< لُوقا 22 >

وَقَرُبَ عِيدُ ٱلْفَطِيرِ، ٱلَّذِي يُقَالُ لَهُ ٱلْفِصْحُ. ١ 1
তখন খামিরহীন রুটির পর্ব, যাকে নিস্তারপর্ব্ব বলে, কাছাকাছি ছিল;
وَكَانَ رُؤَسَاءُ ٱلْكَهَنَةِ وَٱلْكَتَبَةُ يَطْلُبُونَ كَيْفَ يَقْتُلُونَهُ، لِأَنَّهُمْ خَافُوا ٱلشَّعْبَ. ٢ 2
আর প্রধান যাজকেরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকেরা কীভাবে তাঁকে হত্যা করতে পারে, তারই চেষ্টা করছিল, কারণ তারা লোকদের ভয় করত।
فَدَخَلَ ٱلشَّيْطَانُ فِي يَهُوذَا ٱلَّذِي يُدْعَى ٱلْإِسْخَرْيُوطِيَّ، وَهُوَ مِنْ جُمْلَةِ ٱلِٱثْنَيْ عَشَرَ. ٣ 3
আর শয়তান ঈষ্করিয়োতীয় নামে যিহূদার ভিতরে প্রবেশ করল, এ সেই বারো জনের একজন।
فَمَضَى وَتَكَلَّمَ مَعَ رُؤَسَاءِ ٱلْكَهَنَةِ وَقُوَّادِ ٱلْجُنْدِ كَيْفَ يُسَلِّمُهُ إِلَيْهِمْ. ٤ 4
তখন সে গিয়ে প্রধান যাজকদের ও সেনাপতিদের সাথে কথাবার্তা বলল, কীভাবে তাঁকে তাদের হাতে সমর্পণ করতে পারবে।
فَفَرِحُوا وَعَاهَدُوهُ أَنْ يُعْطُوهُ فِضَّةً. ٥ 5
তখন তারা আনন্দিত হল ও তাকে টাকা দিতে প্রতিজ্ঞা করল। তাতে সে রাজি হল এবং
فَوَاعَدَهُمْ. وَكَانَ يَطْلُبُ فُرْصَةً لِيُسَلِّمَهُ إِلَيْهِمْ خِلْوًا مِنْ جَمْعٍ. ٦ 6
জনতার নজরের বাইরে তাঁকে ধরিয়ে দেবার সুযোগ খুঁজতে লাগল।
وَجَاءَ يَوْمُ ٱلْفَطِيرِ ٱلَّذِي كَانَ يَنْبَغِي أَنْ يُذْبَحَ فِيهِ ٱلْفِصْحُ. ٧ 7
পরে খামিরহীন রুটির দিন, অর্থাৎ যে দিন নিস্তারপর্ব্বের মেষশাবক বলি দিতে হত, সেই দিন আসল।
فَأَرْسَلَ بُطْرُسَ وَيُوحَنَّا قَائِلًا: «ٱذْهَبَا وَأَعِدَّا لَنَا ٱلْفِصْحَ لِنَأْكُلَ». ٨ 8
তখন তিনি পিতর ও যোহনকে পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, তোমরা গিয়ে নিস্তারপর্ব্বের ভোজ প্রস্তুত কর, আমরা ভোজন করব।
فَقَالَا لَهُ: «أَيْنَ تُرِيدُ أَنْ نُعِدَّ؟». ٩ 9
তারা বললেন, কোথায় প্রস্তুত করব?
فَقَالَ لَهُمَا: «إِذَا دَخَلْتُمَا ٱلْمَدِينَةَ يَسْتَقْبِلُكُمَا إِنْسَانٌ حَامِلٌ جَرَّةَ مَاءٍ. اِتْبَعَاهُ إِلَى ٱلْبَيْتِ حَيْثُ يَدْخُلُ، ١٠ 10
১০আপনার ইচ্ছা কি? তিনি তাদেরকে বললেন, দেখ, তোমরা সবাই শহরে ঢুকলে এমন একজন লোকের দেখা পাবে, যে একটা কলসিতে করে জল নিয়ে যাচ্ছে; তোমরা তার পেছনে পেছনে যেও; সে যে বাড়িতে ঢুকবে।
وَقُولَا لِرَبِّ ٱلْبَيْتِ: يَقُولُ لَكَ ٱلْمُعَلِّمُ: أَيْنَ ٱلْمَنْزِلُ حَيْثُ آكُلُ ٱلْفِصْحَ مَعَ تَلَامِيذِي؟ ١١ 11
১১আর সেই বাড়ির মালিককে বোলো, গুরু বলেছেন, যেখানে আমি আমার শিষ্যদের সঙ্গে নিস্তারপর্ব্বের ভোজ খেতে পারি, আমার সেই অতিথিশালা কোথায়?
