< أَيُّوبَ 9 >

فَأَجَابَ أَيُّوبُ وَقَالَ: ١ 1
তারপর ইয়োব উত্তর দিলেন এবং বললেন,
«صَحِيحٌ. قَدْ عَلِمْتُ أَنَّهُ كَذَا، فَكَيْفَ يَتَبَرَّرُ ٱلْإِنْسَانُ عِنْدَ ٱللهِ؟ ٢ 2
বাস্তবিক, আমি জানি যে এটাই সত্যি। কিন্তু কি করে একজন লোক ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক হতে পারে?
إِنْ شَاءَ أَنْ يُحَاجَّهُ، لَا يُجِيبُهُ عَنْ وَاحِدٍ مِنْ أَلْفٍ. ٣ 3
যদি সে ঈশ্বরের সঙ্গে তর্ক করতে চায়, সে তাঁকে হাজার বারেও একবার উত্তর দিতে পারে না।
هُوَ حَكِيمُ ٱلْقَلْبِ وَشَدِيدُ ٱلْقُوَّةِ. مَنْ تَصَلَّبَ عَلَيْهِ فَسَلِمَ؟ ٤ 4
ঈশ্বর হৃদয়ে জ্ঞানী এবং বলশালী শক্তিতে; কে কবে তাঁর বিরুদ্ধে নিজেকে কঠিন করছে এবং সফল হয়েছে?
ٱلْمُزَحْزِحُ ٱلْجِبَالَ وَلَا تَعْلَمُ، ٱلَّذِي يَقْلِبُهَا فِي غَضَبِهِ. ٥ 5
তিনি যিনি পাহাড় সরিয়ে দেন কাউকে সাবধান না করেই, যখন তিনি তাঁর রাগে তাদের উল্টিয়ে ফেলেন,
ٱلْمُزَعْزِعُ ٱلْأَرْضَ مِنْ مَقَرِّهَا، فَتَتَزَلْزَلُ أَعْمِدَتُهَا. ٦ 6
তিনি যিনি পৃথিবীকে তার জায়গা থেকে নাড়ান এবং তার ভিত গুলো কাঁপান।
ٱلْآمِرُ ٱلشَّمْسَ فَلَا تُشْرِقُ، وَيَخْتِمُ عَلَى ٱلنُّجُومِ. ٧ 7
ইনি সেই একই ঈশ্বর যিনি সূর্যকে উঠতে বারণ করেন এবং তা ওঠেনি এবং যিনি তারাদের ঢেকে দিয়েছেন,
ٱلْبَاسِطُ ٱلسَّمَاوَاتِ وَحْدَهُ، وَٱلْمَاشِي عَلَى أَعَالِي ٱلْبَحْرِ. ٨ 8
যিনি নিজেই আকাশকে প্রসারিত করেন এবং যিনি সমুদ্রের ঢেউয়ের উপর হাঁটেন এবং তাদের শান্ত করেন,
صَانِعُ ٱلنَّعْشِ وَٱلْجَبَّارِ وَٱلثُّرَيَّا وَمَخَادِعِ ٱلْجَنُوبِ. ٩ 9
যিনি সপ্তর্ষিমণ্ডল, কালপুরুষ, কৃত্তিকা (নক্ষত্র বিশেষ) এবং দক্ষিণে নক্ষত্রপুঞ্জ বানিয়েছেন।
فَاعِلُ عَظَائِمَ لَا تُفْحَصُ، وَعَجَائِبَ لَا تُعَدُّ. ١٠ 10
১০ইনি সেই একই ঈশ্বর যিনি মহান কার্য ও ধারণাতীত কাজ করেছেন, সত্যিই, অসংখ্য আশ্চর্য্য কাজ করেছেন।
«هُوَذَا يَمُرُّ عَلَيَّ وَلَا أَرَاهُ، وَيَجْتَازُ فَلَا أَشْعُرُ بِهِ. ١١ 11
১১দেখ, তিনি আমার কাছ থেকে যান এবং আমি তাঁকে দেখতে পাই না; তিনি পাশ দিয়ে চলে যান, কিন্তু আমি উপলদ্ধি করতে পারি না।
إِذَا خَطَفَ فَمَنْ يَرُدُّهُ؟ وَمَنْ يَقُولُ لَهُ: مَاذَا تَفْعَلُ؟ ١٢ 12
১২যদি তিনি কোন ক্ষতিগ্রস্ত লোককে ধরেন, কে তাঁকে বারণ করবে? কে তাঁকে বলতে পারে, আপনি কি করছেন?
