< إِشَعْيَاءَ 49 >

اِسْمَعِي لِي أَيَّتُهَا ٱلْجَزَائِرُ، وَٱصْغَوْا أَيُّهَا ٱلْأُمَمُ مِنْ بَعِيدٍ: ٱلرَّبُّ مِنَ ٱلْبَطْنِ دَعَانِي. مِنْ أَحْشَاءِ أُمِّي ذَكَرَ ٱسْمِي، ١ 1
আমার কথা শোন, তোমরা উপকূলবাসীরা এবং মনোযোগ দাও, তোমরা দূরের লোকেরা। সদাপ্রভু আমার জন্ম থেকে আমার নাম ধরে ডেকেছিলেন, যখন আমার মা আমাকে পৃথিবীতে এনেছিলেন।
وَجَعَلَ فَمِي كَسَيْفٍ حَادٍّ. فِي ظِلِّ يَدِهِ خَبَّأَنِي وَجَعَلَنِي سَهْمًا مَبْرِيًّا. فِي كِنَانَتِهِ أَخْفَانِي. ٢ 2
তিনি আমার মুখকে ধারালো তরোয়ালের মত করেছেন। তিনি আমাকে তাঁর হাতের ছায়ায় লুকিয়ে রেখেছেন। তিনি আমাকে একটা পালিশ করা তীরের মতো করেছেন; তাঁর তীর রাখার খাপের মধ্যে রেখেছেন।
وَقَالَ لِي: «أَنْتَ عَبْدِي إِسْرَائِيلُ ٱلَّذِي بِهِ أَتَمَجَّدُ». ٣ 3
তিনি আমাকে বললেন, “তুমি আমার দাস, ইস্রায়েল, যার মধ্যে দিয়ে আমি আমার মহিমা দেখাবো।”
أَمَّا أَنَا فَقُلْتُ: «عَبَثًا تَعِبْتُ. بَاطِلًا وَفَارِغًا أَفْنَيْتُ قُدْرَتِي. لَكِنَّ حَقِّي عِنْدَ ٱلرَّبِّ، وَعَمَلِي عِنْدَ إِلَهِي». ٤ 4
যদিও আমি চিন্তা করলাম “আমার পরিশ্রম বিফল হয়েছে; আমি আমার শক্তি বৃথাই নষ্ট করেছি। তবুও আমার বিচার সদাপ্রভুর হাতে আছে এবং আমার পুরষ্কার ঈশ্বরের সঙ্গে আছে।”
وَٱلْآنَ قَالَ ٱلرَّبُّ جَابِلِي مِنَ ٱلْبَطْنِ عَبْدًا لَهُ، لِإِرْجَاعِ يَعْقُوبَ إِلَيْهِ، فَيَنْضَمُّ إِلَيْهِ إِسْرَائِيلُ فَأَتَمَجَّدُ فِي عَيْنَيِ ٱلرَّبِّ، وَإِلَهِي يَصِيرُ قُوَّتِي. ٥ 5
এবং এখন সদাপ্রভু বলেছেন, তিনি যিনি আমাকে জন্ম থেকে তাঁর দাস করে গড়েছেন, যেন আমি যাকোবকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাই এবং ইস্রায়েলকে তাঁর কাছে জড়ো করি। আমি সদাপ্রভুর চোখে সম্মানিত এবং ঈশ্বর আমার শক্তি হয়েছেন।
فَقَالَ: «قَلِيلٌ أَنْ تَكُونَ لِي عَبْدًا لِإِقَامَةِ أَسْبَاطِ يَعْقُوبَ، وَرَدِّ مَحْفُوظِي إِسْرَائِيلَ. فَقَدْ جَعَلْتُكَ نُورًا لِلْأُمَمِ لِتَكُونَ خَلَاصِي إِلَى أَقْصَى ٱلْأَرْضِ». ٦ 6
তিনি বলেন, “এটা তোমার কাছে ছোটো বিষয় আমার দাস হওয়ার জন্য যাকোবের বংশকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য এবং ইস্রায়েলের বেঁচে থাকা লোকদের ফিরিয়ে আনবার জন্য। আমি তোমাকে অন্য জাতির কাছে আলোর মত করব যাতে তুমি আমার পরিত্রাতা হও পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত।”
هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ فَادِي إِسْرَائِيلَ، قُدُّوسُهُ، لِلْمُهَانِ ٱلنَّفْسِ، لِمَكْرُوهِ ٱلْأُمَّةِ، لِعَبْدِ ٱلْمُتَسَلِّطِينَ: «يَنْظُرُ مُلُوكٌ فَيَقُومُونَ. رُؤَسَاءُ فَيَسْجُدُونَ. لِأَجْلِ ٱلرَّبِّ ٱلَّذِي هُوَ أَمِينٌ، وَقُدُّوسِ إِسْرَائِيلَ ٱلَّذِي قَدِ ٱخْتَارَكَ». ٧ 7
একথা যা সদাপ্রভু বলেছেন, ইস্রায়েলের উদ্ধারকর্তা, তাদের পবিত্র ব্যক্তি লোকে যাঁকে তুচ্ছ করছে, ঘৃণার চোখে দেখছে, যিনি শাসনকর্ত্তাদের ক্রীতদাস; “রাজারা তোমাকে দেখবে এবং উঠে দাঁড়াবে এবং রাজপুরুষেরা তোমাকে দেখবে এবং মাথা নত করবে, কারণ সদাপ্রভু যিনি বিশ্বস্ত, এমনকি ইস্রায়েলের পবিত্র ব্যক্তি যিনি তোমাকে বেছে নিয়েছেন।.”
هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: «فِي وَقْتِ ٱلْقُبُولِ ٱسْتَجَبْتُكَ، وَفِي يَوْمِ ٱلْخَلَاصِ أَعَنْتُكَ. فَأَحْفَظُكَ وَأَجْعَلُكَ عَهْدًا لِلشَّعْبِ، لِإِقَامَةِ ٱلْأَرْضِ، لِتَمْلِيكِ أَمْلَاكِ ٱلْبَرَارِيِّ، ٨ 8
একথা সদাপ্রভু বলছেন, “দয়া দেখাবার দিনের আমি তোমাকে উত্তর দেবো এবং উদ্ধার পাবার দিনের তোমাকে সাহায্য করব। আমি তোমাকে রক্ষা করব এবং তোমাকে লোকেদের জন্য একটা বিধি দেবো যাতে তুমি দেশকে পুনরায় তৈরী করতে পার খালি পড়ে থাকা জায়গাগুলো অধিকারে আনতে পার।
قَائِلًا لِلْأَسْرَى: ٱخْرُجُوا. لِلَّذِينَ فِي ٱلظَّلَامِ: ٱظْهَرُوا. عَلَى ٱلطُّرُقِ يَرْعَوْنَ وَفِي كُلِّ ٱلْهِضَابِ مَرْعَاهُمْ. ٩ 9
তুমি বন্দীদের বলবে, ‘বেরিয়ে এসো,’ তাদের যারা অন্ধকারে আছে। তারা রাস্তা বরাবর চরবে এবং সব ফাঁকা জায়গায় চরানো হবে।
لَا يَجُوعُونَ وَلَا يَعْطَشُونَ، وَلَا يَضْرِبُهُمْ حَرٌّ وَلَا شَمْسٌ، لِأَنَّ ٱلَّذِي يَرْحَمُهُمْ يَهْدِيهِمْ وَإِلَى يَنَابِيعِ ٱلْمِيَاهِ يُورِدُهُمْ. ١٠ 10
১০তাদের খিদে পাবে না, পিপাসা পাবে না, কিম্বা গরম বা সূর্য্যের তাপ তাদের ওপর পড়বে না। যাদের উপর তাঁর মমতা আছে তিনি তাদের পথ দেখাবেন তিনি জলের ফোয়ারার কাছে নিয়ে যাবেন।
وَأَجْعَلُ كُلَّ جِبَالِي طَرِيقًا، وَمَنَاهِجِي تَرْتَفِعُ. ١١ 11
১১এবং আমার সব পাহাড়গুলোকে রাস্তা তৈরী করবো এবং আমার রাজপথগুলো তৈরী করবো।
هَؤُلَاءِ مِنْ بَعِيدٍ يَأْتُونَ، وَهَؤُلَاءِ مِنَ ٱلشَّمَالِ وَمِنَ ٱلْمَغْرِبِ، وَهَؤُلَاءِ مِنْ أَرْضِ سِينِيمَ». ١٢ 12
১২দেখ, এরা দূর থেকে আসবে; কেও উত্তর থেকে, কেউ পশ্চিম থেকে এবং অন্যরা আসবান দেশ থেকে আসবে।”
تَرَنَّمِي أَيَّتُهَا ٱلسَّمَاوَاتُ، وَٱبْتَهِجِي أَيَّتُهَا ٱلْأَرْضُ. لِتُشِدِ ٱلْجِبَالُ بِٱلتَّرَنُّمِ، لِأَنَّ ٱلرَّبَّ قَدْ عَزَّى شَعْبَهُ، وَعَلَى بَائِسِيهِ يَتَرَحَّمُ. ١٣ 13
১৩গান গাও আকাশএবং আনন্দ কর; পৃথিবী, গান গাও, তোমরা পর্বতেরা! কারণ সদাপ্রভু তাঁর লোকদের সান্ত্বনা দেবেন এবং তাঁর অত্যাচারিত লোকদের করুণা করবেন।
وَقَالَتْ صِهْيَوْنُ: «قَدْ تَرَكَنِي ٱلرَّبُّ، وَسَيِّدِي نَسِيَنِي». ١٤ 14
১৪কিন্তু সিয়োন বলল, “সদাপ্রভু আমাকে ত্যাগ করেছেন এবং প্রভু আমাকে ভুলে গেছেন।”
«هَلْ تَنْسَى ٱلْمَرْأَةُ رَضِيعَهَا فَلَا تَرْحَمَ ٱبْنَ بَطْنِهَا؟ حَتَّى هَؤُلَاءِ يَنْسَيْنَ، وَأَنَا لَا أَنْسَاكِ. ١٥ 15
