ نَفْسَهُ بِٱلْحِجَارَةِ. ٥ 5
আর সে রাত দিন সবদিন কবরে কবরে ও পর্বতে পর্বতে চিৎকার করে বেড়াত এবং ধারালো পাথর দিয়ে নিজেই নিজের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করত।
فَلَمَّا رَأَى يَسُوعَ مِنْ بَعِيدٍ رَكَضَ وَسَجَدَ لَهُ، ٦ 6
সে দূর হতে যীশুকে দেখে দৌড়ে আসল এবং তাঁকে প্রণাম করল,
وَصَرَخَ بِصَوْتٍ عَظِيمٍ وَقَالَ: «مَا لِي وَلَكَ يَا يَسُوعُ ٱبْنَ ٱللهِ ٱلْعَلِيِّ؟ أَسْتَحْلِفُكَ بِٱللهِ أَنْ لَا تُعَذِّبَنِي!». ٧ 7
খুব জোরে চেঁচিয়ে সে বলল, হে যীশু, মহান সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের পুত্র, আপনার সঙ্গে আমার দরকার কি? আমি আপনাকে ঈশ্বরের দিব্যি দিয়ে বলছি, আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না।
لِأَنَّهُ قَالَ لَهُ: «ٱخْرُجْ مِنَ ٱلْإِنْسَانِ يَا أَيُّهَا ٱلرُّوحُ ٱلنَّجِسُ». ٨ 8
কারণ যীশু তাকে বলেছিলেন, হে মন্দ আত্মা, এই মানুষটির থেকে বের হয়ে যাও।
وَسَأَلَهُ: «مَا ٱسْمُكَ؟». فَأَجَابَ قَائِلًا: «ٱسْمِي لَجِئُونُ، لِأَنَّنَا كَثِيرُونَ». ٩ 9
তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার নাম কি? সে উত্তর দিল, আমার নাম বাহিনী, কারণ আমরা অনেকে আছি।
وَطَلَبَ إِلَيْهِ كَثِيرًا أَنْ لَا يُرْسِلَهُمْ إِلَى خَارِجِ ٱلْكُورَةِ. ١٠ 10
১০পরে সে অনেক কাকুতি মিনতি করল, যেন তিনি তাদের সেই এলাকা থেকে বের না করে দেন।
وَكَانَ هُنَاكَ عِنْدَ ٱلْجِبَالِ قَطِيعٌ كَبِيرٌ مِنَ ٱلْخَنَازِيرِ يَرْعَى، ١١ 11
১১সেই জায়গায় পাহাড়ের পাশে এক শূকরের পাল চরছিল।
فَطَلَبَ إِلَيْهِ كُلُّ ٱلشَّيَاطِينِ قَائِلِينَ: «أَرْسِلْنَا إِلَى ٱلْخَنَازِيرِ لِنَدْخُلَ فِيهَا». ١٢ 12
১২আর ভূতেরা মিনতি করে বলল, ঐ শূকর পালের মধ্যে ঢুকতে দিন এবং আমাদেরকে পাঠিয়ে দিন।
فَأَذِنَ لَهُمْ يَسُوعُ لِلْوَقْتِ. فَخَرَجَتِ ٱلْأَرْوَاحُ ٱلنَّجِسَةُ وَدَخَلَتْ فِي ٱلْخَنَازِيرِ، فَٱنْدَفَعَ ٱلْقَطِيعُ مِنْ عَلَى ٱلْجُرْفِ إِلَى ٱلْبَحْرِ. وَكَانَ نَحْوَ أَلْفَيْنِ، فَٱخْتَنَقَ فِي ٱلْبَحْرِ. ١٣ 13
১৩তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন। তখন সেই মন্দ আত্মারা বের হয়ে শূকরের পালের মধ্যে ঢুকলো; তাতে সেই শূকরপাল খুব জোরে দৌড়িয়ে ঢালু পাড় দিয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে ডুবে মরল। সেই পালে কমবেশি দুই হাজার শূকর ছিল।
