< عِبرانِيّين 7 >

لِأَنَّ مَلْكِي صَادَقَ هَذَا، مَلِكَ سَالِيمَ، كَاهِنَ ٱللهِ ٱلْعَلِيِّ، ٱلَّذِي ٱسْتَقْبَلَ إِبْرَاهِيمَ رَاجِعًا مِنْ كَسْرَةِ ٱلْمُلُوكِ وَبَارَكَهُ، ١ 1
সেই যে মল্কীষেদক, যিনি শালেমের রাজা ও মহান ঈশ্বরের যাজক ছিলেন, অব্রাহাম যখন রাজাদের পরাজিত করে ফিরে আসেন, তিনি তখন তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করলেন, ও তাঁকে আশীর্বাদ করলেন,
ٱلَّذِي قَسَمَ لَهُ إِبْرَاهِيمُ عُشْرًا مِنْ كُلِّ شَيْءٍ. ٱلْمُتَرْجَمَ أَوَّلًا «مَلِكَ ٱلْبِرِّ»، ثُمَّ أَيْضًا «مَلِكَ سَالِيمَ» أَيْ «مَلِكَ ٱلسَّلَامِ» ٢ 2
এবং অব্রাহাম তাঁকে সব কিছুর দশমাংশ দিলেন। তাঁর নাম “মল্কীষেদক” মানে ধার্মিক রাজা, এবং শালেমের রাজা অর্থাৎ শান্তির রাজা;
بِلَا أَبٍ، بِلَا أُمٍّ، بِلَا نَسَبٍ. لَا بَدَاءَةَ أَيَّامٍ لَهُ وَلَا نِهَايَةَ حَيَاةٍ، بَلْ هُوَ مُشَبَّهٌ بِٱبْنِ ٱللهِ. هَذَا يَبْقَى كَاهِنًا إِلَى ٱلْأَبَدِ. ٣ 3
তাঁর বাবা নেই, মা নেই, পূর্বপুরুষ নেই, দিনের শুরু কি জীবনের শেষ নেই; তিনি ঈশ্বরের পুত্রের মতো; তিনি চিরকালই যাজক থাকেন।
ثُمَّ ٱنْظُرُوا مَا أَعْظَمَ هَذَا ٱلَّذِي أَعْطَاهُ إِبْرَاهِيمُ رَئِيسُ ٱلْآبَاءِ، عُشْرًا أَيْضًا مِنْ رَأْسِ ٱلْغَنَائِمِ! ٤ 4
বিবেচনা করে দেখ, তিনি কেমন মহান, আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম যুদ্ধের ভালো ভালো লুটের জিনিস নিয়ে দশমাংশ দান করেছিলেন।
وَأَمَّا ٱلَّذِينَ هُمْ مِنْ بَنِي لَاوِي، ٱلَّذِينَ يَأْخُذُونَ ٱلْكَهَنُوتَ، فَلَهُمْ وَصِيَّةٌ أَنْ يُعَشِّرُوا ٱلشَّعْبَ بِمُقْتَضَى ٱلنَّامُوسِ، أَيْ إِخْوَتَهُمْ، مَعَ أَنَّهُمْ قَدْ خَرَجُوا مِنْ صُلْبِ إِبْرَاهِيمَ. ٥ 5
আর প্রকৃত পক্ষে লেবির বংশধরদের মধ্যে যারা যাজক হলেন, তারা আইন অনুসারে তাদের ভাই ইস্রায়েলীয়দের কাছ থেকে দশমাংশ সংগ্রহ করার আদেশ পেয়েছে, যদিও তারা অব্রাহামের বংশধর;
وَلَكِنَّ ٱلَّذِي لَيْسَ لَهُ نَسَبٌ مِنْهُمْ قَدْ عَشَّرَ إِبْرَاهِيمَ، وَبَارَكَ ٱلَّذِي لَهُ ٱلْمَوَاعِيدُ! ٦ 6
কিন্তু মল্কীষেদক, লেবীয়দের বংশধর নয়, তিনি অব্রাহামের থেকে দশমাংশ নিয়েছিলেন এবং সেই প্রতিজ্ঞার অধিকারীকে আশীর্বাদ করেছিলেন।
