< اَلتَّكْوِينُ 32 >

وَأَمَّا يَعْقُوبُ فَمَضَى فِي طَرِيقِهِ وَلَاقَاهُ مَلَائِكَةُ ٱللهِ. ١ 1
আর যাকোব নিজের পথে এগিয়ে গেলে ঈশ্বরের দূতেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন।
وَقَالَ يَعْقُوبُ إِذْ رَآهُمْ: «هَذَا جَيْشُ ٱللهِ!». فَدَعَا ٱسْمَ ذَلِكَ ٱلْمَكَانِ «مَحَنَايِمَ». ٢ 2
তখন যাকোব তাঁদেরকে দেখে বললেন, “এ ঈশ্বরের সেনাদল, তাই সেই জায়গার নাম মহনয়িম রাখলেন।”
وَأَرْسَلَ يَعْقُوبُ رُسُلًا قُدَّامَهُ إِلَى عِيسُوَ أَخِيهِ إِلَى أَرْضِ سَعِيرَ بِلَادِ أَدُومَ، ٣ 3
তার পর যাকোব নিজের আগে সেয়ীর দেশের ইদোম অঞ্চলে তাঁর ভাই এষৌর কাছে দূতদেরকে পাঠালেন।
وَأَمَرَهُمْ قَائِلًا: «هَكَذَا تَقُولُونَ لِسَيِّدِي عِيسُوَ: هَكَذَا قَالَ عَبْدُكَ يَعْقُوبُ: تَغَرَّبْتُ عِنْدَ لَابَانَ وَلَبِثْتُ إِلَى ٱلْآنَ. ٤ 4
তিনি তাদেরকে এই আজ্ঞা করলেন, “তোমরা আমার প্রভু এষৌকে বলবে, আপনার দাস যাকোব আপনাকে জানালেন, আমি লাবনের কাছে বাস করছিলাম, এ পর্যন্ত থেকেছি।
وَقَدْ صَارَ لِي بَقَرٌ وَحَمِيرٌ وَغَنَمٌ وَعَبِيدٌ وَإِمَاءٌ. وَأَرْسَلْتُ لِأُخْبِرَ سَيِّدِي لِكَيْ أَجِدَ نِعْمَةً فِي عَيْنَيْكَ». ٥ 5
আমার গরু, গাধা, ভেড়ার পাল ও দাস দাসী আছে, আর আমি প্রভুর অনুগ্রহ দৃষ্টি পাবার জন্য আপনাকে খবর পাঠালাম।”
فَرَجَعَ ٱلرُّسُلُ إِلَى يَعْقُوبَ قَائِلِينَ: «أَتَيْنَا إِلَى أَخِيكَ، إِلَى عِيسُو، وَهُوَ أَيْضًا قَادِمٌ لِلِقَائِكَ، وَأَرْبَعُ مِئَةِ رَجُلٍ مَعَهُ». ٦ 6
পরে দূতেরা যাকোবের কাছে ফিরে এসে বলল, “আমরা আপনার ভাই এষৌর কাছে গিয়েছিলাম; আর তিনি চারশো লোক সঙ্গে নিয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন।”
فَخَافَ يَعْقُوبُ جِدًّا وَضَاقَ بِهِ ٱلْأَمْرُ، فَقَسَمَ ٱلْقَوْمَ ٱلَّذِينَ مَعَهُ وَٱلْغَنَمَ وَٱلْبَقَرَ وَٱلْجِمَالَ إِلَى جَيْشَيْنِ. ٧ 7
তখন যাকোব খুব ভয় পেলেন ও চিন্তিত হলেন, আর যে সব লোক তাঁর সঙ্গে ছিল, তাদেরকে ও গরু ও ভেড়ার দল সমস্ত পাল ও উটদেরকে বিভক্ত করে দুটি দল করলেন,
وَقَالَ: «إِنْ جَاءَ عِيسُو إِلَى ٱلْجَيْشِ ٱلْوَاحِدِ وَضَرَبَهُ، يَكُونُ ٱلْجَيْشُ ٱلْبَاقِي نَاجِيًا». ٨ 8
বললেন, “এষৌ এসে যদিও এক দলকে আক্রমণ করেন, তবুও অন্য দল অবশিষ্ট থেকে রক্ষা পাবে।”
وَقَالَ يَعْقُوبُ: «يَا إِلَهَ أَبِي إِبْرَاهِيمَ وَإِلَهَ أَبِي إِسْحَاقَ، ٱلرَّبَّ ٱلَّذِي قَالَ لِيَ: ٱرْجِعْ إِلَى أَرْضِكَ وَإِلَى عَشِيرَتِكَ فَأُحْسِنَ إِلَيْكَ. ٩ 9
তখন যাকোব বললেন, “হে আমার বাবা অব্রাহামের ঈশ্বর ও আমার বাবা ইসহাকের ঈশ্বর, তুমি সদাপ্রভু নিজে আমাকে বলেছিলে, তোমার দেশে আত্মীয়দের কাছে ফিরে যাও, তাতে আমি তোমার মঙ্গল করব।
