< حَجَّي 2 >

فِي ٱلشَّهْرِ ٱلسَّابِعِ فِي ٱلْحَادِي وَٱلْعِشْرِينَ مِنَ ٱلشَّهْرِ، كَانَتْ كَلِمَةُ ٱلرَّبِّ عَنْ يَدِ حَجَّي ٱلنَّبِيِّ قَائِلًا: ١ 1
দারিয়াবসের রাজত্বের সপ্তম মাসের একুশতম দিনের সদাপ্রভুর বাক্য হগয় ভাববাদীর মাধ্যমে উপস্থিত হলো, তিনি বললেন,
«كَلِّمْ زَرُبَّابِلَ بْنَ شَأَلْتِيئِيلَ وَالِيَ يَهُوذَا، وَيَهُوشَعَ بْنِ يَهُوصَادِقَ ٱلْكَاهِنِ ٱلْعَظِيمِ وَبَقِيَّةِ ٱلشَّعْبِ قَائِلًا: ٢ 2
“শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল নামে যিহূদার শাসনকর্তাকে, যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজককে ও অবশিষ্ট লোকদের এই কথা বল,
مَنِ ٱلْبَاقِي فِيكُمُ ٱلَّذِي رَأَى هَذَا ٱلْبَيْتَ فِي مَجْدِهِ ٱلْأَوَّلِ؟ وَكَيْفَ تَنْظُرُونَهُ ٱلْآنَ؟ أَمَا هُوَ فِي أَعْيُنِكُمْ كَلَا شَيْءٍ! ٣ 3
‘তোমাদের মধ্যে অবশিষ্ট এমন কে আছে যে, পূর্বের মহিমায় এই গৃহ দেখেছিল? আর এখন তোমরা একে কি অবস্থায় দেখছ? এর অবস্থা কি তোমাদের চোখে অস্তিত্বহীন নয়?’
فَٱلْآنَ تَشَدَّدْ يَا زَرُبَّابِلُ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. وَتَشَدَّدْ يَا يَهُوشَعُ بْنُ يَهُوصَادِقَ ٱلْكَاهِنُ ٱلْعَظِيمُ، وَتَشَدَّدُوا يَا جَمِيعَ شَعْبِ ٱلْأَرْضِ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. وَٱعْمَلُوا فَإِنِّي مَعَكُمْ، يَقُولُ رَبُّ ٱلْجُنُودِ. ٤ 4
কিন্তু এখন, হে সরুব্বাবিল, তুমি সবল হও, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আর হে যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজক, তুমি সবল হও; এবং দেশের সমস্ত লোক, তোমরাও সবল হও, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আর কাজ কর; কারণ আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷’
حَسَبَ ٱلْكَلَامِ ٱلَّذِي عَاهَدْتُكُمْ بِهِ عِنْدَ خُرُوجِكُمْ مِنْ مِصْرَ، وَرُوحِي قَائِمٌ فِي وَسَطِكُمْ. لَا تَخَافُوا. ٥ 5
তোমরা যখন মিশর থেকে বেরিয়ে এসেছিলে, তখন আমি তোমাদের সঙ্গে বাক্যের মাধ্যমে নিয়ম স্থির করেছিলাম এবং আমার আত্মা তোমাদের মধ্যে অধিষ্ঠান করে; তোমরা ভয় করো না৷”
لِأَنَّهُ هَكَذَا قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ: هِيَ مَرَّةٌ، بَعْدَ قَلِيلٍ، فَأُزَلْزِلُ ٱلسَّمَاوَاتِ وَٱلْأَرْضَ وَٱلْبَحْرَ وَٱلْيَابِسَةَ، ٦ 6
কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আর একবার, অল্পদিনের র মধ্যেই, আমি আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে এবং সমুদ্র ও শুস্ক ভূমিকে কাঁপাব৷
وَأُزَلْزِلُ كُلَّ ٱلْأُمَمِ. وَيَأْتِي مُشْتَهَى كُلِّ ٱلْأُمَمِ، فَأَمْلَأُ هَذَا ٱلْبَيْتَ مَجْدًا، قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ. ٧ 7
আর আমি সর্বজাতিকে কাঁপাব; এবং সমস্ত জাতি তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র আমার কাছে আনবে আর আমি এই গৃহ মহিমায় পরিপূর্ণ করব, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷”
