< اَلتَّكْوِينُ 30 >

فَلَمَّا رَأَتْ رَاحِيلُ أَنَّهَا لَمْ تَلِدْ لِيَعْقُوبَ، غَارَتْ رَاحِيلُ مِنْ أُخْتِهَا، وَقَالَتْ لِيَعْقُوبَ: «هَبْ لِي بَنِينَ، وَإِلَا فَأَنَا أَمُوتُ!». ١ 1
রাহেল যখন দেখলেন যে তিনি যাকোবের জন্য কোনও সন্তানধারণ করতে পারছেন না, তখন তিনি তাঁর দিদির প্রতি ঈর্ষাকাতর হলেন। তাই তিনি যাকোবকে বললেন, “আমাকে সন্তান দাও, তা না হলে আমি মারা যাব!”
فَحَمِيَ غَضَبُ يَعْقُوبَ عَلَى رَاحِيلَ وَقَالَ: «أَلَعَلِّي مَكَانَ ٱللهِ ٱلَّذِي مَنَعَ عَنْكِ ثَمْرَةَ ٱلْبَطْنِ؟». ٢ 2
যাকোব তাঁর প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে বললেন, “আমি কি সেই ঈশ্বরের স্থান নিতে পারি, যিনি তোমাকে সন্তানধারণ করা থেকে বিরত রেখেছেন?”
فَقَالَتْ: «هُوَذَا جَارِيَتِي بِلْهَةُ، ٱدْخُلْ عَلَيْهَا فَتَلِدَ عَلَى رُكْبَتَيَّ، وَأُرْزَقُ أَنَا أَيْضًا مِنْهَا بَنِينَ». ٣ 3
তখন রাহেল বললেন, “আমার দাসী বিলহা তো আছে। এর সাথে শুয়ে পড়ো, যেন সে আমার জন্য সন্তানধারণ করতে পারে এবং আমিও তার মাধ্যমে এক পরিবার গড়ে তুলতে পারি।”
فَأَعْطَتْهُ بِلْهَةَ جَارِيَتَهَا زَوْجَةً، فَدَخَلَ عَلَيْهَا يَعْقُوبُ، ٤ 4
অতএব তিনি তাঁর দাসী বিলহাকে স্ত্রীরূপে যাকোবকে দিলেন। যাকোব তার সাথে শুলেন,
فَحَبِلَتْ بِلْهَةُ وَوَلَدَتْ لِيَعْقُوبَ ٱبْنًا، ٥ 5
এবং সে গর্ভবতী হল ও তাঁর জন্য এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিল।
فَقَالَتْ رَاحِيلُ: «قَدْ قَضَى لِيَ ٱللهُ وَسَمِعَ أَيْضًا لِصَوْتِي وَأَعْطَانِيَ ٱبْنًا». لِذَلِكَ دَعَتِ ٱسْمَهُ «دَانًا». ٦ 6
তখন রাহেল বললেন, “ঈশ্বর আমার পক্ষসমর্থন করেছেন; তিনি আমার অনুরোধ শুনেছেন ও আমাকে এক ছেলে দিয়েছেন।” এই জন্য তিনি তাঁর নাম রাখলেন দান।
وَحَبِلَتْ أَيْضًا بِلْهَةُ جَارِيَةُ رَاحِيلَ وَوَلَدَتِ ٱبْنًا ثَانِيًا لِيَعْقُوبَ، ٧ 7
রাহেলের দাসী বিলহা আবার গর্ভধারণ করল ও যাকোবের জন্য দ্বিতীয় এক ছেলের জন্ম দিল।
فَقَالَتْ رَاحِيلُ: «مُصَارَعَاتِ ٱللهِ قَدْ صَارَعْتُ أُخْتِي وَغَلَبْتُ». فَدَعَتِ ٱسْمَهُ «نَفْتَالِي». ٨ 8
তখন রাহেল বললেন, “আমার দিদির সঙ্গে আমার এক মহাসংগ্রাম হয়েছে, এবং আমিই জয়লাভ করেছি।” অতএব তিনি তার নাম রাখলেন নপ্তালি।
