< إِرْمِيَا 17 >

«خَطِيَّةُ يَهُوذَا مَكْتُوبَةٌ بِقَلَمٍ مِنْ حَدِيدٍ، بِرَأْسٍ مِنَ ٱلْمَاسِ مَنْقُوشَةٌ عَلَى لَوْحِ قَلْبِهِمْ وَعَلَى قُرُونِ مَذَابِحِكُمْ. ١ 1
“যিহূদার পাপ লোহার লেখনী ও হীরের বিন্দু দিয়ে লেখা হয়েছে। এটা তাদের অন্তরের ফলকে ও তোমার বেদির শিংয়ের উপরে খোদাই করা হয়েছে।
كَذِكْرِ بَنِيهِمْ مَذَابِحَهُمْ، وَسَوَارِيَهُمْ عِنْدَ أَشْجَارٍ خُضْرٍ عَلَى آكَامٍ مُرْتَفِعَةٍ. ٢ 2
পাতা ভর্তি গাছের পাশে উঁচু পাহাড়ের উপরে তাদের লোকেরা তাদের বেদীগুলিকে এবং তাদের আশেরা খুঁটিগুলিকে স্মরণ করে।
يَا جَبَلِي فِي ٱلْحَقْلِ، أَجْعَلُ ثَرْوَتَكَ، كُلَّ خَزَائِنِكَ لِلنَّهْبِ، وَمُرْتَفَعَاتِكَ لِلْخَطِيَّةِ فِي كُلِّ تُخُومِكَ. ٣ 3
তারা গ্রামাঞ্চলের পর্বতের উপরের বেদীগুলি স্মরণ করে। আমি তোমার সম্পদ এবং তোমার সমস্ত ধনদৌলত লুটের জিনিসের মত দিয়ে দেব। কারণ তোমার পাপ তোমার সমস্ত সীমানার প্রত্যেক জায়গায় আছে।
وَتَتَبَرَّأُ وَبِنَفْسِكَ عَنْ مِيرَاثِكَ ٱلَّذِي أَعْطَيْتُكَ إِيَّاهُ، وَأَجْعَلُكَ تَخْدِمُ أَعْدَاءَكَ فِي أَرْضٍ لَمْ تَعْرِفْهَا، لِأَنَّكُمْ قَدْ أَضْرَمْتُمْ نَارًا بِغَضَبِي تَتَّقِدُ إِلَى ٱلْأَبَدِ؟. ٤ 4
আমি তোমাকে যে অধিকার দিয়েছিলাম, তা তুমি হারাবে। যে দেশের কথা তুমি জান না, সেখানে আমি তোমাকে তোমার শত্রুদের দাস বানাবো, কারণ তুমি আমার রোষের আগুন জ্বালিয়েছ, যা চিরকাল জ্বলবে।”
«هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: مَلْعُونٌ ٱلرَّجُلُ ٱلَّذِي يَتَّكِلُ عَلَى ٱلْإِنْسَانِ، وَيَجْعَلُ ٱلْبَشَرَ ذِرَاعَهُ، وَعَنِ ٱلرَّبِّ يَحِيدُ قَلْبُهُ. ٥ 5
সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যে ব্যক্তি মানুষের উপর ভরসা করে সে অভিশপ্ত; সে মাংসকে তার শক্তি বানায়, কিন্তু তার অন্তর সদাপ্রভুর কাছ থেকে সরে গেছে।
وَيَكُونُ مِثْلَ ٱلْعَرْعَرِ فِي ٱلْبَادِيَةِ، وَلَا يَرَى إِذَا جَاءَ ٱلْخَيْرُ، بَلْ يَسْكُنُ ٱلْحَرَّةَ فِي ٱلْبَرِّيَّةِ، أَرْضًا سَبِخَةً وَغَيْرَ مَسْكُونَةٍ. ٦ 6
কারণ সে আরবের ঝোপের মত হবে এবং ভাল কিছু আসলে তা দেখতে পাবে না। মরুপ্রান্তের পাথুরে এলাকায় সে বাস করবে, জনবসতিহীন অনুর্বর জমি।
مُبَارَكٌ ٱلرَّجُلُ ٱلَّذِي يَتَّكِلُ عَلَى ٱلرَّبِّ، وَكَانَ ٱلرَّبُّ مُتَّكَلَهُ، ٧ 7
কিন্তু সেই লোক ধন্য, যে সদাপ্রভুর উপর নির্ভর করে, কারণ সদাপ্রভু তার বিশ্বাসের ভিত্তি।
فَإِنَّهُ يَكُونُ كَشَجَرَةٍ مَغْرُوسَةٍ عَلَى مِيَاهٍ، وَعَلَى نَهْرٍ تَمُدُّ أُصُولَهَا، وَلَا تَرَى إِذَا جَاءَ ٱلْحَرُّ، وَيَكُونُ وَرَقُهَا أَخْضَرَ، وَفِي سَنَةِ ٱلْقَحْطِ لَا تَخَافُ، وَلَا تَكُفُّ عَنِ ٱلْإِثْمَارِ. ٨ 8
কারণ সে জলের স্রোতের ধারে লাগানো গাছের মত; তার শিকড় ছড়িয়ে দেবে। গরম আসলে সে ভয় পাবে না; কারণ তার পাতা সব দিন সবুজ থাকবে। খরার বছরে সে চিন্তিত হবে না, তার ফল উত্পাদন কখনও বন্ধ হয় না।
«اَلْقَلْبُ أَخْدَعُ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ وَهُوَ نَجِيسٌ، مَنْ يَعْرِفُهُ؟ ٩ 9
সমস্ত কিছুর থেকে হৃদয় আরো বেশি প্রতারক। এটা পীড়িত, কে এটা বুঝতে পারে?