فَذَاكَ يُرِيكُمَا عِلِّيَّةً كَبِيرَةً مَفْرُوشَةً. هُنَاكَ أَعِدَّا». ١٢ 12
১২তাতে সে তোমাদের সাজানো একটি ওপরের বড় ঘর দেখিয়ে দেবে;
فَٱنْطَلَقَا وَوَجَدَا كَمَا قَالَ لَهُمَا، فَأَعَدَّا ٱلْفِصْحَ. ١٣ 13
১৩সেই জায়গায় প্রস্তুত কর। তারা গিয়ে, তিনি যেরকম বলেছিলেন, সেরকম দেখতে পেলেন; পরে তাঁরা নিস্তারপর্ব্বের ভোজ তৈরী করলেন।
وَلَمَّا كَانَتِ ٱلسَّاعَةُ ٱتَّكَأَ وَٱلِٱثْنَا عَشَرَ رَسُولًا مَعَهُ، ١٤ 14
১৪পরে দিন হলে তিনি ও প্রেরিতরা একসঙ্গে ভোজে অংশগ্রহণ করলেন।
وَقَالَ لَهُمْ: «شَهْوَةً ٱشْتَهَيْتُ أَنْ آكُلَ هَذَا ٱلْفِصْحَ مَعَكُمْ قَبْلَ أَنْ أَتَأَلَّمَ، ١٥ 15
১৫তখন তিনি তাদের বললেন, আমার দুঃখভোগের আগে তোমাদের সাথে আমি এই নিস্তারপর্ব্বের ভোজ ভোজন করতে আমি খুব ইচ্ছা করছি;
لِأَنِّي أَقُولُ لَكُمْ: إِنِّي لَا آكُلُ مِنْهُ بَعْدُ حَتَّى يُكْمَلَ فِي مَلَكُوتِ ٱللهِ». ١٦ 16
১৬কারণ আমি তোমাদের বলছি, যে পর্যন্ত ঈশ্বরের রাজ্যে এ পূর্ণ না হয়, সেই পর্যন্ত আমি এ আর ভোজন করব না।
ثُمَّ تَنَاوَلَ كَأْسًا وَشَكَرَ وَقَالَ: «خُذُوا هَذِهِ وَٱقْتَسِمُوهَا بَيْنَكُمْ، ١٧ 17
১৭পরে তিনি পানপাত্র নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে বললেন, এটা নাও এবং নিজেদের মধ্যে ভাগ কর;
لِأَنِّي أَقُولُ لَكُمْ: إِنِّي لَا أَشْرَبُ مِنْ نِتَاجِ ٱلْكَرْمَةِ حَتَّى يَأْتِيَ مَلَكُوتُ ٱللهِ». ١٨ 18
১৮কারণ আমি তোমাদের বলছি, যে পর্যন্ত ঈশ্বরের রাজ্যের আগমন না হয়, এখন থেকে সেই পর্যন্ত আমি আঙ্গুর ফলের রস পান করব না।
وَأَخَذَ خُبْزًا وَشَكَرَ وَكَسَّرَ وَأَعْطَاهُمْ قَائِلًا: «هَذَا هُوَ جَسَدِي ٱلَّذِي يُبْذَلُ عَنْكُمْ. اِصْنَعُوا هَذَا لِذِكْرِي». ١٩ 19
১৯পরে তিনি রুটী নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে ভাঙলেন এবং তাদেরকে দিলেন, আর বললেন, “এটা আমার শরীর যেটা তোমাদের দেওয়া হয়েছে। এটি আমার স্মরণে কর।
وَكَذَلِكَ ٱلْكَأْسَ أَيْضًا بَعْدَ ٱلْعَشَاءِ قَائِلًا: «هَذِهِ ٱلْكَأْسُ هِيَ ٱلْعَهْدُ ٱلْجَدِيدُ بِدَمِي ٱلَّذِي يُسْفَكُ عَنْكُمْ. ٢٠ 20