لِي ٱلْفِضَّةُ وَلِي ٱلذَّهَبُ، يَقُولُ رَبُّ ٱلْجُنُودِ. ٨ 8
রূপা ও সোনা আমারই, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
مَجْدُ هَذَا ٱلْبَيْتِ ٱلْأَخِيرِ يَكُونُ أَعْظَمَ مِنْ مَجْدِ ٱلْأَوَّلِ، قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ. وَفِي هَذَا ٱلْمَكَانِ أُعْطِي ٱلسَّلَامَ، يَقُولُ رَبُّ ٱلْجُنُودِ». ٩ 9
এই গৃহ আগের চেয়ে ভবিষ্যতে আরো বেশি মহিমান্বিত হবে, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন; আর এই জায়গায় আমি শান্তি প্রদান করব, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
فِي ٱلرَّابِعِ وَٱلْعِشْرِينَ مِنَ ٱلشَّهْرِ ٱلتَّاسِعِ، فِي ٱلسَّنَةِ ٱلثَّانِيَةِ لِدَارِيُوسَ، كَانَتْ كَلِمَةُ ٱلرَّبِّ عَنْ يَدِ حَجَّي ٱلنَّبِيِّ قَائِلًا: ١٠ 10
১০দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের নবম মাসের চব্বিশতম দিনের সদাপ্রভুর এই বাক্য হগয় ভাববাদীর মাধ্যম উপস্থিত হল;
«هَكَذَا قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ: اِسْأَلِ ٱلْكَهَنَةَ عَنِ ٱلشَّرِيعَةِ قَائِلًا: ١١ 11
১১বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তুমি একবার যাজকদের ব্যবস্থার বিষয়ে জিজ্ঞাসা কর, বল,
إِنْ حَمَلَ إِنْسَانٌ لَحْمًا مُقَدَّسًا فِي طَرَفِ ثَوْبِهِ وَمَسَّ بِطَرَفِهِ خُبْزًا أَوْ طَبِيخًا أَوْ خَمْرًا أَوْ زَيْتًا أَوْ طَعَامًا مَّا، فَهَلْ يَتَقَدَّسُ؟» فَأَجَابَ ٱلْكَهَنَةُ وَقَالُوا: «لَا». ١٢ 12
১২কেউ যদি নিজের কাপড়ের আঁচলে করে পবিত্র মাংস নিয়ে যায়, আর সেই আঁচলেই রুটি, কি সিদ্ধ সবজি, কি দ্রাক্ষারস, কি তেল, কি অন্য কোন খাদ্যবস্তু স্পর্শ করা হয়, তবে কি সেই বস্তু পবিত্র হবে?” যাজকেরা উত্তরে বললেন, “না৷”
فَقَالَ حَجَّي: «إِنْ كَانَ ٱلْمُنَجَّسُ بِمَيْتٍ يَمَسُّ شَيْئًا مِنْ هَذِهِ، فَهَلْ يَتَنَجَّسُ؟» فَأَجَابَ ٱلْكَهَنَةُ وَقَالُوا: «يَتَنَجَّسُ». ١٣ 13
১৩তখন হগয় বললেন, “মৃতদেহ স্পর্শে অশুচি কোন লোক যদি এর মধ্যে কোন বস্তু স্পর্শ করে, তবে কি তা অশুচি হবে?” যাজকেরা উত্তরে বললেন, “তা অশুচি হবে৷”
فَأَجَابَ حَجَّي وَقَالَ: «هَكَذَا هَذَا ٱلشَّعْبُ، وَهَكَذَا هَذِهِ ٱلْأُمَّةُ قُدَّامِي، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، وَهَكَذَا كُلُّ عَمَلِ أَيْدِيهِمْ وَمَا يُقَرِّبُونَهُ هُنَاكَ. هُوَ نَجِسٌ. ١٤ 14
১৪তখন হগয় উত্তরে বললেন, “সদাপ্রভু বলেন, আমার কাছে এই বংশ সেই রকম ও এই জাতি সেই রকম; তাদের হাতের সমস্ত কাজও সেই রকম এবং তারা যা কিছু উত্সর্গ করে, তা অশুচি৷”
وَٱلْآنَ فَٱجْعَلُوا قَلْبَكُمْ مِنْ هَذَا ٱلْيَوْمِ فَرَاجِعًا، قَبْلَ وَضْعِ حَجَرٍ عَلَى حَجَرٍ فِي هَيْكَلِ ٱلرَّبِّ. ١٥ 15
১৫তাই এখন, আজকের দিন কে ধরে এর আগে যত দিন সদাপ্রভুর মন্দিরে পাথরের উপরে পাথর স্থাপিত ছিল না, সেই সব দিন আলোচনা কর৷
مُذْ تِلْكَ ٱلْأَيَّامِ كَانَ أَحَدُكُمْ يَأْتِي إِلَى عَرَمَةِ عِشْرِينَ فَكَانَتْ عَشَرَةً. أَتَى إِلَى حَوْضِ ٱلْمِعْصَرَةِ لِيَغْرُفَ خَمْسِينَ فُورَةً فَكَانَتْ عِشْرِينَ. ١٦ 16