أَنَا ٱلرَّبُّ فَاحِصُ ٱلْقَلْبِ مُخْتَبِرُ ٱلْكُلَى لِأُعْطِيَ كُلَّ وَاحِدٍ حَسَبَ طُرُقِهِ، حَسَبَ ثَمَرِ أَعْمَالِهِ. ١٠ 10
১০আমি সদাপ্রভু, সেই একজন যে মন খুঁজে দেখে, যে অন্তরের পরীক্ষা করে। আমি প্রত্যেকের প্রাপ্য তাকে দিই, তার কাজের ফল অনুসারে শাস্তি দিই।
حَجَلَةٌ تَحْضُنُ مَا لَمْ تَبِضْ مُحَصِّلُ ٱلْغِنَى بِغَيْرِ حَقٍّ. فِي نِصْفِ أَيَّامِهِ يَتْرُكُهُ وَفِي آخِرَتِهِ يَكُونُ أَحْمَقَ!». ١١ 11
১১একটি তিতির পাখী একটি ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোঁটায়, যে ডিমটি তার নিজের নয়। কোন একজন অসৎ উপায়ে ধনী হয়; কিন্তু তার জীবনের মাঝামাঝি দিনের, সেই ধনসম্পদ তাকে ছেড়ে চলে যাবে; আর শেষে সে বোকা হয়ে যাবে।”
كُرْسِيُّ مَجْدٍ مُرْتَفِعٌ مِنَ ٱلِٱبْتِدَاءِ هُوَ مَوْضِعُ مَقْدِسِنَا. ١٢ 12
১২আমাদের মন্দিরের জায়গা একটি মহিমান্বিত সিংহাসন, যা আদি থেকেই উন্নত।
أَيُّهَا ٱلرَّبُّ رَجَاءُ إِسْرَائِيلَ، كُلُّ ٱلَّذِينَ يَتْرُكُونَكَ يَخْزَوْنَ. «ٱلْحَائِدُونَ عَنِّي فِي ٱلتُّرَابِ يُكْتَبُونَ، لِأَنَّهُمْ تَرَكُوا ٱلرَّبَّ يَنْبُوعَ ٱلْمِيَاهِ ٱلْحَيَّةِ». ١٣ 13
১৩সদাপ্রভু ইস্রায়েলের আশা। যারা তোমাকে ত্যাগ করেছে তারা লজ্জিত হবে; এই দেশে তোমার কাছ থেকে যারা ফিরে গেছে, তাদের নাম ধূলোয় লেখা হবে। কারণ তারা জীবন্ত জলের উনুই সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছে।
اِشْفِنِي يَارَبُّ فَأُشْفَى. خَلِّصْنِي فَأُخَلَّصَ، لِأَنَّكَ أَنْتَ تَسْبِيحَتِي. ١٤ 14
১৪হে সদাপ্রভু, আমাকে সুস্থ কর এবং তাতে আমি সুস্থ হব! আমাকে উদ্ধার কর এবং আমি উদ্ধার পাব। কারণ তুমিই আমার প্রশংসার গান।
هَا هُمْ يَقُولُونَ لِي: «أَيْنَ هِيَ كَلِمَةُ ٱلرَّبِّ؟ لِتَأْتِ!» ١٥ 15
১৫দেখ, তারা আমাকে বলে, “সদাপ্রভুর বাক্য কোথায়? তা এবার উপস্থিত হোক।”
أَمَّا أَنَا فَلَمْ أَعْتَزِلْ عَنْ أَنْ أَكُونَ رَاعِيًا وَرَاءَكَ، وَلَا ٱشْتَهَيْتُ يَوْمَ ٱلْبَلِيَّةِ. أَنْتَ عَرَفْتَ. مَا خَرَجَ مِنْ شَفَتَيَّ كَانَ مُقَابِلَ وَجْهِكَ. ١٦ 16
১৬আমি তো তোমার অনুগামী পালক হওয়া থেকে পালিয়ে যাই নি। আমি বিপদের দিন চাইনি। আমার মুখ থেকে যে ঘোষণা বেরত তা তুমি জানো। সেগুলি তোমার উপস্থিতিতেই করা হয়েছিল।
لَا تَكُنْ لِي رُعْبًا. أَنْتَ مَلْجَإِي فِي يَوْمِ ٱلشَّرِّ. ١٧ 17
