< إِشَعْيَاءَ 21 >

وَحْيٌ مِنْ جِهَةِ بَرِّيَّةِ ٱلْبَحْرِ: كَزَوَابِعَ فِي ٱلْجَنُوبِ عَاصِفَةٍ، يَأْتِي مِنَ ٱلْبَرِّيَّةِ مِنْ أَرْضٍ مَخُوفَةٍ. ١ 1
সমুদ্রের তীরবর্তী মরুপ্রান্তর সম্পর্কিত এক ভবিষ্যদ্‌বাণী: দক্ষিণাঞ্চল থেকে যেমন ঘূর্ণিবায়ু প্রবল বেগে বয়ে যায়, মরুপ্রান্তর থেকে, এক আতঙ্কস্বরূপ দেশ থেকে তেমনই এক আক্রমণকারী উঠে আসছে।
قَدْ أُعْلِنَتْ لِي رُؤْيَا قَاسِيَةٌ: ٱلنَّاهِبُ نَاهِبًا وَٱلْمُخْرِبُ مُخْرِبًا. اِصْعَدِي يَا عِيلَامُ. حَاصِرِي يَا مَادِي. قَدْ أَبْطَلْتُ كُلَّ أَنِينِهَا. ٢ 2
এক নিদারুণ দর্শন আমাকে দেখানো হয়েছে: বিশ্বাসঘাতক বিশ্বাসঘাতকতা করে, লুণ্ঠনকারী লুট গ্রহণ করে। এলম, আক্রমণ করো! মাদিয়া, তোমরা অবরোধ করো! তার দেওয়া যত শোকবিলাপের আমি নিবৃত্তি ঘটাব।
لِذَلِكَ ٱمْتَلَأَتْ حَقْوَايَ وَجَعًا، وَأَخَذَنِي مَخَاضٌ كَمَخَاضِ ٱلْوَالِدَةِ. تَلَوَّيْتُ حَتَّى لَا أَسْمَعُ. اَنْدَهَشْتُ حَتَّى لَا أَنْظُرُ. ٣ 3
এতে আমার শরীর বেদনায় জর্জরিত হল, প্রসববেদনাগ্রস্ত নারীর মতো আমার শরীরে ব্যথা হল; আমি যা শুনি, তাতে হত-বিহ্বল হই, আমি যা শুনি, তাতে চমকিত হই।
تَاهَ قَلْبِي. بَغَتَنِي رُعْبٌ. لَيْلَةُ لَذَّتِي جَعَلَهَا لِي رِعْدَةً. ٤ 4
আমার হৃদয় ধুকধুক করে, ভয়ে আমি কাঁপতে থাকি; যে গোধূলিবেলার আমি অপেক্ষা করি, তা আমার কাছে হয়েছে বিভীষিকার মতো।
يُرَتِّبُونَ ٱلْمَائِدَةَ، يَحْرُسُونَ ٱلْحِرَاسَةَ، يَأْكُلُونَ. يَشْرَبُونَ. قُومُوا أَيُّهَا ٱلرُّؤَسَاءُ ٱمْسَحُوا ٱلْمِجَنَّ! ٥ 5
তারা টেবিলে খাবার সাজায়, তারা বসার জন্য মাদুর বিছিয়ে দেয়, তারা প্রত্যেকেই ভোজনপান করতে থাকে! ওহে সেনাপতিরা, তোমরা ওঠো, ঢালগুলিতে তেল মাখাও!
لِأَنَّهُ هَكَذَا قَالَ لِي ٱلسَّيِّدُ: «ٱذْهَبْ أَقِمِ ٱلْحَارِسَ. لِيُخْبِرْ بِمَا يَرَى». ٦ 6
সদাপ্রভু আমাকে এই কথা বলেন: “তুমি যাও ও গিয়ে একজন প্রহরী নিযুক্ত করো, সে যা দেখে, তার সংবাদ দিতে বলো।
فَرَأَى رُكَّابًا أَزْوَاجَ فُرْسَانٍ. رُكَّابَ حَمِيرٍ. رُكَّابَ جِمَالٍ. فَأَصْغَى إِصْغَاءً شَدِيدًا، ٧ 7
যখন সে অনেক রথ দেখে যেগুলির সঙ্গে পাল পাল অশ্ব থাকে, গর্দভ বা উটের পিঠে আরোহীদের যখন সে দেখে, সে যেন সজাগ থাকে, সম্পূর্ণরূপে সজাগ থাকে।”
ثُمَّ صَرَخَ كَأَسَدٍ: «أَيُّهَا ٱلسَّيِّدُ، أَنَا قَائِمٌ عَلَى ٱلْمَرْصَدِ دَائِمًا فِي ٱلنَّهَارِ، وَأَنَا وَاقِفٌ عَلَى ٱلْمَحْرَسِ كُلَّ ٱللَّيَالِي. ٨ 8
সেই সিংহরূপী প্রহরী চিৎকার করে বলল, “দিনের পর দিন, আমার প্রভু, আমি প্রহরীদুর্গে দাঁড়িয়ে থাকি; রোজ রাত্রে আমি আমার প্রহরাস্থানেই থাকি।
وَهُوَذَا رُكَّابٌ مِنَ ٱلرِّجَالِ. أَزْوَاجٌ مِنَ ٱلْفُرْسَانِ». فَأَجَابَ وَقَالَ: «سَقَطَتْ، سَقَطَتْ بَابِلُ، وَجَمِيعُ تَمَاثِيلِ آلِهَتِهَا ٱلْمَنْحُوتَةِ كَسَّرَهَا إِلَى ٱلْأَرْضِ». ٩ 9
দেখুন, একজন মানুষ রথে চড়ে আসছে, তার সঙ্গে আছে অশ্বের পাল। আর সে প্রত্যুত্তরে বলছে, ‘ব্যাবিলনের পতন হয়েছে, পতন হয়েছে! তার সব দেবদেবীর মূর্তিগুলি মাটিতে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে আছে!’”