صَغِيرٌ أَنَا عَنْ جَمِيعِ أَلْطَافِكَ وَجَمِيعِ ٱلْأَمَانَةِ ٱلَّتِي صَنَعْتَ إِلَى عَبْدِكَ. فَإِنِّي بِعَصَايَ عَبَرْتُ هَذَا ٱلْأُرْدُنَّ، وَٱلْآنَ قَدْ صِرْتُ جَيْشَيْنِ. ١٠ 10
১০তুমি এই দাসের প্রতি যে সমস্ত চুক্তির বিশ্বস্ততা ও যে সমস্ত সত্যাচরণ করেছ, আমি তার কিছুরই যোগ্য নই; কারণ আমি আমার এই লাঠিটি নিয়ে এই যর্দ্দন পার হয়েছিলাম, এখন দুই দল হয়েছি।
نَجِّنِي مِنْ يَدِ أَخِي، مِنْ يَدِ عِيسُوَ، لِأَنِّي خَائِفٌ مِنْهُ أَنْ يَأْتِيَ وَيَضْرِبَنِي ٱلْأُمَّ مَعَ ٱلْبَنِينَ. ١١ 11
১১অনুরোধ করি, আমার ভাইয়ের হাত থেকে, এষৌর হাত থেকে আমাকে রক্ষা কর, কারণ আমি তাকে ভয় করি, যদি সে এসে আমাকে, ছেলেদের সঙ্গে মাকে হত্যা করে।
وَأَنْتَ قَدْ قُلْتَ: إِنِّي أُحْسِنُ إِلَيْكَ وَأَجْعَلُ نَسْلَكَ كَرَمْلِ ٱلْبَحْرِ ٱلَّذِي لَا يُعَدُّ لِلْكَثْرَةِ». ١٢ 12
১২তুমিই তো বলেছ, আমি অবশ্য তোমার মঙ্গল করব এবং সমুদ্রতীরে অবস্থিত যে বালি তার মতো তোমার বংশ বৃদ্ধি করব, যা গোনা যায় না।”
وَبَاتَ هُنَاكَ تِلْكَ ٱللَّيْلَةَ وَأَخَذَ مِمَّا أَتَى بِيَدِهِ هَدِيَّةً لِعِيسُو أَخِيهِ: ١٣ 13
১৩পরে যাকোব সেই জায়গায় রাত কাটালেন ও তার কাছে যা ছিল, তার কিছু নিয়ে তাঁর ভাই এষৌর জন্য এই উপহার প্রস্তুত করলেন;
مِئَتَيْ عَنْزٍ وَعِشْرِينَ تَيْسًا، مِئَتَيْ نَعْجَةٍ وَعِشْرِينَ كَبْشًا، ١٤ 14
১৪দুশো ছাগী ও কুড়িটা ছাগল, দুশো ভেড়ী ও কুড়িটা ভেড়া,
ثَلَاثِينَ نَاقَةً مُرْضِعَةً وَأَوْلَادَهَا، أَرْبَعِينَ بَقَرَةً وَعَشْرَةَ ثِيرَانٍ، عِشْرِينَ أَتَانًا وَعَشْرَةَ حَمِيرٍ، ١٥ 15
১৫বাচ্চা সহ দুগ্ধবতী ত্রিশটি উট, চল্লিশটি গরু ও দশটি ষাঁড় এবং কুড়িটি গাধী ও দশটি গাধা।
وَدَفَعَهَا إِلَى يَدِ عَبِيدِهِ قَطِيعًا قَطِيعًا عَلَى حِدَةٍ. وَقَالَ لِعَبِيدِهِ: «ٱجْتَازُوا قُدَّامِي وَٱجْعَلُوا فُسْحَةً بَيْنَ قَطِيعٍ وَقَطِيعٍ». ١٦ 16
১৬পরে তিনি নিজের এক এক দাসের হাতে এক এক পাল সমর্পণ করে দাসদেরকে এই আদেশ দিলেন, “তোমরা আমার আগে পার হয়ে যাও এবং মাঝে মাঝে জায়গা রেখে প্রত্যেক পাল আলাদা কর।”
وَأَمَرَ ٱلْأَوَّلَ قَائِلًا: «إِذَا صَادَفَكَ عِيسُو أَخِي وَسَأَلَكَ قَائِلًا: لِمَنْ أَنْتَ؟ وَإِلَى أَيْنَ تَذْهَبُ؟ وَلِمَنْ هَذَا ٱلَّذِي قُدَّامَكَ؟ ١٧ 17
১৭পরে তিনি প্রথম দাসকে এই আদেশ দিলেন, “আমার ভাই এষৌর সঙ্গে তোমার দেখা হলে তিনি যখন জিজ্ঞাসা করবেন, তুমি কার দাস? কোথায় যাচ্ছ? আর তোমার আগে অবস্থিত এই সব কার?”
