< إِشَعْيَاءَ 30 >

«وَيْلٌ لِلْبَنِينَ ٱلْمُتَمَرِّدِينَ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، حَتَّى أَنَّهُمْ يُجْرُونَ رَأْيًا وَلَيْسَ مِنِّي، وَيَسْكُبُونَ سَكِيبًا وَلَيْسَ بِرُوحِي، لِيَزِيدُوا خَطِيئَةً عَلَى خَطِيئَةٍ. ١ 1
সদাপ্রভু বলছেন, “ধিক সেই বিদ্রোহী সন্তানেরা।” “তারা পরিকল্পনা করে কিন্তু আমার থেকে না। তারা অন্য জাতির সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করে কিন্তু তারা আমার আত্মার নির্দেশে চলে না। এই ভাবে তারা পাপের সঙ্গে পাপ যোগ করে।
ٱلَّذِينَ يَذْهَبُونَ لِيَنْزِلُوا إِلَى مِصْرَ وَلَمْ يَسْأَلُوا فَمِي، لِيَلْتَجِئُوا إِلَى حِصْنِ فِرْعَوْنَ وَيَحْتَمُوا بِظِلِّ مِصْرَ. ٢ 2
তারা আমার নির্দেশ না নিয়ে মিশরে যায়; তারা সাহায্যের জন্য ফরৌণের আশ্রয় খোঁজে আর মিশরের ছায়ায় আশ্রয় নিতে পারে।
فَيَصِيرُ لَكُمْ حِصْنُ فِرْعَوْنَ خَجَلًا، وَٱلِٱحْتِمَاءُ بِظِلِّ مِصْرَ خِزْيًا. ٣ 3
এই জন্য ফরৌণের পরাক্রমে তোমরা লজ্জা পাবে এবং মিশরের ছায়াতে আশ্রয় নেওয়া তোমার অপমান হবে।
لِأَنَّ رُؤَسَاءَهُ صَارُوا فِي صُوعَنَ، وَبَلَغَ رُسُلُهُ إِلَى حَانِيسَ. ٤ 4
যদিও সোয়নে তাদের নেতা আছে আর তাদের দূতেরা হানেষে পৌঁছেছে,
قَدْ خَجِلَ ٱلْجَمِيعُ مِنْ شَعْبٍ لَا يَنْفَعُهُمْ. لَيْسَ لِلْمَعُونَةِ وَلَا لِلْمَنْفَعَةِ، بَلْ لِلْخَجَلِ وَلِلْخِزْيِ». ٥ 5
তারা প্রত্যেকে লজ্জিত হবে, কারণ সেই জাতি তাদের কোনো উপকারে আসবে না। তারা সাহায্য বা সুবিধা কিছুই দিতে পারবে না; বরং লজ্জা ও অসম্মান।”
وَحْيٌ مِنْ جِهَةِ بَهَائِمِ ٱلْجَنُوبِ: فِي أَرْضِ شِدَّةٍ وَضِيقَةٍ، مِنْهَا ٱللَّبْوَةُ وَٱلْأَسَدُ، ٱلْأَفْعَى وَٱلثُّعْبَانُ ٱلسَّامُّ ٱلطَّيَّارُ، يَحْمِلُونَ عَلَى أَكْتَافِ ٱلْحَمِيرِ ثَرْوَتَهُمْ، وَعَلَى أَسْنِمَةِ ٱلْجِمَالِ كُنُوزَهُمْ، إِلَى شَعْبٍ لَا يَنْفَعُ. ٦ 6
দক্ষিণের পশুদের বিষয়ে ভাববাণী। কষ্ট ও দুর্দশাপূর্ণ দেশের সিংহ ও সিংহী, বিষাক্ত সাপ ও উড়ন্ত বিষাক্ত সাপের দেশের মধ্যে দিয়ে যায়। তারা তাদের ধন-সম্পদ গাধার পিঠে করে আর তাদের দামী জিনিস উটের পিঠে করে সেই জাতির কাছে বয়ে নিয়ে যায় যারা কোনো উপকার করতে পারবে না।
فَإِنَّ مِصْرَ تُعِينُ بَاطِلًا وَعَبَثًا، لِذَلِكَ دَعَوْتُهَا «رَهَبَ ٱلْجُلُوسِ». ٧ 7
মিশরের সাহায্য অসার, সেইজন্য আমি সেই জাতির নাম রেখেছি রহব, যে চুপ করে বসে থাকে।