২০আর সেইভাবে তিনি খাওয়ার পর পানপাত্রও নিয়ে বললেন, এই পানপাত্র আমার রক্তের নতুন নিয়ম, যে রক্ত তোমাদের জন্য বাহিত হয়।
وَلَكِنْ هُوَذَا يَدُ ٱلَّذِي يُسَلِّمُنِي هِيَ مَعِي عَلَى ٱلْمَائِدَةِ. ٢١ 21
২১কিন্তু দেখ, যে ব্যক্তি আমাকে সমর্পণ করছে, তার হাত আমার সঙ্গে টেবিলের উপরে রয়েছে।
وَٱبْنُ ٱلْإِنْسَانِ مَاضٍ كَمَا هُوَ مَحْتُومٌ، وَلَكِنْ وَيْلٌ لِذَلِكَ ٱلْإِنْسَانِ ٱلَّذِي يُسَلِّمُهُ!». ٢٢ 22
২২কারণ যেমন নির্ধারিত হয়েছে সেই অনুসারেই মনুষ্যপুত্র যাচ্ছেন, কিন্তু ধিক সেই ব্যক্তিকে, যার মাধ্যমে তিনি সমর্পিত হন।”
فَٱبْتَدَأُوا يَتَسَاءَلُونَ فِيمَا بَيْنَهُمْ: «مَنْ تَرَى مِنْهُمْ هُوَ ٱلْمُزْمِعُ أَنْ يَفْعَلَ هَذَا؟». ٢٣ 23
২৩তখন্ তারা একে অপরকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন, “তবে আমাদের মধ্যে এ কাজ কে করবে?”
وَكَانَتْ بَيْنَهُمْ أَيْضًا مُشَاجَرَةٌ مَنْ مِنْهُمْ يُظَنُّ أَنَّهُ يَكُونُ أَكْبَرَ. ٢٤ 24
২৪আর তাদের মধ্যে এই নিয়ে তর্ক শুরু হল যে, তাদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ বলে গণ্য।
فَقَالَ لَهُمْ: «مُلُوكُ ٱلْأُمَمِ يَسُودُونَهُمْ، وَٱلْمُتَسَلِّطُونَ عَلَيْهِمْ يُدْعَوْنَ مُحْسِنِينَ. ٢٥ 25
২৫কিন্তু তিনি তাদের বললেন, অইহূদিদের রাজারাই তাদের উপরে প্রভুত্ব করে এবং তাদের উপর যার কর্তৃত্ব থাকে তাকে সম্মানীয় শাসক বলে।
وَأَمَّا أَنْتُمْ فَلَيْسَ هَكَذَا، بَلِ ٱلْكَبِيرُ فِيكُمْ لِيَكُنْ كَٱلْأَصْغَرِ، وَٱلْمُتَقَدِّمُ كَٱلْخَادِمِ. ٢٦ 26
২৬কিন্তু তোমরা সেই রকম হয়ো না; বরং তোমাদের মধ্যে যে শ্রেষ্ঠ, সে ছোটোর মত হোক; এবং যে প্রধান, সে দাসের মত হোক।
لِأَنْ مَنْ هُوَ أَكْبَرُ: أَلَّذِي يَتَّكِئُ أَمِ ٱلَّذِي يَخْدُمُ؟ أَلَيْسَ ٱلَّذِي يَتَّكِئُ؟ وَلَكِنِّي أَنَا بَيْنَكُمْ كَٱلَّذِي يَخْدُمُ. ٢٧ 27
২৭কারণ, কে শ্রেষ্ঠ? যে ভোজনে বসে, না পরিবেশন করে? যে ভোজনে বসে সেই কি না? কিন্তু আমি তোমাদের মধ্যে দাসের মত আছি।
أَنْتُمُ ٱلَّذِينَ ثَبَتُوا مَعِي فِي تَجَارِبِي، ٢٨ 28
২৮তোমরাই আমার সব পরীক্ষায় তো আমার সঙ্গে রয়েছ;
وَأَنَا أَجْعَلُ لَكُمْ كَمَا جَعَلَ لِي أَبِي مَلَكُوتًا، ٢٩ 29
