< إِشَعْيَاءَ 51 >

«اِسْمَعُوا لِي أَيُّهَا ٱلتَّابِعُونَ ٱلْبِرَّ ٱلطَّالِبُونَ ٱلرَّبَّ: ٱنْظُرُوا إِلَى ٱلصَّخْرِ ٱلَّذِي مِنْهُ قُطِعْتُمْ، وَإِلَى نُقْرَةِ ٱلْجُبِّ ٱلَّتِي مِنْهَا حُفِرْتُمُ. ١ 1
“তোমরা যারা ধার্মিকতার পিছনে ছুটে চলো ও সদাপ্রভুর অন্বেষণ করো, তোমরা আমার কথা শোনো, সেই শৈলের দিকে তাকাও, যা থেকে তোমাদের কেটে নেওয়া হয়েছে, সেই পাথরের খাদের দিকে তাকাও, যেখান থেকে তোমাদের তক্ষণ করা হয়েছে;
ٱنْظُرُوا إِلَى إِبْرَاهِيمَ أَبِيكُمْ، وَإِلَى سَارَةَ ٱلَّتِي وَلَدَتْكُمْ. لِأَنِّي دَعَوْتُهُ وَهُوَ وَاحِدٌ وَبَارَكْتُهُ وَأَكْثَرْتُهُ. ٢ 2
তোমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহামের দিকে তাকাও ও সারার দিকে, যিনি তোমাদের জাতিকে জন্ম দিয়েছেন। আমি যখন তাকে ডেকেছিলাম, সে মাত্র একজন ছিল, আমি তাকে আশীর্বাদ করে বহুসংখ্যক করেছি।
فَإِنَّ ٱلرَّبَّ قَدْ عَزَّى صِهْيَوْنَ. عَزَّى كُلَّ خِرَبِهَا، وَيَجْعَلُ بَرِّيَّتَهَا كَعَدْنٍ، وَبَادِيَتَهَا كَجَنَّةِ ٱلرَّبِّ. ٱلْفَرَحُ وَٱلِٱبْتِهَاجُ يُوجَدَانِ فِيهَا. ٱلْحَمْدُ وَصَوْتُ ٱلتَّرَنُّمِ. ٣ 3
সদাপ্রভু নিশ্চয়ই সিয়োনকে সান্ত্বনা দেবেন ও তার সমস্ত ধ্বংসস্তূপগুলির প্রতি সহানুভূতি দেখাবেন; তিনি তার মরুপ্রান্তরগুলিকে এদন উদ্যানের মতো করবেন, তার জনশূন্য ভূমিকে সদাপ্রভুর উদ্যানের ন্যায় করবেন। তার মধ্যে পাওয়া যাবে আনন্দ ও উৎফুল্লতা, পাওয়া যাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সংগীতের ঝংকার।
«اُنْصُتُوا إِلَيَّ يَا شَعْبِي، وَيَا أُمَّتِي ٱصْغِي إِلَيَّ: لِأَنَّ شَرِيعَةً مِنْ عِنْدِي تَخْرُجُ، وَحَقِّي أُثَبِّتُهُ نُورًا لِلشُّعُوبِ. ٤ 4
“আমার প্রজারা, আমার কথা শোনো; আমার জাতির লোকেরা, আমার কথায় কান দাও: আমার কাছ থেকে বিধান নির্গত হবে; আমার ন্যায়বিচার সব জাতির কাছে আলোস্বরূপ হবে।
قَرِيبٌ بِرِّي. قَدْ بَرَزَ خَلَاصِي، وَذِرَاعَايَ يَقْضِيَانِ لِلشُّعُوبِ. إِيَّايَ تَرْجُو ٱلْجَزَائِرُ وَتَنْتَظِرُ ذِرَاعِي. ٥ 5
আমার ধর্মশীলতা দ্রুত নিকটে আসছে, আমার পরিত্রাণ সন্নিকট হল, আমারই বাহু জাতিসমূহের কাছে ন্যায়বিচার নিয়ে আসবে। দ্বীপসমূহ আমার প্রতি দৃষ্টিপাত করবে এবং আমার শক্তি প্রদর্শনের প্রত্যাশায় থাকবে।
