< إِشَعْيَاءَ 6 >

فِي سَنَةِ وَفَاةِ عُزِّيَّا ٱلْمَلِكِ، رَأَيْتُ ٱلسَّيِّدَ جَالِسًا عَلَى كُرْسِيٍّ عَالٍ وَمُرْتَفِعٍ، وَأَذْيَالُهُ تَمْلَأُ ٱلْهَيْكَلَ. ١ 1
যে বছরে রাজা উষিয় মারা যান, আমি প্রভুকে এক উচ্চ ও উন্নত সিংহাসনে বসে থাকতে দেখলাম। তাঁর রাজপোশাকের প্রান্তভাগে মন্দির পরিপূর্ণ ছিল।
ٱلسَّرَافِيمُ وَاقِفُونَ فَوْقَهُ، لِكُلِّ وَاحِدٍ سِتَّةُ أَجْنِحَةٍ، بِٱثْنَيْنِ يُغَطِّي وَجْهَهُ، وَبِٱثْنَيْنِ يُغَطِّي رِجْلَيْهِ، وَبَٱثْنَيْنِ يَطِيرُ. ٢ 2
তাঁর নিকটে উপস্থিত ছিলেন ছয় ডানাবিশিষ্ট সরাফেরা। দুটি ডানা দিয়ে তারা মুখ ঢেকেছিলেন, দুটি ডানা দিয়ে তারা তাদের পা ঢেকেছিলেন এবং দুটি ডানা দিয়ে তারা উড়ছিলেন।
وَهَذَا نَادَى ذَاكَ وَقَالَ: «قُدُّوسٌ، قُدُّوسٌ، قُدُّوسٌ رَبُّ ٱلْجُنُودِ. مَجْدُهُ مِلْءُ كُلِّ ٱلْأَرْضِ». ٣ 3
আর তারা পরস্পরকে ডেকে বলছিলেন, “পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু, সমস্ত পৃথিবী তাঁর মহিমায় পরিপূর্ণ।”
فَٱهْتَزَّتْ أَسَاسَاتُ ٱلْعَتَبِ مِنْ صَوْتِ ٱلصَّارِخِ، وَٱمْتَلَأَ ٱلْبَيْتُ دُخَانًا. ٤ 4
তাদের কণ্ঠস্বরের শব্দে দরজার চৌকাঠগুলি কেঁপে উঠল এবং মন্দির ধোঁয়ায় পূর্ণ হল।
فَقُلْتُ: «وَيْلٌ لِي! إِنِّي هَلَكْتُ، لِأَنِّي إِنْسَانٌ نَجِسُ ٱلشَّفَتَيْنِ، وَأَنَا سَاكِنٌ بَيْنَ شَعْبٍ نَجِسِ ٱلشَّفَتَيْنِ، لِأَنَّ عَيْنَيَّ قَدْ رَأَتَا ٱلْمَلِكَ رَبَّ ٱلْجُنُودِ». ٥ 5
আমি চিৎকার করে উঠলাম, “ধিক্ আমাকে! আমি শেষ হয়ে গেলাম! আমি অশুচি ওষ্ঠাধরবিশিষ্ট মানুষ। আর আমার দুই চোখ মহারাজকে, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুকে দেখেছে।”
فَطَارَ إِلَيَّ وَاحِدٌ مِنَ ٱلسَّرَافِيمِ وَبِيَدِهِ جَمْرَةٌ قَدْ أَخَذَهَا بِمِلْقَطٍ مِنْ عَلَى ٱلْمَذْبَحِ، ٦ 6
তখন সরাফদের মধ্যে একজন, তাঁর হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার নিয়ে আমার কাছে উড়ে এলেন। সেই অঙ্গার তিনি বেদির মধ্য থেকে চিমটা দিয়ে নিয়েছিলেন।
وَمَسَّ بِهَا فَمِي وَقَالَ: «إِنَّ هَذِهِ قَدْ مَسَّتْ شَفَتَيْكَ، فَٱنْتُزِعَ إِثْمُكَ، وَكُفِّرَ عَنْ خَطِيَّتِكَ». ٧ 7
তা দিয়ে তিনি আমার মুখ স্পর্শ করলেন এবং বললেন, “দেখো, এটি তোমার ওষ্ঠাধর স্পর্শ করেছে; তোমার অপরাধ অপসারিত এবং তোমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা হয়েছে।”
ثُمَّ سَمِعْتُ صَوْتَ ٱلسَّيِّدِ قَائِلًا: «مَنْ أُرْسِلُ؟ وَمَنْ يَذْهَبُ مِنْ أَجْلِنَا؟» فَقُلْتُ: «هَأَنَذَا أَرْسِلْنِي». ٨ 8
তখন আমি প্রভুর কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম। তিনি বলছিলেন, “আমি কাকে পাঠাব? কে আমাদের জন্য যাবে?” আমি বললাম, “এই যে আমি। আমাকে পাঠান!”
