< غَلاطِيَّة 3 >

أَيُّهَا ٱلْغَلَاطِيُّونَ ٱلْأَغْبِيَاءُ، مَنْ رَقَاكُمْ حَتَّى لَا تُذْعِنُوا لِلْحَقِّ؟ أَنْتُمُ ٱلَّذِينَ أَمَامَ عُيُونِكُمْ قَدْ رُسِمَ يَسُوعُ ٱلْمَسِيحُ بَيْنَكُمْ مَصْلُوبًا! ١ 1
হে নির্বোধ গালাতীয়েরা, কে তোমাদেরকে মুগ্ধ করল? তোমাদেরই চোখের সামনে যীশু খ্রীষ্ট ক্রুশারোপিত বলে বর্ণিত হয়নি?
أُرِيدُ أَنْ أَتَعَلَّمَ مِنْكُمْ هَذَا فَقَطْ: أَبِأَعْمَالِ ٱلنَّامُوسِ أَخَذْتُمُ ٱلرُّوحَ أَمْ بِخَبَرِ ٱلْإِيمَانِ؟ ٢ 2
আমি শুধু এই কথা তোমাদের কাছে জানতে চাই, তোমরা কি ব্যবস্থার কাজের জন্য পবিত্র আত্মাকে পেয়েছ? না বিশ্বাসের সুসমাচার শ্রবণের জন্য?
أَهَكَذَا أَنْتُمْ أَغْبِيَاءُ! أَبَعْدَمَا ٱبْتَدَأْتُمْ بِٱلرُّوحِ تُكَمَّلُونَ ٱلْآنَ بِٱلْجَسَدِ؟ ٣ 3
তোমরা কি এতই নির্বোধ? পবিত্র আত্মাতে শুরু করে এখন কি মাংসে শেষ করবে?
أَهَذَا ٱلْمِقْدَارَ ٱحْتَمَلْتُمْ عَبَثًا؟ إِنْ كَانَ عَبَثًا! ٤ 4
তোমরা এত দুঃখ কি বৃথাই ভোগ করেছ, যদি প্রকৃত পক্ষে বৃথা হয়ে থাকে?
فَٱلَّذِي يَمْنَحُكُمُ ٱلرُّوحَ، وَيَعْمَلُ قُوَّاتٍ فِيكُمْ، أَبِأَعْمَالِ ٱلنَّامُوسِ أَمْ بِخَبَرِ ٱلْإِيمَانِ؟ ٥ 5
অতএব, যিনি তোমাকে পবিত্র আত্মা জুগিয়ে দেন ও তোমাদের মধ্যে আশ্চর্য্য কাজ সম্পন্ন করেন, তিনি কি ব্যবস্থার কাজের জন্য তা করেন? না বিশ্বাসের সুসমাচার শ্রবণের জন্য?
كَمَا «آمَنَ إِبْرَاهِيمُ بِٱللهِ فَحُسِبَ لَهُ بِرًّا». ٦ 6
যেমন অব্রাহাম, “ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেন, আর সেটাই তাঁর পক্ষে ধার্ম্মিকতা বলে গণ্য হল।”
ٱعْلَمُوا إِذًا أَنَّ ٱلَّذِينَ هُمْ مِنَ ٱلْإِيمَانِ أُولَئِكَ هُمْ بَنُو إِبْرَاهِيمَ. ٧ 7
অতএব জেনো, যারা বিশ্বাস করে, তারাই অব্রাহামের সন্তান।
وَٱلْكِتَابُ إِذْ سَبَقَ فَرَأَى أَنَّ ٱللهَ بِٱلْإِيمَانِ يُبَرِّرُ ٱلْأُمَمَ، سَبَقَ فَبَشَّرَ إِبْرَاهِيمَ أَنْ «فِيكَ تَتَبَارَكُ جَمِيعُ ٱلْأُمَمِ». ٨ 8
আর বিশ্বাসের জন্য ঈশ্বর অইহূদিদেরকে ধার্মিক বলে চিহ্নিত করেন, শাস্ত্র এটা আগে দেখে অব্রাহামের কাছে আগেই সুসমাচার প্রচার করেছিল, যথা, “তোমার থেকে সমস্ত জাতি আশীর্বাদ পাবে।”
إِذًا ٱلَّذِينَ هُمْ مِنَ ٱلْإِيمَانِ يَتَبَارَكُونَ مَعَ إِبْرَاهِيمَ ٱلْمُؤْمِنِ. ٩ 9
