< إِرْمِيَا 42 >

فَتَقَدَّمَ كُلُّ رُؤَسَاءِ ٱلْجُيُوشِ وَيُوحَانَانُ بْنُ قَارِيحَ، وَيَزَنْيَا بْنُ هُوشَعْيَا، وَكُلُّ ٱلشَّعْبِ مِنَ ٱلصَّغِيرِ إِلَى ٱلْكَبِيرِ، ١ 1
তারপর সৈন্যদলের সেনাপতিরা, কারেহের ছেলে যোহানন, হোশয়িয়ের ছেলে যাসনিয় এবং মহান সমস্ত লোকেরা যিরমিয় ভাববাদীর কাছে জড়ো হল।
وَقَالُوا لِإِرْمِيَا ٱلنَّبِيِّ: «لَيْتَ تَضَرُّعَنَا يَقَعُ أَمَامَكَ، فَتُصَلِّيَ لِأَجْلِنَا إِلَى ٱلرَّبِّ إِلَهِكَ لِأَجْلِ كُلِّ هَذِهِ ٱلْبَقِيَّةِ. لِأَنَّنَا قَدْ بَقِينَا قَلِيلِينَ مِنْ كَثِيرِينَ كَمَا تَرَانَا عَيْنَاكَ. ٢ 2
তারা তাঁকে বলল, “আপনার কাছে আমাদের বিনতি শুনুন। আমাদের মধ্যে যারা অবশিষ্ট আছে, তাদের জন্য আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন, কারণ আপনি যেমন দেখছেন, আমরা মাত্র কয়েকজন রয়েছি।
فَيُخْبِرُنَا ٱلرَّبُّ إِلَهُكَ عَنِ ٱلطَّرِيقِ ٱلَّذِي نَسِيرُ فِيهِ، وَٱلْأَمْرِ ٱلَّذِي نَفْعَلُهُ». ٣ 3
আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করুন কোন পথে আমরা যাব, কি করা আমাদের উচিত।”
فَقَالَ لَهُمْ إِرْمِيَا ٱلنَّبِيُّ: «قَدْ سَمِعْتُ. هَأَنَذَا أُصَلِّي إِلَى ٱلرَّبِّ إِلَهِكُمْ كَقَوْلِكُمْ، وَيَكُونُ أَنَّ كُلَّ ٱلْكَلَامِ ٱلَّذِي يُجِيبُكُمُ ٱلرَّبُّ أُخْبِرُكُمْ بِهِ. لَا أَمْنَعُ عَنْكُمْ شَيْئًا». ٤ 4
তাই যিরমিয় ভাববাদী তাদের বললেন, “আমি তোমাদের কথা শুনেছি। দেখ, তোমরা যেমন অনুরোধ করেছ, তেমন আমি তোমাদের জন্য সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব। সদাপ্রভু যা উত্তর দেবেন, আমি তোমাদের বলব, তোমাদের থেকে কিছুই গোপন করব না।”
فَقَالُوا هُمْ لِإِرْمِيَا: «لِيَكُنِ ٱلرَّبُّ بَيْنَنَا شَاهِدًا صَادِقًا وَأَمِينًا إِنَّنَا نَفْعَلُ حَسَبَ كُلِّ أَمْرٍ يُرْسِلُكَ بِهِ ٱلرَّبُّ إِلَهُكَ إِلَيْنَا، ٥ 5
তারা যিরমিয়কে বলল, “সদাপ্রভু আমাদের মধ্যে সত্য ও বিশ্বস্ত সাক্ষী হন, আমরা সেই সমস্ত কিছু করব, যা সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর আমাদের করতে বলেন।
إِنْ خَيْرًا وَإِنْ شَرًّا. فَإِنَّنَا نَسْمَعُ لِصَوْتِ ٱلرَّبِّ إِلَهِكَ ٱلَّذِي نَحْنُ مُرْسِلُوكَ إِلَيْهِ لِيُحْسَنَ إِلَيْنَا إِذَا سَمِعْنَا لِصَوْتِ ٱلرَّبِّ إِلَهِنَا». ٦ 6
যদি এটি ভালো হয় কিংবা যদি এটি খারাপ হয়, আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু কথার বাধ্য হব, যাঁর কাছে আমরা আপনাকে পাঠাচ্ছি, তাই যখন আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু কথার বাধ্য হব এটাই আমাদের জন্য ভাল হবে।”
وَكَانَ بَعْدَ عَشَرَةِ أَيَّامٍ أَنَّ كَلِمَةَ ٱلرَّبِّ صَارَتْ إِلَى إِرْمِيَا. ٧ 7
তখন এটি ঘটল, দশ দিন পরে সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল।
فَدَعَا يُوحَانَانَ بْنَ قَارِيحَ وَكُلَّ رُؤَسَاءِ ٱلْجُيُوشِ ٱلَّذِينَ مَعَهُ، وَكُلَّ ٱلشَّعْبِ مِنَ ٱلصَّغِيرِ إِلَى ٱلْكَبِيرِ، ٨ 8
তাতে যিরমিয় কারেহের ছেলে যোহাননকে ও তার সঙ্গী সেনাপতিদের এবং ছোট ও মহান সমস্ত লোকদের ডাকলেন।