«اِرْفَعُوا إِلَى ٱلسَّمَاوَاتِ عُيُونَكُمْ، وَٱنْظُرُوا إِلَى ٱلْأَرْضِ مِنْ تَحْتَ. فَإِنَّ ٱلسَّمَاوَاتِ كَٱلدُّخَانِ تَضْمَحِلُّ، وَٱلْأَرْضَ كَٱلثَّوْبِ تَبْلَى، وَسُكَّانَهَا كَٱلْبَعُوضِ يَمُوتُونَ. أَمَّا خَلَاصِي فَإِلَى ٱلْأَبَدِ يَكُونُ وَبِرِّي لَا يُنْقَضُ. ٦ 6
তোমাদের চোখ আকাশমণ্ডলের দিকে তোলো, নিচে পৃথিবীর দিকে তাকাও; ধোঁয়ার মতোই আকাশমণ্ডল অন্তর্হিত হবে, পোশাকের মতোই পৃথিবী জীর্ণ হবে এবং মাছির মতো এর অধিবাসীরা মারা যাবে। কিন্তু আমার দেওয়া পরিত্রাণ চিরস্থায়ী হবে, আমার ধর্মশীলতার শাসন কখনও ব্যর্থ হবে না।
اِسْمَعُوا لِي يَا عَارِفِي ٱلْبِرِّ، ٱلشَّعْبَ ٱلَّذِي شَرِيعَتِي فِي قَلْبِهِ: لَا تَخَافُوا مِنْ تَعْيِيرِ ٱلنَّاسِ، وَمِنْ شَتَائِمِهِمْ لَا تَرْتَاعُوا، ٧ 7
“যা ন্যায়সংগত, তোমরা যারা তা জানো, আমার কথা শোনো, আমার বিধান তোমাদের মধ্যে যাদের অন্তরে আছে, তারা শোনো: মানুষের করা দুর্নাম থেকে ভয় পেয়ো না, কিংবা তাদের করা অপমান থেকে আতঙ্কগ্রস্ত হোয়ো না।
لِأَنَّهُ كَٱلثَّوْبِ يَأْكُلُهُمُ ٱلْعُثُّ، وَكَالصُّوفِ يَأْكُلُهُمُ ٱلسُّوسُ. أَمَّا بِرِّي فَإِلَى ٱلْأَبَدِ يَكُونُ، وَخَلَاصِي إِلَى دَوْرِ ٱلْأَدْوَارِ». ٨ 8
কারণ পোশাকের মতোই কীটপতঙ্গ তাদের খেয়ে ফেলবে; পশমের মতো কীট তাদের গ্রাস করবে। কিন্তু আমার ধার্মিকতা চিরকাল থাকবে, আমার পরিত্রাণ বংশপরম্পরায় অস্তিত্বমান থাকবে।”
اِسْتَيْقِظِي، ٱسْتَيْقِظِي! ٱلْبَسِي قُوَّةً يَا ذِرَاعَ ٱلرَّبِّ! ٱسْتَيْقِظِي كَمَا فِي أَيَّامِ ٱلْقِدَمِ، كَمَا فِي ٱلْأَدْوَارِ ٱلْقَدِيمَةِ. أَلَسْتِ أَنْتِ ٱلْقَاطِعَةَ رَهَبَ، ٱلطَّاعِنَةَ ٱلتِّنِّينَ؟ ٩ 9
জাগো, জাগো! হে সদাপ্রভুর বাহু, তুমি স্বয়ং শক্তি পরিহিত হও; অতীতকালের মতোই তুমি জেগে ওঠো, যেমন পূর্বে বংশপরম্পরায় তুমি করেছিলে। তুমিই কি রহবকে খণ্ডবিখণ্ড করোনি, যিনি সেই বিরাট দানবকে বিদ্ধ করেছিলেন?
أَلَسْتِ أَنْتِ هِيَ ٱلْمُنَشِّفَةَ ٱلْبَحْرَ، مِيَاهَ ٱلْغَمْرِ ٱلْعَظِيمِ، ٱلْجَاعِلَةَ أَعْمَاقَ ٱلْبَحْرِ طَرِيقًا لِعُبُورِ ٱلْمَفْدِيِّينَ؟ ١٠ 10
তুমিই কি সমুদ্রকে, সেই মহাজলধির জলরাশিকে শুষ্ক করোনি? যিনি সমুদ্রের গভীরে একটি পথ প্রস্তুত করেছিলেন, যেন মুক্তিপ্রাপ্ত লোকেরা তা পার হয়ে যায়?