অতএব যারা বিশ্বাস করে, তারা বিশ্বাসী অব্রাহামের সাথে আশীর্বাদ পায়।
لِأَنَّ جَمِيعَ ٱلَّذِينَ هُمْ مِنْ أَعْمَالِ ٱلنَّامُوسِ هُمْ تَحْتَ لَعْنَةٍ، لِأَنَّهُ مَكْتُوبٌ: «مَلْعُونٌ كُلُّ مَنْ لَا يَثْبُتُ فِي جَمِيعِ مَا هُوَ مَكْتُوبٌ فِي كِتَابِ ٱلنَّامُوسِ لِيَعْمَلَ بِهِ». ١٠ 10
১০বাস্তবিক যারা নিয়মের ক্রিয়া অনুযায়ী চলে, তারা সবাই অভিশাপের অধীন, কারণ লেখা আছে, “যে কেউ নিয়মগ্রন্থে লেখা সব কথা পালন করবার জন্য তাতে স্থির না থাকে, সে শাপগ্রস্ত।”
وَلَكِنْ أَنْ لَيْسَ أَحَدٌ يَتَبَرَّرُ بِٱلنَّامُوسِ عِنْدَ ٱللهِ فَظَاهِرٌ، لِأَنَّ «ٱلْبَارَّ بِٱلْإِيمَانِ يَحْيَا». ١١ 11
১১কিন্তু মশির নিয়ম পালনের মাধ্যমে কেউই ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক বলে চিহ্নিত হয় না, এটা সুস্পষ্ট, পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে “কারণ ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাসের জন্য বেঁচে থাকবে।”
وَلَكِنَّ ٱلنَّامُوسَ لَيْسَ مِنَ ٱلْإِيمَانِ، بَلِ «ٱلْإِنْسَانُ ٱلَّذِي يَفْعَلُهَا سَيَحْيَا بِهَا». ١٢ 12
১২কিন্তু নিয়ম বিশ্বাসমূলক না, বরং “যে কেউ এই সকল পালন করে, সে তাতে বেঁচে থাকবে।”
اَلْمَسِيحُ ٱفْتَدَانَا مِنْ لَعْنَةِ ٱلنَّامُوسِ، إِذْ صَارَ لَعْنَةً لِأَجْلِنَا، لِأَنَّهُ مَكْتُوبٌ: «مَلْعُونٌ كُلُّ مَنْ عُلِّقَ عَلَى خَشَبَةٍ». ١٣ 13
১৩খ্রীষ্টই মূল্য দিয়ে আমাদেরকে নিয়মের অভিশাপ থেকে মুক্ত করেছেন, কারণ তিনি আমাদের জন্যে শাপস্বরূপ হলেন; যেমন পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “যাকে ক্রুশে টাঙ্গান যায়, সে শাপগ্রস্ত।”
لِتَصِيرَ بَرَكَةُ إِبْرَاهِيمَ لِلْأُمَمِ فِي ٱلْمَسِيحِ يَسُوعَ، لِنَنَالَ بِٱلْإِيمَانِ مَوْعِدَ ٱلرُّوحِ. ١٤ 14
১৪যেন অব্রাহামের পাওয়া আশীর্বাদ খ্রীষ্ট যীশুতে অইহূদিদের প্রতি আসে, আমরা যেন বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রতিজ্ঞার আত্মাকে পাই।
أَيُّهَا ٱلْإِخْوَةُ، بِحَسَبِ ٱلْإِنْسَانِ أَقُولُ: لَيْسَ أَحَدٌ يُبْطِلُ عَهْدًا قَدْ تَمَكَّنَ وَلَوْ مِنْ إِنْسَانٍ، أَوْ يَزِيدُ عَلَيْهِ. ١٥ 15
১৫হে ভাইয়েরা, আমি মানুষের মত বলছি। মানুষের নিয়মপত্র হলেও তা যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন কেউ তা বিফল করে না, কিংবা তাতে নতুন কথা যোগ করে না।