২৯আর আমার পিতা যেমন আমার জন্য নির্ধারণ করেছেন, আমিও তেমনি তোমাদের জন্য এক রাজ্য নির্ধারণ করছি,
لِتَأْكُلُوا وَتَشْرَبُوا عَلَى مَائِدَتِي فِي مَلَكُوتِي، وَتَجْلِسُوا عَلَى كَرَاسِيَّ تَدِينُونَ أَسْبَاطَ إِسْرَائِيلَ ٱلِٱثْنَيْ عَشَرَ». ٣٠ 30
৩০যেন তোমরা আমার রাজ্যে আমার সঙ্গে ভোজন পান কর; আর তোমরা সিংহাসনে বসে ইস্রায়েলের বারো বংশের বিচার করবে।
وَقَالَ ٱلرَّبُّ: «سِمْعَانُ، سِمْعَانُ، هُوَذَا ٱلشَّيْطَانُ طَلَبَكُمْ لِكَيْ يُغَرْبِلَكُمْ كَٱلْحِنْطَةِ! ٣١ 31
৩১শিমোন, শিমোন, দেখ, গমের মত চেলে বের করার জন্য শয়তান তোমাদের নিজের বলে চেয়েছে;
وَلَكِنِّي طَلَبْتُ مِنْ أَجْلِكَ لِكَيْ لَا يَفْنَى إِيمَانُكَ. وَأَنْتَ مَتَى رَجَعْتَ ثَبِّتْ إِخْوَتَكَ». ٣٢ 32
৩২কিন্তু আমি তোমার জন্য প্রার্থনা করেছি, যেন তোমাদের বিশ্বাসে ভাঙ্গন না ধরে; আর তুমিও একবার ফিরলে পর তোমার ভাইদের সুস্থির করও।
فَقَالَ لَهُ: «يَارَبُّ، إِنِّي مُسْتَعِدٌّ أَنْ أَمْضِيَ مَعَكَ حَتَّى إِلَى ٱلسِّجْنِ وَإِلَى ٱلْمَوْتِ!». ٣٣ 33
৩৩তিনি তাকে বললেন, প্রভু, আপনার সঙ্গে আমি কারাগারে যেতে এবং মরতেও রাজি আছি।
فَقَالَ: «أَقُولُ لَكَ يَابُطْرُسُ: لَا يَصِيحُ ٱلدِّيكُ ٱلْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ تُنْكِرَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ أَنَّكَ تَعْرِفُنِي». ٣٤ 34
৩৪তিনি বললেন, পিতর আমি তোমাকে বলছি, যে পর্যন্ত তুমি আমাকে চেন না বলে তিনবার অস্বীকার করবে, সেই পর্যন্ত আজ মোরগ ডাকবে না।
ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: «حِينَ أَرْسَلْتُكُمْ بِلَا كِيسٍ وَلَا مِزْوَدٍ وَلَا أَحْذِيَةٍ، هَلْ أَعْوَزَكُمْ شَيْءٌ؟». فَقَالُوا: «لَا». ٣٥ 35
৩৫আর তিনি তাদের বললেন, আমি যখন থলি, ঝুলি ও জুতো ছাড়া তোমাদের পাঠিয়েছিলাম, তখন কি কিছুরই অভাব হয়েছিল? তারা বললেন কিছুই না।
فَقَالَ لَهُمْ: «لَكِنِ ٱلْآنَ، مَنْ لَهُ كِيسٌ فَلْيَأْخُذْهُ وَمِزْوَدٌ كَذَلِكَ. وَمَنْ لَيْسَ لَهُ فَلْيَبِعْ ثَوْبَهُ وَيَشْتَرِ سَيْفًا. ٣٦ 36
