< أَيُّوبَ 13 >
«هَذَا كُلُّهُ رَأَتْهُ عَيْنِي. سَمِعَتْهُ أُذُنِي وَفَطِنَتْ بِهِ. | ١ 1 |
১দেখ, আমার চোখ এসমস্ত দেখেছে; আমার কান শুনেছে এবং তা বুঝেছে।
مَا تَعْرِفُونَهُ عَرَفْتُهُ أَنَا أَيْضًا. لَسْتُ دُونَكُمْ. | ٢ 2 |
২তোমরা কি জান, সেই একই বিষয় আমিও জানি; আমি তোমাদের থেকে কিছু কম নই।
وَلَكِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُكَلِّمَ ٱلْقَدِيرَ، وَأَنْ أُحَاكَمَ إِلَى ٱللهِ. | ٣ 3 |
৩যাইহোক, আমি বরং সর্বশক্তিমানের সঙ্গে কথা বলব; আমি ঈশ্বরের সঙ্গে বিচার করতে চাই।
أَمَّا أَنْتُمْ فَمُلَفِّقُو كَذِبٍ. أَطِبَّاءُ بَطَّالُونَ كُلُّكُمْ. | ٤ 4 |
৪কিন্তু তোমরা সত্যকে চুনকাম করেছ মিথ্যা দিয়ে; তোমরা সকলে মূল্যহীন চিকিত্সক।
لَيْتَكُمْ تَصْمُتُونَ صَمْتًا. يَكُونُ ذَلِكَ لَكُمْ حِكْمَةً. | ٥ 5 |
৫আহা, তোমরা একেবারে নীরব থাকবে! সেটাই তোমাদের প্রজ্ঞা।
اِسْمَعُوا ٱلْآنَ حُجَّتِي، وَٱصْغُوا إِلَى دَعَاوِي شَفَتَيَّ. | ٦ 6 |
৬এখন শোন আমার নিজের যুক্তি; আমার ঠোঁটের অনুনয় শোন।
أَتَقُولُونَ لِأَجْلِ ٱللهِ ظُلْمًا، وَتَتَكَلَّمُونَ بِغِشٍّ لِأَجْلِهِ؟ | ٧ 7 |
৭তোমরা কি ঈশ্বরের পক্ষে অন্যায় কথা বলবে এবং তোমরা কি তাঁর পক্ষে প্রতারণাপূর্ণ কথা বলবে?
أَتُحَابُونَ وَجْهَهُ، أَمْ عَنِ ٱللهِ تُخَاصِمُونَ؟ | ٨ 8 |
৮তোমরা কি সত্যি তাঁকে দয়া দেখাবে? তোমরা কি সত্যি আদালতে ঈশ্বরের পক্ষে উকিলের মত তর্ক করবে?
أَخَيْرٌ لَكُمْ أَنْ يَفْحَصَكُمْ، أَمْ تُخَاتِلُونَهُ كَمَا يُخَاتَلُ ٱلْإِنْسَانُ؟ | ٩ 9 |
৯তার পরিবর্তে যদি তিনি তোমাদের বিচারক হিসাবে তোমাদের ওপর ফেরেন এবং পরীক্ষা করেন, এটা কি তোমাদের জন্য ভাল হবে? অথবা যেমন একজন অন্য জনকে ঠকায়, তোমরা কি সত্যি আদালতে তাঁর মিথ্যা পরিচয় দেবে?
تَوْبِيخًا يُوَبِّخُكُمْ إِنْ حَابَيْتُمُ ٱلْوُجُوهَ خِفْيَةً. | ١٠ 10 |
১০তিনি অবশ্যই তোমাদের নিন্দা করবেন, যদি তোমরা গোপনে তাঁর পক্ষপাত কর।
فَهَلَّا يُرْهِبُكُمْ جَلَالُهُ، وَيَسْقُطُ عَلَيْكُمْ رُعْبُهُ؟ | ١١ 11 |
১১তাঁর মহিমা কি তোমাদের ভয় পাওয়ায় না? তাঁর ভয় কি তোমাদের ওপর পড়ে না?
