< إِشَعْيَاءَ 59 >

هَا إِنَّ يَدَ ٱلرَّبِّ لَمْ تَقْصُرْ عَنْ أَنْ تُخَلِّصَ، وَلَمْ تَثْقَلْ أُذُنُهُ عَنْ أَنْ تَسْمَعَ. ١ 1
দেখ, সদাপ্রভুর হাত এত ছোট নয় যে, তিনি উদ্ধার করতে পারেন না; তাঁর কানও এত ভারী নয় যে, তিনি শুনতে পান না।
بَلْ آثَامُكُمْ صَارَتْ فَاصِلَةً بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ إِلَهِكُمْ، وَخَطَايَاكُمْ سَتَرَتْ وَجْهَهُ عَنْكُمْ حَتَّى لَا يَسْمَعَ. ٢ 2
যদিও, তোমাদেরই পাপ সদাপ্রভুর কাছ থেকে তোমাদের আলাদা করে দিয়েছে এবং তোমাদের পাপের জন্যই তিনি তাঁর মুখ তোমাদের কাছ থেকে লুকিয়েছেন; সেইজন্য তিনি শোনেন না।
لِأَنَّ أَيْدِيَكُمْ قَدْ تَنَجَّسَتْ بِٱلدَّمِ، وَأَصَابِعَكُمْ بِٱلْإِثْمِ. شِفَاهُكُمْ تَكَلَّمَتْ بِٱلْكَذِبِ، وَلِسَانُكُمْ يَلْهَجُ بِٱلشَّرِّ. ٣ 3
তোমাদের হাত রক্তের দাগে ও আঙ্গুল পাপে অশুচি হয়েছে। তোমাদের মুখ মিথ্যা কথা বলে এবং তোমাদের জিভ দুষ্টতার কথা বলে।
لَيْسَ مَنْ يَدْعُو بِٱلْعَدْلِ، وَلَيْسَ مَنْ يُحَاكِمُ بِٱلْحَقِّ. يَتَّكِلُونَ عَلَى ٱلْبَاطِلِ، وَيَتَكَلَّمُونَ بِٱلْكَذِبِ. قَدْ حَبِلُوا بِتَعَبٍ، وَوَلَدُوا إِثْمًا. ٤ 4
কেউ ধার্ম্মিকতায় অভিযোগ করে না, কেউ সততার সঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থন করে না। তারা অসার কথার উপর নির্ভর করে এবং মিথ্যা বলে; তারা দুষ্টতা গর্ভে ধরে আর পাপের জন্ম দেয়।
فَقَسُوا بَيْضَ أَفْعَى، وَنَسَجُوا خُيُوطَ ٱلْعَنْكَبُوتِ. ٱلْآكِلُ مِنْ بَيْضِهِمْ يَمُوتُ، وَٱلَّتِي تُكْسَرُ تُخْرِجُ أَفْعَى. ٥ 5
তারা বিষাক্ত সাপের ডিমে তা দেয় এবং মাকড়সার জাল বোনে। যে কেউ সেই ডিম খায় সে মরে; সেগুলো ফুটে বিষাক্ত সাপ বের হয়।
خُيُوطُهُمْ لَا تَصِيرُ ثَوْبًا، وَلَا يَكْتَسُونَ بِأَعْمَالِهِمْ. أَعْمَالُهُمْ أَعْمَالُ إِثْمٍ، وَفَعْلُ ٱلظُّلْمِ فِي أَيْدِيهِمْ. ٦ 6
তাদের জাল পোশাকের জন্য ব্যবহার করা যাবে না; তারা তাদের কাজ দিয়ে নিজেদের ঢাকতে পারে না। তাদের কাজগুলি হল পাপের কাজ এবং অপরাধ তাদের হাতে থাকে।
أَرْجُلُهُمْ إِلَى ٱلشَّرِّ تَجْرِي، وَتُسْرِعُ إِلَى سَفْكِ ٱلدَّمِ ٱلزَّكِيِّ. أَفْكَارُهُمْ أَفْكَارُ إِثْمٍ. فِي طُرُقِهِمِ ٱغْتِصَابٌ وَسَحْقٌ. ٧ 7
তাদের পা পাপের দিকে দৌড়ে যায় এবং তারা নির্দোষীদের রক্তপাত করবার জন্য দৌড়ে যায়। তাদের সমস্ত চিন্তাই পাপের চিন্তা; অপরাধ ও ধ্বংস তাদের পথ।
طَرِيقُ ٱلسَّلَامِ لَمْ يَعْرِفُوهُ، وَلَيْسَ فِي مَسَالِكِهِمْ عَدْلٌ. جَعَلُوا لِأَنْفُسِهِمْ سُبُلًا مُعْوَجَّةً. كُلُّ مَنْ يَسِيرُ فِيهَا لَا يَعْرِفُ سَلَامًا. ٨ 8