وَأَمَّا رُعَاةُ ٱلْخَنَازِيرِ فَهَرَبُوا وَأَخْبَرُوا فِي ٱلْمَدِينَةِ وَفِي ٱلضِّيَاعِ. فَخَرَجُوا لِيَرَوْا مَا جَرَى. ١٤ 14
১৪যারা সেই শূকর গুলিকে চরাচ্ছিল, তারা পালিয়ে গিয়ে শহরে ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে সংবাদ দিল। তখন কি ঘটেছে, দেখবার জন্য লোকেরা আসলো;
وَجَاءُوا إِلَى يَسُوعَ فَنَظَرُوا ٱلْمَجْنُونَ ٱلَّذِي كَانَ فِيهِ ٱللَّجِئُونُ جَالِسًا وَلَابِسًا وَعَاقِلًا، فَخَافُوا. ١٥ 15
১৫তারা যীশুর কাছে আসলো এবং যখন দেখল যে লোকটা ভূতগ্রস্ত সেই লোকটা কাপড় চোপড় পরে সুস্থ মনে বসে আছে; তাতে তারা ভয় পেল।
فَحَدَّثَهُمُ ٱلَّذِينَ رَأَوْا كَيْفَ جَرَى لِلْمَجْنُونِ وَعَنِ ٱلْخَنَازِيرِ. ١٦ 16
১৬আর ঐ ভূতগ্রস্ত লোকটীর ও শূকর পালের ঘটনা যারা দেখেছিল, তারা লোকদেরকে সব বিষয় বলল।
فَٱبْتَدَأُوا يَطْلُبُونَ إِلَيْهِ أَنْ يَمْضِيَ مِنْ تُخُومِهِمْ. ١٧ 17
১৭যারা সেখানে এসেছিল তারা নিজেদের এলাকা থেকে চলে যেতে তাঁকে অনুরোধ করতে লাগল।
وَلَمَّا دَخَلَ ٱلسَّفِينَةَ طَلَبَ إِلَيْهِ ٱلَّذِي كَانَ مَجْنُونًا أَنْ يَكُونَ مَعَهُ، ١٨ 18
১৮পরে তিনি যখন নৌকায় উঠেছেন, এমন দিন সেই ভূতগ্রস্ত লোকটি এসে তাঁকে অনুরোধ করল, যেন তাঁর সঙ্গে যেতে পারে।
فَلَمْ يَدَعْهُ يَسُوعُ، بَلْ قَالَ لَهُ: «ٱذْهَبْ إِلَى بَيْتِكَ وَإِلَى أَهْلِكَ، وَأَخْبِرْهُمْ كَمْ صَنَعَ ٱلرَّبُّ بِكَ وَرَحِمَكَ». ١٩ 19
১৯কিন্তু তিনি তাকে অনুমতি দিলেন না, বরং বললেন, তুমি বাড়িতে তোমার আত্মীয়দের কাছে যাও এবং ঈশ্বর তোমার জন্য যে যে মহৎ কাজ করেছেন ও তোমার জন্য যে দয়া করেছেন, তা তাদেরকে গিয়ে বল।
فَمَضَى وَٱبْتَدَأَ يُنَادِي فِي ٱلْعَشْرِ ٱلْمُدُنِ كَمْ صَنَعَ بِهِ يَسُوعُ. فَتَعَجَّبَ ٱلْجَمِيعُ. ٢٠ 20
২০তখন সে চলে গেল, যীশু তার জন্য যে কত বড় কাজ করেছিলেন, তা দিকাপলিতে প্রচার করতে লাগল; তাতে সবাই আশ্চর্য্য হয়ে গেল।
وَلَمَّا ٱجْتَازَ يَسُوعُ فِي ٱلسَّفِينَةِ أَيْضًا إِلَى ٱلْعَبْرِ، ٱجْتَمَعَ إِلَيْهِ جَمْعٌ كَثِيرٌ، وَكَانَ عِنْدَ ٱلْبَحْرِ. ٢١ 21
২১পরে যীশু নৌকায় আবার পার হয়ে ওপর পারে আসলে তাঁর কাছে বহু মানুষের ভিড় হল; তখন তিনি সমুদ্রতীরে ছিলেন।
وَإِذَا وَاحِدٌ مِنْ رُؤَسَاءِ ٱلْمَجْمَعِ ٱسْمُهُ يَايِرُسُ جَاءَ. وَلَمَّا رَآهُ خَرَّ عِنْدَ قَدَمَيْهِ، ٢٢ 22
