< إِرْمِيَا 13 >

هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ لِي: «ٱذْهَبْ وَٱشْتَرِ لِنَفْسِكَ مِنْطَقَةً مِنْ كَتَّانٍ وَضَعْهَا عَلَى حَقْوَيْكَ وَلَا تُدْخِلْهَا فِي ٱلْمَاءِ». ١ 1
সদাপ্রভু আমাকে এই কথা বললেন, “যাও এবং মসীনা সুতোর একটি অন্তর্বাস কেনো এবং তোমার কোমরে বাঁধ, কিন্তু সেটা প্রথমে জলে ডুবাবে না।”
فَٱشْتَرَيْتُ ٱلْمِنْطَقَةَ كَقَوْلِ ٱلرَّبِّ وَوَضَعْتُهَا عَلَى حَقْوَيَّ. ٢ 2
তাতে আমি সদাপ্রভুর আদেশ মত আমি একটি অন্তর্বাস কিনলাম এবং আমার কোমরে বাঁধলাম।
فَصَارَ كَلَامُ ٱلرَّبِّ إِلَيَّ ثَانِيَةً قَائِلًا: ٣ 3
তখন সদাপ্রভুর বাক্য দ্বিতীয়বার আমার কাছে এল এবং বলল,
«خُذِ ٱلْمِنْطَقَةَ ٱلَّتِي ٱشْتَرَيْتَهَا ٱلَّتِي هِيَ عَلَى حَقَوَيْكَ، وَقُمِ ٱنْطَلِقْ إِلَى ٱلْفُرَاتِ، وَٱطْمِرْهَا هُنَاكَ فِي شَقِّ صَخْرٍ». ٤ 4
“যে অন্তর্বাস তুমি কিনে কোমরে বেঁধে রেখেছ, সেটি নিয়ে তুমি ইউফ্রেটিস নদীর কাছে গিয়ে সেখানকার শিলার ফাটলে লুকিয়ে রাখ।”
فَٱنْطَلَقْتُ وَطَمَرْتُهَا عِنْدَ ٱلْفُرَاتِ كَمَا أَمَرَنِي ٱلرَّبُّ. ٥ 5
সেইজন্য সদাপ্রভুর আদেশ মত আমি গিয়ে ইউফ্রেটিস নদীর কাছে সেটা লুকিয়ে রাখলাম।
وَكَانَ بَعْدَ أَيَّامٍ كَثِيرَةٍ أَنَّ ٱلرَّبَّ قَالَ لِي: «قُمِ ٱنْطَلِقْ إِلَى ٱلْفُرَاتِ وَخُذْ مِنْ هُنَاكَ ٱلْمِنْطَقَةَ ٱلَّتِي أَمَرْتُكَ أَنْ تَطْمِرَهَا هُنَاكَ». ٦ 6
অনেক দিন পরে সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওঠ এবং ইউফ্রেটিসে ফিরে যাও। সেখান থেকে অন্তর্বাসটি নাও যা আমি তোমাকে লুকিয়ে রাখতে বলেছিলাম।”
فَٱنْطَلَقْتُ إِلَى ٱلْفُرَاتِ، وَحَفَرْتُ وَأَخَذْتُ ٱلْمِنْطَقَةَ مِنَ ٱلْمَوْضِعِ ٱلَّذِي طَمَرْتُهَا فِيهِ. وَإِذَا بِٱلْمِنْطَقَةِ قَدْ فَسَدَتْ. لَا تَصْلُحُ لِشَيْءٍ. ٧ 7
সেইজন্য আমি ইউফ্রেটিস নদীর কাছে গেলাম এবং যেখানে অন্তর্বাসটি লুকিয়ে রেখেছিলাম, সেখান থেকে সেটি খুঁড়ে বের করলাম। কিন্তু দেখ! সেই অন্তর্বাসটি নষ্ট হয়ে গেছে; সেটা আর ভালো নেই।
فَصَارَ كَلَامُ ٱلرَّبِّ إِلَيَّ قَائِلًا: ٨ 8