শান্তির পথ তারা জানে না; তাদের পথে কোন ন্যায়বিচার নেই। তারা নিজেদের পথ আঁকাবাঁকা করেছে; যারা সেই পথে চলে তারা শান্তি কি তা জানে না।
مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ ٱبْتَعَدَ ٱلْحَقُّ عَنَّا، وَلَمْ يُدْرِكْنَا ٱلْعَدْلُ. نَنْتَظِرُ نُورًا فَإِذَا ظَلَامٌ. ضِيَاءً فَنَسِيرُ فِي ظَلَامٍ دَامِسٍ. ٩ 9
তাই ন্যায়বিচার আমাদের থেকে দূরে থাকে আর ধার্ম্মিকতা আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারে না। আমরা আলোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি, কিন্তু অন্ধকার দেখতে পাই; আমরা আলোর খোঁজ করি, কিন্তু অন্ধকারে চলি।
نَتَلَمَّسُ ٱلْحَائِطَ كَعُمْيٍ، وَكَٱلَّذِي بِلَا أَعْيُنٍ نَتَجَسَّسُ. قَدْ عَثَرْنَا فِي ٱلظُّهْرِ كَمَا فِي ٱلْعَتَمَةِ، فِي ٱلضَّبَابِ كَمَوْتَى. ١٠ 10
১০আমরা অন্ধের মত দেয়াল হাতড়ে বেড়াই, তাদের মত যাদের চোখ নেই। যেমন সন্ধ্যায় হয় তেমন আমরা দুপুরেই হোঁচট খাই; বলবানদের মধ্যে আমরা মরার মত।
نَزْأَرُ كُلُّنَا كَدُبَّةٍ، وَكَحَمَامٍ هَدْرًا نَهْدِرُ. نَنْتَظِرُ عَدْلًا وَلَيْسَ هُوَ، وَخَلَاصًا فَيَبْتَعِدُ عَنَّا. ١١ 11
১১আমরা সবাই ভাল্লুকের মত গর্জন করি, পায়রার মত কাতর স্বরে ডাকি; আমরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষা করি, কিন্তু পাই না; আমরা উদ্ধার পেতে চাই, কিন্তু তা আমাদের থেকে অনেক দূরে থাকে।
لِأَنَّ مَعَاصِيَنَا كَثُرَتْ أَمَامَكَ، وَخَطَايَانَا تَشْهَدُ عَلَيْنَا، لِأَنَّ مَعَاصِيَنَا مَعَنَا، وَآثَامَنَا نَعْرِفُهَا. ١٢ 12
১২কারণ আমাদের অনেক অন্যায় তোমার সামনে আছে এবং আমাদের পাপ আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। কারণ আমাদের পাপ আমাদের সঙ্গে সঙ্গেই রয়েছে এবং আমরা আমাদের পাপ জানি।
تَعَدَّيْنَا وَكَذِبْنَا عَلَى ٱلرَّبِّ، وَحِدْنَا مِنْ وَرَاءِ إِلَهِنَا. تَكَلَّمْنَا بِٱلظُّلْمِ وَٱلْمَعْصِيَةِ. حَبِلْنَا وَلَهَجْنَا مِنَ ٱلْقَلْبِ بِكَلَامِ ٱلْكَذِبِ. ١٣ 13
১৩আমরা বিদ্রোহ করেছি, সদাপ্রভুকে অস্বীকার করেছি এবং আমাদের ঈশ্বরকে অনুসরণ করার থেকে দূরে সরে গিয়েছি৷ আমরা অত্যাচার ও বিপথে যাওয়ার কথা বলেছি, অভিযোগ এবং মিথ্যা কথা হৃদয়ে ধারণ করেছি।
وَقَدِ ٱرْتَدَّ ٱلْحَقُّ إِلَى ٱلْوَرَاءِ، وَٱلْعَدْلُ يَقِفُ بَعِيدًا. لِأَنَّ ٱلصِّدْقَ سَقَطَ فِي ٱلشَّارِعِ، وَٱلِٱسْتِقَامَةَ لَا تَسْتَطِيعُ ٱلدُّخُولَ. ١٤ 14
১৪সেইজন্য ন্যায়বিচারকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ধার্ম্মিকতা দূরে দাঁড়িয়ে আছে; কারণ সত্য রাস্তায় রাস্তায় হোঁচট খায় এবং সততা প্রবেশ করতে পারে না।
وَصَارَ ٱلصِّدْقُ مَعْدُومًا، وَٱلْحَائِدُ عَنِ ٱلشَّرِّ يُسْلَبُ. فَرَأَى ٱلرَّبُّ وَسَاءَ فِي عَيْنَيْهِ أَنَّهُ لَيْسَ عَدْلٌ. ١٥ 15