فَقَالَ: «ٱذْهَبْ وَقُلْ لِهَذَا ٱلشَّعْبِ: ٱسْمَعُوا سَمْعًا وَلَا تَفْهَمُوا، وَأَبْصِرُوا إِبْصَارًا وَلَا تَعْرِفُوا. ٩ 9
তিনি বললেন, “তুমি যাও ও গিয়ে এই লোকদের বলো: “‘তোমরা সবসময় শুনতে থাকো, কিন্তু কখনও বোঝো না; সবসময় দেখতে থাকো, কিন্তু কখনও উপলব্ধি করো না।’
غَلِّظْ قَلْبَ هَذَا ٱلشَّعْبِ وَثَقِّلْ أُذُنَيْهِ وَٱطْمُسْ عَيْنَيْهِ، لِئَلَّا يُبْصِرَ بِعَيْنَيْهِ وَيَسْمَعَ بِأُذُنَيْهِ وَيَفْهَمَ بِقَلْبِهِ، وَيَرْجِعَ فَيُشْفَى». ١٠ 10
তুমি এই জাতির লোকদের হৃদয় অসাড় করে দাও; তাদের কানগুলি উপড়ে ফেলো ও চোখগুলি বন্ধ করে দাও। নতুবা তারা তাদের চোখে দেখতে পাবে, তারা কানে শুনতে পাবে, তারা তাদের হৃদয়ে বুঝতে পারবে এবং আরোগ্যলাভের জন্য আমার কাছে ফিরে আসবে।”
فَقُلْتُ: «إِلَى مَتَى أَيُّهَا ٱلسَّيِّدُ؟» فَقَالَ: «إِلَى أَنْ تَصِيرَ ٱلْمُدُنُ خَرِبَةً بِلَا سَاكِنٍ، وَٱلْبُيُوتُ بِلَا إِنْسَانٍ، وَتَخْرَبَ ٱلْأَرْضُ وَتُقْفِرَ، ١١ 11
তখন আমি বললাম, “ও প্রভু, তা কত দিন ধরে হবে?” তিনি উত্তর দিলেন, “যতদিন না নগরগুলি ধ্বংস হয়, তাদের মধ্যে জনপ্রাণী না থাকে, যতদিন না ঘরবাড়িগুলি জনশূন্য হয় ও মাঠগুলি ধ্বংস হয়ে ছারখার না হয়,
وَيُبْعِدَ ٱلرَّبُّ ٱلْإِنْسَانَ، وَيَكْثُرَ ٱلْخَرَابُ فِي وَسَطِ ٱلْأَرْضِ. ١٢ 12
যতক্ষণ না সদাপ্রভু সবাইকে দূরে প্রেরণ করেন এবং এই ভূমির কথা সকলে ভুলে যায়।
وَإِنْ بَقِيَ فِيهَا عُشْرٌ بَعْدُ، فَيَعُودُ وَيَصِيرُ لِلْخَرَابِ، وَلَكِنْ كَٱلْبُطْمَةِ وَٱلْبَلُّوطَةِ، ٱلَّتِي وَإِنْ قُطِعَتْ فَلَهَا سَاقٌ، يَكُونُ سَاقُهُ زَرْعًا مُقَدَّسًا». ١٣ 13
আর যদিও দেশের এক-দশমাংশ লোক অবশিষ্ট থাকে, তা পুনরায় জনশূন্য পড়ে থাকবে। কিন্তু তার্পিন ও ওক গাছ কেটে ফেললেও যেমন তাদের গুঁড়ি থেকেই যায়, তেমনই এই দেশে সেই গুঁড়ির মতো এক পবিত্র বংশ থেকেই যাবে।”

< إِشَعْيَاءَ 6 >