ٱللهُ لَا يَرُدُّ غَضَبَهُ. يَنْحَنِي تَحْتَهُ أَعْوَانُ رَهَبَ. ١٣ 13
১৩ঈশ্বর তাঁর রাগ ফিরিয়ে নেবেন না; রাহাবের সাহায্যকারীরা তাঁর সামনে নত হয়।
كَمْ بِٱلْأَقَلِّ أَنَا أُجَاوِبُهُ وَأَخْتَارُ كَلَامِي مَعَهُ؟ ١٤ 14
১৪আমি তাঁকে কত কম উত্তর দিতে পারি, আমি কেমন করে কথা বাছব তাঁর সঙ্গে তর্ক বিতর্ক করার জন্য?
لِأَنِّي وَإِنْ تَبَرَّرْتُ لَا أُجَاوِبُ، بَلْ أَسْتَرْحِمُ دَيَّانِي. ١٥ 15
১৫এমনকি যদিও আমি ধার্মিক হই, আমি তাঁকে উত্তর দিতে পারব না; আমি শুধু আমার বিচারকের কাছে দয়ার জন্য বিনতি করতে পারি।
لَوْ دَعَوْتُ فَٱسْتَجَابَ لِي، لَمَا آمَنْتُ بِأَنَّهُ سَمِعَ صَوْتِي. ١٦ 16
১৬এমনকি যদিও আমি ডাকি এবং তিনি আমায় উত্তর দেন, আমি বিশ্বাস করতে পারব না যে তিনি আমার কথা শুনছিলেন।
ذَاكَ ٱلَّذِي يَسْحَقُنِي بِٱلْعَاصِفَةِ، وَيُكْثِرُ جُرُوحِي بِلَا سَبَبٍ. ١٧ 17
১৭কারণ তিনি আমায় প্রচণ্ড ঝড়ে ভেঙে ফেলেন এবং অকারণে আমার ক্ষত বৃদ্ধি করেন।
لَا يَدَعُنِي آخُذُ نَفَسِي، وَلَكِنْ يُشْبِعُنِي مَرَائِرَ. ١٨ 18
১৮তিনি এমনকি আমায় শ্বাস নেওয়ারও অনুমতি দেননি; পরিবর্তে, তিনি আমায় তিক্ততায় পূর্ণ করেছেন।
إِنْ كَانَ مِنْ جِهَةِ قُوَّةِ ٱلْقَوِيِّ، يَقُولُ: هَأَنَذَا. وَإِنْ كَانَ مِنْ جِهَةِ ٱلْقَضَاءِ يَقُولُ: مَنْ يُحَاكِمُنِي؟ ١٩ 19
১৯যদি আমরা শক্তির কথা বলি, কেন, তিনি ক্ষমতাশালী! এবং যদি আমরা ন্যায়বিচারের কথা বলি তিনি বলেন, কে আমায় প্রশ্ন করবে?
إِنْ تَبَرَّرْتُ يَحْكُمُ عَلَيَّ فَمِي، وَإِنْ كُنْتُ كَامِلًا يَسْتَذْنِبُنِي. ٢٠ 20
২০এমনকি যদিও আমি ধার্মিক হই, আমার নিজের মুখ আমায় দোষী করবে; এমনকি যদিও আমি নিখুঁত হই, তবুও এটা আমায় অপরাধী প্রমাণ করবে।
«كَامِلٌ أَنَا. لَا أُبَالِي بِنَفْسِي. رَذَلْتُ حَيَاتِي. ٢١ 21
২১আমি সিদ্ধ, কিন্তু আমি আর আমার নিজের পরোয়া করি না; আমি নিজে আমার জীবনকে ঘৃণা করি।
هِيَ وَاحِدَةٌ. لِذَلِكَ قُلْتُ: إِنَّ ٱلْكَامِلَ وَٱلشِّرِّيرَ هُوَ يُفْنِيهِمَا. ٢٢ 22
২২সবই ত এক, এটা আমি কেন বলছি যে তিনি ধার্ম্মিককে এবং পাপীকে একসঙ্গে ধ্বংস করবেন।
إِذَا قَتَلَ ٱلسَّوْطُ بَغْتَةً، يَسْتَهْزِئُ بِتَجْرِبَةِ ٱلْأَبْرِيَاءِ. ٢٣ 23
২৩যদি চাবুক হঠাৎ হত্যা করে, তিনি নির্দোষের কষ্টে হাঁসবেন।
ٱلْأَرْضُ مُسَلَّمَةٌ لِيَدِ ٱلشِّرِّيرِ. يُغَشِّي وُجُوهَ قُضَاتِهَا. وَإِنْ لَمْ يَكُنْ هُوَ، فَإِذًا مَنْ؟ ٢٤ 24
২৪পৃথিবী পাপীদের হাতে দেওয়া হয়েছে; ঈশ্বর এর বিচারকদের মুখ ঢেকে দিয়েছেন। যদি তা না হয় তবে কে এটা করেছে, তাহলে তিনি কে?