تَعَالَ ٱلْآنَ ٱكْتُبْ هَذَا عِنْدَهُمْ عَلَى لَوْحٍ وَٱرْسُمْهُ فِي سِفْرٍ، لِيَكُونَ لِزَمَنٍ آتٍ لِلْأَبَدِ إِلَى ٱلدُّهُورِ. ٨ 8
এখন যাও, এই কথা একটা ফলকে ও একটা বইয়ে লিখে রাখ, যেন যে দিন আসছে তার জন্য সাক্ষ্য হিসাবে সংরক্ষিত থাকে।
لِأَنَّهُ شَعْبٌ مُتَمَرِّدٌ، أَوْلَادٌ كَذَبَةٌ، أَوْلَادٌ لَمْ يَشَاءُوا أَنْ يَسْمَعُوا شَرِيعَةَ ٱلرَّبِّ. ٩ 9
এই সন্তানরা বিদ্রোহী ও মিথ্যাবাদী; সেই সন্তানরা যারা সদাপ্রভুর শিক্ষা শুনতে রাজি নয়।
ٱلَّذِينَ يَقُولُونَ لِلرَّائِينَ: «لَا تَرَوْا»، وَلِلنَّاظِرِينَ: «لَا تَنْظُرُوا لَنَا مُسْتَقِيمَاتٍ. كَلِّمُونَا بِٱلنَّاعِمَاتِ. ٱنْظُرُوا مُخَادِعَاتٍ. ١٠ 10
১০তারা দর্শকদের বলে, “তোমরা দেখো না,” আর ভাববাদীদের বলে, “তোমরা যা সত্যি তা আমাদের আর বোলো না। আমাদের কাছে সুখের কথা বল; ছলনার বিষয়ে ভবিষ্যৎবাণী বল।
حِيدُوا عَنِ ٱلطَّرِيقِ. مِيلُوا عَنِ ٱلسَّبِيلِ. ٱعْزِلُوا مِنْ أَمَامِنَا قُدُّوسَ إِسْرَائِيلَ». ١١ 11
১১পথ ছাড়, রাস্তা থেকে সরে যাও। আমাদের কাছ থেকে ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজনকে দূর কর।”
لِذَلِكَ هَكَذَا يَقُولُ قُدُّوسُ إِسْرَائِيلَ: «لِأَنَّكُمْ رَفَضْتُمْ هَذَا ٱلْقَوْلَ وَتَوَكَّلْتُمْ عَلَى ٱلظُّلْمِ وَٱلِٱعْوِجَاجِ وَٱسْتَنَدْتُمْ عَلَيْهِمَا، ١٢ 12
১২সেইজন্য ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজন এই কথা বলছেন, “কারণ তোমরা আমার বাক্য অগ্রাহ্য করেছ, আর মিথ্যা ও অত্যাচার করবার উপর নির্ভর করছ।
لِذَلِكَ يَكُونُ لَكُمْ هَذَا ٱلْإِثْمُ كَصَدْعٍ مُنْقَضٍّ نَاتِئٍ فِي جِدَارٍ مُرْتَفِعٍ، يَأْتِي هَدُّهُ بَغْتَةً فِي لَحْظَةٍ. ١٣ 13
১৩সেইজন্য এই পাপ তোমাদের জন্য একটা উঁচু, ফাটল ধরা ও ফুলা দেয়ালের মত হয়ে দাঁড়াবে, যা হঠাৎ এক মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়বে।
وَيُكْسَرُ كَكَسْرِ إِنَاءِ ٱلْخَزَّافِينَ، مَسْحُوقًا بِلَا شَفَقَةٍ، حَتَّى لَا يُوجَدُ فِي مَسْحُوقِهِ شَقَفَةٌ لِأَخْذِ نَارٍ مِنَ ٱلْمَوْقَدَةِ، أَوْ لِغَرْفِ مَاءٍ مِنَ ٱلْجُبِّ». ١٤ 14
১৪তা মাটির পাত্রের মত টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যাবে যে, সেগুলোর মধ্যে একটা টুকরোও পাওয়া যাবে না যা দিয়ে চুলা থেকে কয়লা বা কুয়ো থেকে জল তোলা যায়।”
