< حَبَقُّوق 2 >

عَلَى مَرْصَدِي أَقِفُ، وَعَلَى ٱلْحِصْنِ أَنْتَصِبُ، وَأُرَاقِبُ لِأَرَى مَاذَا يَقُولُ لِي، وَمَاذَا أُجِيبُ عَنْ شَكْوَايَ. ١ 1
আমি নিজের নজর-ঘাঁটিতে দাঁড়াব এবং দুর্গের উপর অবস্থান করব; সেখানে অপেক্ষা করে দেখব যে সদাপ্রভু আমাকে কী বলছেন, এবং আমি কীভাবে এই নালিশের উত্তর দেব।
فَأَجَابَنِي ٱلرَّبُّ وَقَالَ: «ٱكْتُبِ ٱلرُّؤْيَا وَٱنْقُشْهَا عَلَى ٱلْأَلْوَاحِ لِكَيْ يَرْكُضَ قَارِئُهَا، ٢ 2
তখন সদাপ্রভু উত্তর দিলেন: “এই দর্শন লেখো স্পষ্ট করে ফলকের উপর লেখো যাতে একজন দৌড়বাজ অন্যদের কাছে সঠিক বার্তা বহন করতে পারে।
لِأَنَّ ٱلرُّؤْيَا بَعْدُ إِلَى ٱلْمِيعَادِ، وَفِي ٱلنِّهَايَةِ تَتَكَلَّمُ وَلَا تَكْذِبُ. إِنْ تَوَانَتْ فَٱنْتَظِرْهَا لِأَنَّهَا سَتَأْتِي إِتْيَانًا وَلَا تَتَأَخَّرُ. ٣ 3
কারণ এই দর্শন নির্ধারিত সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে; এটা শেষ সময়ের কথা বলে এবং মিথ্যা প্রমাণিত হবে না। এটা ঘটতে দেরি হলেও, অপেক্ষা করো; নিশ্চয়ই এটা ঘটবে এবং দেরি হবে না।
«هُوَذَا مُنْتَفِخَةٌ غَيْرُ مُسْتَقِيمَةٍ نَفْسُهُ فِيهِ. وَٱلْبَارُّ بِإِيمَانِهِ يَحْيَا. ٤ 4
“দেখো, শত্রু অহংকারে ফুলে উঠেছে; তার ইচ্ছাসকল ন্যায্য নয়, কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাসের দ্বারাই জীবিত থাকবে,
وَحَقًّا إِنَّ ٱلْخَمْرَ غَادِرَةٌ. ٱلرَّجُلَ مُتَكَبِّرٌ وَلَا يَهْدَأُ. ٱلَّذِي قَدْ وَسَّعَ نَفْسَهُ كَٱلْهَاوِيَةِ، وَهُوَ كَٱلْمَوْتِ فَلَا يَشْبَعُ، بَلْ يَجْمَعُ إِلَى نَفْسِهِ كُلَّ ٱلْأُمَمِ، وَيَضُمُّ إِلَى نَفْسِهِ جَمِيعَ ٱلشُّعُوبِ. (Sheol h7585) ٥ 5
প্রকৃতপক্ষে, সুরা তাকে প্রতারণা করে; সে দাম্ভিক এবং কখনও বিশ্রাম করে না। কারণ পাতালের মতো সে লোভী এবং মৃত্যুর মতো কখনোই সন্তুষ্ট হয় না, সমগ্র জাতিগণদের সে নিজের কাছে একত্রিত করে এবং সকলকে বন্দি করে। (Sheol h7585)
فَهَلَّا يَنْطِقُ هَؤُلَاءِ كُلُّهُمْ بِهَجْوٍ عَلَيْهِ وَلُغْزِ شَمَاتَةٍ بِهِ، وَيَقُولُونَ: وَيْلٌ لِلْمُكَثِّرِ مَا لَيْسَ لَهُ! إِلَى مَتَى؟ وَلِلْمُثَقِّلِ نَفْسَهُ رُهُونًا! ٦ 6
“কিন্তু তাদের সকলে কি তাকে বিদ্রুপ ও অবজ্ঞার সঙ্গে, এই বলে, উপহাস করবে না, “‘ধিক্ তাকে, যে চুরি করা সম্পত্তি জমিয়ে রাখে এবং জোর করে আদায় করে নিজেকে ধনী করে! এইভাবে আর কত দিন চলবে?’
