< إِشَعْيَاءَ 33 >

وَيْلٌ لَكَ أَيُّهَا ٱلْمُخْرِبُ وَأَنْتَ لَمْ تُخْرَبْ، وَأَيُّهَا ٱلنَّاهِبُ وَلَمْ يَنْهَبُوكَ. حِينَ تَنْتَهِي مِنَ ٱلتَّخْرِيبِ تُخْرَبُ، وَحِينَ تَفْرَغُ مِنَ ٱلنَّهْبِ يَنْهَبُونَكَ. ١ 1
ধিক তোমাদের, ধ্বংসকারী যিনি ধ্বংস করে নি! তবুও তুমি বিশ্বাসঘাতকতা করছ। ধিক বিশ্বাসঘাতককে যার সাথে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করে নি! যখন তুমি ধ্বংস থামাবে, তুমি ধ্বংস হবে। যখন বিশ্বাসঘাতকতা থামাবে, তারা তোমাকে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।
يَارَبُّ، تَرَاءَفْ عَلَيْنَا. إِيَّاكَ ٱنْتَظَرْنَا. كُنْ عَضُدَهُمْ فِي ٱلْغَدَوَاتِ. خَلَاصَنَا أَيْضًا فِي وَقْتِ ٱلشِّدَّةِ. ٢ 2
সদাপ্রভু, আমাদের দয়া কর; আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি; প্রতি সকালে আমাদের বাহু হও, বিপদের দিনের আমাদের পরিত্রান হও।
مِنْ صَوْتِ ٱلضَّجِيجِ هَرَبَتِ ٱلشُّعُوبُ. مِنِ ٱرْتِفَاعِكَ تَبَدَّدَتِ ٱلْأُمَمُ. ٣ 3
তীব্র কোলাহলে লোকেরা পালিয়ে যায়; যখন তুমি ওঠ, জাতিগুলো ছড়িয়ে পড়ে।
وَيُجْنَى سَلَبُكُمْ جَنَى ٱلْجَرَادِ. كَتَرَاكُضِ ٱلْجُنْدُبِ يُتَرَاكَضُ عَلَيْهِ. ٤ 4
যেমনভাবে পঙ্গপাল জড়ো করে, তেমন তোমার লুটের জিনিসও সংগ্রহ করা হবে; পঙ্গপাল যেমন লাফায় তেমন মানুষও সেগুলোর উপরে লাফিয়ে পরবে।
تَعَالَى ٱلرَّبُّ لِأَنَّهُ سَاكِنٌ فِي ٱلْعَلَاءِ. مَلَأَ صِهْيَوْنَ حَقًّا وَعَدْلًا. ٥ 5
সদাপ্রভু মহিমান্বিত হয়! তিনি একটি উচ্চ জায়গায় বসবাস করে; তিনি সিয়োনকে ন্যায়বিচার এবং ন্যায়পরায়ণতার সাথে পূর্ণ করবেন।
فَيَكُونُ أَمَانُ أَوْقَاتِكَ وَفْرَةَ خَلَاصٍ وَحِكْمَةٍ وَمَعْرِفَةٍ. مَخَافَةُ ٱلرَّبِّ هِيَ كَنْزُهُ. ٦ 6
তিনি তোমার দিন স্হায়িত্ব হবে, পরিত্রানের প্রাচুর্য্য, জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা হবে; সদাপ্রভুর প্রতি ভয় হল তোমার ধন।
هُوَذَا أَبْطَالُهُمْ قَدْ صَرَخُوا خَارِجًا. رُسُلُ ٱلسَّلَامِ يَبْكُونَ بِمَرَارَةٍ. ٧ 7
দেখ, তাদের বীরেরা রাস্তায় কাঁদছে; শান্তির জন্য দূতেরা কাঁদছে।
خَلَتِ ٱلسِّكَكُ. بَادَ عَابِرُ ٱلسَّبِيلِ. نَكَثَ ٱلْعَهْدَ. رَذَلَ ٱلْمُدُنَ. لَمْ يَعْتَدَّ بِإِنْسَانٍ. ٨ 8
মহাসড়ক শূন্য করা হয়েছে, কোন ভ্রমণকারী নেই। চুক্তি ভাঙ্গা হয়েছে; সাক্ষীদের ঘৃণা করা হয় এবং শহরগুলোকে অসম্মান করা হবে।
نَاحَتْ، ذَبُلَتِ ٱلْأَرْضُ. خَجِلَ لُبْنَانُ وَتَلِفَ. صَارَ شَارُونُ كَٱلْبَادِيَةِ. نُثِرَ بَاشَانُ وَكَرْمَلُ. ٩ 9
দেশ শোক করে শুকিয়ে যায়, লিবানোন লজ্জা পেয়েছে এবং শুকিয়ে যাচ্ছে, শারোণ মরুপ্রান্তের সমান হয়েছে এবং বাশন ও কর্মিলের তদের সব পাতা ঝরে পড়েছে।
