< عِبرانِيّين 2 >

لِذَلِكَ يَجِبُ أَنْ نَتَنَبَّهَ أَكْثَرَ إِلَى مَا سَمِعْنَا لِئَلَّا نَفُوتَهُ، ١ 1
এই জন্য যা যা সত্য বাক্য আমরা শুনেছি, তাতে বেশি আগ্রহের সাথে মনোযোগ করা আমাদের উচিত, যেন আমরা কোনোভাবে বিচ্যুত না হই।
لِأَنَّهُ إِنْ كَانَتِ ٱلْكَلِمَةُ ٱلَّتِي تَكَلَّمَ بِهَا مَلَائِكَةٌ قَدْ صَارَتْ ثَابِتَةً، وَكُلُّ تَعَدٍّ وَمَعْصِيَةٍ نَالَ مُجَازَاةً عَادِلَةً، ٢ 2
কারণ দূতদের মাধ্যমে যে কথা বলা হয়েছে তা ন্যায্য এবং লোকে কোনোভাবে তা লঙ্ঘন করলে কিংবা তার অবাধ্য হলে শুধু শাস্তি পাবে।
فَكَيْفَ نَنْجُو نَحْنُ إِنْ أَهْمَلْنَا خَلَاصًا هَذَا مِقْدَارُهُ؟ قَدِ ٱبْتَدَأَ ٱلرَّبُّ بِٱلتَّكَلُّمِ بِهِ، ثُمَّ تَثَبَّتَ لَنَا مِنَ ٱلَّذِينَ سَمِعُوا، ٣ 3
তবে এমন মহৎ এই পরিত্রান অবহেলা করলে আমরা কিভাবে রক্ষা পাব? পরিত্রান তো প্রথমে প্রভুর মাধ্যমে ঘোষিত এবং যারা শুনেছিল, তাদের মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রমাণিত হল;
شَاهِدًا ٱللهُ مَعَهُمْ بِآيَاتٍ وَعَجَائِبَ وَقُوَّاتٍ مُتَنَوِّعَةٍ وَمَوَاهِبِ ٱلرُّوحِ ٱلْقُدُسِ، حَسَبَ إِرَادَتِهِ. ٤ 4
ঈশ্বর সাক্ষ্য প্রদান করছেন, নানা চিহ্ন, অদ্ভূত লক্ষণ এবং নানা ধরনের শক্তিশালী কাজ এবং পবিত্র আত্মার উপহার বিতরণ তা নিজের ইচ্ছানুসারেই করছেন।
فَإِنَّهُ لِمَلَائِكَةٍ لَمْ يُخْضِعِ ٱلْعَالَمَ ٱلْعَتِيدَ ٱلَّذِي نَتَكَلَّمُ عَنْهُ. ٥ 5
বাস্তবিক যে আগামী জগতের কথা আমরা বলছি, তা ঈশ্বর দূতদের অধীনে রাখেননি।
لَكِنْ شَهِدَ وَاحِدٌ فِي مَوْضِعٍ قَائِلًا: «مَا هُوَ ٱلْإِنْسَانُ حَتَّى تَذْكُرَهُ؟ أَوِ ٱبْنُ ٱلْإِنْسَانِ حَتَّى تَفْتَقِدَهُ؟ ٦ 6
বরং কোনো জায়গায় কেউ সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, “মানুষ কি যে তুমি তাকে স্মরণ কর? মানবপুত্রই বা কি যে তার পরিচর্য্যা কর?
وَضَعْتَهُ قَلِيلًا عَنِ ٱلْمَلَائِكَةِ. بِمَجْدٍ وَكَرَامَةٍ كَلَّلْتَهُ، وَأَقَمْتَهُ عَلَى أَعْمَالِ يَدَيْكَ. ٧ 7
তুমি দূতদের থেকে তাকে অল্পই নীচু করেছ, তুমি তাকে গৌরব ও সম্মানমুকুটে ভূষিত করেছো;
أَخْضَعْتَ كُلَّ شَيْءٍ تَحْتَ قَدَمَيْهِ». لِأَنَّهُ إِذْ أَخْضَعَ ٱلْكُلَّ لَهُ لَمْ يَتْرُكْ شَيْئًا غَيْرَ خَاضِعٍ لَهُ. عَلَى أَنَّنَا ٱلْآنَ لَسْنَا نَرَى ٱلْكُلَّ بَعْدُ مُخْضَعًا لَهُ. ٨ 8
সব কিছুই তাঁর পায়ের তলায় রেখেছ।” ফলে সব কিছু তার অধীন করাতে তিনি তার অনধীন কিছুই বাকি রাখেননি; কিন্তু এখন এ পর্যন্ত, আমরা সব কিছুই তাঁর অধীন দেখছি না।
وَلَكِنَّ ٱلَّذِي وُضِعَ قَلِيلًا عَنِ ٱلْمَلَائِكَةِ، يَسُوعَ، نَرَاهُ مُكَلَّلًا بِٱلْمَجْدِ وَٱلْكَرَامَةِ، مِنْ أَجْلِ أَلَمِ ٱلْمَوْتِ، لِكَيْ يَذُوقَ بِنِعْمَةِ ٱللهِ ٱلْمَوْتَ لِأَجْلِ كُلِّ وَاحِدٍ. ٩ 9
কিন্তু দূতদের থেকে যিনি অল্পই নীচু হলেন, সেই ব্যক্তিকে অর্থাৎ যীশুকে দেখতে পাচ্ছি, তিনি মৃত্যুভোগের কারণে মহিমা ও সম্মানমুকুটে ভূষিত হয়েছে, যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহে সবার জন্য মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করেন।