تَقُولُ: لِعَبْدِكَ يَعْقُوبَ. هُوَ هَدِيَّةٌ مُرْسَلَةٌ لِسَيِّدِي عِيسُوَ، وَهَا هُوَ أَيْضًا وَرَاءَنَا». ١٨ 18
১৮তখন তুমি উত্তর করবে, “এই সব আপনার দাস যাকোবের; তিনি উপহার হিসাবে এই সব আমার প্রভু এষৌর জন্য পাঠালেন;” আর দেখুন, তিনিও আমাদের পিছনে আসছেন।
وَأَمَرَ أَيْضًا ٱلْثَانِى وَٱلثَّالِثَ وَجَمِيعَ ٱلسَّائِرِينَ وَرَاءَ ٱلْقُطْعَانِ قَائِلًا: «بِمِثْلِ هَذَا ٱلْكَلَامِ تُكَلِّمُونَ عِيسُوَ حِينَمَا تَجِدُونَهُ، ١٩ 19
১৯পরে তিনি দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রভৃতি পালের পিছনে চলা দাস সবাইকেও আদেশ দিয়ে বললেন, “এষৌর সঙ্গে দেখা হলে তোমরা এই এই ধরনের কথা বল।
وَتَقُولُونَ: هُوَذَا عَبْدُكَ يَعْقُوبُ أَيْضًا وَرَاءَنَا». لِأَنَّهُ قَالَ: «أَسْتَعْطِفُ وَجْهَهُ بِٱلْهَدِيَّةِ ٱلسَّائِرَةِ أَمَامِي، وَبَعْدَ ذَلِكَ أَنْظُرُ وَجْهَهُ، عَسَى أَنْ يَرْفَعَ وَجْهِي». ٢٠ 20
২০আরো বল, দেখুন, আপনার দাস যাকোবও আমাদের পিছনে আসছেন।” কারণ তিনি বললেন, “আমি আগে উপহার পাঠিয়ে তাঁকে শান্ত করব, পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করব, তাতে তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করলেও করতে পারেন।”
فَٱجْتَازَتِ ٱلْهَدِيَّةُ قُدَّامَهُ، وَأَمَّا هُوَ فَبَاتَ تِلْكَ ٱللَّيْلَةَ فِي ٱلْمَحَلَّةِ. ٢١ 21
২১তাই তাঁর আগে উপহারের জিনিস পার হয়ে গেল, কিন্তু নিজে সেই রাতে দলের মধ্যে থাকলেন।
ثُمَّ قَامَ فِي تِلْكَ ٱللَّيْلَةِ وَأَخَذَ ٱمْرَأَتَيْهِ وَجَارِيَتَيْهِ وَأَوْلَادَهُ ٱلْأَحَدَ عَشَرَ وَعَبَرَ مَخَاضَةَ يَبُّوقَ. ٢٢ 22
২২পরে তিনি রাতে উঠে নিজের দুই স্ত্রী, দুই দাসী ও এগারো জন ছেলেকে নিয়ে যব্বোক নদীর অগভীর অংশ দিয়ে পার হলেন
أَخَذَهُمْ وَأَجَازَهُمُ ٱلْوَادِيَ، وَأَجَازَ مَا كَانَ لَهُ. ٢٣ 23
২৩তিনি তাঁদেরকে নদী পার করিয়ে নিজের সব জিনিস পাড়ে পাঠিয়ে দিলেন।
فَبَقِيَ يَعْقُوبُ وَحْدَهُ، وَصَارَعَهُ إِنْسَانٌ حَتَّى طُلُوعِ ٱلْفَجْرِ. ٢٤ 24
২৪আর যাকোব সেখানে একা থাকলেন এবং এক পুরুষ ভোর পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে মল্লযুদ্ধ করলেন;
وَلَمَّا رَأَى أَنَّهُ لَا يَقْدِرُ عَلَيْهِ، ضَرَبَ حُقَّ فَخْذِهِ، فَٱنْخَلَعَ حُقُّ فَخْذِ يَعْقُوبَ فِي مُصَارَعَتِهِ مَعَهُ. ٢٥ 25
