< أَيُّوبَ 30 >

«وَأَمَّا ٱلْآنَ فَقَدْ ضَحِكَ عَلَيَّ أَصَاغِرِي أَيَّامًا، ٱلَّذِينَ كُنْتُ أَسْتَنْكِفُ مِنْ أَنْ أَجْعَلَ آبَاءَهُمْ مَعَ كِلَابِ غَنَمِي. ١ 1
এখন যারা আমার থেকে ছোট, তাদের কাছে আমার জন্য উপহাস ছাড়া কিছুই নেই আমি তাদের পিতাদের আমার পালরক্ষা করা কুকুরদের সঙ্গে কাজ করার অনুমতি দিতাম না।
قُوَّةُ أَيْدِيهِمْ أَيْضًا مَا هِيَ لِي. فِيهِمْ عَجِزَتِ ٱلشَّيْخُوخَةُ. ٢ 2
সত্যি, তাদের পিতাদের হাতের শক্তি, কীভাবে আমায় সাহায্য করতে পারে লোকেদের শক্তি তাদের প্রাপ্ত বয়েসে ধ্বংস হয়ে গেছে?
فِي ٱلْعَوَزِ وَٱلْمَحْلِ مَهْزُولُونَ، عَارِقُونَ ٱلْيَابِسَةَ ٱلَّتِي هِيَ مُنْذُ أَمْسِ خَرَابٌ وَخَرِبَةٌ. ٣ 3
তারা দারিদ্রতায় এবং খিদেয় রোগা হয়ে গেছে; তারা প্রান্তরের অন্ধকারে এবং নির্জনতায় শুকনো মাটি চিবোত।
ٱلَّذِينَ يَقْطِفُونَ ٱلْمَلَّاحَ عِنْدَ ٱلشِّيحِ، وَأُصُولُ ٱلرَّتَمِ خُبْزُهُمْ. ٤ 4
তারা লতা জাতীয় শাক এবং ঝোপের পাতা তুলত; গুল্ম জাতীয় গাছের শিকড় তাদের খাবার ছিল।
مِنَ ٱلْوَسَطِ يُطْرَدُونَ. يَصِيحُونَ عَلَيْهِمْ كَمَا عَلَى لِصٍّ. ٥ 5
তারা লোকেদের মধ্যে থেকে বিতাড়িত হয়েছিল, যারা তাদের পিছনে চিত্কার করত যেমন একজন চোরের পিছনে চিত্কার করে।
لِلسَّكَنِ فِي أَوْدِيَةٍ مُرْعِبَةٍ وَثُقَبِ ٱلتُّرَابِ وَٱلصُّخُورِ. ٦ 6
তাই তাদের নদীর তীরে বাস করতে হত, মাটির গর্তে এবং পাথরের গুহায় বাস করতে হত।
بَيْنَ ٱلشِّيحِ يَنْهَقُونَ. تَحْتَ ٱلْعَوْسَجِ يَنْكَبُّونَ. ٧ 7
ঝোপের মধ্যে তারা গাধার মত আওয়াজ করত; ঝোপের নিচে তারা একসঙ্গে জড়ো হত।
أَبْنَاءُ ٱلْحَمَاقَةِ، بَلْ أَبْنَاءُ أُنَاسٍ بِلَا ٱسْمٍ، سِيطُوا مِنَ ٱلْأَرْضِ. ٨ 8
সত্যি, তারা মূর্খদের বংশধর, বেকার লোকেদের বংশধর; তারা চাবুকের আঘাতে দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছিল।
«أَمَّا ٱلْآنَ فَصِرْتُ أُغْنِيَتَهُمْ، وَأَصْبَحْتُ لَهُمْ مَثَلًا! ٩ 9
কিন্তু এখন, আমি তাদের ছেলেদের জন্য উপহাসের গানের বিষয় হয়েছি; সত্যি, আমি এখন তাদের কাছে একটা মজার বিষয়।
يَكْرَهُونَنِي. يَبْتَعِدُونَ عَنِّي، وَأَمَامَ وَجْهِي لَمْ يُمْسِكُوا عَنِ ٱلْبَصْقِ. ١٠ 10