وَلَمَّا رَأَتْ لَيْئَةُ أَنَّهَا تَوَقَّفَتْ عَنِ ٱلْوِلَادَةِ، أَخَذَتْ زِلْفَةَ جَارِيَتَهَا وَأَعْطَتْهَا لِيَعْقُوبَ زَوْجَةً، ٩ 9
লেয়া যখন দেখলেন যে তিনি সন্তানধারণ করতে অপারক, তখন তিনি তাঁর দাসী সিল্পাকে এক স্ত্রীরূপে যাকোবকে দিলেন।
فَوَلَدَتْ زِلْفَةُ جَارِيَةُ لَيْئَةَ لِيَعْقُوبَ ٱبْنًا. ١٠ 10
লেয়ার দাসী সিল্পা যাকোবের জন্য এক ছেলের জন্ম দিল।
فَقَالَتْ لَيْئَةُ: «بِسَعْدٍ». فَدَعَتِ ٱسْمَهُ «جَادًا». ١١ 11
তখন লেয়া বললেন, “আমার কী মহাসৌভাগ্য!” অতএব তিনি তার নাম রাখলেন গাদ।
وَوَلَدَتْ زِلْفَةُ جَارِيَةُ لَيْئَةَ ٱبْنًا ثَانِيًا لِيَعْقُوبَ، ١٢ 12
লেয়ার দাসী সিল্পা যাকোবের জন্য দ্বিতীয় এক ছেলের জন্ম দিল।
فَقَالَتْ لَيْئَةُ: «بِغِبْطَتِي، لِأَنَّهُ تُغَبِّطُنِي بَنَاتٌ». فَدَعَتِ ٱسْمَهُ «أَشِيرَ». ١٣ 13
তখন লেয়া বললেন, “আমি কতই না সুখী! মহিলারা আমাকে সুখী বলে ডাকবে।” অতএব তিনি তার নাম রাখলেন আশের।
وَمَضَى رَأُوبَيْنُ فِي أَيَّامِ حَصَادِ ٱلْحِنْطَةِ فَوَجَدَ لُفَّاحًا فِي ٱلْحَقْلِ وَجَاءَ بِهِ إِلَى لَيْئَةَ أُمِّهِ. فَقَالَتْ رَاحِيلُ لِلَيْئَةَ: «أَعْطِينِي مِنْ لُفَّاحِ ٱبْنِكِ». ١٤ 14
গম গোলাজাত করার সময়, রূবেণ ক্ষেতে গেল ও কিছু দূদা লতাগুল্ম খুঁজে পেল, যা সে তার মা লেয়ার কাছে এনেছিল। রাহেল লেয়াকে বললেন, “তোমার ছেলের আনা দূদাগুলি থেকে আমাকে দয়া করে কিছুটা দাও।”
فَقَالَتْ لَهَا: «أَقَلِيلٌ أَنَّكِ أَخَذْتِ رَجُلِي فَتَأْخُذِينَ لُفَّاحَ ٱبْنِي أَيْضًا؟» فَقَالَتْ رَاحِيلُ: «إِذًا يَضْطَجِعُ مَعَكِ ٱللَّيْلَةَ عِوَضًا عَنْ لُفَّاحِ ٱبْنِكِ». ١٥ 15
কিন্তু লেয়া তাঁকে বললেন, “এই কি যথেষ্ট নয় যে তুমি আমার স্বামীকে ছিনিয়ে নিয়েছ? তুমি আমার ছেলের দূদাগুলিও নেবে নাকি?” “ঠিক আছে,” রাহেল বললেন, “তোমার ছেলের দূদাগুলির পরিবর্তে যাকোব আজ রাতে তোমার সাথে শুতে পারেন।”
فَلَمَّا أَتَى يَعْقُوبُ مِنَ ٱلْحَقْلِ فِي ٱلْمَسَاءِ، خَرَجَتْ لَيْئَةُ لِمُلَاقَاتِهِ وَقَالَتْ: «إِلَيَّ تَجِيءُ لِأَنِّي قَدِ ٱسْتَأْجَرْتُكَ بِلُفَّاحِ ٱبْنِي». فَٱضْطَجَعَ مَعَهَا تِلْكَ ٱللَّيْلَةَ. ١٦ 16
অতএব সেদিন সন্ধ্যাবেলায় যাকোব যখন ক্ষেত থেকে ফিরে এলেন, লেয়া তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য বাইরে গেলেন। “তোমাকে আমার সাথে শুতে হবে,” তিনি বললেন। “আমি আমার ছেলের দূদাগুলি দিয়ে তোমাকে ভাড়া করেছি।” অতএব সেরাতে তিনি লেয়ার সাথে শুলেন।