لِأَنَّهُ هَكَذَا قَالَ ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ قُدُّوسُ إِسْرَائِيلَ: «بِٱلرُّجُوعِ وَٱلسُّكُونِ تَخْلُصُونَ. بِٱلْهُدُوءِ وَٱلطُّمَأْنِينَةِ تَكُونُ قُوَّتُكُمْ». فَلَمْ تَشَاءُوا. ١٥ 15
১৫কারণ প্রভু সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের সেই পবিত্রজন এই কথা বলছেন, “পাপ থেকে ফিরে আমাতে শান্ত হলে তোমরা উদ্ধার পাবে, আর স্থির হয়ে বিশ্বাস করলে শক্তি পাবে।” কিন্তু তোমরা তাতে রাজি হলে না।
وَقُلْتُمْ: «لَا بَلْ عَلَى خَيْلٍ نَهْرُبُ». لِذَلِكَ تَهْرُبُونَ. «وَعَلَى خَيْلٍ سَرِيعَةٍ نَرْكَبُ». لِذَلِكَ يُسْرُعُ طَارِدُوكُمْ. ١٦ 16
১৬তোমরা বললে, “না, আমরা ঘোড়ায় চড়ে পালিয়ে যাব।” তাই তোমাদের পালাতে হবে এবং, “যে ঘোড়া খুব দ্রুত যায় তাতে চড়ে আমরা চলে যাব।” কাজেই যারা তোমাদের তাড়া করবে তারা দ্রুত আসবে।
يَهْرُبُ أَلْفٌ مِنْ زَجْرَةِ وَاحِدٍ. مِنْ زَجْرَةِ خَمْسَةٍ تَهْرُبُونَ، حَتَّى أَنَّكُمْ تَبْقُونَ كَسَارِيَةٍ عَلَى رَأْسِ جَبَلٍ، وَكَرَايَةٍ عَلَى أَكَمَةٍ. ١٧ 17
১৭এক জনের ভয়ে তোমাদের হাজার জন পালাবে আর পাঁচজনের ভয়ে তোমরা সবাই পালিয়ে যাবে; তাতে তোমাদের সৈন্যদলে পাহাড়ের ওপরের পতাকার খুঁটি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
وَلِذَلِكَ يَنْتَظِرُ ٱلرَّبُّ لِيَتَرَاءَفَ عَلَيْكُمْ. وَلِذَلِكَ يَقُومُ لِيَرْحَمَكُمْ، لِأَنَّ ٱلرَّبَّ إِلَهُ حَقٍّ. طُوبَى لِجَمِيعِ مُنْتَظِرِيهِ. ١٨ 18
১৮তবুও সদাপ্রভু তোমাদের উপর দয়া করবার জন্য অপেক্ষা করছেন; তোমাদের দয়া করার জন্য তিনি উন্নত থাকবেন। কারণ সদাপ্রভু ন্যায়বিচারের ঈশ্বর; যারা তাঁর জন্য অপেক্ষা করে তারা ধন্য।
لِأَنَّ ٱلشَّعْبَ فِي صِهْيَوْنَ يَسْكُنُ فِي أُورُشَلِيمَ. لَا تَبْكِي بُكَاءً. يَتَرَاءَفُ عَلَيْكَ عِنْدَ صَوْتِ صُرَاخِكَ. حِينَمَا يَسْمَعُ يَسْتَجِيبُ لَكَ. ١٩ 19
১৯কারণ হে সিয়োনের লোকেরা, তোমরা যারা যিরূশালেমে বাস কর, তোমাদের আর কাঁদতে হবে না। সাহায্যের জন্য কাঁদলে তিনি নিশ্চয়ই তোমাদের দয়া করবেন। যখন তিনি শুনবেন, তিনি উত্তর দেবেন।
وَيُعْطِيكُمُ ٱلسَّيِّدُ خُبْزًا فِي ٱلضِّيقِ وَمَاءً فِي ٱلشِّدَّةِ. لَا يَخْتَبِئُ مُعَلِّمُوكَ بَعْدُ، بَلْ تَكُونُ عَيْنَاكَ تَرَيَانِ مُعَلِّمِيكَ، ٢٠ 20
২০যদিও প্রভু তোমাদের সংকটের খাবার আর কষ্টের জল দেন, তবুও তোমাদের শিক্ষক প্রভু আর লুকিয়ে থাকবেন না; কিন্তু তোমরা নিজেদের চোখেই তাঁকে দেখতে পাবে।
