< أَيُّوبَ 32 >

فَكَفَّ هَؤُلَاءِ ٱلرِّجَالُ ٱلثَّلَاثَةُ عَنْ مُجَاوَبَةِ أَيُّوبَ لِكَوْنِهِ بَارًّا فِي عَيْنَيْ نَفْسِهِ. ١ 1
তাই এই তিনজন লোক ইয়োবকে উত্তর দেওয়া বন্ধ করল, কারণ তিনি তাঁর নিজের চোখে ধার্মিক ছিলেন।
فَحَمِيَ غَضَبُ أَلِيهُوَ بْنِ بَرَخْئِيلَ ٱلْبُوزِيِّ مِنْ عَشِيرَةِ رَامٍ. عَلَى أَيُّوبَ حَمِيَ غَضَبُهُ لأِنَّهُ حَسِبَ نَفْسَهُ أَبَرَّ مِنَ ٱللهِ. ٢ 2
তখন রাম বংশভূত বূষীয় বারখেলের ছেলে ইলীহূর রাগ জ্বলে উঠল; ইয়োবের বিরুদ্ধে তার রাগ জ্বলে উঠে ছিল কারণ তিনি নিজেকে ঈশ্বরের থেকেও ন্যায়ী দেখাচ্ছিলেন।
وَعَلَى أَصْحَابِهِ ٱلثَّلَاثَةِ حَمِيَ غَضَبُهُ، لِأَنَّهُمْ لَمْ يَجِدُوا جَوَابًا وَٱسْتَذْنَبُوا أَيُّوبَ. ٣ 3
ইলীহূর রাগ তার তিন বন্ধুর বিরুদ্ধেও জ্বলে উঠেছিল কারণ তারা ইয়োবকে দেওয়ার মত কোন উত্তর খুঁজে পায় নি এবং তবুও তারা ইয়োবকে দোষী করেছে।
وَكَانَ أَلِيهُو قَدْ صَبَرَ عَلَى أَيُّوبَ بِٱلْكَلَامِ، لِأَنَّهُمْ أَكْثَرُ مِنْهُ أَيَّامًا. ٤ 4
ইলীহূ ইয়োবের কাছে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছিল, কারণ অন্য লোকেরা তার থেকে বয়সে বড় ছিল।
فَلَمَّا رَأَى أَلِيهُو أَنَّهُ لَا جَوَابَ فِي أَفْوَاهِ ٱلرِّجَالِ ٱلثَّلَاثَةِ حَمِيَ غَضَبُهُ. ٥ 5
যাইহোক, যখন ইলীহূ দেখল যে এই তিনজন লোকের মুখে কোন উত্তর নেই, তার রাগ জ্বলে উঠে ছিল।
فَأَجَابَ أَلِيهُو بْنُ بَرَخْئِيلَ ٱلْبُوزِيُّ وَقَالَ: «أَنَا صَغِيرٌ فِي ٱلْأَيَّامِ وَأَنْتُمْ شُيُوخٌ، لِأَجْلِ ذَلِكَ خِفْتُ وَخَشِيتُ أَنْ أُبْدِيَ لَكُمْ رَأْيِيِ. ٦ 6
তখন বূষীয় বারখেলের ছেলে ইলীহূ বক্তব্য রাখলেন এবং বললেন, আমি যুবক এবং আপনারা অনেক বৃদ্ধ। এই কারণেই আমি চুপ করে ছিলাম এবং আমার নিজের মতামত আপনাদের জানাতে সাহস করিনি।
قُلْتُ: ٱلْأَيَّامُ تَتَكَلَّمُ وَكَثْرَةُ ٱلسِّنِينِ تُظْهِرُ حِكْمَةً. ٧ 7
আমি বললাম, “বয়সই কথা বলুক; অধিক বছরই প্রজ্ঞার শিক্ষা দিক।”
وَلَكِنَّ فِي ٱلنَّاسِ رُوحًا، وَنَسَمَةُ ٱلْقَدِيرِ تُعَقِّلُهُمْ. ٨ 8
কিন্তু মানুষের মধ্যে আত্মা আছে; সর্বশক্তিমানের নিঃশ্বাস তাকে বুদ্ধি দেয়।
لَيْسَ ٱلْكَثِيرُو ٱلْأَيَّامِ حُكَمَاءَ، وَلَا ٱلشُّيُوخُ يَفْهَمُونَ ٱلْحَقَّ. ٩ 9
যারা জ্ঞানী তারাই শুধু মহান নয়, বৃদ্ধরাই শুধু ন্যায়বিচার বোঝেন তা নয়।
لِذَلِكَ قُلْتُ: ٱسْمَعُونِي. أَنَا أَيْضًا أُبْدِي رَأْيِيِ. ١٠ 10
১০এই জন্য আমি আপনাদের বলি, “আমার কথা শুনুন; আমিও আপনাদের আমার জ্ঞানের কথা বলব।
هَأَنَذَا قَدْ صَبَرْتُ لِكَلَامِكُمْ. أَصْغَيْتُ إِلَى حُجَجِكُمْ حَتَّى فَحَصْتُمُ ٱلْأَقْوَالَ. ١١ 11