৩৬তখন তিনি তাদের বললেন, এখন যার থলি আছে, সে তা নিয়ে যাক, সেইভাবে ঝুলিও নিয়ে নিক; এবং যার নেই, সে নিজের পোষাক বিক্রি করে তলোয়ার কিনুক।
لِأَنِّي أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّهُ يَنْبَغِي أَنْ يَتِمَّ فِيَّ أَيْضًا هَذَا ٱلْمَكْتُوبُ: وَأُحْصِيَ مَعَ أَثَمَةٍ. لِأَنَّ مَا هُوَ مِنْ جِهَتِي لَهُ ٱنْقِضَاءٌ». ٣٧ 37
৩৭কারণ আমি তোমাদের বলছি, এই যে কথা শাস্ত্রে লেখা আছে, “আর তিনি অধার্মিকদের সঙ্গে গণ্য হলেন” তা আমাতে পূর্ণ হতে হবে; কারণ আমার বিষয়ে যা, তা পূর্ণ হচ্ছে।
فَقَالُوا: «يَارَبُّ، هُوَذَا هُنَا سَيْفَانِ». فَقَالَ لَهُمْ: «يَكْفِي!». ٣٨ 38
৩৮তখন তারা বললেন, প্রভু, দেখুন, দুটি তলোয়ার আছে। তিনি তাদের বললেন, এই যথেষ্ট।
وَخَرَجَ وَمَضَى كَٱلْعَادَةِ إِلَى جَبَلِ ٱلزَّيْتُونِ، وَتَبِعَهُ أَيْضًا تَلَامِيذُهُ. ٣٩ 39
৩৯পরে তিনি বাইরে এসে নিজের নিয়ম অনুসারে জৈতুন পর্বতে গেলেন এবং শিষ্যরাও তার পিছন পিছন গেলেন।
وَلَمَّا صَارَ إِلَى ٱلْمَكَانِ قَالَ لَهُمْ: «صَلُّوا لِكَيْ لَا تَدْخُلُوا فِي تَجْرِبَةٍ». ٤٠ 40
৪০সেই জায়গায় আসলে পর তিনি তাদের বললেন, তোমরা প্রার্থনা কর, যেন প্রলোভনে না পড়।
وَٱنْفَصَلَ عَنْهُمْ نَحْوَ رَمْيَةِ حَجَرٍ وَجَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَصَلَّى ٤١ 41
৪১পরে তিনি তাদের থেকে কিছু দূরে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে প্রার্থনা করতে লাগলেন, বললেন,
قَائِلًا: «يَا أَبَتَاهُ، إِنْ شِئْتَ أَنْ تُجِيزَ عَنِّي هَذِهِ ٱلْكَأْسَ. وَلَكِنْ لِتَكُنْ لَا إِرَادَتِي بَلْ إِرَادَتُكَ». ٤٢ 42
৪২পিতা যদি তোমার ইচ্ছা হয়, আমার থেকে এই দুঃখের পানপাত্র দূর কর; তবুও আমার ইচ্ছা নয়, তোমারই ইচ্ছা পূর্ণ হোক
وَظَهَرَ لَهُ مَلَاكٌ مِنَ ٱلسَّمَاءِ يُقَوِّيهِ. ٤٣ 43
৪৩তখন স্বর্গ থেকে এক দূত দেখা দিয়ে তাঁকে সবল করলেন।
وَإِذْ كَانَ فِي جِهَادٍ كَانَ يُصَلِّي بِأَشَدِّ لَجَاجَةٍ، وَصَارَ عَرَقُهُ كَقَطَرَاتِ دَمٍ نَازِلَةٍ عَلَى ٱلْأَرْضِ. ٤٤ 44
৪৪পরে তিনি করুন দুঃখে মগ্ন হয়ে আরো একমনে প্রার্থনা করলেন; আর তার ঘাম যেন রক্তের আকারে বড় বড় ফোঁটা হয়ে জমিতে পড়তে লাগল।