وَسَمِعَ ٱللهُ لِلَيْئَةَ فَحَبِلَتْ وَوَلَدَتْ لِيَعْقُوبَ ٱبْنًا خَامِسًا. ١٧ 17
ঈশ্বর লেয়ার প্রার্থনা শুনলেন ও তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলেন এবং যাকোবের জন্য পঞ্চম এক ছেলের জন্ম দিলেন।
فَقَالَتْ لَيْئَةُ: «قَدْ أَعْطَانِي ٱللهُ أُجْرَتِي، لِأَنِّي أَعْطَيْتُ جَارِيَتِي لِرَجُلِي». فَدَعَتِ ٱسْمَهُ «يَسَّاكَرَ». ١٨ 18
পরে লেয়া বললেন, “আমার স্বামীকে আমার দাসী দিয়েছি বলে ঈশ্বর আমাকে পুরস্কৃত করেছেন।” অতএব তিনি তার নাম রাখলেন ইষাখর।
وَحَبِلَتْ أَيْضًا لَيْئَةُ وَوَلَدَتِ ٱبْنًا سَادِسًا لِيَعْقُوبَ، ١٩ 19
লেয়া আবার গর্ভধারণ করলেন এবং যাকোবের জন্য ষষ্ঠ এক ছেলের জন্ম দিলেন।
فَقَالَتْ لَيْئَةُ: «قَدْ وَهَبَنِي ٱللهُ هِبَةً حَسَنَةً. ٱلْآنَ يُسَاكِنُنِي رَجُلِي، لِأَنِّي وَلَدْتُ لَهُ سِتَّةَ بَنِينَ». فَدَعَتِ ٱسْمَهُ «زَبُولُونَ». ٢٠ 20
পরে লেয়া বললেন, “ঈশ্বর আমাকে এক মূল্যবান উপহার দিয়েছেন। এবার আমার স্বামী আমাকে সম্মান দেবেন, কারণ আমি তাঁর জন্য ছয় ছেলের জন্ম দিয়েছি।” অতএব তিনি তাঁর নাম রাখলেন সবূলূন।
ثُمَّ وَلَدَتِ ٱبْنَةً وَدَعَتِ ٱسْمَهَا «دِينَةَ». ٢١ 21
আরও কিছুকাল পরে তিনি এক মেয়ের জন্ম দিলেন এবং তার নাম রাখলেন দীণা।
وَذَكَرَ ٱللهُ رَاحِيلَ، وَسَمِعَ لَهَا ٱللهُ وَفَتَحَ رَحِمَهَا، ٢٢ 22
পরে ঈশ্বর রাহেলকে স্মরণ করলেন; তিনি তাঁর প্রার্থনা শুনলেন ও তাঁকে গর্ভধারণের ক্ষমতা দিলেন।
فَحَبِلَتْ وَوَلَدَتِ ٱبْنًا فَقَالَتْ: «قَدْ نَزَعَ ٱللهُ عَارِي». ٢٣ 23
তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলেন এবং এক ছেলের জন্ম দিলেন ও বললেন, “ঈশ্বর আমার লাঞ্ছনা দূর করেছেন।”
وَدَعَتِ ٱسْمَهُ «يُوسُفَ» قَائِلَةً: «يَزِيدُنِي ٱلرَّبُّ ٱبْنًا آخَرَ». ٢٤ 24
তিনি তার নাম রাখলেন যোষেফ, এবং বললেন, “সদাপ্রভু আমার জীবনে আরও এক ছেলে যোগ করুন।”
وَحَدَثَ لَمَّا وَلَدَتْ رَاحِيلُ يُوسُفَ أَنَّ يَعْقُوبَ قَالَ لِلَابَانَ: «ٱصْرِفْنِي لِأَذْهَبَ إِلَى مَكَانِي وَإِلَى أَرْضِي. ٢٥ 25
রাহেল যোষেফের জন্ম দেওয়ার পর যাকোব লাবনকে বললেন, “আমাকে এবার যেতে দিন, যেন আমি নিজের স্বদেশে ফিরে যেতে পারি।
