< إِشَعْيَاءَ 13 >

وَحْيٌ مِنْ جِهَةِ بَابِلَ رَآهُ إِشَعْيَاءُ بْنُ آمُوصَ: ١ 1
ব্যাবিলনের বিষয়ে ভাববাণী, যা আমোসের ছেলে যিশাইয় পেয়েছিলেন।
أَقِيمُوا رَايَةً عَلَى جَبَلٍ أَقْرَعَ. ٱرْفَعُوا صَوْتًا إِلَيْهِمْ. أَشِيرُوا بِٱلْيَدِ لِيَدْخُلُوا أَبْوَابَ ٱلْعُتَاةِ. ٢ 2
তোমরা উন্মুক্ত পাহাড়ের ওপরে একটা পতাকা তোল; তাদের জন্য চিৎকার কর, প্রধানদের দরজা দিয়ে গিয়ে তাদের জন্য হাত দোলাও।
أَنَا أَوْصَيْتُ مُقَدَّسِيَّ، وَدَعَوْتُ أَبْطَالِي لِأَجْلِ غَضَبِي، مُفْتَخِرِي عَظَمَتِي. ٣ 3
আমি আমার পবিত্র লোকদের আদেশ দিয়েছি, হ্যাঁ, আমি আমার রাগ সম্পন্ন করার জন্য আমার শক্তিশালী লোকদের, যারা বিজয়ে উল্লাস করে তাদের ডেকেছি।
صَوْتُ جُمْهُورٍ عَلَى ٱلْجِبَالِ شِبْهَ قَوْمٍ كَثِيرِينَ. صَوْتُ ضَجِيجِ مَمَالِكِ أُمَمٍ مُجْتَمِعَةٍ. رَبُّ ٱلْجُنُودِ يَعْرُضُ جَيْشَ ٱلْحَرْبِ. ٤ 4
পর্বতমালায় অনেক লোকদের মত জনগনের কোলাহল! অনেক জাতির একসঙ্গে জড়ো হওয়ার মতো রাজ্যের একটি তীব্র শব্দ! বাহিনীদের সদাপ্রভু যুদ্ধের জন্য সৈন্য রচনা করেছেন।
يَأْتُونَ مِنْ أَرْضٍ بَعِيدَةٍ، مِنْ أَقْصَى ٱلسَّمَاوَاتِ، ٱلرَّبُّ وَأَدَوَاتُ سَخَطِهِ لِيُخْرِبَ كُلَّ ٱلْأَرْضِ. ٥ 5
তারা দূর দেশ থেকে, পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে আসছে; সদাপ্রভু তাঁর বিচারের অস্ত্র নিয়ে সমস্ত দেশকে ধ্বংস করবার জন্য আসছেন।
وَلْوِلُوا لِأَنَّ يَوْمَ ٱلرَّبِّ قَرِيبٌ، قَادِمٌ كَخَرَابٍ مِنَ ٱلْقَادِرِ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ. ٦ 6
আর্তনাদ কর, কারণ সদাপ্রভুর দিন কাছে এসে গেছে; সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে ওটা ধ্বংসের সঙ্গে আসবে।
لِذَلِكَ تَرْتَخِي كُلُّ ٱلْأَيَادِي، وَيَذُوبُ كُلُّ قَلْبِ إِنْسَانٍ. ٧ 7
সেইজন্য সবার হাত নিস্তেজ হয়ে যাবে এবং প্রত্যেক হৃদয় গলে যাবে;
فَيَرْتَاعُونَ. تَأْخُذُهُمْ أَوْجَاعٌ وَمَخَاضٌ. يَتَلَوَّوْنَ كَوَالِدَةٍ. يَبْهَتُونَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ. وُجُوهُهُمْ وُجُوهُ لَهِيبٍ. ٨ 8