তখন সদাপ্রভুর বাক্য আবার আমার কাছে এল ও বলল,
«هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: هَكَذَا أُفْسِدُ كِبْرِيَاءَ يَهُوذَا، وَكِبْرِيَاءَ أُورُشَلِيمَ ٱلْعَظِيمَةِ. ٩ 9
সদাপ্রভু এই কথা বলেন, এই রকম করে আমি যিহূদা এবং যিরূশালেমের এতো অহঙ্কার ধ্বংস করব।
هَذَا ٱلشَّعْبُ ٱلشِّرِّيرُ ٱلَّذِي يَأْبَى أَنْ يَسْمَعَ كَلَامِي، ٱلَّذِي يَسْلُكُ فِي عِنَادِ قَلْبِهِ وَيَسِيرُ وَرَاءَ آلِهَةٍ أُخْرَى لِيَعْبُدَهَا وَيَسْجُدَ لَهَا، يَصِيرُ كَهَذِهِ ٱلْمِنْطَقَةِ ٱلَّتِي لَا تَصْلُحُ لِشَيْءٍ. ١٠ 10
১০এই দুষ্ট জাতির লোকেরা, যারা আমার কথা শুনতে অস্বীকার করে, যারা তাদের অন্তরের কঠিনতা অনুসারে চলে, যারা উপাসনা করার জন্য দেবতাদের পিছনে যায় এবং তাদের কাছে মাথা নত করে, তারা এই অন্তর্বাসটির মত যার ভালো কিছু নেই।
لِأَنَّهُ كَمَا تَلْتَصِقُ ٱلْمِنْطَقَةُ بِحَقْوَيِ ٱلْإِنْسَانِ، هَكَذَا أَلْصَقْتُ بِنَفْسِي كُلَّ بَيْتِ إِسْرَائِيلَ وَكُلَّ بَيْتِ يَهُوذَا، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، لِيَكُونُوا لِي شَعْبًا وَٱسْمًا وَفَخْرًا وَمَجْدًا، وَلَكِنَّهُمْ لَمْ يَسْمَعُوا. ١١ 11
১১কারণ লোকের কোমরে যেমন করে অন্তর্বাস রাখে, তেমনি আমি সম্পূর্ণ ইস্রায়েল ও যিহূদার সমস্ত লোকেদের আমার সঙ্গে আটকে রেখেছিলাম, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, আমার প্রজা হও, আমার সুনাম, প্রশংসা ও সম্মান কর। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি।
«فَتَقُولُ لَهُمْ هَذِهِ ٱلْكَلِمَةَ: هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: كُلُّ زِقٍّ يَمْتَلِئُ خَمْرًا. فَيَقُولُونَ لَكَ: أَمَا نَعْرِفُ مَعْرِفَةً أَنَّ كُلَّ زِقٍّ يَمْتَلِئُ خَمْرًا؟ ١٢ 12
১২তাই তুমি তাদের এই কথা বল, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এটা বলেন, প্রত্যেকটি পাত্র আঙ্গুর রসে পূর্ণ হবে। তারা তোমাকে বলবে, আমরা কি জানি না যে, প্রত্যেকটি পাত্র আঙ্গুর রসে পূর্ণ হবে?