وَبِدُونِ كُلِّ مُشَاجَرَةٍ: ٱلْأَصْغَرُ يُبَارَكُ مِنَ ٱلْأَكْبَرِ، ٧ 7
কোনো আত্মত্যাগী যে ক্ষুদ্রতর ব্যক্তি বৃহত্তর ব্যক্তির মাধ্যমে আশীর্বাদিত হয়।
وَهُنَا أُنَاسٌ مَائِتُونَ يَأْخُذُونَ عُشْرًا، وَأَمَّا هُنَاكَ فَٱلْمَشْهُودُ لَهُ بِأَنَّهُ حَيٌّ. ٨ 8
আবার এখানে মানুষেরা যারা দশমাংশ পায় তারা এক দিন মারা যাবে, কিন্তু ওখানে যে অব্রাহামের দশমাংশ গ্রহণ করেছিল, তাঁর বিষয়ে বলা হয়েছে যে, তিনি জীবনবিশিষ্ট।
حَتَّى أَقُولُ كَلِمَةً: إِنَّ لَاوِي أَيْضًا ٱلْآخِذَ ٱلْأَعْشَارَ قَدْ عُشِّرَ بِإِبْرَاهِيمَ. ٩ 9
আবার এরকম বলা যেতে পারে যে, অব্রাহামের মাধ্যমে দশমাংশগ্রাহী লেবি দশমাংশ দিয়েছেন,
لِأَنَّهُ كَانَ بَعْدُ فِي صُلْبِ أَبِيهِ حِينَ ٱسْتَقْبَلَهُ مَلْكِي صَادَقَ. ١٠ 10
১০কারণ লেবি ছিল তাঁর পূর্বপুরুষ অব্রাহামের বংশ সম্মন্ধীয়, যখন মল্কীষেদক অব্রাহামের সাথে দেখা করেন।
فَلَوْ كَانَ بِٱلْكَهَنُوتِ ٱللَّاوِيِّ كَمَالٌ - إِذِ ٱلشَّعْبُ أَخَذَ ٱلنَّامُوسَ عَلَيْهِ - مَاذَا كَانَتِ ٱلْحَاجَةُ بَعْدُ إِلَى أَنْ يَقُومَ كَاهِنٌ آخَرُ عَلَى رُتْبَةِ مَلْكِي صَادَقَ؟ وَلَا يُقَالُ عَلَى رُتْبَةِ هَارُونَ. ١١ 11
১১এখন যদি লেবীয় যাজকত্বের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা সম্ভব হতে পারত সেই যাজকত্বের অধীনেই তো লোকেরা নিয়ম পেয়েছিল তবে আরো কি প্রয়োজন ছিল যে, মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অন্য যাজক উঠবেন এবং তাঁকে হারোণের নাম অনুসারে অভিহিত করা হবে না?
لِأَنَّهُ إِنْ تَغَيَّرَ ٱلْكَهَنُوتُ، فَبِالضَّرُورَةِ يَصِيرُ تَغَيُّرٌ لِلنَّامُوسِ أَيْضًا. ١٢ 12
১২যাজকত্ব যখন পরিবর্তন হয়, তখন নিয়মেরও অবশ্যই পরিবর্তন হয়।
لِأَنَّ ٱلَّذِي يُقَالُ عَنْهُ هَذَا كَانَ شَرِيكًا فِي سِبْطٍ آخَرَ لَمْ يُلَازِمْ أَحَدٌ مِنْهُ ٱلْمَذْبَحَ. ١٣ 13
১৩এ সব কথা যার উদ্দেশ্যে বলা যায়, তিনি তো অন্য বংশের, সেই বংশের মধ্যে কেউ কখনো যজ্ঞবেদির পরিচর্য্যা করে নি।
فَإِنَّهُ وَاضِحٌ أَنَّ رَبَّنَا قَدْ طَلَعَ مِنْ سِبْطِ يَهُوذَا، ٱلَّذِي لَمْ يَتَكَلَّمْ عَنْهُ مُوسَى شَيْئًا مِنْ جِهَةِ ٱلْكَهَنُوتِ. ١٤ 14