তারা ভীত হবে, একজন মহিলার প্রসববেদনার মত তীব্র যন্ত্রণা এবং দুঃখ তাদেরকে ধরবে। তারা আশ্চর্য্যভাবে একে অপরের দিকে তাকাবে; তাদের মুখ আগুনের শিখার মতো হবে।
هُوَذَا يَوْمُ ٱلرَّبِّ قَادِمٌ، قَاسِيًا بِسَخَطٍ وَحُمُوِّ غَضَبٍ، لِيَجْعَلَ ٱلْأَرْضَ خَرَابًا وَيُبِيدَ مِنْهَا خُطَاتَهَا. ٩ 9
দেখ, সদাপ্রভুর দিন নিষ্ঠুর ক্রোধ ও ভীষণ রাগের সঙ্গে আসছে, পৃথিবীকে নির্জনতা করার জন্য এবং এর মধ্যে থেকে পাপীদেরকে ধ্বংস করার জন্য।
فَإِنَّ نُجُومَ ٱلسَّمَاوَاتِ وَجَبَابِرَتَهَا لَا تُبْرِزُ نُورَهَا. تُظْلِمُ ٱلشَّمْسُ عِنْدَ طُلُوعِهَا، وَٱلْقَمَرُ لَا يَلْمَعُ بِضَوْئِهِ. ١٠ 10
১০আকাশের তারা ও নক্ষত্রপুঞ্জ আলো দেবে না; এমনকি সূর্য্য ওঠার দিনের ও অন্ধকার থাকবে এবং চাঁদ উজ্জ্বল হবে না।
وَأُعَاقِبُ ٱلْمَسْكُونَةَ عَلَى شَرِّهَا، وَٱلْمُنَافِقِينَ عَلَى إِثْمِهِمْ، وَأُبَطِّلُ تَعَظُّمَ ٱلْمُسْتَكْبِرِينَ، وَأَضَعُ تَجَبُّرَ ٱلْعُتَاةِ. ١١ 11
১১আমি তার মন্দতার জন্য পৃথিবীকে এবং অপরাধের জন্য দুষ্টদেরকে শাস্তি দেব। আমি গর্বিতদের অহঙ্কার শেষ করে দেব এবং নিষ্ঠুরদের অহঙ্কার দমন করব।
وَأَجْعَلُ ٱلرَّجُلَ أَعَزَّ مِنَ ٱلذَّهَبِ ٱلْإِبْرِيزِ، وَٱلْإِنْسَانَ أَعَزَّ مِنْ ذَهَبِ أُوفِيرَ. ١٢ 12
১২আমি মানুষকে খাঁটি সোনার থেকেও দুর্লভ করব এবং ওফীরের সোনার চেয়ে মানবজাতিকে আরো বেশী দুর্লভ করব।
لِذَلِكَ أُزَلْزِلُ ٱلسَّمَاوَاتِ وَتَتَزَعْزَعُ ٱلْأَرْضُ مِنْ مَكَانِهَا فِي سَخَطِ رَبِّ ٱلْجُنُودِ وَفِي يَوْمِ حُمُوِّ غَضَبِهِ. ١٣ 13
১৩অতএব আমি আকাশমণ্ডলকে কাঁপাব এবং বাহিনীদের সদাপ্রভুর ক্রোধের দ্বারা এবং তাঁর প্রচণ্ড ক্রোধের দিনের পৃথিবী তার জায়গা থেকে নড়ে যাবে।
وَيَكُونُونَ كَظَبْيٍ طَرِيدٍ، وَكَغَنَمٍ بِلَا مَنْ يَجْمَعُهَا. يَلْتَفِتُونَ كُلُّ وَاحِدٍ إِلَى شَعْبِهِ، وَيَهْرُبُونَ كُلُّ وَاحِدٍ إِلَى أَرْضِهِ. ١٤ 14
১৪শিকার করা হরিণের মত অথবা মেষপালক ছাড়া মেষের মত, প্রত্যেকে তার নিজের লোকদের কাছে ফিরে যাবে এবং প্রত্যেকে তার নিজের দেশে পালিয়ে যাবে।
كُلُّ مَنْ وُجِدَ يُطْعَنُ، وَكُلُّ مَنِ ٱنْحَاشَ يَسْقُطُ بِٱلسَّيْفِ. ١٥ 15
১৫যে কাউকে পাওয়া যাবে তাদেরকে মেরে ফেলা হবে এবং যে কাউকে ধরা হবে তাদেরকে তরোয়ালের দ্বারা মারা যাবে।