১৭আমার কাছে আতঙ্ক হোয়ো না। বিপদের দিনের তুমিই আমার আশ্রয়।
لِيَخْزَ طَارِدِيَّ وَلَا أَخْزَ أَنَا. لِيَرْتَعِبُوا هُمْ وَلَا أَرْتَعِبْ أَنَا. اِجْلِبْ عَلَيْهِمْ يَوْمَ ٱلشَّرِّ وَٱسْحَقْهُمْ سَحْقًا مُضَاعَفًا. ١٨ 18
১৮আমার তাড়নাকারীরা লজ্জিত হোক, কিন্তু তুমি আমাকে লজ্জিত কোরো না। তারা আতঙ্কিত হোক, কিন্তু আমাকে আতঙ্কিত কোরো না। তাদের বিরুদ্ধে দুর্যোগের দিন পাঠাও এবং দুই গুণ ধ্বংস দিয়ে তাদের বিনষ্ট কর।
هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ لِي: «ٱذْهَبْ وَقِفْ فِي بَابِ بَنِي ٱلشَّعْبِ ٱلَّذِي يَدْخُلُ مِنْهُ مُلُوكُ يَهُوذَا وَيَخْرُجُونَ مِنْهُ، وَفِي كُلِّ أَبْوَابِ أُورُشَلِيمَ، ١٩ 19
১৯সদাপ্রভু আমাকে এই কথা বললেন, “যাও এবং যিহূদার রাজারা যে ফটক দিয়ে যাওয়া আসা করে, জনসাধারণের সেই ফটকে, যিরূশালেমের অন্যান্য সব ফটকেও গিয়ে দাঁড়াও।
وَقُلْ لَهُمُ: ٱسْمَعُوا كَلِمَةَ ٱلرَّبِّ يَا مُلُوكَ يَهُوذَا، وَكُلَّ يَهُوذَا، وَكُلَّ سُكَّانِ أُورُشَلِيمَ ٱلدَّاخِلِينَ مِنْ هَذِهِ ٱلْأَبْوَابِ. ٢٠ 20
২০তাদের বল, ‘যিহূদার রাজারা এবং যিহূদার সমস্ত লোকেরা এবং যিরূশালেমে বাসকারী সবাই, যারা এই সব ফটক দিয়ে ভিতরে আস, তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোনো।
هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: تَحَفَّظُوا بِأَنْفُسِكُمْ وَلَا تَحْمِلُوا حِمْلًا يَوْمَ ٱلسَّبْتِ وَلَا تُدْخِلُوهُ فِي أَبْوَابِ أُورُشَلِيمَ، ٢١ 21
২১সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমাদের, সাবধান হও; বিশ্রামবারে কোন বোঝা বইবে না, অথবা যিরূশালেমের ফটক দিয়ে তা ভিতরে আনবে না।
وَلَا تُخْرِجُوا حِمْلًا مِنْ بُيُوتِكُمْ يَوْمَ ٱلسَّبْتِ، وَلَا تَعْمَلُوا شُغْلًا مَّا، بَلْ قَدِّسُوا يَوْمَ ٱلسَّبْتِ كَمَا أَمَرْتُ آبَاءَكُمْ. ٢٢ 22
২২বিশ্রামবারে তোমাদের বাড়ি থেকে কোন বোঝা বের করে আনবে না। তাই কোন কাজ কোরো না, কিন্তু বিশ্রামবার আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র করো, যেমন আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের আদেশ করেছিলাম।
فَلَمْ يَسْمَعُوا وَلَمْ يُمِيلُوا أُذُنَهُمْ، بَلْ قَسَّوْا أَعْنَاقَهُمْ لِئَلَّا يَسْمَعُوا وَلِئَلَّا يَقْبَلُوا تَأْدِيبًا. ٢٣ 23
২৩তারা শোনেনি, মনোযোগও দেয়নি। কিন্তু তাদের ঘাড় শক্ত করেছিল; তাই তারা আমার কথা শোনেনি ও আমার শাসন গ্রহণ করে নি।’