وَأَمَّا ٱلْمَوَاعِيدُ فَقِيلَتْ فِي إِبْرَاهِيمَ وَفِي نَسْلِهِ. لَا يَقُولُ: «وَفِي ٱلْأَنْسَالِ» كَأَنَّهُ عَنْ كَثِيرِينَ، بَلْ كَأَنَّهُ عَنْ وَاحِدٍ: «وَفِي نَسْلِكَ» ٱلَّذِي هُوَ ٱلْمَسِيحُ. ١٦ 16
১৬ভাল, অব্রাহামের প্রতি ও তাঁর বংশের প্রতি প্রতিজ্ঞা সকল বলা হয়েছিল। তিনি বহুবচনে আর বংশ সবের প্রতি না বলে, একবচনে বলেন, “আর তোমার বংশের প্রতি,” সেই বংশ খ্রীষ্ট।
وَإِنَّمَا أَقُولُ هَذَا: إِنَّ ٱلنَّامُوسَ ٱلَّذِي صَارَ بَعْدَ أَرْبَعِمِئَةٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً، لَا يَنْسَخُ عَهْدًا قَدْ سَبَقَ فَتَمَكَّنَ مِنَ ٱللهِ نَحْوَ ٱلْمَسِيحِ حَتَّى يُبَطِّلَ ٱلْمَوْعِدَ. ١٧ 17
১৭এখন আমি এই বলি, যে চুক্তি ঈশ্বরের থেকে আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, চারশো ত্রিশ বছর পরে আসা নিয়ম সেই প্রতিজ্ঞাকে উঠিয়ে দিতে পারে না, যা প্রতিজ্ঞাকে বিফল করবে।
لِأَنَّهُ إِنْ كَانَتِ ٱلْوِرَاثَةُ مِنَ ٱلنَّامُوسِ، فَلَمْ تَكُنْ أَيْضًا مِنْ مَوْعِدٍ. وَلَكِنَّ ٱللهَ وَهَبَهَا لِإِبْرَاهِيمَ بِمَوْعِدٍ. ١٨ 18
১৮কারণ উত্তরাধিকার যদি নিয়মমূলক হয়, তবে আর প্রতিজ্ঞামূলক হতে পারে না; কিন্তু অব্রাহামকে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞার মাধ্যমেই অনুগ্রহ করেছেন।
فَلِمَاذَا ٱلنَّامُوسُ؟ قَدْ زِيدَ بِسَبَبِ ٱلتَّعَدِّيَاتِ، إِلَى أَنْ يَأْتِيَ ٱلنَّسْلُ ٱلَّذِي قَدْ وُعِدَ لَهُ، مُرَتَّبًا بِمَلَائِكَةٍ فِي يَدِ وَسِيطٍ. ١٩ 19
১৯তবে নিয়ম কি? অপরাধের কারণ তা যোগ করা হয়েছিল, যে পর্যন্ত না সেই বংশ আসে, যাঁর কাছে প্রতিজ্ঞা করা হয়েছিল এবং সেই আদেশ দূতদের মাধ্যমে একজন মধ্যস্থের হাতে বিধিবদ্ধ হল।
وَأَمَّا ٱلْوَسِيطُ فَلَا يَكُونُ لِوَاحِدٍ. وَلَكِنَّ ٱللهَ وَاحِدٌ. ٢٠ 20
২০এখন এক মধ্যস্থকারী শুধু এক জনের মধ্যস্থ হয় না, কিন্তু ঈশ্বর এক।
فَهَلِ ٱلنَّامُوسُ ضِدُّ مَوَاعِيدِ ٱللهِ؟ حَاشَا! لِأَنَّهُ لَوْ أُعْطِيَ نَامُوسٌ قَادِرٌ أَنْ يُحْيِيَ، لَكَانَ بِٱلْحَقِيقَةِ ٱلْبِرُّ بِٱلنَّامُوسِ. ٢١ 21
২১তবে নিয়ম কি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা কলাপের বিরুদ্ধে? একেবারেই না! ফলে যদি এমন নিয়ম দেওয়া হত, যা জীবন দান করতে পারে, তবে ধার্ম্মিকতা অবশ্য নিয়মমূলক হত।