ثُمَّ قَامَ مِنَ ٱلصَّلَاةِ وَجَاءَ إِلَى تَلَامِيذِهِ، فَوَجَدَهُمْ نِيَامًا مِنَ ٱلْحُزْنِ. ٤٥ 45
৪৫পরে তিনি প্রার্থনা করে উঠলে পর শিষ্যদের কাছে এসে দেখলেন, তারা দুঃখের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছে,
فَقَالَ لَهُمْ: «لِمَاذَا أَنْتُمْ نِيَامٌ؟ قُومُوا وَصَلُّوا لِئَلَّا تَدْخُلُوا فِي تَجْرِبَةٍ». ٤٦ 46
৪৬আর তাদের বললেন, কেন ঘুমাচ্ছ? ওঠ, প্রার্থনা কর, যেন প্রলোভনে না পড়।
وَبَيْنَمَا هُوَ يَتَكَلَّمُ إِذَا جَمْعٌ، وَٱلَّذِي يُدْعَى يَهُوذَا، أَحَدُ ٱلِٱثْنَيْ عَشَرَ، يَتَقَدَّمُهُمْ، فَدَنَا مِنْ يَسُوعَ لِيُقَبِّلَهُ. ٤٧ 47
৪৭তিনি কথা বলছেন, এমন দিন দেখ, অনেক লোক এবং যার নাম যিহূদা সেই বারো জনের মধ্যে একজন সে তাদের আগে আগে আসছে; সে যীশুকে চুম্বন করবার জন্য তাঁর কাছে আসল।
فَقَالَ لَهُ يَسُوعُ: «يَا يَهُوذَا، أَبِقُبْلَةٍ تُسَلِّمُ ٱبْنَ ٱلْإِنْسَانِ؟». ٤٨ 48
৪৮কিন্তু যীশু তাকে বললেন, যিহূদা, চুম্বনের মাধ্যমে কি মনুষ্যপুত্রকে সমর্পণ করছ?
فَلَمَّا رَأَى ٱلَّذِينَ حَوْلَهُ مَا يَكُونُ، قَالُوا: «يَارَبُّ، أَنَضْرِبُ بِٱلسَّيْفِ؟». ٤٩ 49
৪৯তখন কি কি ঘটবে, তা দেখে যারা তাঁর কাছে ছিলেন, তারা বললেন, প্রভু আমরা কি তলোয়ারের আঘাত করব?
وَضَرَبَ وَاحِدٌ مِنْهُمْ عَبْدَ رَئِيسِ ٱلْكَهَنَةِ فَقَطَعَ أُذْنَهُ ٱلْيُمْنَى. ٥٠ 50
৫০আর তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার ডান কান কেটে ফেললেন।
فَأَجَابَ يَسُوعُ وقَالَ: «دَعُوا إِلَى هَذَا!». وَلَمَسَ أُذْنَهُ وَأَبْرَأَهَا. ٥١ 51
৫১কিন্তু যীশু উত্তরে বললেন, এই পর্যন্ত শান্ত হও। পরে তিনি তার কান স্পর্শ করে তাকে সুস্থ করলেন।
ثُمَّ قَالَ يَسُوعُ لِرُؤَسَاءِ ٱلْكَهَنَةِ وَقُوَّادِ جُنْدِ ٱلْهَيْكَلِ وَٱلشُّيُوخِ ٱلْمُقْبِلِينَ عَلَيْهِ: «كَأَنَّهُ عَلَى لِصٍّ خَرَجْتُمْ بِسُيُوفٍ وَعِصِيٍّ! ٥٢ 52
৫২আর তার বিরুদ্ধে যে প্রধান যাজকেরা, ধর্মগৃহের সেনাপতি ও প্রাচীনেরা এসেছিল, যীশু তাদের বললেন, লোকে “যেমন দস্যুর বিরুদ্ধে যায়, তেমনি খড়গ ও লাঠি নিয়ে কি তোমরা আসলে?