১৪এখন এটা সুস্পষ্ট যে আমাদের প্রভু যিহূদা বংশ থেকে অবতীর্ণ হয়েছেন, সেই বংশের বিষয়ে মোশি যাজকদের বিষয়ে কিছুই বলেননি।
وَذَلِكَ أَكْثَرُ وُضُوحًا أَيْضًا إِنْ كَانَ عَلَى شِبْهِ مَلْكِي صَادَقَ يَقُومُ كَاهِنٌ آخَرُ، ١٥ 15
১৫এবং আমরা যে কথা বলেছিলাম তা আরও পরিষ্কার হয় যখন মল্কীষেদকের মতো আর একজন যাজক ওঠেন।
قَدْ صَارَ لَيْسَ بِحَسَبِ نَامُوسِ وَصِيَّةٍ جَسَدِيَّةٍ، بَلْ بِحَسَبِ قُوَّةِ حَيَاةٍ لَا تَزُولُ. ١٦ 16
১৬এই নতুন যাজক যিনি দেহের নিয়ম অনুযায়ী আসেননি, কিন্তু পরিবর্তে অবিনশ্বর জীবনের শক্তি অনুযায়ী হয়েছেন।
لِأَنَّهُ يَشْهَدُ أَنَّكَ: «كَاهِنٌ إِلَى ٱلْأَبَدِ عَلَى رُتْبَةِ مَلْكِي صَادَقَ». (aiōn g165) ١٧ 17
১৭তাঁর বিষয়ে শাস্ত্রের সাক্ষ্য এই বলে: “তুমিই মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অনন্তকালীন যাজক।” (aiōn g165)
فَإِنَّهُ يَصِيرُ إِبْطَالُ ٱلْوَصِيَّةِ ٱلسَّابِقَةِ مِنْ أَجْلِ ضَعْفِهَا وَعَدَمِ نَفْعِهَا، ١٨ 18
১৮পুরানো আদেশ সরানো হল কারণ এটি দুর্বল ও অকার্যকারী হয়ে পড়েছিল।
إِذِ ٱلنَّامُوسُ لَمْ يُكَمِّلْ شَيْئًا. وَلَكِنْ يَصِيرُ إِدْخَالُ رَجَاءٍ أَفْضَلَ بِهِ نَقْتَرِبُ إِلَى ٱللهِ. ١٩ 19
১৯কারণ নিয়ম কিছুই সম্পূর্ণ করতে পারেনা। কিন্তু এখানে এমন এক শ্রেষ্ঠ প্রত্যাশা ভবিষ্যতের জন্য আনা হয়েছে যার মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হতে পারি।
وَعَلَى قَدْرِ مَا إِنَّهُ لَيْسَ بِدُونِ قَسَمٍ، ٢٠ 20
২০এবং এই শ্রেষ্ঠ প্রত্যাশা বিনা শপথে হয়নি, অন্য যাজকেরা তো কোনো নতুন নিয়মই গ্রহণ করে নি।
لِأَنَّ أُولَئِكَ بِدُونِ قَسَمٍ قَدْ صَارُوا كَهَنَةً، وَأَمَّا هَذَا فَبِقَسَمٍ مِنَ ٱلْقَائِلِ لَهُ: «أَقْسَمَ ٱلرَّبُّ وَلَنْ يَنْدَمَ، أَنْتَ كَاهِنٌ إِلَى ٱلْأَبَدِ عَلَى رُتْبَةِ مَلْكِي صَادَقَ». (aiōn g165) ٢١ 21
২১কিন্তু ঈশ্বর শপথ গ্রহণ করেছিলেন যখন তিনি যীশুর বিষয়ে বলেছিলেন, “প্রভু এই নতুন নিয়ম করলেন এবং তিনি মন পরিবর্তন করবেন না: ‘তুমিই অনন্তকালীন যাজক।’” (aiōn g165)
عَلَى قَدْرِ ذَلِكَ، قَدْ صَارَ يَسُوعُ ضَامِنًا لِعَهْدٍ أَفْضَلَ. ٢٢ 22
২২অতএব যীশু এই কারণে নতুন নিয়মের জামিনদার হয়েছেন।