لَكِنَّ ٱلْكِتَابَ أَغْلَقَ عَلَى ٱلْكُلِّ تَحْتَ ٱلْخَطِيَّةِ، لِيُعْطَى ٱلْمَوْعِدُ مِنْ إِيمَانِ يَسُوعَ ٱلْمَسِيحِ لِلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ. ٢٢ 22
২২কিন্তু পরিবর্তে, শাস্ত্রে সবই পাপের অধীনে আটক করেছে, যেন নতুন নিয়ম ফল, যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসের জন্য, বিশ্বাসীদেরকে রক্ষা করা যায়।
وَلَكِنْ قَبْلَمَا جَاءَ ٱلْإِيمَانُ كُنَّا مَحْرُوسِينَ تَحْتَ ٱلنَّامُوسِ، مُغْلَقًا عَلَيْنَا إِلَى ٱلْإِيمَانِ ٱلْعَتِيدِ أَنْ يُعْلَنَ. ٢٣ 23
২৩কিন্তু খ্রীষ্টে বিশ্বাস আসবার আগে আমরা নিয়মের অধীনে বন্দী ছিলাম, যতক্ষণ না পর্যন্ত বিশ্বাস প্রকাশিত হয়।
إِذًا قَدْ كَانَ ٱلنَّامُوسُ مُؤَدِّبَنَا إِلَى ٱلْمَسِيحِ، لِكَيْ نَتَبَرَّرَ بِٱلْإِيمَانِ. ٢٤ 24
২৪সুতরাং তখন নিয়ম খ্রীষ্টের কাছে আনবার জন্য আমাদের পরিচালক হয়ে উঠল, যেন আমরা বিশ্বাসের জন্য ধার্মিক বলে চিহ্নিত হই।
وَلَكِنْ بَعْدَ مَا جَاءَ ٱلْإِيمَانُ، لَسْنَا بَعْدُ تَحْتَ مُؤَدِّبٍ. ٢٥ 25
২৫কিন্তু যে অবধি বিশ্বাস আসল, সেই অবধি আমরা আর পরিচালকের অধীন নই।
لِأَنَّكُمْ جَمِيعًا أَبْنَاءُ ٱللهِ بِٱلْإِيمَانِ بِٱلْمَسِيحِ يَسُوعَ. ٢٦ 26
২৬কারণ তোমরা সবাই খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের পুত্র হয়েছ;
لِأَنَّ كُلَّكُمُ ٱلَّذِينَ ٱعْتَمَدْتُمْ بِٱلْمَسِيحِ قَدْ لَبِسْتُمُ ٱلْمَسِيحَ: ٢٧ 27
২৭কারণ তোমরা যত লোক খ্রীষ্টের উদ্দেশ্যে বাপ্তিষ্ম নিয়েছ, সবাই খ্রীষ্টকে পরিধান করেছ।
لَيْسَ يَهُودِيٌّ وَلَا يُونَانِيٌّ. لَيْسَ عَبْدٌ وَلَا حُرٌّ. لَيْسَ ذَكَرٌ وَأُنْثَى، لِأَنَّكُمْ جَمِيعًا وَاحِدٌ فِي ٱلْمَسِيحِ يَسُوعَ. ٢٨ 28
২৮ইহূদি কি গ্রীক আর হতে পারে না, দাস কি স্বাধীন আর হতে পারে না, পুরুষ কি মহিলা আর হতে পারে না, কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা সবাই এক।
فَإِنْ كُنْتُمْ لِلْمَسِيحِ، فَأَنْتُمْ إِذًا نَسْلُ إِبْرَاهِيمَ، وَحَسَبَ ٱلْمَوْعِدِ وَرَثَةٌ. ٢٩ 29
২৯আর তোমরা যদি খ্রীষ্টের হও, তবে সুতরাং অব্রাহামের বংশ, প্রতিজ্ঞানুসারে উত্তরাধিকারী।

< غَلاطِيَّة 3 >