«اَلْآنَ أَقُومُ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. ٱلْآنَ أَصْعَدُ. ٱلْآنَ أَرْتَفِعُ. ١٠ 10
১০সদাপ্রভু বলছেন, “এবার আমি উঠব,” “এখন আমি উন্নত হব, এবার আমি উঁচু হব।
تَحْبَلُونَ بِحَشِيشٍ، تَلِدُونَ قَشِيشًا. نَفَسُكُمْ نَارٌ تَأْكُلُكمْ. ١١ 11
১১তোমরা গর্ভে তুষ ধারণ করবে। তোমাদের নিঃশ্বাস আগুনের মত করে তোমাদের পুড়িয়ে ফেলবে।
وَتَصِيرُ ٱلشُّعُوبُ وَقُودَ كِلْسٍ، أَشْوَاكًا مَقْطُوعَةً تُحْرَقُ بِٱلنَّارِ». ١٢ 12
১২লোকেদের আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হবে, কাঁটাঝোপগুলো কেটে ফেলা হবে এবং আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হবে।
اِسْمَعُوا أَيُّهَا ٱلْبَعِيدُونَ مَا صَنَعْتُ، وَٱعْرِفُوا أَيُّهَا ٱلْقَرِيبُونَ بَطْشِي. ١٣ 13
১৩তোমরা যারা দূরে আছ, আমি যা করেছি তা শোন এবং তোমরা যারা কাছাকাছি আছ, আমার শক্তিকে স্বীকার করে নাও।”
ٱرْتَعَبَ فِي صِهْيَوْنَ ٱلْخُطَاةُ. أَخَذَتِ ٱلرِّعْدَةُ ٱلْمُنَافِقِينَ: «مَنْ مِنَّا يَسْكُنُ فِي نَارٍ آكِلَةٍ؟ مَنْ مِنَّا يَسْكُنُ فِي وَقَائِدَ أَبَدِيَّةٍ؟» ١٤ 14
১৪সিয়োনের পাপীরা ভীষণ ভয় পায়; অধার্ম্মিক লোকদের কাঁপুনি ধরেছে। তারা বলছে, আমাদের মধ্যে কে প্রচন্ড আগুনের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে পারে? আমাদের মধ্যে কে চিরকাল জ্বলন্ত আগুনের বাস করতে পারে?
ٱلسَّالِكُ بِٱلْحَقِّ وَٱلْمُتَكَلِّمُ بِٱلِٱسْتِقَامَةِ، ٱلرَّاذِلُ مَكْسَبَ ٱلْمَظَالِمِ، ٱلنَّافِضُ يَدَيْهِ مِنْ قَبْضِ ٱلرَّشْوَةِ، ٱلَّذِي يَسُدُّ أُذُنَيْهِ عَنْ سَمْعِ ٱلدِّمَاءِ، وَيُغَمِّضُ عَيْنَيْهِ عَنِ ٱلنَّظَرِ إِلَى ٱلشَّرِّ ١٥ 15
১৫যে ন্যায়পরায়ভাবে হাঁটে এবং সত্যি কথা বলে; যে অত্যাচারের তিক্ততাকে তুচ্ছ করে, যে লোক জুলুম করে লাভ করা ঘৃণা করে ও ঘুষ নেওয়া থেকে হাত সরিয়ে রাখে, যারা ঘুষ করতে অস্বীকার করে এবং যারা হিংসাতে অপরাধ করে না ও মন্দ কাজ দেখে না।
هُوَ فِي ٱلْأَعَالِي يَسْكُنُ. حُصُونُ ٱلصُّخُورِ مَلْجَأُهُ. يُعْطَى خُبْزَهُ، وَمِيَاهُهُ مَأْمُونَةٌ. ١٦ 16
১৬সে উচ্চস্থানে তার ঘর তৈরী করবে; তার প্রতিরক্ষা জায়গা হবে পাথরের দুর্গ; তার খাবার ও জল সরবরাহ হবে।
اَلْمَلِكَ بِبَهَائِهِ تَنْظُرُ عَيْنَاكَ. تَرَيَانِ أَرْضًا بَعِيدَةً. ١٧ 17
১৭তোমার চোখ রাজাকে তাঁর সৌন্দর্যের মধ্যে দেখতে পাবে; তারা একটি বিশাল দেশ দেখতে পাবে।
قَلْبُكَ يَتَذَكَّرُ ٱلرُّعْبَ: «أَيْنَ ٱلْكَاتِبُ؟ أَيْنَ ٱلْجَابِي؟ أَيْنَ ٱلَّذِي عَدَّ ٱلْأَبْرَاجَ؟» ١٨ 18
১৮তোমার হৃদয়ে ভয়ের বিষয়ে প্রত্যাহার করে। লেখক কোথায়? কোথায় সে যে টাকা পয়সা আদায়কারী? কোথায় দুর্গ গণনাকারী?