أَعْطِنِي نِسَائِي وَأَوْلَادِي ٱلَّذِينَ خَدَمْتُكَ بِهِمْ فَأَذْهَبَ، لِأَنَّكَ أَنْتَ تَعْلَمُ خِدْمَتِي ٱلَّتِي خَدَمْتُكَ». ٢٦ 26
আমার সেই স্ত্রীদের ও সন্তানদেরও দিন, যাদের জন্য আমি আপনার দাসত্ব করেছি, এবং আমি দেশে ফিরে যাব। আপনি তো জানেন, আপনার জন্য আমি কত পরিশ্রম করেছি।”
فَقَالَ لَهُ لَابَانُ: «لَيْتَنِي أَجِدُ نِعْمَةً فِي عَيْنَيْكَ. قَدْ تَفَاءَلْتُ فَبَارَكَنِي ٱلرَّبُّ بِسَبَبِكَ». ٢٧ 27
কিন্তু লাবন তাঁকে বললেন, “আমি যদি তোমার দৃষ্টিতে দাক্ষিণ্য পেয়ে থাকি, তবে দয়া করে এখানে থেকে যাও। আমি অলৌকিক উপায়ে জানতে পেরেছি যে তোমার কারণেই সদাপ্রভু আমাকে আশীর্বাদ করেছেন।”
وَقَالَ: «عَيِّنْ لِي أُجْرَتَكَ فَأُعْطِيَكَ». ٢٨ 28
তিনি আরও বললেন, “তুমি কত পারিশ্রমিক চাও তা বলো, ও আমি তোমাকে তা দিয়ে দেব।”
فَقَالَ لَهُ: «أَنْتَ تَعْلَمُ مَاذَا خَدَمْتُكَ، وَمَاذَا صَارَتْ مَوَاشِيكَ مَعِي، ٢٩ 29
যাকোব তাঁকে বললেন, “আপনি জানেন আপনার জন্য আমি কীভাবে পরিশ্রম করেছি ও আমার যত্নআত্তিতে আপনার গবাদি পশুপাল কীভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
لِأَنَّ مَا كَانَ لَكَ قَبْلِي قَلِيلٌ فَقَدِ ٱتَّسَعَ إِلَى كَثِيرٍ، وَبَارَكَكَ ٱلرَّبُّ فِي أَثَرِي. وَٱلْآنَ مَتَى أَعْمَلُ أَنَا أَيْضًا لِبَيْتِي؟». ٣٠ 30
আমি আসার আগে আপনার অল্পসল্প যা কিছু ছিল তা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং আমি যেখানে থেকেছি সদাপ্রভু সেখানেই আপনাকে আশীর্বাদ করেছেন। কিন্তু এখন, আমার নিজের পরিবারের জন্য আমি কখন কী করব?”
فَقَالَ: «مَاذَا أُعْطِيكَ؟» فَقَالَ يَعْقُوبُ: «لَا تُعْطِينِي شَيْئًا. إِنْ صَنَعْتَ لِي هَذَا ٱلْأَمْرَ أَعُودُ أَرْعَى غَنَمَكَ وَأَحْفَظُهَا: ٣١ 31
“আমি তোমাকে কী দেব?” তিনি জিজ্ঞাসা করলেন। “আমাকে কিছু দিতে হবে না,” যাকোব উত্তর দিলেন। “কিন্তু আপনি যদি আমার জন্য এই একটি কাজ করেন, তবে আমি আপনার পশুপালের তত্ত্বাবধান করে যাব ও তাদের উপর নজরদারিও চালিয়ে যাব:
أَجْتَازُ بَيْنَ غَنَمِكَ كُلِّهَا ٱلْيَوْمَ، وَٱعْزِلْ أَنْتَ مِنْهَا كُلَّ شَاةٍ رَقْطَاءَ وَبَلْقَاءَ، وَكُلَّ شَاةٍ سَوْدَاءَ بَيْنَ ٱلْخِرْفَانِ، وَبَلْقَاءَ وَرَقْطَاءَ بَيْنَ ٱلْمِعْزَى. فَيَكُونَ مِثْلُ ذَلِكَ أُجْرَتِي. ٣٢ 32