২২আর সমাজের মধ্য থেকে যায়ীর নামে একজন নেতা এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ে পড়লেন।
وَطَلَبَ إِلَيْهِ كَثِيرًا قَائِلًا: «ٱبْنَتِي ٱلصَّغِيرَةُ عَلَى آخِرِ نَسَمَةٍ. لَيْتَكَ تَأْتِي وَتَضَعُ يَدَكَ عَلَيْهَا لِتُشْفَى فَتَحْيَا!». ٢٣ 23
২৩এবং অনেক মিনতি করে বললেন, আমার মেয়েটী মরে যাওয়ার মত হয়েছে, আপনি এসে তার ওপরে আপনার হাত রাখুন, যেন সে সুস্থ হয়ে বেঁচে উঠে।
فَمَضَى مَعَهُ وَتَبِعَهُ جَمْعٌ كَثِيرٌ وَكَانُوا يَزْحَمُونَهُ. ٢٤ 24
২৪তখন তিনি তাঁর সঙ্গে গেলেন; তখন অনেক লোক তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছিল ও তাঁর চারপাশে ঠেলাঠেলি করছিল।
وَٱمْرَأَةٌ بِنَزْفِ دَمٍ مُنْذُ ٱثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً، ٢٥ 25
২৫আর একটি স্ত্রীলোক বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে ভুগছিল,
وَقَدْ تَأَلَّمَتْ كَثِيرًا مِنْ أَطِبَّاءَ كَثِيرِينَ، وَأَنْفَقَتْ كُلَّ مَا عِنْدَهَا وَلَمْ تَنْتَفِعْ شَيْئًا، بَلْ صَارَتْ إِلَى حَالٍ أَرْدَأَ. ٢٦ 26
২৬অনেক চিকিত্সকের মাধ্যমে বহু কষ্টভোগ করেছিল এবং তার যা টাকা ছিল সব ব্যয় করেও সুস্থতা পায়নি, বরং আরও অসুস্থ হয়েছিল।
لَمَّا سَمِعَتْ بِيَسُوعَ، جَاءَتْ فِي ٱلْجَمْعِ مِنْ وَرَاءُ، وَمَسَّتْ ثَوْبَهُ، ٢٧ 27
২৭সে যীশুর সমন্ধে শুনেছিল ভিড়ের মধ্যে যখন তিনি হাঁটছিলেন তখন তাঁর পিছন দিক থেকে এসে তাঁর কাপড় স্পর্শ করলো।
لِأَنَّهَا قَالَتْ: «إِنْ مَسَسْتُ وَلَوْ ثِيَابَهُ شُفِيتُ». ٢٨ 28
২৮কারণ সে বলল, আমি যদি কেবল ওনার কাপড় ছুঁতে পারি, তবেই সুস্থ হব।
فَلِلْوَقْتِ جَفَّ يَنْبُوعُ دَمِهَا، وَعَلِمَتْ فِي جِسْمِهَا أَنَّهَا قَدْ بَرِئَتْ مِنَ ٱلدَّاءِ. ٢٩ 29
২৯যখন সে ছুঁলো, তখনই তার রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে গেল এবং নিজের শরীর বুঝতে পারল যে ঐ যন্ত্রণাদায়ক রোগ হতে সে সুস্থ হয়েছে।
فَلِلْوَقْتِ ٱلْتَفَتَ يَسُوعُ بَيْنَ ٱلْجَمْعِ شَاعِرًا فِي نَفْسِهِ بِٱلْقُوَّةِ ٱلَّتِي خَرَجَتْ مِنْهُ، وَقَالَ: «مَنْ لَمَسَ ثِيَابِي؟». ٣٠ 30
৩০সঙ্গে সঙ্গে যীশু নিজে মনে জানতে পারলেন যে, তাঁর থেকে শক্তি বের হয়ে গেছে, তাই ভিড়ের মধ্যে মুখ ফিরিয়ে বললেন, কে আমার কাপড় ছুঁয়েছে?