১৫সততা দূরে চলে গিয়েছে এবং যে কেউ মন্দকে ত্যাগ করে সে অত্যাচারের শিকার হয়। সদাপ্রভু এই সব দেখলেন অসন্তুষ্ট হলেন কারণ সেখানে কোন ন্যায়বিচার নেই।
فَرَأَى أَنَّهُ لَيْسَ إِنْسَانٌ، وَتَحَيَّرَ مِنْ أَنَّهُ لَيْسَ شَفِيعٌ. فَخَلَّصَتْ ذِرَاعُهُ لِنَفْسِهِ، وَبِرُّهُ هُوَ عَضَدَهُ. ١٦ 16
১৬তিনি দেখলেন সেখানে কোনো লোক নেই এবং অবাক হলেন যে, অনুরোধ করার জন্য কেউ নেই। তাই তাঁর নিজের হাত দিয়েই উদ্ধারের কাজ করলেন এবং তাঁর ধার্ম্মিকতা তাঁকে সাহায্য করল।
فَلَبِسَ ٱلْبِرَّ كَدِرْعٍ، وَخُوذَةَ ٱلْخَلَاصِ عَلَى رَأْسِهِ. وَلَبِسَ ثِيَابَ ٱلِٱنْتِقَامِ كَلِبَاسٍ، وَٱكْتَسَى بِٱلْغَيْرَةِ كَرِدَاءٍ. ١٧ 17
১৭তিনি বুক রক্ষার জন্য ধার্ম্মিকতা বর্ম পরলেন এবং তাঁর মাথার ওপরে উদ্ধারের শিরস্ত্রাণ দিলেন। তিনি প্রতিশোধের পোশাক পরলেন ও আগ্রহকে পোশাকের মত করে গায়ে জড়ালেন।
حَسَبَ ٱلْأَعْمَالِ هَكَذَا يُجَازِي مُبْغِضِيهِ سَخَطًا، وَأَعْدَاءَهُ عِقَابًا. جَزَاءً يُجَازِي ٱلْجَزَائِرَ. ١٨ 18
১৮তারা যা করেছে তিনি তাই তাদের ফিরিয়ে দেবেন; তাঁর বিপক্ষদের উপর ক্রোধের বিচার ঢেলে দেবেন, শত্রুদের শাস্তি দেবেন। দূর দেশের লোকদের শাস্তি উপহার হিসাবে তিনি তাদের দেবেন।
فَيَخَافُونَ مِنَ ٱلْمَغْرِبِ ٱسْمَ ٱلرَّبِّ، وَمِنْ مَشْرِقِ ٱلشَّمْسِ مَجْدَهُ. عِنْدَمَا يَأْتِي ٱلْعَدُوُّ كَنَهْرٍ فَنَفْخَةُ ٱلرَّبِّ تَدْفَعُهُ. ١٩ 19
১৯পশ্চিম দিকের লোকেরা সদাপ্রভুর নামকে এবং তাঁর প্রতাপ থেকে সূর্য্য উদয়ের দিকের লোকেরা ভয় পাবে, কারণ তিনি প্রবল বন্যার মত আসবেন, যা সদাপ্রভুর নিঃশ্বাস আমার বিরুদ্ধে পতাকা তুলবেন।
«وَيَأْتِي ٱلْفَادِي إِلَى صِهْيَوْنَ وَإِلَى ٱلتَّائِبِينَ عَنِ ٱلْمَعْصِيَةِ فِي يَعْقُوبَ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. ٢٠ 20
২০এই কথা সদাপ্রভু বলেন, “যাকোবে যারা পাপ থেকে মন ফেরাবে তাদের জন্য মুক্তিদাতা সিয়োনে আসবেন।”
أَمَّا أَنَا فَهَذَا عَهْدِي مَعَهُمْ، قَالَ ٱلرَّبُّ: رُوحِي ٱلَّذِي عَلَيْكَ، وَكَلَامِي ٱلَّذِي وَضَعْتُهُ فِي فَمِكَ لَا يَزُولُ مِنْ فَمِكَ، وَلَا مِنْ فَمِ نَسْلِكَ، وَلَا مِنْ فَمِ نَسْلِ نَسْلِكَ، قَالَ ٱلرَّبُّ، مِنَ ٱلْآنَ وَإِلَى ٱلْأَبَدِ. ٢١ 21
২১সদাপ্রভু বলেন, “তাদের জন্য তাদের সঙ্গে আমার এই ব্যবস্থা, আমার আত্মা যিনি তোমাদের উপরে আছেন এবং আমার যে কথা আমি তোমাদের মুখে দিয়েছি তা তোমাদের মুখ থেকে চলে যাবে না, তোমাদের ছেলে মেয়েদের ও তাদের বংশধরদের মুখ থেকে চলে যাবে না, সদাপ্রভু বলেন, তা এখন থেকে চিরকাল থাকবে।”

< إِشَعْيَاءَ 59 >