আজ আমাকে আপনার পশুপালের মধ্যে দিয়ে যেতে দিন এবং সেগুলির মধ্যে থেকে প্রত্যেকটি দাগযুক্ত বা তিলকিত মেষ, প্রত্যেকটি শ্যামবর্ণ মেষশাবক ও প্রত্যেকটি তিলকিত বা দাগযুক্ত ছাগল আলাদা করতে দিন। সেগুলিই হবে আমার পারিশ্রমিক।
وَيَشْهَدُ فِيَّ بِرِّي يَوْمَ غَدٍ إِذَا جِئْتَ مِنْ أَجْلِ أُجْرَتِي قُدَّامَكَ. كُلُّ مَا لَيْسَ أَرْقَطَ أَوْ أَبْلَقَ بَيْنَ ٱلْمِعْزَى وَأَسْوَدَ بَيْنَ ٱلْخِرْفَانِ فَهُوَ مَسْرُوقٌ عِنْدِي». ٣٣ 33
আর ভবিষ্যতে যখনই আপনি আমাকে দেওয়া পারিশ্রমিকের হিসেব কষবেন, তখন আমার সততাই আমার হয়ে সাক্ষ্য দেবে। আমার অধিকারে থাকা যে কোনো ছাগল যদি দাগযুক্ত বা তিলকিত না হয়, অথবা যে কোনো মেষশাবক যদি শ্যামবর্ণ না হয়, তবে তা চুরি করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।”
فَقَالَ لَابَانُ: «هُوَذَا لِيَكُنْ بِحَسَبِ كَلَامِكَ». ٣٤ 34
“আমি রাজি,” লাবন বললেন। “তোমার কথামতোই তা হোক।”
فَعَزَلَ فِي ذَلِكَ ٱلْيَوْمِ ٱلتُّيُوسَ ٱلْمُخَطَّطَةَ وَٱلْبَلْقَاءَ، وَكُلَّ ٱلْعِنَازِ ٱلرَّقْطَاءِ وَٱلْبَلْقَاءِ، كُلَّ مَا فِيهِ بَيَاضٌ وَكُلَّ أَسْوَدَ بَيْنَ ٱلْخِرْفَانِ، وَدَفَعَهَا إِلَى أَيْدِي بَنِيهِ. ٣٥ 35
সেদিনই তিনি সেইসব মদ্দা ছাগল আলাদা করলেন, যেগুলি ডোরাকাটা বা তিলকিত, ও সেইসব মাদি ছাগলও আলাদা করলেন, যেগুলি দাগযুক্ত ও তিলকিত (যেগুলির গায়ে সাদা দাগ ছিল) এবং সব শ্যামবর্ণ মেষশাবকও আলাদা করলেন, ও সেগুলি তাঁর ছেলেদের তত্ত্বাবধানে রাখলেন।
وَجَعَلَ مَسِيرَةَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ بَيْنَهُ وَبَيْنَ يَعْقُوبَ، وَكَانَ يَعْقُوبُ يَرْعَى غَنَمَ لَابَانَ ٱلْبَاقِيَةَ. ٣٦ 36
পরে তিনি তাঁর নিজের ও যাকোবের মধ্যে তিনদিনের যাত্রার ব্যবধান রাখলেন, অন্যদিকে যাকোব লাবনের বাদবাকি পশুপালের তত্ত্বাবধান করে গেলেন।
فَأَخَذَ يَعْقُوبُ لِنَفْسِهِ قُضْبَانًا خُضْرًا مِنْ لُبْنَى وَلَوْزٍ وَدُلْبٍ، وَقَشَّرَ فِيهَا خُطُوطًا بِيضًا، كَاشِطًا عَنِ ٱلْبَيَاضِ ٱلَّذِي عَلَى ٱلْقُضْبَانِ. ٣٧ 37
যাকোব অবশ্য, চিনার, কাঠবাদাম ও প্লেইন গাছের সদ্য কাটা ডালপালা নিয়ে সেগুলির ছাল ছাড়িয়ে ও ডালপালার ভিতরদিকের সাদা কাঠ বের করে সেগুলির উপর সাদা লম্বা লম্বা দাগ বানিয়ে দিলেন।