ٱلشَّعْبَ ٱلشَّرِسَ لَا تَرَى. ٱلشَّعْبَ ٱلْغَامِضَ ٱللُّغَةِ عَنِ ٱلْإِدْرَاكِ، ٱلْعَيِيَّ بِلِسَانٍ لَا يُفْهَمُ. ١٩ 19
১৯তুমি আর ক্রুদ্ধ লোকদের দেখতে পাবে না, একটি অজানা ভাষার মানুষ, যাদের তুমি বুঝবে না।
اُنْظُرْ صِهْيَوْنَ مَدِينَةَ أَعْيَادِنَا. عَيْنَاكَ تَرَيَانِ أُورُشَلِيمَ مَسْكِنًا مُطْمَئِنًّا، خَيْمَةً لَا تَنْتَقِلُ، لَا تُقْلَعُ أَوْتَادُهَا إِلَى ٱلْأَبَدِ، وَشَيْءٌ مِنْ أَطْنَابِهَا لَا يَنْقَطِعُ. ٢٠ 20
২০সিয়োনের দিকে দেখ, আমাদের পর্ব পালনের শহর। তোমার চোখ দেখবে যিরূশালেমকে, একটা শান্তিপূর্ণ বাসস্থান হিসাবে, একটা তাঁবু যা সরানো হবে না। যার দালানগুলো কখনও টানা হবে না বা তার কোন দড়িও ছেঁড়া হবে না।
بَلْ هُنَاكَ ٱلرَّبُّ ٱلْعَزِيزُ لَنَا مَكَانُ أَنْهَارٍ وَتُرَعٍ وَاسِعَةِ ٱلشَّوَاطِئِ. لَا يَسِيرُ فِيهَا قَارِبٌ بِمِقْذَافٍ، وَسَفِينَةٌ عَظِيمَةٌ لَا تَجْتَازُ فِيهَا. ٢١ 21
২১পরিবর্তে, সদাপ্রভুর মহিমা আমাদের সাথে থাকবে, বিস্তৃত নদী ও জলস্রোতের জায়গায়। কোন দাঁড়যুক্ত যুদ্ধজাহাজ সেখানে চলবে না; কোন বড় জাহাজ তা পার হয়ে আসবে না।
فَإِنَّ ٱلرَّبَّ قَاضِينَا. ٱلرَّبُّ شَارِعُنَا. ٱلرَّبُّ مَلِكُنَا هُوَ يُخَلِّصُنَا. ٢٢ 22
২২কারণ সদাপ্রভুই আমাদের বিচারক, সদাপ্রভু আমাদের আইনজ্ঞ, সদাপ্রভু আমাদের রাজা, তিনি আমাদের রক্ষা করবেন।
ٱرْتَخَتْ حِبَالُكِ. لَا يُشَدِّدُونَ قَاعِدَةَ سَارِيَتِهِمْ. لَا يَنْشُرُونَ قِلْعًا. حِينَئِذٍ قُسِمَ سَلَبُ غَنِيمَةٍ كَثِيرَةٍ. ٱلْعُرْجُ نَهَبُوا نَهْبًا. ٢٣ 23
২৩তোমার পালের দড়িগুলি ঢিলা হয়ে গেছে; মাস্তুলটা শক্ত করে আটকে নেই, পালও খাটানো যায়নি। যখন বিশাল লুটপাট বিভক্ত হয়; এমনকি খোঁড়ারাও লুটের মাল নিয়ে যাবে।
وَلَا يَقُولُ سَاكِنٌ: «أَنَا مَرِضْتُ». ٱلشَّعْبُ ٱلسَّاكِنُ فِيهَا مَغْفُورُ ٱلْإِثْمِ. ٢٤ 24
২৪বাসিন্দারা কেউ বলবে না, “আমি অসুস্থ,” যারা সেখানে বাস করে তাদের পাপ ক্ষমা করা হবে।

< إِشَعْيَاءَ 33 >