أَلَا يَقُومُ بَغْتَةً مُقَارِضُوكَ، وَيَسْتَيْقِظُ مُزَعْزِعُوكَ، فَتَكُونَ غَنِيمَةً لَهُمْ؟ ٧ 7
তোমার পাওনাদাররা কি হঠাৎ তোমার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠবে না? তারা কি সজাগ হয়ে তোমাকে ভীত করবে না? তখন তোমরা ওদের শিকার হবে।
لِأَنَّكَ سَلَبْتَ أُمَمًا كَثِيرَةً، فَبَقِيَّةُ ٱلشُّعُوبِ كُلِّهَا تَسْلُبُكَ لِدِمَاءِ ٱلنَّاسِ وَظُلْمِ ٱلْأَرْضِ وَٱلْمَدِينَةِ وَجَمِيعِ ٱلسَّاكِنِينَ فِيهَا. ٨ 8
যেহেতু তোমরা বহু জাতিগণদের লুট করেছ, তাই অবশিষ্ট ব্যক্তিরা তোমাদের লুট করবে। কারণ তোমরা মানুষের রক্তপাত করেছ; তোমরা দেশ, নগর এবং তার সমস্ত মানুষদের ধ্বংস করেছ।
«وَيْلٌ لِلْمُكْسِبِ بَيْتَهُ كَسْبًا شِرِّيرًا لِيَجْعَلَ عُشَّهُ فِي ٱلْعُلُوِّ لِيَنْجُوَ مِنْ كَفِّ ٱلشَّرِّ! ٩ 9
“ধিক্ তাকে, যে দুষ্কর্মের লাভে নিজের ঘর তৈরি করে, বিপর্যয়ের কবল থেকে বাঁচবার জন্য উঁচু স্থানে বসতি স্থাপন করে!
تَآمَرْتَ ٱلْخِزْيَ لِبَيْتِكَ. إِبَادَةَ شُعُوبٍ كَثِيرَةٍ وَأَنْتَ مُخْطِئٌ لِنَفْسِكَ. ١٠ 10
তুমি বহু জাতির পতনের পরিকল্পনা করেছ, নিজের ঘরকে লজ্জিত এবং নিজের জীবন নষ্ট করেছ।
لِأَنَّ ٱلْحَجَرَ يَصْرُخُ مِنَ ٱلْحَائِطِ فَيُجِيبُهُ ٱلْجَائِزُ مِنَ ٱلْخَشَبِ. ١١ 11
প্রাচীরের পাথরগুলি কেঁদে উঠবে, এবং ছাদের কড়িকাঠ তা প্রতিধ্বনিত করবে।
«وَيْلٌ لِلْبَانِي مَدِينَةً بِٱلدِّمَاءِ، وَلِلْمُؤَسِّسِ قَرْيَةً بِٱلْإِثْمِ! ١٢ 12
“ধিক্ তাকে, যে রক্তপাতের মাধ্যমে নগর নির্মাণ করে, আর দুষ্কর্মের সাথে নগর স্থাপন করে!
أَلَيْسَ مِنْ قِبَلِ رَبِّ ٱلْجُنُودِ أَنَّ ٱلشُّعُوبَ يَتْعَبُونَ لِلنَّارِ، وَٱلْأُمَمَ لِلْبَاطِلِ يَعْيَوْنَ؟ ١٣ 13
সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু কি নির্ধারণ করেননি যে জাতিগণের পরিশ্রম আগুনের কেবল ইন্ধনমাত্র, এবং তারা এত পরিশ্রম করে কিন্তু সবকিছুই ব্যর্থ হয়!
لِأَنَّ ٱلْأَرْضَ تَمْتَلِئُ مِنْ مَعْرِفَةِ مَجْدِ ٱلرَّبِّ كَمَا تُغَطِّي ٱلْمِيَاهُ ٱلْبَحْرَ. ١٤ 14
কারণ সমুদ্র যেমন জলরাশিতে আচ্ছন্ন, পৃথিবী তেমনই সদাপ্রভুর মহিমার জ্ঞানে পরিপূর্ণ হবে।
«وَيْلٌ لِمَنْ يَسْقِي صَاحِبَهُ سَافِحًا حُمُوَّكَ وَمُسْكِرًا أَيْضًا، لِلنَّظَرِ إِلَى عَوْرَاتِهِمْ. ١٥ 15
“ধিক্ তাকে, যে তার প্রতিবেশীদের সুরা পান করায়, সুরাপাত্র থেকে ঢেলে যায় যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা মত্ত হয়ে ওঠে, যেন সে তাদের নগ্ন শরীরের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে উপভোগ করতে পারে!