وَأُولَئِكَ قَدْ صَارُوا كَهَنَةً كَثِيرِينَ مِنْ أَجْلِ مَنْعِهِمْ بِٱلْمَوْتِ عَنِ ٱلْبَقَاءِ، ٢٣ 23
২৩প্রকৃত পক্ষে, মৃত্যু যাজককে চিরকাল পরিচর্য্যা করতে প্রতিরোধ করে। এই কারণে সেখানে অনেক যাজক, এক জনের পর অন্যজন।
وَأَمَّا هَذَا فَمِنْ أَجْلِ أَنَّهُ يَبْقَى إِلَى ٱلْأَبَدِ، لَهُ كَهَنُوتٌ لَا يَزُولُ. (aiōn g165) ٢٤ 24
২৪কিন্তু তিনি যদি অনন্তকাল থাকেন, তবে তাঁর যাজকত্ব অপরিবর্তনীয়। (aiōn g165)
فَمِنْ ثَمَّ يَقْدِرُ أَنْ يُخَلِّصَ أَيْضًا إِلَى ٱلتَّمَامِ ٱلَّذِينَ يَتَقَدَّمُونَ بِهِ إِلَى ٱللهِ، إِذْ هُوَ حَيٌّ فِي كُلِّ حِينٍ لِيَشْفَعَ فِيهِمْ. ٢٥ 25
২৫এই জন্য তিনি সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করতে সক্ষম যারা তাঁর মাধ্যম দিয়ে ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হয়, কারণ তিনি তাদের জন্য তাঁর কাছে অনুরোধ করতে সর্বদা জীবিত আছেন।
لِأَنَّهُ كَانَ يَلِيقُ بِنَا رَئِيسُ كَهَنَةٍ مِثْلُ هَذَا، قُدُّوسٌ بِلَا شَرٍّ وَلَا دَنَسٍ، قَدِ ٱنْفَصَلَ عَنِ ٱلْخُطَاةِ وَصَارَ أَعْلَى مِنَ ٱلسَّمَاوَاتِ، ٢٦ 26
২৬আমাদের জন্য এমন এক মহাযাজক প্রয়োজন ছিল, যিনি নিস্পাপ, অনিন্দনীয়, পবিত্র, পাপীদের থেকে পৃথক এবং স্বর্গ থেকে সর্বোচ্চ।
ٱلَّذِي لَيْسَ لَهُ ٱضْطِرَارٌ كُلَّ يَوْمٍ مِثْلُ رُؤَسَاءِ ٱلْكَهَنَةِ أَنْ يُقَدِّمَ ذَبَائِحَ أَوَّلًا عَنْ خَطَايَا نَفْسِهِ ثُمَّ عَنْ خَطَايَا ٱلشَّعْبِ، لِأَنَّهُ فَعَلَ هَذَا مَرَّةً وَاحِدَةً، إِذْ قَدَّمَ نَفْسَهُ. ٢٧ 27
২৭ঐ মহাযাজকদের মত প্রতিদিন বলিদান উত্সর্গ করা প্রয়োজন নেই, প্রথমে নিজের পাপের জন্য এবং পরে লোকদের জন্য। তিনি এটি সবার জন্য একেবারে সম্পূর্ণ করেছেন, যখন তিনি নিজেকে উত্সর্গ করেছেন।
فَإِنَّ ٱلنَّامُوسَ يُقِيمُ أُنَاسًا بِهِمْ ضَعْفٌ رُؤَسَاءَ كَهَنَةٍ. وَأَمَّا كَلِمَةُ ٱلْقَسَمِ ٱلَّتِي بَعْدَ ٱلنَّامُوسِ فَتُقِيمُ ٱبْنًا مُكَمَّلًا إِلَى ٱلْأَبَدِ. (aiōn g165) ٢٨ 28
২৮কারণ নিয়ম যে মহাযাজকদের নিযুক্ত করে তারা দুর্বলতাযুক্ত মানুষ, কিন্তু বাক্যের শপথ, যা নিয়মের পরে আসে এবং ঈশ্বরের পুত্রকে নিযুক্ত করে, যিনি যুগে যুগে নিখুঁত। (aiōn g165)

< عِبرانِيّين 7 >