يَا دِيَاسَتِي وَبَنِي بَيْدَرِي. مَا سَمِعْتُهُ مِنْ رَبِّ ٱلْجُنُودِ إِلَهِ إِسْرَائِيلَ أَخْبَرْتُكُمْ بِهِ. ١٠ 10
ও আমার প্রজারা, তোমাদের খামারে মাড়াই করে চূর্ণ করা হয়েছে, আমি সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছ থেকে যা শুনেছি, তাই তোমাদের বলি।
وَحْيٌ مِنْ جِهَةِ دُومَةَ: صَرَخَ إِلَيَّ صَارِخٌ مِنْ سَعِيرَ: «يَا حَارِسُ، مَا مِنَ ٱللَّيْلِ؟ يَا حَارِسُ، مَا مِنَ ٱللَّيْلِ؟» ١١ 11
দূমার বিরুদ্ধে এক ভবিষ্যদ্‌বাণী, কেউ আমাকে সেয়ীর থেকে ডেকে বলছে, “প্রহরী, রাতের আর কত বাকি আছে? প্রহরী, রাতের আর কত বাকি আছে?”
قَالَ ٱلْحَارِسُ: «أَتَى صَبَاحٌ وَأَيْضًا لَيْلٌ. إِنْ كُنْتُمْ تَطْلُبُونَ فَٱطْلُبُوا. ٱرْجِعُوا، تَعَالَوْا». ١٢ 12
প্রহরী উত্তর দিল, “সকাল হয়ে আসছে, কিন্তু রাতও আসছে। তুমি যদি জিজ্ঞাসা করতে চাও, তো জিজ্ঞাসা করো এবং আবার ফিরে এসো।”
وَحْيٌ مِنْ جِهَةِ بِلَادِ ٱلْعَرَبِ: فِي ٱلْوَعْرِ فِي بِلَادِ ٱلْعَرَبِ تَبِيتِينَ، يَا قَوَافِلَ ٱلدَّدَانِيِّينَ. ١٣ 13
আরবের বিরুদ্ধে এক ভবিষ্যদ্‌বাণী, দদানের মরুযাত্রী তোমরা, যারা আরবীয় ঘন জঙ্গল এলাকায় তাঁবু স্থাপন করো,
هَاتُوا مَاءً لِمُلَاقَاةِ ٱلْعَطْشَانِ، يَا سُكَّانَ أَرْضِ تَيْمَاءَ. وَافُوا ٱلْهَارِبَ بِخُبْزِهِ. ١٤ 14
তোমরা তৃষ্ণার্ত মানুষদের জন্য জল নিয়ে এসো; আর তোমরা যারা টেমায় বসবাস করো, তোমরা পলাতকদের জন্য খাবার নিয়ে এসো।
فَإِنَّهُمْ مِنْ أَمَامِ ٱلسُّيُوفِ قَدْ هَرَبُوا. مِنْ أَمَامِ ٱلسَّيْفِ ٱلْمَسْلُولِ، وَمِنْ أَمَامِ ٱلْقَوْسِ ٱلْمَشْدُودَةِ، وَمِنْ أَمَامِ شِدَّةِ ٱلْحَرْبِ. ١٥ 15
তারা তরোয়াল থেকে পলায়ন করে, নিষ্কোষ তরোয়াল থেকে পলায়ন করে, তারা পলায়ন করে চাড়া দেওয়া ধনুক থেকে এবং রণভূমির উত্তাপ থেকে।
فَإِنَّهُ هَكَذَا قَالَ لِيَ ٱلسَّيِّدُ: «فِي مُدَّةِ سَنَةٍ كَسَنَةِ ٱلْأَجِيرِ يَفْنَى كُلُّ مَجْدِ قِيدَارَ، ١٦ 16
প্রভু আমাকে এই কথা বললেন: “যেভাবে কোনো দাস তার চুক্তির মেয়াদ গুনতে থাকে, তেমনই এক বছরের মধ্যে কেদরের সমস্ত সমারোহের অন্ত হবে।
وَبَقِيَّةُ عَدَدِ قِسِيِّ أَبْطَالِ بَنِي قِيدَارَ تَقِلُّ، لِأَنَّ ٱلرَّبَّ إِلَهَ إِسْرَائِيلَ قَدْ تَكَلَّمَ». ١٧ 17
ধনুর্ধারীদের অবশিষ্ট লোকেরা, কেদরের যোদ্ধারা সংখ্যায় অল্পই হবে।” একথা সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেছেন।

< إِشَعْيَاءَ 21 >