وَيَكُونُ إِذَا سَمِعْتُمْ لِي سَمْعًا، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، وَلَمْ تُدْخِلُوا حِمْلًا فِي أَبْوَابِ هَذِهِ ٱلْمَدِينَةِ يَوْمَ ٱلسَّبْتِ، بَلْ قَدَّسْتُمْ يَوْمَ ٱلسَّبْتِ وَلَمْ تَعْمَلُوا فِيهِ شُغْلًا مَّا، ٢٤ 24
২৪এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘এটা ঘটবে, যদি তোমরা সত্যিই আমার কথা শোনো এবং বিশ্রামবারে শহরের ফটক দিয়ে কোন বোঝা না আন, কিন্তু পরিবর্তে বিশ্রামবারকে পবিত্র করো এবং কোন কাজ না করো,
أَنَّهُ يَدْخُلُ فِي أَبْوَابِ هَذِهِ ٱلْمَدِينَةِ مُلُوكٌ وَرُؤَسَاءُ جَالِسُونَ عَلَى كُرْسِيِّ دَاوُدَ، رَاكِبُونَ فِي مَرْكَبَاتٍ وَعَلَى خَيْلٍ، هُمْ وَرُؤَسَاؤُهُمْ رِجَالُ يَهُوذَا وَسُكَّانُ أُورُشَلِيمَ، وَتُسْكَنُ هَذِهِ ٱلْمَدِينَةُ إِلَى ٱلْأَبَدِ. ٢٥ 25
২৫তাহলে রাজারা, রাজকর্মচারীরা এবং তারা যারা দায়ূদের সিংহাসনে বসে, তারা, তাদের নেতারা, যিহূদার লোকেরা ও যিরূশালেমের বাসিন্দারা রথে ও ঘোড়ায় চড়ে শহরের ফটক দিয়ে আসবে। এই শহর চিরকাল থাকবে।
وَيَأْتُونَ مِنْ مُدُنِ يَهُوذَا، وَمِنْ حَوَالَيْ أُورُشَلِيمَ وَمِنْ أَرْضِ بِنْيَامِينَ وَمِنَ ٱلسَّهْلِ وَمِنَ ٱلْجِبَالِ وَمِنَ ٱلْجَنُوبِ، يَأْتُونَ بِمُحْرَقَاتٍ وَذَبَائِحَ وَتَقْدِمَاتٍ وَلُبَانٍ، وَيَدْخُلُونَ بِذَبَائِحِ شُكْرٍ إِلَى بَيْتِ ٱلرَّبِّ. ٢٦ 26
২৬যিহূদার শহরগুলো ও যিরূশালেমের চারিদিক থেকে বিন্যামীন এলাকা, নীচু এলাকা, পার্বত্য এলাকা, দক্ষিণে দেশ থেকে থেকে লোকেরা আমার গৃহে উপহার, বলিদান, ভক্ষ্য নৈবেদ্য, ধূপ নিয়ে আসবে। তারা ধন্যবাদের উপহার উৎসর্গ করবে।
وَلَكِنْ إِنْ لَمْ تَسْمَعُوا لِي لِتُقَدِّسُوا يَوْمَ ٱلسَّبْتِ لِكَيْلَا تَحْمِلُوا حِمْلًا وَلَا تُدْخِلُوهُ فِي أَبْوَابِ أُورُشَلِيمَ يَوْمَ ٱلسَّبْتِ، فَإِنِّي أُشْعِلُ نَارًا فِي أَبْوَابِهَا فَتَأْكُلُ قُصُورَ أُورُشَلِيمَ وَلَا تَنْطَفِئُ». ٢٧ 27
২৭কিন্তু যদি তোমরা বিশ্রামবার আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র করতে আমার কথা না শোন, যদি তোমরা বিশ্রামবারে বোঝা নিয়ে যিরূশালেমের ফটকের মধ্যে দিয়ে নিয়ে আসো, তবে আমি সমস্ত ফটকে আগুন জ্বালাব, যে আগুন যিরূশালেমের দুর্গগুলি পুড়িয়ে ফেলবে এবং যেটা নিভবে না’।”

< إِرْمِيَا 17 >