২৫কিন্তু তাঁকে জয় করতে পারলেন না দেখে, তিনি যাকোবের ঊরুসন্ধিতে আঘাত করলেন। তাঁর সঙ্গে এরকম মল্লযুদ্ধ করাতে যাকোবের ঊরুসন্ধির হাড় সরে গেল।
وَقَالَ: «أَطْلِقْنِي، لِأَنَّهُ قَدْ طَلَعَ ٱلْفَجْرُ». فَقَالَ: «لَا أُطْلِقُكَ إِنْ لَمْ تُبَارِكْنِي». ٢٦ 26
২৬পরে সেই পুরুষ বললেন, “আমাকে ছাড়, কারণ ভোর হল।” যাকোব বললেন, “আপনি আমাকে আশীর্বাদ না করলে আপনাকে ছাড়ব না।”
فَقَالَ لَهُ: «مَا ٱسْمُكَ؟» فَقَالَ: «يَعْقُوبُ». ٢٧ 27
২৭আবার তিনি বললেন, “তোমার নাম কি?” তিনি উত্তর করলেন, “যাকোব।”
فَقَالَ: «لَا يُدْعَى ٱسْمُكَ فِي مَا بَعْدُ يَعْقُوبَ بَلْ إِسْرَائِيلَ، لِأَنَّكَ جَاهَدْتَ مَعَ ٱللهِ وَٱلنَّاسِ وَقَدَرْتَ». ٢٨ 28
২৮তিনি বললেন, “তুমি যাকোব নামে আর আখ্যাত হবে না, কিন্তু ইস্রায়েল [ঈশ্বরের সঙ্গে যুদ্ধকারী] নামে আখ্যাত হবে; কারণ তুমি ঈশ্বরের ও মানুষদের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছ।”
وَسَأَلَ يَعْقُوبُ وَقَالَ: «أَخْبِرْنِي بِٱسْمِكَ». فَقَالَ: «لِمَاذَا تَسْأَلُ عَنِ ٱسْمِي؟». وَبَارَكَهُ هُنَاكَ. ٢٩ 29
২৯তখন যাকোব জিজ্ঞাসা করে বললেন, “অনুরোধ করি, আপনার নাম কি? বলুন।” তিনি বললেন, “কি জন্য আমার নাম জিজ্ঞাসা কর?” পরে সেখানে যাকোবকে আশীর্বাদ করলেন।
فَدَعَا يَعْقُوبُ ٱسْمَ ٱلْمَكَانِ «فَنِيئِيلَ» قَائِلًا: «لِأَنِّي نَظَرْتُ ٱللهَ وَجْهًا لِوَجْهٍ، وَنُجِّيَتْ نَفْسِي». ٣٠ 30
৩০তখন যাকোব সেই জায়গার নাম পনূয়েল [ঈশ্বরের মুখ] রাখলেন; কারণ তিনি বললেন, “আমি ঈশ্বরকে সামনাসামনি হয়ে দেখলাম, তবুও আমার প্রাণ বাঁচল।”
وَأَشْرَقَتْ لَهُ ٱلشَّمْسُ إِذْ عَبَرَ فَنُوئِيلَ وَهُوَ يَخْمَعُ عَلَى فَخْذِهِ. ٣١ 31
৩১পরে তিনি পনূয়েল পার হলে সূর্যোদয় হল। আর তিনি ঊরুতে খোঁড়াতে লাগলেন।
لِذَلِكَ لَا يَأْكُلُ بَنُو إِسْرَائِيلَ عِرْقَ ٱلنَّسَا ٱلَّذِي عَلَى حُقِّ ٱلْفَخْذِ إِلَى هَذَا ٱلْيَوْمِ، لِأَنَّهُ ضَرَبَ حُقَّ فَخْذِ يَعْقُوبَ عَلَى عِرْقِ ٱلنَّسَا. ٣٢ 32
৩২এই কারণ ইস্রায়েল-সন্তানেরা আজও ঊরুসন্ধির হাড়ের উপরের ঊরুসন্ধির শিরা খায় না, কারণ তিনি যাকোবের ঊরুসন্ধির হাড় অর্থাৎ ঊরুসন্ধির শিরা স্পর্শ করেছিলেন।

< اَلتَّكْوِينُ 32 >