قَدْ شَبِعْتَ خِزْيًا عِوَضًا عَنِ ٱلْمَجْدِ. فَٱشْرَبْ أَنْتَ أَيْضًا وَٱكْشِفْ غُرْلَتَكَ! تَدُورُ إِلَيْكَ كَأْسُ يَمِينِ ٱلرَّبِّ، وَقُيَاءُ ٱلْخِزْيِ عَلَى مَجْدِكَ. ١٦ 16
মহিমাতে নয় তুমি লজ্জায় পরিপূর্ণ হবে। এখন তোমার পালা! সুরা পান করো এবং তোমার নগ্নতা প্রকাশ পাক। সদাপ্রভুর বিচারের পানপাত্র থেকে পান করো এবং তোমার সব গৌরব লাঞ্ছনায় রূপান্তরিত হবে।
لِأَنَّ ظُلْمَ لُبْنَانَ يُغَطِّيكَ، وَٱغْتِصَابَ ٱلْبَهَائِمِ ٱلَّذِي رَوَّعَهَا، لِأَجْلِ دِمَاءِ ٱلنَّاسِ وَظُلْمِ ٱلْأَرْضِ وَٱلْمَدِينَةِ وَجَمِيعِ ٱلسَّاكِنِينَ فِيهَا. ١٧ 17
লেবাননের প্রতি তুমি যা অত্যাচার করেছ তা তোমাকে অভিভূত করবে, তুমি বন্যপশুদের ধ্বংস করেছ, আর তাদের আতঙ্ক তোমার হবে। কারণ তুমি মানুষের রক্তপাত করেছ; তোমরা দেশ, নগর এবং তার সমস্ত মানুষদের ধ্বংস করেছ।
«مَاذَا نَفَعَ ٱلتِّمْثَالُ ٱلْمَنْحُوتُ حَتَّى نَحَتَهُ صَانِعُهُ؟ أَوِ ٱلْمَسْبُوكُ وَمُعَلِّمُ ٱلْكَذِبِ حَتَّى إِنَّ ٱلصَّانِعَ صَنْعَةً يَتَّكِلُ عَلَيْهَا، فَيَصْنَعُ أَوْثَانًا بُكْمًا؟ ١٨ 18
“কারিগরের তৈরি খোদিত মূর্তির কি মূল্য? অথবা এক প্রতিমূর্তি যে মিথ্যা শেখায়? কারণ যে সেটা বানায় সে নিজের সৃষ্টিতেই আস্থা রাখে; সে মূর্তি নির্মাণ করে যা কথা বলতে পারে না।
وَيْلٌ لِلْقَائِلِ لِلْعُودِ: ٱسْتَيْقِظْ! وَلِلْحَجَرِ ٱلْأَصَمِّ: ٱنْتَبِهْ! أَهُوَ يُعَلِّمُ؟ هَا هُوَ مَطْلِيٌّ بِٱلذَّهَبِ وَٱلْفِضَّةِ، وَلَا رُوحَ ٱلْبَتَّةَ فِي دَاخِلِهِ! ١٩ 19
ধিক্ তাকে, যে কাঠকে বলে, ‘জীবিত হও!’ আর নির্জীব পাথরকে বলে ‘ওঠো!’ সেটা কি পথ দেখাতে পারে? এটা সোনা ও রুপো দিয়ে আবৃত; এর মধ্যে কোনো শ্বাস নেই।”
أَمَّا ٱلرَّبُّ فَفِي هَيْكَلِ قُدْسِهِ. فَٱسْكُتِي قُدَّامَهُ يَا كُلَّ ٱلْأَرْضِ». ٢٠ 20
কিন্তু সদাপ্রভু আপন পবিত্র মন্দিরে আছেন; সমস্ত পৃথিবী তাঁর সামনে নীরব থাকুক।

< حَبَقُّوق 2 >