فَتَقُولُ لَهُمْ: هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: هَأَنَذَا أَمْلَأُ كُلَّ سُكَّانِ هَذِهِ ٱلْأَرْضِ وَٱلْمُلُوكَ ٱلْجَالِسِينَ لِدَاوُدَ عَلَى كُرْسِيِّهِ، وَٱلْكَهَنَةَ وَٱلْأَنْبِيَاءَ وَكُلَّ سُكَّانِ أُورُشَلِيمَ سُكْرًا. ١٣ 13
১৩তাহলে তাদের বল, সদাপ্রভু বলেন, দেখ, আমি এই দেশে বসবাসকারী প্রত্যেককে মাদকতায় পূর্ণ করব, দায়ূদের সিংহাসনে বসা সমস্ত রাজাদের, যাজকদের, ভাববাদীদের এবং যিরূশালেমে বাসকারী সবাইকে।
وَأُحَطِّمُهُمُ ٱلْوَاحِدَ عَلَى أَخِيهِ، ٱلْآبَاءَ وَٱلْأَبْنَاءَ مَعًا، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. لَا أُشْفِقُ وَلَا أَتَرَأَّفُ وَلَا أَرْحَمُ مِنْ إِهْلَاكِهِمْ». ١٤ 14
১৪তখন আমি এক জনকে অন্য জনের বিরুদ্ধে, বাবা ও ছেলে সবাইকে চুরমার করব, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা। আমি কোন করুণা বা দয়া করব না; আমি তাদের ধ্বংস থেকে রেহাই দেব না।
اِسْمَعُوا وَٱصْغَوْا. لَا تَتَعَظَّمُوا لِأَنَّ ٱلرَّبَّ تَكَلَّمَ. ١٥ 15
১৫শোন, মনোযোগ দাও। অহঙ্কার কোরো না, কারণ সদাপ্রভু বলেছেন।
أَعْطُوا ٱلرَّبَّ إِلَهَكُمْ مَجْدًا قَبْلَ أَنْ يَجْعَلَ ظَلَامًا، وَقَبْلَمَا تَعْثُرُ أَرْجُلُكُمْ عَلَى جِبَالِ ٱلْعَتَمَةِ، فَتَنْتَظِرُونَ نُورًا فَيَجْعَلُهُ ظِلَّ مَوْتٍ، وَيَجَعْلُهُ ظَلَامًا دَامِسًا. ١٦ 16
১৬তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৌরব কর, তা না হলে তিনি অন্ধকার নিয়ে আসবেন এবং অন্ধকারে আচ্ছন্ন পর্বতে তোমাদের পা হোঁচট খাবে। কারণ তোমরা আলোর আশা করছ, কিন্তু তিনি সেই জায়গা ঘন অন্ধকারে ভরে দেবেন, গভীর মেঘে ভরে দেবেন।
وَإِنْ لَمْ تَسْمَعُوا ذَلِكَ، فَإِنَّ نَفْسِي تَبْكِي فِي أَمَاكِنَ مُسْتَتِرَةً مِنْ أَجْلِ ٱلْكِبْرِيَاءِ، وَتَبْكِي عَيْنَيَّ بُكَاءً وَتَذْرِفُ ٱلدُّمُوعَ، لِأَنَّهُ قَدْ سُبِيَ قَطِيعُ ٱلرَّبِّ. ١٧ 17
১৭তোমরা যদি কথা না শোন, তবে তোমাদের অহঙ্কারের জন্য আমি গোপনে কাঁদব। আমার চোখ নিশ্চই কাঁদবে ও জলে ভেসে যাবে, কারণ সদাপ্রভুর পাল বন্দী হয়েছে।
قُلْ لِلْمَلِكِ وَلِلْمَلِكَةِ: «ٱتَّضِعَا وَٱجْلِسَا، لِأَنَّهُ قَدْ هَبَطَ عَنْ رَأْسَيْكُمَا تَاجُ مَجْدِكُمَا». ١٨ 18
১৮“রাজা ও রাজমাতাকে বল, ‘নিজেদের নত কর এবং বস, কারণ তোমাদের মাথার মুকুট, যা তোমাদের গর্ব ও গৌরব, তা পড়ে গেছে।
أُغْلِقَتْ مُدُنُ ٱلْجَنُوبِ وَلَيْسَ مَنْ يَفْتَحُ. سُبِيَتْ يَهُوذَا كُلُّهَا. سُبِيَتْ بِٱلتَّمَامِ. ١٩ 19
১৯দক্ষিণ প্রদেশের শহরগুলি বন্ধ করা হবে, কেউ তাদের খুলতে পারবে না। যিহূদার সমস্ত লোক বন্দী হয়েছে, তার সমস্ত লোক বন্দীদশায় আছে’।”
اِرْفَعُوا أَعْيُنَكُمْ وَٱنْظُرُوا ٱلْمُقْبِلِينَ مِنَ ٱلشِّمَالِ. أَيْنَ ٱلْقَطِيعُ ٱلَّذِي أُعْطِيَ لَكِ، غَنَمُ مَجْدِكِ؟ ٢٠ 20
২০তুমি চোখ তোল, দেখ, উত্তর দিক থেকে তারা আসছে। কোথায় সেই পাল যা তিনি তোমাকে দিয়েছিলেন, সেই পাল যা তোমার কাছে খুব সুন্দর ছিল?