وَأَوْقَفَ ٱلْقُضْبَانَ ٱلَّتِي قَشَّرَهَا فِي ٱلْأَجْرَانِ فِي مَسَاقِي ٱلْمَاءِ حَيْثُ كَانَتِ ٱلْغَنَمُ تَجِيءُ لِتَشْرَبَ، تُجَاهَ ٱلْغَنَمِ، لِتَتَوَحَّمَ عِنْدَ مَجِيئِهَا لِتَشْرَبَ. ٣٨ 38
পরে তিনি সেইসব ছালছাড়ানো ডালপালা পশুদের জলপানের সব জাবপাত্রে রেখে দিলেন, যেন সেগুলি তখন সরাসরি সেইসব পশুর সামনে থাকে, যারা তখন জলপান করার জন্য সেখানে এসেছিল। পশুপাল যৌন আবেগে গরম হয়ে জলপান করতে এসে,
فَتَوَحَّمَتِ ٱلْغَنَمُ عِنْدَ ٱلْقُضْبَانِ، وَوَلَدَتِ ٱلْغَنَمُ مُخَطَّطَاتٍ وَرُقْطًا وَبُلْقًا. ٣٩ 39
সেইসব ডালপালার সামনে যৌনমিলন করল। আর তারা সেইসব শাবকের জন্ম দিল, যারা ডোরাকাটা বা দাগযুক্ত বা তিলকিত।
وَأَفْرَزَ يَعْقُوبُ ٱلْخِرْفَانَ وَجَعَلَ وُجُوهَ ٱلْغَنَمِ إِلَى ٱلْمُخَطَّطِ وَكُلِّ أَسْوَدَ بَيْنَ غَنَمِ لَابَانَ. وَجَعَلَ لَهُ قُطْعَانًا وَحْدَهُ وَلَمْ يَجْعَلْهَا مَعَ غَنَمِ لَابَانَ. ٤٠ 40
যাকোব পশুপালের সেইসব শাবক আলাদা করে দিলেন, কিন্তু বাদবাকি পশুদের সেইসব ডোরাকাটা ও শ্যামবর্ণ পশুদের দিকে মুখ করিয়ে রাখলেন, যেগুলি লাবনের অধিকারভুক্ত ছিল। এইভাবে তিনি নিজের জন্য আলাদা পশুপাল তৈরি করলেন এবং সেগুলিকে লাবনের পশুপালের সঙ্গে রাখেননি।
وَحَدَثَ كُلَّمَا تَوَحَّمَتِ ٱلْغَنَمُ ٱلْقَوِيَّةُ أَنَّ يَعْقُوبَ وَضَعَ ٱلْقُضْبَانَ أَمَامَ عُيُونِ ٱلْغَنَمِ فِي ٱلْأَجْرَانِ لِتَتَوَحَّمَ بَيْنَ ٱلْقُضْبَانِ. ٤١ 41
যখনই সবল মাদিগুলি যৌন আবেগে উত্তেজিত হত, যাকোব সেইসব ডালপালা পশুপালের জলপানের জাবপাত্রের মধ্যে পশুপালের সামনে রেখে দিতেন, যেন তারা সেইসব ডালপালার সামনে যৌনমিলন করতে পারে,
وَحِينَ ٱسْتَضْعَفَتِ ٱلْغَنَمُ لَمْ يَضَعْهَا، فَصَارَتِ ٱلضَّعِيفَةُ لِلَابَانَ وَٱلْقَوِيَّةُ لِيَعْقُوبَ. ٤٢ 42
কিন্তু পশুগুলি যদি দুর্বল হত, তবে তিনি সেগুলিকে সেখানে রাখতেন না। অতএব দুর্বল পশুগুলি লাবনের ও সবল পশুগুলি যাকোবের অধিকারভুক্ত হল।
فَٱتَّسَعَ ٱلرَّجُلُ كَثِيرًا جِدًّا، وَكَانَ لَهُ غَنَمٌ كَثِيرٌ وَجَوَارٍ وَعَبِيدٌ وَجِمَالٌ وَحَمِيرٌ. ٤٣ 43
এইভাবে সেই মানুষটি খুব সমৃদ্ধিশালী হয়ে উঠলেন এবং অনেক পশুপাল, ও দাস-দাসী, এবং উট ও গাধার মালিক হয়ে গেলেন।

< اَلتَّكْوِينُ 30 >