لِأَنَّهُ لَاقَ بِذَاكَ ٱلَّذِي مِنْ أَجْلِهِ ٱلْكُلُّ وَبِهِ ٱلْكُلُّ، وَهُوَ آتٍ بِأَبْنَاءٍ كَثِيرِينَ إِلَى ٱلْمَجْدِ، أَنْ يُكَمِّلَ رَئِيسَ خَلَاصِهِمْ بِٱلْآلَامِ. ١٠ 10
১০বস্তুত ঈশ্বরের কারণে ও তাঁরই মাধ্যমে সবই হয়েছে, এটা তাঁর উপযুক্ত ছিল যে, ঈশ্বর যীশুকে আমাদের জন্য দুঃখভোগ ও মরণের মাধ্যমে মহিমাম্বিত করেন। ঈশ্বর যিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি যাকে যাদের অস্তিত্বের জন্য এবং যীশু যিনি ঈশ্বরের লোকদেরকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
لِأَنَّ ٱلْمُقَدِّسَ وَٱلْمُقَدَّسِينَ جَمِيعَهُمْ مِنْ وَاحِدٍ، فَلِهَذَا ٱلسَّبَبِ لَا يَسْتَحِي أَنْ يَدْعُوَهُمْ إِخْوَةً، ١١ 11
১১কারণ যিনি পবিত্র করেন ও যারা পবিত্রীকৃত হয়, সবাই এক উৎস থেকে; এই জন্য ঈশ্বর তাদেরকে ভাই বলতে লজ্জিত নন।
قَائِلًا: «أُخَبِّرُ بِٱسْمِكَ إِخْوَتِي، وَفِي وَسَطِ ٱلْكَنِيسَةِ أُسَبِّحُكَ». ١٢ 12
১২প্রার্থনা সঙ্গীত রচয়িতা লিখেছেন যে যীশু ঈশ্বরকে বললেন, “আমি আমার ভাইদের কাছে তোমার নাম প্রচার করব, সভার মধ্যে তোমার প্রশংসাগান করব।”
وَأَيْضًا: «أَنَا أَكُونُ مُتَوَكِّلًا عَلَيْهِ». وَأَيْضًا: «هَا أَنَا وَٱلْأَوْلَادُ ٱلَّذِينَ أَعْطَانِيهِمِ ٱللهُ». ١٣ 13
১৩এবং একজন ভাববাদী অন্য একটি শাস্ত্রের পদে লিখেছেন যীশু ঈশ্বরের বিষয়ে কি বলেন, “আমি তাঁর ওপর বিশ্বাস করব।” আবার, “দেখ, আমিও সেই সন্তানরা, যাদেরকে ঈশ্বর আমায় দিয়েছেন।”
فَإِذْ قَدْ تَشَارَكَ ٱلْأَوْلَادُ فِي ٱللَّحْمِ وَٱلدَّمِ ٱشْتَرَكَ هُوَ أَيْضًا كَذَلِكَ فِيهِمَا، لِكَيْ يُبِيدَ بِٱلْمَوْتِ ذَاكَ ٱلَّذِي لَهُ سُلْطَانُ ٱلْمَوْتِ، أَيْ إِبْلِيسَ، ١٤ 14
১৪অতএব, সেই ঈশ্বরের সন্তানেরা সকলে যেমন রক্তমাংসের সহভাগী হলেন, তেমনই যীশু নিজেও রক্তমাংসের মানুষ হলেন; যেন মৃত্যুর মাধ্যমে মৃত্যুর ক্ষমতা যার কাছে আছে, সেই শয়তানকে শক্তিহীন করেন,
وَيُعْتِقَ أُولَئِكَ ٱلَّذِينَ- خَوْفًا مِنَ ٱلْمَوْتِ- كَانُوا جَمِيعًا كُلَّ حَيَاتِهِمْ تَحْتَ ٱلْعُبُودِيَّةِ. ١٥ 15
১৫এবং যারা মৃত্যুর ভয়ে সারা জীবন দাসত্বের অধীন ছিল, তাদেরকে উদ্ধার করেন।
لِأَنَّهُ حَقًّا لَيْسَ يُمْسِكُ ٱلْمَلَائِكَةَ، بَلْ يُمْسِكُ نَسْلَ إِبْرَاهِيمَ. ١٦ 16
১৬কারণ তিনি তো দূতদের সাহায্য করেন না, কিন্তু অব্রাহামের বংশের সাহায্য করছেন।
مِنْ ثَمَّ كَانَ يَنْبَغِي أَنْ يُشْبِهَ إِخْوَتَهُ فِي كُلِّ شَيْءٍ، لِكَيْ يَكُونَ رَحِيمًا، وَرَئِيسَ كَهَنَةٍ أَمِينًا فِي مَا لِلهِ حَتَّى يُكَفِّرَ خَطَايَا ٱلشَّعْبِ. ١٧ 17
১৭সেইজন্য সব বিষয়ে নিজের ভাইদের মত হওয়া তাঁর উচিত ছিল, যেন তিনি মানুষদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবার জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কাজে দয়ালু ও বিশ্বস্ত মহাযাজক হন।
لِأَنَّهُ فِي مَا هُوَ قَدْ تَأَلَّمَ مُجَرَّبًا يَقْدِرُ أَنْ يُعِينَ ٱلْمُجَرَّبِينَ. ١٨ 18
১৮কারণ যীশু নিজে পরীক্ষিত হয়ে দুঃখভোগ করেছেন বলে যারা পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাদের সাহায্য করতে পারেন।

< عِبرانِيّين 2 >