১৬সেই সব দিনের তোমাদের মধ্যে কেউ কুড়ি পরিমাণ শস্যরাশির কাছে এলে কেবল দশ পরিমাণ হত এবং দ্রাক্ষাকুন্ড থেকে পঞ্চাশ পরিমাণ দ্রাক্ষারস নিতে এলে কেবল কুড়ি পরিমাণ হত৷
قَدْ ضَرَبْتُكُمْ بِٱللَّفْحِ وَبِالْيَرَقَانِ وَبِالْبَرَدِ فِي كُلِّ عَمَلِ أَيْدِيكُمْ، وَمَا رَجَعْتُمْ إِلَيَّ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. ١٧ 17
১৭আমি শস্য ক্ষয় রোগ, ছত্রাক রোগ ও শিলাবৃষ্টি দিয়ে তোমাদের হাতের সমস্ত কাজে তোমাদেরকে আঘাত করতাম, তবুও তোমরা আমার প্রতি ফিরতে না, সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
فَٱجْعَلُوا قَلْبَكُمْ مِنْ هَذَا ٱلْيَوْمِ فَصَاعِدًا، مِنَ ٱلْيَوْمِ ٱلرَّابِعِ وَٱلْعِشْرِينَ مِنَ ٱلشَّهْرِ ٱلتَّاسِعِ، مِنَ ٱلْيَوْمِ ٱلَّذِي فِيهِ تَأَسَّسَ هَيْكَلُ ٱلرَّبِّ، ٱجْعَلُوا قَلْبَكُمْ. ١٨ 18
১৮আলোচনা কর, আজকের দিন কে ধরে এর আগে যত দিন এবং এর পর থেকে, নবম মাসের চব্বিশতম দিন পর্যন্ত, সদাপ্রভুর মন্দিরের ভীত গাঁথার দিন পর্যন্ত, আলোচনা কর৷
هَلِ ٱلْبَذْرُ فِي ٱلْأَهْرَاءِ بَعْدُ؟ وَٱلْكَرْمُ وَٱلتِّينُ وَٱلرُّمَّانُ وَٱلزَّيْتُونُ لَمْ يَحْمِلْ بَعْدُ. فَمِنْ هَذَا ٱلْيَوْمِ أُبَارِكُ». ١٩ 19
১৯গোলায় কি কিছু বীজ পড়ে আছে? আর দ্রাক্ষালতা, ডুমুর, ডালিম এবং জিতবৃক্ষও ফল উত্পন্ন করে নি৷ কিন্তু আজ থেকে আমি আশীর্বাদ করব৷
وَصَارَتْ كَلِمَةُ ٱلرَّبِّ ثَانِيَةً إِلَى حَجَّي، فِي ٱلرَّابِعِ وَٱلْعِشْرِينَ مِنَ ٱلشَّهْرِ قَائِلًا: ٢٠ 20
২০সেই একই দিনে অর্থাৎ পরে মাসের চব্বিশতম দিনের সদাপ্রভুর এই বাক্য দ্বিতীয় বার হগয়ের কাছে উপস্থিত হল;
«كَلِّمْ زَرُبَّابِلَ وَالِيَ يَهُوذَا قَائِلًا: إِنِّي أُزَلْزِلُ ٱلسَّمَاوَاتِ وَٱلْأَرْضَ، ٢١ 21
২১“তুমি যিহূদার শাসনকর্ত্তা সরুব্বাবিলকে এই কথা বল, ‘আমি আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে কাঁপাব;
وَأَقْلِبُ كُرْسِيَّ ٱلْمَمَالِكِ، وَأُبِيدُ قُوَّةَ مَمَالِكِ ٱلْأُمَمِ، وَأَقْلِبُ ٱلْمَرْكَبَاتِ وَٱلرَّاكِبِينَ فِيهَا، وَيَنْحَطُّ ٱلْخَيْلُ وَرَاكِبُوهَا، كُلٌّ مِنْهَا بِسَيْفِ أَخِيهِ. ٢٢ 22
২২কারণ আমি রাজাদের সিংহাসন উলটিয়ে ফেলব, জাতিদের সব রাজ্যের পরাক্রম নষ্ট করব, রথ ও রথের আরোহীদেরকে উলটিয়ে ফেলব এবং অশ্ব ও অশ্বারোহীরা নিজের নিজের ভাইয়ের তরোয়ালে মারা পরবে৷
فِي ذَلِكَ ٱلْيَوْمِ، يَقُولُ رَبُّ ٱلْجُنُودِ، آخُذُكَ يَا زَرُبَّابِلُ عَبْدِي ٱبْنُ شَأَلْتِيئِيلَ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، وَأَجْعَلُكَ كَخَاتِمٍ، لِأَنِّي قَدِ ٱخْتَرْتُكَ، يَقُولُ رَبُّ ٱلْجُنُودِ». ٢٣ 23
২৩বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, সেই দিন,’ হে শল্টীয়েলের পুত্র, আমার দাস, সরুব্বাবিল, আমি তোমাকে গ্রহণ করব, সদাপ্রভু এই কথা বলেন; ‘আমি তোমাকে সীলমোহরযুক্ত আংটির মত রাখব; কারণ আমি তোমাকে মনোনীত করেছি,’ বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷”

< حَجَّي 2 >