১৫একজন স্ত্রী কি তার শিশুকে ভুলতে পারে তার দুধের সেবা করানো থেকে সেইজন্য সে যে শিশুকে জন্ম দিয়েছে তার উপর কি মমতা থাকবে না? হ্যাঁ তারা ভুলে যেতে পারে কিন্তু আমি তোমাদের ভুলবনা।
هُوَذَا عَلَى كَفَّيَّ نَقَشْتُكِ. أَسْوَارُكِ أَمَامِي دَائِمًا. ١٦ 16
১৬দেখ, আমার হাতের তালুতে আমি তোমার নাম খোদাই করে রেখেছি; তোমার দেয়ালগুলো সব দিন আমার সামনে আছে।
قَدْ أَسْرَعَ بَنُوكِ. هَادِمُوكِ وَمُخْرِبُوكِ مِنْكِ يَخْرُجُونَ. ١٧ 17
১৭তোমার ছেলেরা ফিরে আসবার জন্য তাড়াতাড়ি করছে, আর যারা তোমাকে ধ্বংস করেছিল তারা তোমার কাছ থেকে চলে গেছে।
اِرْفَعِي عَيْنَيْكِ حَوَالَيْكِ وَٱنْظُرِي. كُلُّهُمْ قَدِ ٱجْتَمَعُوا، أَتَوْا إِلَيْكِ. حَيٌّ أَنَا، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، إِنَّكِ تَلْبَسِينَ كُلَّهُمْ كَحُلِيٍّ، وَتَتَنَطَّقِينَ بِهِمْ كَعَرُوسٍ. ١٨ 18
১৮তুমি চারদিকে চোখ তোলো এবং দেখ; তারা সব একত্র হয়েছে এবং তোমার কাছে আসছে। “যেমন নিশ্চয়ই আমি বেঁচে আছি” এটা সদাপ্রভু বলেছেন–তুমি নিশ্চয়ই তাদের পরাবে গয়নার মত, বিয়ের কনের গয়নার মত।
إِنَّ خِرَبَكِ وَبَرَارِيَّكِ وَأَرْضَ خَرَابِكِ، إِنَّكِ تَكُونِينَ ٱلْآنَ ضَيِّقَةً عَلَى ٱلسُّكَّانِ، وَيَتَبَاعَدُ مُبْتَلِعُوكِ. ١٩ 19
১৯“যদিও তুমি ধ্বংস হয়েছ এবং জনশূন্য হয়ে আছ সে দেশ যেখানে ধ্বংস হয়েছিল এখন তুমি সে লোকেদের কাছে খুব ছোটো হবে এবং যারা তোমাকে গিলে ফেলেছিল তারা দূর হয়ে যাবে।
يَقُولُ أَيْضًا فِي أُذُنَيْكِ بَنُو ثُكْلِكِ: ضَيِّقٌ عَلَيَّ ٱلْمَكَانُ. وَسِّعِي لِي لِأَسْكُنَ. ٢٠ 20
২০তোমার যে সন্তানদের তুমি হারিয়েছিলে তারা তোমার কাছে এসে বলবে, ‘এ জায়গা আমাদের জন্য খুব ছোট; আমাদের জন্য ঘর বানাও যাতে এখানে আমরা থাকতে পারি।’
فَتَقُولِينَ فِي قَلْبِكِ: مَنْ وَلَدَ لِي هَؤُلَاءِ وَأَنَا ثَكْلَى، وَعَاقِرٌ مَنْفِيَّةٌ وَمَطْرُودَةٌ؟ وَهَؤُلَاءِ مَنْ رَبَّاهُمْ؟ هَأَنَذَا كُنْتُ مَتْرُوكَةً وَحْدِي. هَؤُلَاءِ أَيْنَ كَانُوا؟». ٢١ 21
২১তখন তুমি নিজেকে বলবে, ‘কে আমার জন্য এদেরকে জন্ম দিয়েছে? আমি সন্তানদের হারিয়ে বন্ধ্যার মত হয়ে গিয়েছিলাম; আমাকে যেন দূর করে দেওয়া হয়েছিল এবং ত্যাগ করা হয়েছিল, কে এ শিশুদেরকে তুললো? দেখো আমি একা পড়েছিলাম; এরা কোথা থেকে এসেছে’?”