إِذْ كُنْتُ مَعَكُمْ كُلَّ يَوْمٍ فِي ٱلْهَيْكَلِ لَمْ تَمُدُّوا عَلَيَّ ٱلْأَيَادِيَ. وَلَكِنَّ هَذِهِ سَاعَتُكُمْ وَسُلْطَانُ ٱلظُّلْمَةِ». ٥٣ 53
৫৩আমি যখন প্রতিদিন ধর্মগৃহে তোমাদের সঙ্গে ছিলাম, তখন আমায় উপরে হাত রাখেনি; কিন্তু এই তোমাদের দিন এবং অন্ধকারের কর্তৃত্ব।”
فَأَخَذُوهُ وَسَاقُوهُ وَأَدْخَلُوهُ إِلَى بَيْتِ رَئِيسِ ٱلْكَهَنَةِ. وَأَمَّا بُطْرُسُ فَتَبِعَهُ مِنْ بَعِيدٍ. ٥٤ 54
৫৪পরে তারা তাঁকে ধরে নিয়ে গেল এবং মহাযাজকের বাড়িতে আনলো; আর পিতর দূরে থেকে পিছন পিছন চললেন।
وَلَمَّا أَضْرَمُوا نَارًا فِي وَسْطِ ٱلدَّارِ وَجَلَسُوا مَعًا، جَلَسَ بُطْرُسُ بَيْنَهُمْ. ٥٥ 55
৫৫পরে লোকেরা উঠোনের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে একসঙ্গে বসলে পিতর তাদের মধ্যে বসলেন।
فَرَأَتْهُ جَارِيَةٌ جَالِسًا عِنْدَ ٱلنَّارِ فَتَفَرَّسَتْ فِيهِ وَقَالَتْ: «وَهَذَا كَانَ مَعَهُ!». ٥٦ 56
৫৬তিনি সেই আলোর কাছে বসলে এক দাসী তাকে দেখে তার দিকে এক নজরে চেয়ে বলল, এ ব্যক্তি ওর সঙ্গে ছিল।
فَأَنْكَرَهُ قَائِلًا: «لَسْتُ أَعْرِفُهُ يَا ٱمْرَأَةُ!». ٥٧ 57
৫৭কিন্তু তিনি অস্বীকার করে বললেন, না, নারী! আমি ওকে চিনি না।
وَبَعْدَ قَلِيلٍ رَآهُ آخَرُ وَقَالَ: «وَأَنْتَ مِنْهُمْ!». فَقَالَ بُطْرُسُ: «يَا إِنْسَانُ، لَسْتُ أَنَا!». ٥٨ 58
৫৮একটু পরে আর একজন তাকে দেখে বলল, তুমিও তাদের একজন। পিতর বললেন, না, আমি নই।
وَلَمَّا مَضَى نَحْوُ سَاعَةٍ وَاحِدَةٍ أَكَّدَ آخَرُ قَائِلًا: «بِٱلْحَقِّ إِنَّ هَذَا أَيْضًا كَانَ مَعَهُ، لِأَنَّهُ جَلِيلِيٌّ أَيْضًا!». ٥٩ 59
৫৯ঘন্টাখানেক পরে আর একজন জোর দিয়ে বলল, সত্যি, এ ব্যক্তিও তাঁর সঙ্গে ছিল, কারণ এ গালীলীয় লোক।
فَقَالَ بُطْرُسُ: «يَا إِنْسَانُ، لَسْتُ أَعْرِفُ مَا تَقُولُ!». وَفِي ٱلْحَالِ بَيْنَمَا هُوَ يَتَكَلَّمُ صَاحَ ٱلدِّيكُ. ٦٠ 60
৬০তখন পিতর বললেন, দেখ, তুমি কি বলছ, আমি বুঝতে পারছি না। তিনি কথা বলছিলেন, আর অমনি মোরগ ডেকে উঠল।
فَٱلْتَفَتَ ٱلرَّبُّ وَنَظَرَ إِلَى بُطْرُسَ، فَتَذَكَّرَ بُطْرُسُ كَلَامَ ٱلرَّبِّ، كَيْفَ قَالَ لَهُ: «إِنَّكَ قَبْلَ أَنْ يَصِيحَ ٱلدِّيكُ تُنْكِرُنِي ثَلَاثَ مَرَّاتٍ». ٦١ 61
৬১আর প্রভু মুখ ফিরিয়ে পিতরের দিকে নজর দিলেন; তাতে প্রভু এই যে কথা বলেছিলেন, “আজ মোরগ ডাকবার আগে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।” তা পিতরের মনে পড়ল।
فَخَرَجَ بُطْرُسُ إِلَى خَارِجٍ وَبَكَى بُكَاءً مُرًّا. ٦٢ 62
৬২আর তিনি বাইরে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন।
وَٱلرِّجَالُ ٱلَّذِينَ كَانُوا ضَابِطِينَ يَسُوعَ كَانُوا يَسْتَهْزِئُونَ بِهِ وَهُمْ يَجْلِدُونَهُ، ٦٣ 63
৬৩আর যে লোকেরা যীশুকে ধরেছিল, তারা তাঁকে ঠাট্টা ও মারধর করতে শুরু করল।
وَغَطَّوْهُ وَكَانُوا يَضْرِبُونَ وَجْهَهُ وَيَسْأَلُونَهُ قَائِلِينَ: «تَنَبَّأْ! مَنْ هُوَ ٱلَّذِي ضَرَبَكَ؟». ٦٤ 64
৬৪আর তাঁর চোখ ঢেকে জিজ্ঞাসা করল, ভাববাণী বল দেখি, “কে তোকে মারলো?”