১১দেখুন, আমি আপনাদের কথার জন্য অপেক্ষা করেছি; আমি আপনাদের তর্ক বিতর্ক শুনেছি, যখন আপনারা ভাবছিলেন কি বলবেন।
فَتَأَمَّلْتُ فِيكُمْ وَإِذْ لَيْسَ مَنْ حَجَّ أَيُّوبَ، وَلَا جَوَابَ مِنْكُمْ لِكَلَامِهِ. ١٢ 12
১২সত্যি, আমি আপনাদের দিকে মনোযোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু, দেখুন, আপনাদের মধ্যে কেউ এমন নেই যে ইয়োবকে সন্তুষ্ট করতে পারে অথবা যে তার কথার উত্তর দিতে পারে।”
فَلَا تَقُولُوا: قَدْ وَجَدْنَا حِكْمَةً. ٱللهُ يَغْلِبُهُ لَا ٱلْإِنْسَانُ. ١٣ 13
১৩সাবধান এটা বলবেন না, আমরা জ্ঞান পেয়েছি! ঈশ্বর ইয়োবকে হারাবেন; সাধারণ মানুষ তা করতে পারে না।
فَإِنَّهُ لَمْ يُوَجِّهْ إِلَيَّ كَلَامَهُ وَلَا أَرُدُّ عَلَيْهِ أَنَا بِكَلَامِكُمْ. ١٤ 14
১৪কারণ ইয়োব আমার বিরুদ্ধে কোন কথা বলেনি, তাই আমিও আপনাদের কথায় তাকে উত্তর দেব না।
تَحَيَّرُوا. لَمْ يُجِيبُوا بَعْدُ. ٱنْتَزَعَ عَنْهُمُ ٱلْكَلَامُ. ١٥ 15
১৫এই তিনজন হতবাক হয়েছিল; তারা ইয়োবকে আর উত্তর দিতে পারে নি; তাদের আর একটা কথাও বলার ছিল না।
فَٱنْتَظَرْتُ لِأَنَّهُمْ لَمْ يَتَكَلَّمُوا. لِأَنَّهُمْ وَقَفُوا، لَمْ يُجِيبُوا بَعْدُ. ١٦ 16
১৬আমিও কি অপেক্ষা করব কারণ তারা কথা বলছে না, কারণ তারা সেখানে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে এবং আর উত্তর করছে না?
فَأُجِيبُ أَنَا أَيْضًا حِصَّتِي، وَأُبْدِي أَنَا أَيْضًا رَأْيِيِ. ١٧ 17
১৭না, আমিও আমার উত্তর দেব; আমিও তাদের আমার জ্ঞানের কথা বলব।
لِأَنِّي مَلآنٌ أَقْوَالًا. رُوحُ بَاطِنِي تُضَايِقُنِي. ١٨ 18
১৮কারণ আমি কথায় পূর্ণ; আমার ভিতরের আত্মা আমায় বাধ্য করছে।
هُوَذَا بَطْنِي كَخَمْرٍ لَمْ تُفْتَحْ. كَٱلزِّقَاقِ ٱلْجَدِيدَةِ يَكَادُ يَنْشَقُّ. ١٩ 19
১৯দেখ, আমার হৃদয় অনেকটা বোতলের দ্রাক্ষারসের মত যার কোন ফুটো নেই; অনেকটা নতুন দ্রাক্ষারসের কলসির মত যা ফেটে যাওয়ার অবস্থা।
أَتَكَلَّمُ فَأُفْرَجُ. أَفْتَحُ شَفَتَيَّ وَأُجِيبُ. ٢٠ 20
২০আমি কথা বলব যাতে আমি স্বস্তি পেতে পারি; আমি আমার মুখ খুলে উত্তর দেব।
لَا أُحَابِيَنَّ وَجْهَ رَجُلٍ وَلَا أَمْلُثُ إِنْسَانًا. ٢١ 21
২১আমি কোন রকম পক্ষপাতিত্ব দেখাবো না; না আমি কোন মানুষকে সম্মানসূচক উপাধি দেব।
لِأَنِّي لَا أَعْرِفُ ٱلْمَلْثَ. لِأَنَّهُ عَنْ قَلِيلٍ يَأْخُذُنِي صَانِعِي. ٢٢ 22
২২কারণ আমি জানি না সেরকম উপাধি কীভাবে দিতে হয়; যদি আমি তা করে থাকি, তবে আমার সৃষ্টিকর্ত্তা আমায় খুব তাড়াতাড়ি সরিয়ে দেবেন।

< أَيُّوبَ 32 >