وَأُذُنَاكَ تَسْمَعَانِ كَلِمَةً خَلْفَكَ قَائِلَةً: «هَذِهِ هِيَ ٱلطَّرِيقُ. ٱسْلُكُوا فِيهَا». حِينَمَا تَمِيلُونَ إِلَى ٱلْيَمِينِ وَحِينَمَا تَمِيلُونَ إِلَى ٱلْيَسَارِ. ٢١ 21
২১যখন তোমরা ডানে বা বাঁয়ে ফের, তোমার কান তোমার পিছন থেকে একটা কথা শুনতে পাবে, “এটাই পথ; তোমরা এই পথেই চল।”
وَتُنَجِّسُونَ صَفَائِحَ تَمَاثِيلِ فِضَّتِكُمُ ٱلْمَنْحُوتَةِ، وَغِشَاءَ تِمْثَالِ ذَهَبِكُمُ ٱلْمَسْبُوكِ. تَطْرَحُهَا مِثْلَ فِرْصَةِ حَائِضٍ. تَقُولُ لَهَا: «ٱخْرُجِي». ٢٢ 22
২২তোমরা তোমাদের রূপা ও সোনা দিয়ে মুড়ানো মুর্ত্তিগুলো অশুচি করবে; তুমি সেগুলো অশুচি জিনিসের মত ফেলে দেবে। তুমি তাদের বলবে, “এখান থেকে বেরিয়ে যাও।”
ثُمَّ يُعْطِي مَطَرَ زَرْعِكَ ٱلَّذِي تَزْرَعُ ٱلْأَرْضَ بِهِ، وَخُبْزَ غَلَّةِ ٱلْأَرْضِ، فَيَكُونُ دَسَمًا وَسَمِينًا، وَتَرْعَى مَاشِيَتُكَ فِي ذَلِكَ ٱلْيَوْمِ فِي مَرْعًى وَاسِعٍ. ٢٣ 23
২৩তিনি তোমাদের বৃষ্টি দেবেন যাতে তোমরা মাটিতে বীজ বুনতে পার এবং ভূমি থেকে প্রচুর পরিমাণে রুটি দেবেন এবং ফসল প্রচুর পরিমাণে হবে। সেই দিন তোমাদের পশুপালগুলো অনেক বড় মাঠে চরবে।
وَٱلْأَبْقَارُ وَٱلْحَمِيرُ ٱلَّتِي تَعْمَلُ ٱلْأَرْضَ تَأْكُلُ عَلَفًا مُمَلَّحًا مُذَرَّى بِٱلْمِنْسَفِ وَٱلْمِذْرَاةِ. ٢٤ 24
২৪তোমাদের চাষের গরু ও গাধা কুলা ও চালুনিতে ঝাড়া ভালো খাবার খাবে।
وَيَكُونُ عَلَى كُلِّ جَبَلٍ عَالٍ وَعَلَى كُلِّ أَكَمَةٍ مُرْتَفِعَةٍ سَوَاقٍ وَمَجَارِي مِيَاهٍ فِي يَوْمِ ٱلْمَقْتَلَةِ ٱلْعَظِيمَةِ، حِينَمَا تَسْقُطُ ٱلْأَبْرَاجُ. ٢٥ 25
২৫সেই মহাহত্যার দিনের দুর্গগুলো পড়ে যাবে তখন সমস্ত পাহাড়-পর্বতের গা বেয়ে জলের স্রোত বয়ে যাবে।
وَيَكُونُ نُورُ ٱلْقَمَرِ كَنُورِ ٱلشَّمْسِ، وَنُورُ ٱلشَّمْسِ يَكُونُ سَبْعَةَ أَضْعَافٍ كَنُورِ سَبْعَةِ أَيَّامٍ، فِي يَوْمٍ يَجْبُرُ ٱلرَّبُّ كَسْرَ شَعْبِهِ وَيَشْفِي رَضَّ ضَرْبِهِ. ٢٦ 26
২৬যেদিন সদাপ্রভু তাঁর লোকদের আঘাত-পাওয়া জায়গা বেঁধে দেবেন ও তাঁর করা ক্ষত ভাল করবেন সেই দিন চাঁদের আলো সূর্য্যের মত হবে এবং সূর্য্যের আলো সাতগুণ উজ্জ্বল হবে, সাত দিনের সূর্যোলোকের মত।
هُوَذَا ٱسْمُ ٱلرَّبِّ يَأْتِي مِنْ بَعِيدٍ. غَضَبُهُ مُشْتَعِلٌ وَٱلْحَرِيقُ عَظِيمٌ. شَفَتَاهُ مُمْتَلِئَتَانِ سَخَطًا، وَلِسَانُهُ كَنَارٍ آكِلَةٍ، ٢٧ 27
২৭দেখ, সদাপ্রভু জ্বলন্ত ক্রোধ ও গাঢ় ধোঁয়ার মেঘের সঙ্গে দূর থেকে আসছেন; তাঁর মুখ ভীষণ ক্রোধে পূর্ণ আর তাঁর জিভ্ গ্রাসকারী আগুনের মত।