فَقَالَ لَهُ تَلَامِيذُهُ: «أَنْتَ تَنْظُرُ ٱلْجَمْعَ يَزْحَمُكَ، وَتَقُولُ: مَنْ لَمَسَنِي؟». ٣١ 31
৩১তাঁর শিষ্যেরা বললেন, আপনি দেখেছেন, মানুষেরা ঠেলাঠেলি করে আপনার গায়ের ওপরে পড়ছে, আর আপনি বলছেন, কে আমাকে ছুঁলো?
وَكَانَ يَنْظُرُ حَوْلَهُ لِيَرَى ٱلَّتِي فَعَلَتْ هَذَا. ٣٢ 32
৩২কিন্তু কে এটা করেছিল, তাকে দেখবার জন্য তিনি চারদিকে দেখলেন।
وَأَمَّا ٱلْمَرْأَةُ فَجَاءَتْ وَهِيَ خَائِفَةٌ وَمُرْتَعِدَةٌ، عَالِمَةً بِمَا حَصَلَ لَهَا، فَخَرَّتْ وَقَالَتْ لَهُ ٱلْحَقَّ كُلَّهُ. ٣٣ 33
৩৩সেই স্ত্রীলোকটী জানত তার জন্য কি ঘটেছে, সে কারণে সে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে তাঁর সামনে এসে শুয়ে পড়ল এবং সব সত্যি ঘটনা তাঁকে বলল।
فَقَالَ لَهَا: «يَا ٱبْنَةُ، إِيمَانُكِ قَدْ شَفَاكِ، ٱذْهَبِي بِسَلَامٍ وَكُونِي صَحِيحَةً مِنْ دَائِكِ». ٣٤ 34
৩৪তখন তিনি তাকে বললেন, মেয়ে, তোমার বিশ্বাস তোমাকে সুস্থ করল। শান্তিতে চলে যাও এবং স্বাস্থ্যবান হও ও তোমার রোগ হতে উদ্ধার কর।
وَبَيْنَمَا هُوَ يَتَكَلَّمُ جَاءُوا مِنْ دَارِ رَئِيسِ ٱلْمَجْمَعِ قَائِلِينَ: «ٱبْنَتُكَ مَاتَتْ. لِمَاذَا تُتْعِبُ ٱلْمُعَلِّمَ بَعْدُ؟». ٣٥ 35
৩৫তিনি যখন এই কথা তাকে বলছেন, এমন দিন সমাজঘরের নেতা যায়ীরের বাড়ি থেকে লোক এসে তাঁকে বলল, আপনার মেয়ে মারা গেছে। গুরুকে আর কেন জ্বালাতন করছ?