وَقَالَ لَهُمْ: «هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ ٱلَّذِي أَرْسَلْتُمُونِي إِلَيْهِ لِكَيْ أُلْقِيَ تَضَرُّعَكُمْ أَمَامَهُ: ٩ 9
তিনি তাদের বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যাঁর কাছে তোমরা নিজেদের বিনতি জানাবার জন্য আমাকে পাঠিয়েছিলে সেই সদাপ্রভু এই কথা বলেন,
إِنْ كُنْتُمْ تَسْكُنُونَ فِي هَذِهِ ٱلْأَرْضِ، فَإِنِّي أَبْنِيكُمْ وَلَا أَنْقُضُكُمْ، وَأَغْرِسُكُمْ وَلَا أَقْتَلِعُكُمْ. لِأَنِّي نَدِمْتُ عَنِ ٱلشَّرِّ ٱلَّذِي صَنَعْتُهُ بِكُمْ. ١٠ 10
১০‘যদি তোমরা ফিরে আসো এবং এই দেশে বাস কর, তাহলে আমি তোমাদের গড়ে তুলব, তোমাদের ভাঙ্গবো না, আমি তোমাদের রোপণ করব, তোমাদের উপড়ে ফেলব না; কারণ আমি তোমাদের উপরে যে বিপদ এনেছি, সেখান থেকে ফিরে আসবো।
لَا تَخَافُوا مَلِكَ بَابِلَ ٱلَّذِي أَنْتُمْ خَائِفُوهُ. لَا تَخَافُوهُ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، لِأَنِّي أَنَا مَعَكُمْ لِأُخَلِّصَكُمْ وَأُنْقِذَكُمْ مِنْ يَدِهِ. ١١ 11
১১বাবিলের রাজাকে ভয় কোরো না, যাকে তোমরা ভয় করেছ। তাকে ভয় কোরো না’ এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা কারণ আমি তার হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করার জন্য ও উদ্ধার করার জন্য তোমাদের সাথে আছি।
وَأُعْطِيَكُمْ نِعْمَةً، فَيَرْحَمُكُمْ وَيَرُدُّكُمْ إِلَى أَرْضِكُمْ. ١٢ 12
১২কারণ আমি তোমাদের প্রতি করুণা করব, তাতে সেও তোমাদের প্রতি দয়া করবে এবং আমি তোমাদের নিজেদের দেশে আবার ফিরিয়ে আনব।
«وَإِنْ قُلْتُمْ: لَا نَسْكُنُ فِي هَذِهِ ٱلْأَرْضِ. وَلَمْ تَسْمَعُوا لِصَوْتِ ٱلرَّبِّ إِلَهِكُمْ، ١٣ 13
১৩কিন্তু যদি তোমরা বল, ‘আমরা এই দেশে থাকব না’ যদি তোমরা আমি, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা না শোনো;
قَائِلِينَ: لَا بَلْ إِلَى أَرْضِ مِصْرَ نَذْهَبُ، حَيْثُ لَا نَرَى حَرْبًا، وَلَا نَسْمَعُ صَوْتَ بُوقٍ، وَلَا نَجُوعُ لِلْخُبْزِ، وَهُنَاكَ نَسْكُنُ. ١٤ 14
১৪যদি তোমরা বল, ‘না! আমরা মিশর দেশে যাব, যেখানে আমরা কোনো যুদ্ধ দেখব না, তূরীধ্বনি শুনব না, খাবারের জন্য ক্ষুধার্ত হব না। আমরা সেখানে বাস করব’।
فَٱلْآنَ لِذَلِكَ ٱسْمَعُوا كَلِمَةَ ٱلرَّبِّ يَابَقِيَّةَ يَهُوذَا، هَكَذَا قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: إِنْ كُنْتُمْ تَجْعَلُونَ وُجُوهَكُمْ لِلدُّخُولِ إِلَى مِصْرَ، وَتَذْهَبُونَ لِتَتَغَرَّبُوا هُنَاكَ، ١٥ 15
১৫তাহলে যিহূদার অবশিষ্ট লোকেরা এখন সদাপ্রভুর বাক্য শোনো। বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘তোমরা যদি মিশরে যাওয়াই ঠিক করে থাক, তাহলে যাও আর সেখানে বাস কর,
يَحْدُثُ أَنَّ ٱلسَّيْفَ ٱلَّذِي أَنْتُمْ خَائِفُونَ مِنْهُ يُدْرِكُكُمْ هُنَاكَ فِي أَرْضِ مِصْرَ، وَٱلْجُوعَ ٱلَّذِي أَنْتُمْ خَائِفُونَ مِنْهُ يَلْحَقُكُمْ هُنَاكَ فِي مِصْرَ، فَتَمُوتُونَ هُنَاكَ. ١٦ 16
১৬তবে যে তরোয়ালকে তোমরা ভয় পাও, তা মিশর দেশেই তোমাদের ধরে ফেলবে। যে দূর্ভিক্ষের জন্য চিন্তা করছ, তা মিশরে তোমাদের পিছনে ছুটবে। তোমরা সেখানেই মারা যাবে।