وَمَفْدِيُّو ٱلرَّبِّ يَرْجِعُونَ وَيَأْتُونَ إِلَى صِهْيَوْنَ بِٱلتَّرَنُّمِ، وَعَلَى رُؤُوسِهِمْ فَرَحٌ أَبَدِيٌّ. ٱبْتِهَاجٌ وَفَرَحٌ يُدْرِكَانِهِمْ. يَهْرُبُ ٱلْحُزْنُ وَٱلتَّنَهُّدُ. ١١ 11
মুক্তিপণ দেওয়া সদাপ্রভুর লোকেরা প্রত্যাবর্তন করবে। তারা গান গাইতে গাইতে সিয়োনে প্রবেশ করবে; তাদের মাথায় থাকবে চিরস্থায়ী আনন্দ-মুকুট। আমোদ ও আনন্দে তারা প্লাবিত হবে, দুঃখ ও দীর্ঘশ্বাস দূরে পলায়ন করবে।
«أَنَا أَنَا هُوَ مُعَزِّيكُمْ. مَنْ أَنْتِ حَتَّى تَخَافِي مِنْ إِنْسَانٍ يَمُوتُ، وَمِنِ ٱبْنِ ٱلْإِنْسَانِ ٱلَّذِي يُجْعَلُ كَٱلْعُشْبِ؟ ١٢ 12
“আমি, হ্যাঁ আমিই, তোমাদের সান্ত্বনা দিই। তোমরা কেন মর্ত্যমানবকে ভয় করছ, তারা তো মানবসন্তান, সবাই তৃণের মতো।
وَتَنْسَى ٱلرَّبَّ صَانِعَكَ، بَاسِطَ ٱلسَّمَاوَاتِ وَمُؤَسِّسَ ٱلْأَرْضِ، وَتَفْزَعُ دَائِمًا كُلَّ يَوْمٍ مِنْ غَضَبِ ٱلْمُضَايِقِ عِنْدَمَا هَيَّأَ لِلْإِهْلَاكِ. وَأَيْنَ غَضَبُ ٱلْمُضَايِقِ؟ ١٣ 13
তোমরা, তোমাদের সৃষ্টিকর্তা, সদাপ্রভুকে ভুলে যাচ্ছ, তিনিই আকাশমণ্ডলকে প্রসারিত করেছেন এবং পৃথিবীর ভিত্তিমূল সকল স্থাপন করেছেন। তোমরা প্রতিদিন অবিরত আতঙ্কে বাস করো উপদ্রবীর ক্রোধের কারণে, যারা বিনাশ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে? কারণ উপদ্রবীর ক্রোধ কোথায়?
سَرِيعًا يُطْلَقُ ٱلْمُنْحَنِي، وَلَا يَمُوتُ فِي ٱلْجُبِّ وَلَا يُعْدَمُ خُبْزُهُ. ١٤ 14
ভয়ে জড়োসড়ো বন্দিরা শীঘ্রই মুক্তি পাবে; তারা তাদের অন্ধকূপে আর মৃত্যুবরণ করবে না, তাদের খাদ্যের অভাবও আর হবে না।
وَأَنَا ٱلرَّبُّ إِلَهُكَ مُزْعِجُ ٱلْبَحْرِ فَتَعِجُّ لُجَجُهُ. رَبُّ ٱلْجُنُودِ ٱسْمُهُ. ١٥ 15
কারণ আমি সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, আমি সমুদ্রকে তোলপাড় করলে তার তরঙ্গসমূহ গর্জন করে— সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু তাঁর নাম।
وَقَدْ جَعَلْتُ أَقْوَالِي فِي فَمِكَ، وَبِظِلِّ يَدِي سَتَرْتُكَ لِغَرْسِ ٱلسَّمَاوَاتِ وَتَأْسِيسِ ٱلْأَرْضِ، وَلِتَقُولَ لِصِهْيَوْنَ: أَنْتِ شَعْبِي». ١٦ 16
আমি আমার বাক্য তোমার মুখে দিয়েছি, আর তোমাকে আমার হাতের ছায়ায় আবৃত করেছি— আমিই আকাশমণ্ডলকে যথাস্থানে স্থাপন করেছি, যিনি পৃথিবীর ভিত্তিমূলসমূহ স্থাপন করেছেন, যিনি সিয়োনকে বলেন, ‘তুমি আমার প্রজা।’”
اِنْهَضِي، ٱنْهَضِي! قُومِي يَا أُورُشَلِيمُ ٱلَّتِي شَرِبْتِ مِنْ يَدِ ٱلرَّبِّ كَأْسَ غَضَبِهِ، ثُفْلَ كَأْسِ ٱلتَّرَنُّحِ شَرِبْتِ. مَصَصْتِ. ١٧ 17