فَسَمِعَ يَسُوعُ لِوَقْتِهِ ٱلْكَلِمَةَ ٱلَّتِي قِيلَتْ، فَقَالَ لِرَئِيسِ ٱلْمَجْمَعِ: «لَا تَخَفْ! آمِنْ فَقَطْ». ٣٦ 36
৩৬কিন্তু যীশু তাদের কথা শুনতে পেয়ে সমাজঘরের নেতাকে বললেন, ভয় করো না, শুধুমাত্র বিশ্বাস কর।
وَلَمْ يَدَعْ أَحَدًا يَتْبَعُهُ إِلَّا بُطْرُسَ وَيَعْقُوبَ، وَيُوحَنَّا أَخَا يَعْقُوبَ. ٣٧ 37
৩৭আর তিনি পিতর, যাকোব এবং যাকোবের ভাই যোহন, এই তিনজন ছাড়া আর কাউকে নিজের সঙ্গে যেতে দিলেন না।
فَجَاءَ إِلَى بَيْتِ رَئِيسِ ٱلْمَجْمَعِ وَرَأَى ضَجِيجًا. يَبْكُونَ وَيُوَلْوِلُونَ كَثِيرًا. ٣٨ 38
৩৮পরে তাঁরা সমাজের নেতার বাড়িতে আসলেন, আর তিনি দেখলেন, সেখানে অনেকে মন খারাপ করে বসে আছে এবং লোকেরা খুব চিত্কার করে কাঁদছে ও বিলাপ করছে।
فَدَخَلَ وَقَالَ لَهُمْ: «لِمَاذَا تَضِجُّونَ وَتَبْكُونَ؟ لَمْ تَمُتِ ٱلصَّبِيَّةُ لَكِنَّهَا نَائِمَةٌ». ٣٩ 39
৩৯তিনি ভিতরে গিয়ে তাদেরকে বললেন, তোমরা চিত্কার করে কাঁদছ কেন? মেয়েটি তো মরে যায় নি, ঘুমিয়ে রয়েছে।
فَضَحِكُوا عَلَيْهِ. أَمَّا هُوَ فَأَخْرَجَ ٱلْجَمِيعَ، وَأَخَذَ أَبَا ٱلصَّبِيَّةِ وَأُمَّهَا وَٱلَّذِينَ مَعَهُ وَدَخَلَ حَيْثُ كَانَتِ ٱلصَّبِيَّةُ مُضْطَجِعَةً، ٤٠ 40
৪০তখন তারা তাঁকে ঠাট্টা করল; কিন্তু তিনি সবাইকে বের করে দিয়ে, মেয়েটির বাবা ও মাকে এবং নিজের শিষ্যদের নিয়ে, যেখানে মেয়েটি ছিল সেই ঘরের ভিতরে গেলেন।
وَأَمْسَكَ بِيَدِ ٱلصَّبِيَّةِ وَقَالَ لَهَا: «طَلِيثَا، قُومِي!». ٱلَّذِي تَفْسِيرُهُ: يَا صَبِيَّةُ، لَكِ أَقُولُ: قُومِي! ٤١ 41
৪১পরে তিনি মেয়েটির হাত ধরে তাকে বললেন, টালিথা কুমী; অনুবাদ করলে এর মানে হয়, খুকুমনি, তোমাকে বলছি, ওঠ।
وَلِلْوَقْتِ قَامَتِ ٱلصَّبِيَّةُ وَمَشَتْ، لِأَنَّهَا كَانَتِ ٱبْنَةَ ٱثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً. فَبُهِتُوا بَهْتًا عَظِيمًا. ٤٢ 42
৪২সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি তখনি উঠে বেড়াতে লাগল, কারণ তার বয়স বারো বছর ছিল। এতে তারা খুব অবাক ও বিস্মিত হল।
فَأَوْصَاهُمْ كَثِيرًا أَنْ لَا يَعْلَمَ أَحَدٌ بِذَلِكَ. وَقَالَ أَنْ تُعْطَى لِتَأْكُلَ. ٤٣ 43
৪৩পরে তিনি তাদেরকে কড়া আজ্ঞা দিলেন, যেন কেউ এটা জানতে না পারে, আর তিনি মেয়েটিকে কিছু খাবার দেবার জন্য বললেন।

< مَرْقُس 5 >