وَأَشْيَاءَ أُخَرَ كَثِيرَةً كَانُوا يَقُولُونَ عَلَيْهِ مُجَدِّفِينَ. ٦٥ 65
৬৫আর তারা ঈশ্বরনিন্দা করে তাঁর বিরুদ্ধে আরো অনেক কথা বলতে লাগল।
وَلَمَّا كَانَ ٱلنَّهَارُ ٱجْتَمَعَتْ مَشْيَخَةُ ٱلشَّعْبِ: رُؤَسَاءُ ٱلْكَهَنَةِ وَٱلْكَتَبَةُ، وَأَصْعَدُوهُ إِلَى مَجْمَعِهِمْ ٦٦ 66
৬৬যখন দিন হল, তখন লোকদের প্রাচীন নেতারা, প্রধান যাজকেরা ও ব্যবস্থার শিক্ষক একসঙ্গে মিলিত হল এবং নিজেদের সভার মধ্যে তাঁকে নিয়ে এসে বলল।
قَائِلِينَ: «إِنْ كُنْتَ أَنْتَ ٱلْمسِيحَ، فَقُلْ لَنَا!». فَقَالَ لَهُمْ: «إِنْ قُلْتُ لَكُمْ لَا تُصَدِّقُونَ، ٦٧ 67
৬৭তুমি যদি সেই খ্রীষ্ট হও, তবে আমাদের বল, তিনি তাদের বললেন, “যদি তোমাদের বলি, তোমরা বিশ্বাস করবে না;
وَإِنْ سَأَلْتُ لَا تُجِيبُونَنِي وَلَا تُطْلِقُونَنِي. ٦٨ 68
৬৮আর যদি তোমাদের জিজ্ঞাসা করি, কোনো উত্তর দেবে না;”
مُنْذُ ٱلْآنَ يَكُونُ ٱبْنُ ٱلْإِنْسَانِ جَالِسًا عَنْ يَمِينِ قُوَّةِ ٱللهِ». ٦٩ 69
৬৯কিন্তু এখন থেকে মনুষ্যপুত্র ঈশ্বরের শক্তির ডান পাশে বসে থাকবেন।
فَقَالَ ٱلْجَمِيعُ: «أَفَأَنْتَ ٱبْنُ ٱللهِ؟». فَقَالَ لَهُمْ: «أَنْتُمْ تَقُولُونَ إِنِّي أَنَا هُوَ». ٧٠ 70
৭০তখন সবাই বলল, তবে তুমি কি ঈশ্বরের পুত্র? তিনি তাদের বললেন, তোমরাই তো বলছ যে, “আমিই সেই।”
فَقَالُوا: «مَا حَاجَتُنَا بَعْدُ إِلَى شَهَادَةٍ؟ لِأَنَّنَا نَحْنُ سَمِعْنَا مِنْ فَمِهِ». ٧١ 71
৭১তখন তারা বলল, “আর সাক্ষ্যে আমাদের কি প্রয়োজন? আমরা নিজেরাই তো তাঁর মুখে শুনলাম।”

< لُوقا 22 >