১০তারা আমায় ঘৃণা করে এবং আমার থেকে দূরে দাঁড়ায়; তাদের আমার মুখে থুতু দিতে আটকায় না।
لِأَنَّهُ أَطْلَقَ ٱلْعِنَانَ وَقَهَرَنِي، فَنَزَعُوا ٱلزِّمَامَ قُدَّامِي. ١١ 11
১১কারণ ঈশ্বর আমার ধনুকের দড়ি খুলে দিতেন এবং আমায় কষ্ট দিতেন এবং তাই এই লোকেরা আমার সামনে তাদের সমস্ত আত্মসংযম হারাত।
عَنِ ٱلْيَمِينِ ٱلْفُرُوخُ يَقُومُونَ يُزِيحُونَ رِجْلِي، وَيُعِدُّونَ عَلَيَّ طُرُقَهُمْ لِلْبَوَارِ. ١٢ 12
১২আমার দক্ষিণে বিশৃঙ্খল জনতা ওঠে; তারা আমায় তাড়িয়ে দেয় এবং আমার বিরুদ্ধে তাদের ধ্বংসের পথ উঁচু করে তোলে।
أَفْسَدُوا سُبُلِي. أَعَانُوا عَلَى سُقُوطِي. لَا مُسَاعِدَ عَلَيْهِمْ. ١٣ 13
১৩তারা আমার পথ ধ্বংস করে; তারা আমার জন্য দুর্যোগ নিয়ে আসে, সেই লোকেদের এমন কেউ নেই যে তাদের ধরে রাখতে পারে।
يَأْتُونَ كَصَدْعٍ عَرِيضٍ. تَحْتَ ٱلْهَدَّةِ يَتَدَحْرَجُونَ. ١٤ 14
১৪তারা শহরের দেওয়ালের বড় ফাটল দিয়ে সৈন্যদলের মত আমার বিরুদ্ধে আসে; বিনাশের মধ্যে তারা আমার ওপর গড়িয়ে পড়ে।
اِنْقَلَبَتْ عَلَيَّ أَهْوَالٌ. طَرَدَتْ كَٱلرِّيحِ نِعْمَتِي، فَعَبَرَتْ كَٱلسَّحَابِ سَعَادَتِي. ١٥ 15
১৫আতঙ্ক আমার ওপরে আসে; আমার সম্মান বাতাসের মত উড়ে গেছে; আমার সমৃদ্ধি মেঘের মত দূর হয়েছে।
«فَٱلْآنَ ٱنْهَالَتْ نَفْسِي عَلَيَّ، وَأَخَذَتْنِي أَيَّامُ ٱلْمَذَلَّةِ. ١٦ 16
১৬এখন আমার প্রাণ আমার মধ্যে ঢালা হচ্ছে; অনেক দুঃখের দিন আমাকে আকঁড়ে ধরে রেখেছে।
ٱللَّيْلَ يَنْخَرُ عِظَامِي فِيَّ، وَعَارِقِيَّ لَا تَهْجَعُ. ١٧ 17
১৭রাতে আমার হাড় যন্ত্রণায় ক্লিষ্ট হয়; সেই ব্যথা যা আমায় কখন বিশ্রাম নেয় না।
بِكَثْرَةِ ٱلشِّدَّةِ تَنَكَّرَ لِبْسِي. مِثْلَ جَيْبِ قَمِيصِي حَزَمَتْنِي. ١٨ 18
১৮ঈশ্বরের মহা শক্তি আমার পরিচ্ছদ ছিনিয়ে নেন; জামার গলার মত এটা আমায় চারিদিক দিয়ে জড়ায়।
قَدْ طَرَحَنِي فِي ٱلْوَحْلِ، فَأَشْبَهْتُ ٱلتُّرَابَ وَٱلرَّمَادَ. ١٩ 19
১৯তিনি আমায় কাদায় ছুঁড়ে ফেলেন; আমি ধূলো ও ছাইয়ে মত হয়ে পড়ি।
إِلَيْكَ أَصْرُخُ فَمَا تَسْتَجِيبُ لِي. أَقُومُ فَمَا تَنْتَبِهُ إِلَيَّ. ٢٠ 20
২০হে ঈশ্বর, আমি তোমার কাছে কাঁদি, কিন্তু তুমি আমায় উত্তর দাও না; আমি দাঁড়ায়ে থাকি এবং তুমি নামমাত্র আমাকে দেখ।