وَيَكُونُ أَنَّ كُلَّ ٱلرِّجَالِ ٱلَّذِينَ جَعَلُوا وُجُوهَهُمْ لِلدُّخُولِ إِلَى مِصْرَ لِيَتَغَرَّبُوا هُنَاكَ، يَمُوتُونَ بِٱلسَّيْفِ وَٱلْجُوعِ وَٱلْوَبَإِ، وَلَا يَكُونُ مِنْهُمْ بَاقٍ وَلَا نَاجٍ مِنَ ٱلشَّرِّ ٱلَّذِي أَجْلِبُهُ أَنَا عَلَيْهِمْ. ١٧ 17
১৭তাই এটা ঘটবে, যারা মিশরে গিয়ে বাস করবে বলে ঠিক করেছে, তারা সবাই সেখানে তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারীতে মারা পড়বে। সেখানে তাদের কেউ জীবিত থাকবে না; যে বিপদ আমি তাদের উপর আনব, তা থেকে একজনও রেহাই পাবে না’।
لِأَنَّهُ هَكَذَا قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: كَمَا ٱنْسَكَبَ غَضَبِي وَغَيْظِي عَلَى سُكَّانِ أُورُشَلِيمَ، هَكَذَا يَنْسَكِبُ غَيْظِي عَلَيْكُمْ عِنْدَ دُخُولِكُمْ إِلَى مِصْرَ، فَتَصِيرُونَ حَلَفًا وَدَهَشًا وَلَعْنَةً وَعَارًا، وَلَا تَرَوْنَ بَعْدُ هَذَا ٱلْمَوْضِعَ». ١٨ 18
১৮কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘যিরূশালেমে বসবাসকারীদের উপরে যেমন করে আমার রোষ ও ক্রোধ ঢালা হয়েছে, তোমরা মিশরে গেলে তেমন ভাবে আমার ক্রোধ তোমাদের উপরেও ঢালা হবে। তোমরা হবে অভিশাপের, ভয়ঙ্কর, শাপের, অসম্মানের পাত্র। তোমরা পুনরায় এই দেশ দেখতে পাবে না’।
«قَدْ تَكَلَّمَ ٱلرَّبُّ عَلَيْكُمْ يَا بَقِيَّةَ يَهُوذَا: لَا تَدْخُلُوا مِصْرَ. ٱعْلَمُوا عِلْمًا أَنِّي قَدْ أَنْذَرْتُكُمُ ٱلْيَوْمَ. ١٩ 19
১৯যিহূদার অবশিষ্ট লোকেরা, সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে বলেছেন, তোমরা মিশরে যেয়ো না! তোমরা অবশ্যই জানো যে, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে একটি সাক্ষী হয়েছি।
لِأَنَّكُمْ قَدْ خَدَعْتُمْ أَنْفُسَكُمْ إِذْ أَرْسَلْتُمُونِي إِلَى ٱلرَّبِّ إِلَهِكُمْ قَائِلِينَ: صَلِّ لِأَجْلِنَا إِلَى ٱلرَّبِّ إِلَهِنَا، وَحَسَبَ كُلِّ مَا يَقُولُهُ ٱلرَّبُّ إِلَهُنَا هَكَذَا أَخْبِرْنَا فَنَفْعَلَ. ٢٠ 20
২০তোমরা নিজেদের প্রাণের বিরুদ্ধে প্রতারণা করেছ, কারণ তোমরা আমি-যিরমিয়কে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে পাঠিয়েছিলেন, বলেছিলে, ‘আপনি আমাদের জন্য আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন; তাতে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর যা বলবেন, সেই সবই আপনি আমাদের জানাবেন, আমরা তাই করব’।
فَقَدْ أَخْبَرْتُكُمُ ٱلْيَوْمَ فَلَمْ تَسْمَعُوا لِصَوْتِ ٱلرَّبِّ إِلَهِكُمْ، وَلَا لِشَيْءٍ مِمَّا أَرْسَلَنِي بِهِ إِلَيْكُمْ. ٢١ 21
২১কারণ আমি আজ তোমাদেরকে তা জানালাম; কিন্তু তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাকে যে সব বিষয়ের জন্য আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছেন, তাঁর কোনো কথাই তোমরা এখনও শোনো নি।
فَٱلْآنَ ٱعْلَمُوا عِلْمًا أَنَّكُمْ تَمُوتُونَ بِٱلسَّيْفِ وَٱلْجُوعِ وَٱلْوَبَإِ فِي ٱلْمَوْضِعِ ٱلَّذِي ٱبْتَغَيْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوهُ لِتَتَغَرَّبُوا فِيهِ». ٢٢ 22
২২তাই এখন, তোমরা নিশ্চয়ই জেনে রাখ যে, তোমরা যেখানে বসবাস করতে চাও, সেখানে তোমরা তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারীতে মারা পড়বে।”

< إِرْمِيَا 42 >