هَكَذَا قَالَ ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ: «هَا إِنِّي أَرْفَعُ إِلَى ٱلْأُمَمِ يَدِي وَإِلَى ٱلشُّعُوبِ أُقِيمُ رَايَتِي، فَيَأْتُونَ بِأَوْلَادِكِ فِي ٱلْأَحْضَانِ، وَبَنَاتُكِ عَلَى ٱلْأَكْتَافِ يُحْمَلْنَ. ٢٢ 22
২২একথা প্রভু সদাপ্রভু বলছেন, “দেখ, আমি জাতিদের হাত তুলবো; আমি আমার চিহ্ন পতাকা লোকেদের দেখাব। তারা কোলে করে তোমার ছেলেদের নিয়ে আসবে এবং কাঁধে করে তোমার মেয়েদের বয়ে নিয়ে আসবে।
وَيَكُونُ ٱلْمُلُوكُ حَاضِنِيكِ وَسَيِّدَاتُهُمْ مُرْضِعَاتِكِ. بِٱلْوُجُوهِ إِلَى ٱلْأَرْضِ يَسْجُدُونَ لَكِ، وَيَلْحَسُونَ غُبَارَ رِجْلَيْكِ، فَتَعْلَمِينَ أَنِّي أَنَا ٱلرَّبُّ ٱلَّذِي لَا يَخْزَى مُنْتَظِرُوهُ». ٢٣ 23
২৩রাজারা তোমার লালন-পালনকারী হবে এবং তাদের রাণীরা তোমার আয়া হবে। তারা মাটিতে উপুড় হয়ে তোমাকে প্রণাম করবে এবং তোমার পায়ের ধূলো চাটবে এবং তুমি জানতে পারবে যে, আমি সদাপ্রভু; যারা আমার জন্য অপেক্ষা করবে তারা লজ্জিত হবে না।”
هَلْ تُسْلَبُ مِنَ ٱلْجَبَّارِ غَنِيمَةٌ؟ وَهَلْ يُفْلِتُ سَبْيُ ٱلْمَنْصُورِ؟ ٢٤ 24
২৪যোদ্ধার কাছ থেকে কি লুটের জিনিস নিয়ে নেওয়া যায়? অথবা বিজয়ী লোকের হাত থেকে কি বন্দীকে উদ্ধার করা যায়?
فَإِنَّهُ هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: «حَتَّى سَبْيُ ٱلْجَبَّارِ يُسْلَبُ، وَغَنِيمَةُ ٱلْعَاتِي تُفْلِتُ. وَأَنَا أُخَاصِمُ مُخَاصِمَكِ وَأُخَلِّصُ أَوْلَادَكِ، ٢٥ 25
২৫কিন্তু সদাপ্রভু একথা বলছেন, “হ্যাঁ, যোদ্ধাদের হাত থেকে বন্দীদের নিয়ে নেওয়া যাবে এবং অত্যাচারী লোকের হাত থেকে লুটের জিনিস উদ্ধার করা হবে। আমি বিরোধিতা করবো তোমার শত্রুদের সঙ্গে এবং তোমার সন্তানদের আমি বাঁচাবো।
وَأُطْعِمُ ظَالِمِيكِ لَحْمَ أَنْفُسِهِمْ، وَيَسْكَرُونَ بِدَمِهِمْ كَمَا مِنْ سُلَافٍ، فَيَعْلَمُ كُلُّ بَشَرٍ أَنِّي أَنَا ٱلرَّبُّ مُخَلِّصُكِ، وَفَادِيكِ عَزِيزُ يَعْقُوبَ». ٢٦ 26
২৬আমি তাদের মাংস তাদেরই খাওয়াব; যারা তোমার উপর অত্যাচার করে এবং তারা মদের মতো নিজেদের রক্ত নিজেরা খাবে এবং সব মানুষ জানবে যে, আমি সদাপ্রভু, আমি তোমার উদ্ধারকর্তা, তোমার মুক্তিদাতা, যাকোবের সেই শক্তিশালী ব্যক্তি।”

< إِشَعْيَاءَ 49 >