خُطَبُكُمْ أَمْثَالُ رَمَادٍ، وَحُصُونُكُمْ حُصُونٌ مِنْ طِينٍ. | ١٢ 12 |
১২তোমাদের স্মরণীয় প্রবাদবাক্য ছাই দিয়ে তৈরী করে; তোমাদের দূর্গ হল মাটির তৈরী দূর্গ।
«اُسْكُتُوا عَنِّي فَأَتَكَلَّمَ أَنَا، وَلْيُصِبْنِي مَهْمَا أَصَابَ. | ١٣ 13 |
১৩তোমরা শান্তি বজায় রাখ, আমাকে একা থাকতে দাও, যাতে আমি কথা বলতে পারি, আমার ওপর যা আসছে আসতে দাও।
لِمَاذَا آخُذُ لَحْمِي بِأَسْنَانِي، وَأَضَعُ نَفْسِي فِي كَفِّي؟ | ١٤ 14 |
১৪আমি আমার নিজের মাংস আমার দাঁতে নিয়ে যাব; আমি আমার হাতে আমার জীবন নেব।
هُوَذَا يَقْتُلُنِي. لَا أَنْتَظِرُ شَيْئًا. فَقَطْ أُزَكِّي طَرِيقِي قُدَّامَهُ. | ١٥ 15 |
১৫দেখ, যদি তিনি আমায় মেরে ফেলেন, আমার আর কোন আশা থাকবে না; তবুও, আমি তাঁর সামনে আমার রাস্তা রক্ষা করব।
فَهَذَا يَعُودُ إِلَى خَلَاصِي، أَنَّ ٱلْفَاجِرَ لَا يَأْتِي قُدَّامَهُ. | ١٦ 16 |
১৬এটাই হবে আমার মুক্তির কারণ, যে আমি তাঁর সামনে অধার্ম্মিক লোকের মত আসব না।
سَمْعًا ٱسْمَعُوا أَقْوَالِي وَتَصْرِيحِي بِمَسَامِعِكُمْ. | ١٧ 17 |
১৭হে ঈশ্বর, আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোন; আমার ঘোষণা তোমার কানে আসুক।
هَأَنَذَا قَدْ أَحْسَنْتُ ٱلدَّعْوَى. أَعْلَمُ أَنِّي أَتَبَرَّرُ. | ١٨ 18 |
১৮এখন দেখ, আমি আমার যুক্তি সাজিয়ে রেখেছি; আমি জানি যে আমি নির্দোষ।
مَنْ هُوَ ٱلَّذِي يُخَاصِمُنِي حَتَّى أَصْمُتَ ٱلْآنَ وَأُسْلِمَ ٱلرُّوحَ؟ | ١٩ 19 |
১৯কে সে যে আমার বিরুদ্ধে আদালতে তর্ক করবে? যদি তুমি তা করতে আস এবং যদি আমি ভুল প্রমাণিত হই, তাবে আমি নীরব হব এবং প্রাণ ত্যাগ করব।
إِنَّمَا أَمْرَيْنِ لَا تَفْعَلْ بِي، فَحِينَئِذٍ لَا أَخْتَفِي مِنْ حَضْرَتِكَ. | ٢٠ 20 |
২০হে ঈশ্বর, আমার জন্য দুটো জিনিস কর এবং তাহলে আমি নিজেকে তোমার থেকে লুকাব না:
أَبْعِدْ يَدَيْكَ عَنِّي، وَلَا تَدَعْ هَيْبَتَكَ تُرْعِبُنِي. | ٢١ 21 |
২১তোমার কঠোর হাত আমার থেকে তুলে নাও এবং তোমার আতঙ্ক আমায় ভয় না দেখাক।
ثُمَّ ٱدْعُ فَأَنَا أُجِيبُ، أَوْ أَتَكَلَّمُ فَتُجَاوِبُنِي. | ٢٢ 22 |
২২তখন আমায় ডাক আর আমি উত্তর দেব; অথবা আমাকে তোমার সঙ্গে কথা বলতে দাও এবং তুমি আমায় উত্তর দাও।
كَمْ لِي مِنَ ٱلْآثَامِ وَٱلْخَطَايَا؟ أَعْلِمْنِي ذَنْبِي وَخَطِيَّتِي. | ٢٣ 23 |
২৩আমার অপরাধ ও পাপ কত? আমাকে আমার অপরাধ ও পাপ জানতে দাও।
لِمَاذَا تَحْجُبُ وَجْهَكَ، وَتَحْسِبُنِي عَدُوًّا لَكَ؟ | ٢٤ 24 |
২৪কেন তুমি আমার কাছ থেকে তোমার মুখ লুকিয়েছ এবং আমার সঙ্গে শত্রুর মত আচরণ করছ?
أَتُرْعِبُ وَرَقَةً مُنْدَفَعَةً، وَتُطَارِدُ قَشًّا يَابِسًا؟ | ٢٥ 25 |
২৫তুমি কি একটা হওয়ায় ওড়া পাতাকে অত্যাচার করবে? তুমি কি শুকনো নাড়ার পিছনে ছুটবে?
لِأَنَّكَ كَتَبْتَ عَلَيَّ أُمُورًا مُرَّةً، وَوَرَّثْتَنِي آثَامَ صِبَايَ، | ٢٦ 26 |
২৬কারণ তুমি আমার বিরুদ্ধে তিক্ত বিষয় লিখেছ; তুমি আমায় আমার যৌবনের পাপের উত্তরাধিকারী করেছ।
فَجَعَلْتَ رِجْلَيَّ فِي ٱلْمِقْطَرَةِ، وَلَاحَظْتَ جَمِيعَ مَسَالِكِي، وَعَلَى أُصُولِ رِجْلَيَّ نَبَشْتَ. | ٢٧ 27 |
২৭তুমি আমার পায়ে বেড়ি পরিয়েছ, তুমি আমার সমস্ত রাস্তায় লক্ষ রেখেছ; তুমি সেই মাটি পরীক্ষা করেছ যেখানে আমার পা হেঁটেছে,
وَأَنَا كَمُتَسَوِّسٍ يَبْلَى، كَثَوْبٍ أَكَلَهُ ٱلْعُثُّ. | ٢٨ 28 |
২৮যদিও আমি পচা জিনিসের মত যা নষ্ট হয়ে গেছে, একটা কাপড়ের মত যা পোকায় খেয়েছে।