تَحَوَّلْتَ إِلَى جَافٍ مِنْ نَحْوِي. بِقُدْرَةِ يَدِكَ تَضْطَهِدُنِي. ٢١ 21
২১তুমি পরিবর্তিত হয়েছ এবং আমার প্রতি নিষ্ঠুর হয়েছ; তোমার হাতের শক্তিতে তুমি আমায় অত্যাচার করেছ।
حَمَلْتَنِي، أَرْكَبْتَنِي ٱلرِّيحَ وَذَوَّبْتَنِي تَشَوُّهًا. ٢٢ 22
২২তুমি বাতাসে আমাকে তুলেছ এবং আমায় উড়িয়ে নিয়ে গেছ; তুমি আমায় ঝড়ে বিলীন করেছ।
لِأَنِّي أَعْلَمُ أَنَّكَ إِلَى ٱلْمَوْتِ تُعِيدُنِي، وَإِلَى بَيْتِ مِيعَادِ كُلِّ حَيٍّ. ٢٣ 23
২৩কারণ আমি জানি যে তুমি আমায় মৃত্যুর সম্মুখে নিয়ে যাচ্ছ, সেই পূর্ব্ব নির্ধারিত ঘরে যা সমস্ত জীবিত বস্তুর জন্য নিরূপিত আছে।
وَلَكِنْ فِي ٱلْخَرَابِ أَلَا يَمُدُّ يَدًا؟ فِي ٱلْبَلِيَّةِ أَلَا يَسْتَغِيثُ عَلَيْهَا؟ ٢٤ 24
২৪যাইহোক, যখন সে পড়ে তখন কি সে তার হাত বাড়ায় না সাহায্যের জন্য অথবা বিপদে কি সে চিত্কার করে না?
«أَلَمْ أَبْكِ لِمَنْ عَسَرَ يَوْمُهُ؟ أَلَمْ تَكْتَئِبْ نَفْسِي عَلَى ٱلْمِسْكِينِ؟ ٢٥ 25
২৫আমি কি তার জন্য কাঁদি নি যে বিপদের মধ্যে ছিল? আমার হৃদয় কি দরিদ্রের জন্য দুঃখ করে নি?
حِينَمَا تَرَجَّيْتُ ٱلْخَيْرَ جَاءَ ٱلشَّرُّ، وَٱنْتَظَرْتُ ٱلنُّورَ فَجَاءَ ٱلدُّجَى. ٢٦ 26
২৬যখন আমি ভাল খুঁজতাম, তখন মন্দ আসত; যখন আমি আলোর জন্য অপেক্ষা করি, পরিবর্তে অন্ধকার আসে।
أَمْعَائِي تَغْلِي وَلَا تَكُفُّ. تَقَدَّمَتْنِي أَيَّامُ ٱلْمَذَلَّةِ. ٢٧ 27
২৭যখন আমার হৃদয় অস্থির এবং তার বিশ্রাম নেই; কষ্টের দিন আমার ওপরে আসে।
اِسْوَدَدْتُ لَكِنْ بِلَا شَمْسٍ. قُمْتُ فِي ٱلْجَمَاعَةِ أَصْرُخُ. ٢٨ 28
২৮আমি বিনা রৌদ্রে ধীরে ধীরে কালো হয়ে যাচ্ছি, আমি সমাজে দাঁড়াই এবং সাহায্যের জন্য চিত্কার করি।
صِرْتُ أَخًا لِلذِّئَابِ، وَصَاحِبًا لِرِئَالِ ٱلنَّعَامِ. ٢٩ 29
২৯আমি শিয়ালের ভাই, উঠ পাখিদের সঙ্গী হয়ে গেছি।
حَرِشَ جِلْدِي عَلَيَّ وَعِظَامِي ٱحْتَرَّتْ مِنَ ٱلْحَرَارَةِ فِيَّ. ٣٠ 30
৩০আমার চামড়া কালো এবং তা খসে পড়ছে; আমার হাড়গুলো তাপে পুড়ে গেছে।
صَارَ عُودِي لِلنَّوْحِ، وَمِزْمَارِي لِصَوْتِ ٱلْبَاكِينَ. ٣١ 31
৩১এই জন্য, আমার বীণার শব্দ যেন হাহাকারের সুর, আমার সানাইয়ের সুর যেন বিলাপের গান।

< أَيُّوبَ 30 >