مَاذَا تَقُولِينَ حِينَ يُعَاقِبُكِ، وَقَدْ عَلَّمْتِهِمْ عَلَى نَفْسِكِ قُوَّادًا لِلرِّيَاسَةِ؟ أَمَا تَأْخُذُكِ ٱلْأَوْجَاعُ كَٱمْرَأَةٍ مَاخِضٍ؟ ٢١ 21
২১তুমি কি বলবে যখন ঈশ্বর তোমার উপরে তাদের বসাবেন যাদেরকে তুমি তোমার বন্ধু হতে শিক্ষা দিয়েছিলে? সন্তান জন্ম দেবার দিনের একজন স্ত্রীলোক যেমন যন্ত্রণা পায় তুমি কি তেমনি যন্ত্রণা পাবে না?
وَإِنْ قُلْتِ فِي قَلْبِكِ: «لِمَاذَا أَصَابَتْنِي هَذِهِ؟». لِأَجْلِ عَظَمَةِ إِثْمِكِ هُتِكَ ذَيْلَاكِ وَٱنْكَشَفَ عَنَفًا عَقِبَاكِ. ٢٢ 22
২২যদি তুমি নিজের অন্তরে বল, আমার সাথে এটা কেন ঘটল? এটা ঘটার কারণ তোমার অসংখ্য অপরাধ, যা তোমার পোশাক উন্মুক্ত করেছে এবং তুমি ধর্ষিতা হয়েছ।
هَلْ يُغَيِّرُ ٱلْكُوشِيُّ جِلْدَهُ أَوِ ٱلنَّمِرُ رُقَطَهُ؟ فَأَنْتُمْ أَيْضًا تَقْدِرُونَ أَنْ تَصْنَعُوا خَيْرًا أَيُّهَا ٱلْمُتَعَلِّمُونَ ٱلشَّرَّ! ٢٣ 23
২৩কূশ দেশের লোক কি তার দেহের রং পরিবর্তন করতে পারে, অথবা চিতাবাঘ কি তার দাগ পরিবর্তন করতে পারে? যদি তাই হয়, তুমি নিজেও মন্দ কাজে অভ্যস্ত, ভাল কাজ করতে পার।
«فَأُبَدِّدُهُمْ كَقَشٍّ يَعْبُرُ مَعَ رِيحِ ٱلْبَرِّيَّةِ. ٢٤ 24
২৪“আমি তুষের মত তাদের ছড়িয়ে দেব যা মরুপ্রান্তের বাতাসে নষ্ট হয়।
هَذِهِ قُرْعَتُكِ، ٱلنَّصِيبُ ٱلْمَكِيلُ لَكِ مِنْ عِنْدِي، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، لِأَنَّكِ نَسِيتِنِي وَٱتَّكَلْتِ عَلَى ٱلْكَذِبِ. ٢٥ 25
২৫এটাই সেটা যা আমি তোমাকে দিয়েছি, তোমার জন্য আমার নিরূপিত অংশ, সদাপ্রভু এই কথা বলেন। কারণ তুমি আমাকে ভুলে গেছ এবং মিথ্যার উপর বিশ্বাস করেছ।
فَأَنَا أَيْضًا أَرْفَعُ ذَيْلَيْكِ عَلَى وَجْهِكِ فَيُرَى خِزْيُكِ. ٢٦ 26
২৬তাই আমি নিজেও তোমার থেকে তোমার কাপড় খুলে নেব এবং তোমার লজ্জা দেখা যাবে।
فِسْقُكِ وَصَهِيلُكِ وَرَذَالَةُ زِنَاكِ عَلَى ٱلْآكَامِ فِي ٱلْحَقْلِ. قَدْ رَأَيْتُ مَكْرَهَاتِكِ. وَيْلٌ لَكِ يَا أُورُشَلِيمُ! لَا تَطَهَرِينَ. حَتَّى مَتَى بَعْدُ؟». ٢٧ 27
২৭পাহাড় ও মাঠের মধ্যে তোমার ব্যভিচার ও হ্রেষাধ্বনি, লজ্জাহীন বেশ্যার কাজ দেখেছি। যিরূশালেম, ধিক তোমাকে! তুমি শুচি নও। আর কত দিন এই সব করবে?”

< إِرْمِيَا 13 >