وَنَفْخَتُهُ كَنَهْرٍ غَامِرٍ يَبْلُغُ إِلَى ٱلرَّقَبَةِ. لِغَرْبَلَةِ ٱلْأُمَمِ بِغُرْبَالِ ٱلسُّوءِ، وَعَلَى فُكُوكِ ٱلشُّعُوبِ رَسَنٌ مُضِلٌّ. ٢٨ 28
২৮তাঁর নিঃশ্বাস যেন বেগে আসা ভীষণ জলের স্রোত যা মানুষের গলা পর্যন্ত ওঠে। তিনি সব জাতিকে ধ্বংসের চালুনিতে চালবেন এবং সব জাতির লোকদের মুখে এমন বল্গা দেবেন যা তাদের ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাবে।
تَكُونُ لَكُمْ أُغْنِيَّةٌ كَلَيْلَةِ تَقْدِيسِ عِيدٍ، وَفَرَحُ قَلْبٍ كَٱلسَّائِرِ بِٱلنَّايِ، لِيَأْتِيَ إِلَى جَبَلِ ٱلرَّبِّ، إِلَى صَخْرِ إِسْرَائِيلَ. ٢٩ 29
২৯পবিত্র উৎসব পালনের রাতের মত তোমরা গান করবে। তোমাদের হৃদয়ের আনন্দ তার মত হবে যেমন একজন লোক বাঁশী বাজিয়ে সদাপ্রভুর পর্বতে ইস্রায়েলের পাহাড়ে যায় তেমনি হবে।
وَيُسَمِّعُ ٱلرَّبُّ جَلَالَ صَوْتِهِ، وَيُرِي نُزُولَ ذِرَاعِهِ بِهَيَجَانِ غَضَبٍ وَلَهِيبِ نَارٍ آكِلَةٍ، نَوْءٍ وَسَيْلٍ وَحِجَارَةِ بَرَدٍ. ٣٠ 30
৩০সদাপ্রভু ভীষণ ক্রোধ, গ্রাসকারী আগুন, ভীষণ ঝড়-বৃষ্টি আর শিল পড়বার মধ্যে দিয়ে তাঁর ক্ষমতাপূর্ণ রব লোকদের শোনাবেন আর তাঁর শাস্তির হাত দেখাবেন।
لِأَنَّهُ مِنْ صَوْتِ ٱلرَّبِّ يَرْتَاعُ أَشُّورُ. بِٱلْقَضِيبِ يَضْرِبُ. ٣١ 31
৩১সদাপ্রভুর রবে অশূর ভেঙে পড়বে; তাঁর লাঠি দিয়ে তিনি তাদের আঘাত করবেন।
وَيَكُونُ كُلُّ مُرُورِ عَصَا ٱلْقَضَاءِ ٱلَّتِي يُنْزِلُهَا ٱلرَّبُّ عَلَيْهِ بِٱلدُّفُوفِ وَٱلْعِيدَانِ. وَبِحُرُوبٍ ثَائِرَةٍ يُحَارِبُهُ. ٣٢ 32
৩২সদাপ্রভু তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার দিন যখন তাঁর নিযুক্ত লাঠি তাদের উপর আঘাত করবে তখন খঞ্জনি আর বীণা বাজবে, তিনি ওই জাতির সঙ্গে ভীষণ যুদ্ধ করবেন।
لِأَنَّ «تُفْتَةَ» مُرَتَّبَةٌ مُنْذُ ٱلْأَمْسِ، مُهَيَّأَةٌ هِيَ أَيْضًا لِلْمَلِكِ، عَمِيقَةٌ وَاسِعَةٌ، كُومَتُهَا نَارٌ وَحَطَبٌ بِكَثْرَةٍ. نَفْخَةُ ٱلرَّبِّ كَنَهْرِ كِبْرِيتٍ تُوقِدُهَا. ٣٣ 33
৩৩কারণ জ্বলন্ত জায়গা অনেক আগে থেকেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে; প্রকৃত পক্ষে তা রাজার জন্য তৈরী করা হয়েছে এবং ঈশ্বর তা গভীর ও চওড়া করেছেন, চিতা আগুন ও প্রচুর কাঠ দিয়ে প্রস্তুত করে রাখা আছে। সদাপ্রভুর নিঃশ্বাস জ্বলন্ত গন্ধকের স্রোতের মত হয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেবে।

< إِشَعْيَاءَ 30 >