জাগো, জাগো! ওহে জেরুশালেম, উঠে দাঁড়াও, সদাপ্রভুর ক্রোধের পানপাত্র, যারা তাঁর হাত থেকে পান করেছ, যে পানপাত্র মানুষকে টলোমলো করে, যারা তার তলানি পর্যন্ত চেটে খেয়েছ।
لَيْسَ لَهَا مَنْ يَقُودُهَا مِنْ جَمِيعِ ٱلْبَنِينَ ٱلَّذِينَ وَلَدَتْهُمْ، وَلَيْسَ مَنْ يُمْسِكُ بِيَدِهَا مِنْ جَمِيعِ ٱلْبَنِينَ ٱلَّذِينَ رَبَّتْهُمْ. ١٨ 18
তার জন্ম দেওয়া সব পুত্রের মধ্যে কেউই তাকে পথ প্রদর্শন করেনি; তার লালনপালন করা সব সন্তানের মধ্যে কেউই তার হাত ধরে চালায়নি।
اِثْنَانِ هُمَا مُلَاقِيَاكِ. مَنْ يَرْثِي لَكِ؟ ٱلْخَرَابُ وَالِٱنْسِحَاقُ وَٱلْجُوعُ وَٱلسَّيْفُ. بِمَنْ أُعَزِّيكِ؟ ١٩ 19
এই দুই ধরনের দুর্যোগ তোমার উপরে এসে পড়েছে, কে তোমাকে সান্ত্বনা দেবে? ধ্বংস ও বিনাশ, দুর্ভিক্ষ ও তরোয়াল, আমি কী করে তোমাকে আশ্বাস দিতে পারি?
بَنُوكِ قَدْ أَعْيَوْا. ٱضْطَجَعُوا فِي رَأْسِ كُلِّ زُقَاقٍ كَٱلْوَعْلِ فِي شَبَكَةٍ. ٱلْمَلآنُونَ مِنْ غَضَبِ ٱلرَّبِّ، مِنْ زَجْرَةِ إِلَهِكِ. ٢٠ 20
তোমার সন্তানেরা সব মূর্ছিত হয়েছে; তারা প্রত্যেকটি পথের মাথায় মাথায় পড়ে আছে, যেভাবে কোনো কৃষ্ণসার হরিণ জালে ধরা পড়ে। তারা সদাপ্রভুর ক্রোধে, তোমার ঈশ্বরের তিরস্কারে পূর্ণ।
لِذَلِكَ ٱسْمَعِي هَذَا أَيَّتُهَا ٱلْبَائِسَةُ وَٱلسَّكْرَى وَلَيْسَ بِٱلْخَمْرِ. ٢١ 21
সেই কারণে, তোমরা যারা কষ্ট পেয়েছ, একথা শোনো, তোমাকে মত্ত করা হয়েছে, কিন্তু দ্রাক্ষারসে নয়।
هَكَذَا قَالَ سَيِّدُكِ ٱلرَّبُّ، وَإِلَهُكِ ٱلَّذِي يُحَاكِمُ لِشَعْبِهِ: «هَأَنَذَا قَدْ أَخَذْتُ مِنْ يَدِكِ كَأْسَ ٱلتَّرَنُّحِ، ثُفْلَ كَأْسِ غَضَبِي. لَا تَعُودِينَ تَشْرَبِينَهَا فِي مَا بَعْدُ. ٢٢ 22
তোমার সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমার ঈশ্বর বলেন, যিনি তাঁর প্রজাদের পক্ষসমর্থন করেন: “দেখো, আমি তোমার হাত থেকে ওই পানপাত্র ছিনিয়ে নিয়েছি, যা পান করলে তুমি টলোমলো হও; সেই পেয়ালা, যা আমার ক্রোধের বড়ো পানপাত্র, তুমি আর কখনও তা পান করবে না।
وَأَضَعُهَا فِي يَدِ مُعَذِّبِيكِ ٱلَّذِينَ قَالُوا لِنَفْسِكِ: ٱنْحَنِي لِنَعْبُرَ. فَوَضَعْتِ كَٱلْأَرْضِ ظَهْرَكِ وَكَالزُّقَاقِ لِلْعَابِرِينَ». ٢٣ 23
আমি তোমার অত্যাচারীদের হাতে তা দেব, যারা তোমাকে বলেছিল, ‘উপুড় হয়ে পড়ো, যেন তোমাদের উপর দিয়ে আমরা হেঁটে যাই।’ আর তোমরা তোমাদের পিঠ ভূমির মতো, পথিকদের কাছে সড়কের মতো করেছ।”

< إِشَعْيَاءَ 51 >