وَتُحَطَّمُ أَطْفَالُهُمْ أَمَامَ عُيُونِهِمْ، وَتُنْهَبُ بُيُوتُهُمْ وَتُفْضَحُ نِسَاؤُهُمْ. ١٦ 16
১৬তাদের চোখের সামনে শিশুদেরকে টুকরো করে ছুঁড়ে ফেলা হবে; তাদের বাড়ি লুট করা হবে ও তাদের স্ত্রীদের ধর্ষণ করা হবে।
هَأَنَذَا أُهَيِّجُ عَلَيْهِمِ ٱلْمَادِيِّينَ ٱلَّذِينَ لَا يَعْتَدُّونَ بِٱلْفِضَّةِ، وَلَا يُسَرُّونَ بِٱلذَّهَبِ، ١٧ 17
১৭“দেখ, আমি তাদেরকে আঘাত করার জন্য মাদীয়দেরকে উত্তেজিত করব, যারা রূপার বিষয়ে চিন্তা করবে না, সোনাতেও আনন্দ করবে না।
فَتُحَطِّمُ ٱلْقِسِيُّ ٱلْفِتْيَانَ، ولَا يَرْحَمُونَ ثَمَرَةَ ٱلْبَطْنِ. لَا تُشْفِقُ عُيُونُهُمْ عَلَى ٱلْأَوْلَادِ. ١٨ 18
১৮তাদের তিরগুলি যুবকদের বিদ্ধ করবে; তারা শিশুদের প্রতি কোনো দয়া করবে না এবং ছেলে মেয়েদের প্রতি মমতা করবে না।
وَتَصِيرُ بَابِلُ، بَهَاءُ ٱلْمَمَالِكِ وَزِينَةُ فَخْرِ ٱلْكِلْدَانِيِّينَ، كَتَقْلِيبِ ٱللهِ سَدُومَ وَعَمُورَةَ. ١٩ 19
১৯এবং ব্যাবিলন, রাজ্যের সর্বাধিক প্রশংসিত, কলদীয়দের গর্বের মহিমা, ঈশ্বর সদোম ও ঘমোরার মত ধ্বংস করবেন।
لَا تُعْمَرُ إِلَى ٱلْأَبَدِ، وَلَا تُسْكَنُ إِلَى دَوْرٍ فَدَوْرٍ، وَلَا يُخَيِّمُ هُنَاكَ أَعْرَابِيٌّ، وَلَا يُرْبِضُ هُنَاكَ رُعَاةٌ، ٢٠ 20
২০এটা আর বসতিস্থান হবে না অথবা বংশের পর বংশ সেখানে বাস করবে না। আরবীয় সেখানে তাঁবু স্থাপন করবে না, মেষপালকেরাও সেখানে তার পশুপালকে বিশ্রাম করাবে না।
بَلْ تَرْبُضُ هُنَاكَ وُحُوشُ ٱلْقَفْرِ، وَيَمْلَأُ ٱلْبُومُ بُيُوتَهُمْ، وَتَسْكُنُ هُنَاكَ بَنَاتُ ٱلنَّعَامِ، وَتَرْقُصُ هُنَاكَ مَعْزُ ٱلْوَحْشِ، ٢١ 21
২১কিন্তু মরুপ্রান্তের প্রাণীরা সেখানে শুয়ে থাকবে, সেখানকার বাড়ীগুলো পেঁচায় পরিপূর্ণ হবে, উটপাখী এবং বুনো ছাগলেরা লাফিয়ে বেড়াবে।
وَتَصِيحُ بَنَاتُ آوَى فِي قُصُورِهِمْ، وَٱلذِّئَابُ فِي هَيَاكِلِ ٱلتَّنَعُّمِ، وَوَقْتُهَا قَرِيبُ ٱلْمَجِيءِ وَأَيَّامُهَا لَا تَطُولُ. ٢٢ 22
২২তাদের দুর্গের মধ্যে হায়না ডাকবে এবং খেঁকশিয়াল সুন্দর প্রাসাদের মধ্যে থাকবে। তার দিন এসে গেছে, তার দিন গুলো আর দেরী হবে না।”

< إِشَعْيَاءَ 13 >