أَيَّامِي أَسْرَعُ مِنْ عَدَّاءٍ، تَفِرُّ وَلَا تَرَى خَيْرًا. ٢٥ 25
২৫পত্রবাহকের থেকেও আমার দিন গুলো দ্রুতগামী; আমার দিন গুলো উড়ে যায়; তারা কোথাও মঙ্গল দেখতে পায় না।
تَمُرُّ مَعَ سُفُنِ ٱلْبَرْدِيِّ. كَنَسْرٍ يَنْقَضُّ إِلَى قَنَصِهِ. ٢٦ 26
২৬তারা নলখাগড়ার নৌকার মত দ্রুত এবং তারা ঈগল পাখির মত দ্রুত যা হঠাৎ আক্রমণ করে শিকারের ওপর পড়ে।
إِنْ قُلْتُ: أَنْسَى كُرْبَتِي، أُطْلِقُ وَجْهِي وَأَتَبَلَّجُ، ٢٧ 27
২৭যদি আমি বলি যে আমি আমার অভিযোগের বিষয় ভুলে যাব, যে আমি আমার মুখের বিষন্নতা দূর করব এবং খুশি হব,
أَخَافُ مِنْ كُلِّ أَوْجَاعِي عَالِمًا أَنَّكَ لَا تُبَرِّئُنِي. ٢٨ 28
২৮আমি আমার সব দুঃখের জন্য ভয় পাব কারণ আমি জানি যে তুমি আমায় নির্দোষ মনে করবে না।
أَنَا مُسْتَذْنَبٌ، فَلِمَاذَا أَتْعَبُ عَبَثًا؟ ٢٩ 29
২৯আমি দোষী হব; তাহলে কেন, আমি বৃথাই চেষ্টা করব?
وَلَوِ ٱغْتَسَلْتُ فِي ٱلثَّلْجِ، وَنَظَّفْتُ يَدَيَّ بِٱلْإِشْنَانِ، ٣٠ 30
৩০যদি আমি নিজেকে বরফ জলে ধুই এবং আমার হাতকে চিরকালের মত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করি।
فَإِنَّكَ فِي ٱلنَّقْعِ تَغْمِسُنِي حَتَّى تَكْرَهَنِي ثِيَابِي. ٣١ 31
৩১ঈশ্বর আমায় ডোবায় ডুবিয়ে দেবেন এবং আমার নিজের কাপড় আমাকে ঘৃণা করবে।
لِأَنَّهُ لَيْسَ هُوَ إِنْسَانًا مِثْلِي فَأُجَاوِبَهُ، فَنَأْتِي جَمِيعًا إِلَى ٱلْمُحَاكَمَةِ. ٣٢ 32
৩২কারণ ঈশ্বর মানুষ নন, যেমন আমি, যে আমি তাঁকে উত্তর দিতে পারি, যে আমরা একসঙ্গে তাঁর বিচারস্থানে আসতে পারি।
لَيْسَ بَيْنَنَا مُصَالِحٌ يَضَعُ يَدَهُ عَلَى كِلَيْنَا. ٣٣ 33
৩৩আমাদের মধ্যে কোন বিচারক নেই যে আমাদের দুজনের উপর হাত রাখবেন।
لِيَرْفَعْ عَنِّي عَصَاهُ وَلَا يَبْغَتْنِي رُعْبُهُ. ٣٤ 34
৩৪অন্য কোন বিচারক নেই যে ঈশ্বরের লাঠি আমার ওপর থেকে সরাতে পারে, যে তাঁর ভয়ানক ভীতি থেকে আমাকে সরিয়ে রাখে।
إِذًا أَتَكَلَّمُ وَلَا أَخَافُهُ، لِأَنِّي لَسْتُ هَكَذَا عِنْدَ نَفْسِي. ٣٥ 35
৩৫তারপর আমি কি কথা বলব এবং তাঁকে ভয় করব না। কিন্তু এখন যা অবস্থা, আমি এটা করতে পারব না।

< أَيُّوبَ 9 >