< أَسْتِير 5 >

وَفِي ٱلْيَوْمِ ٱلثَّالِثِ لَبِسَتْ أَسْتِيرُ ثِيَابًا مَلَكِيَّةً وَوَقَفَتْ فِي دَارِ بَيْتِ ٱلْمَلِكِ ٱلدَّاخِلِيَّةِ مُقَابِلَ بَيْتِ ٱلْمَلِكِ، وَٱلْمَلِكُ جَالِسٌ عَلَى كُرْسِيِّ مُلْكِهِ فِي بَيْتِ ٱلْمُلْكِ مُقَابِلَ مَدْخَلِ ٱلْبَيْتِ. ١ 1
তিন দিন পর, ইষ্টের রাজকীয় পোশাক পরে রাজার ঘরের সামনে রাজবাড়ীর ভিতরের উঠানে গিয়ে দাঁড়ালেন; সেই দিন রাজা রাজবাড়ীর ঘরের দরজার সামনে রাজসিংহাসনে বসে ছিলেন।
فَلَمَّا رَأَى ٱلْمَلِكُ أَسْتِيرَ ٱلْمَلِكَةَ وَاقِفَةً فِي ٱلدَّارِ نَالَتْ نِعْمَةً فِي عَيْنَيْهِ، فَمَدَّ ٱلْمَلِكُ لِأَسْتِيرَ قَضِيبَ ٱلذَّهَبِ ٱلَّذِي بِيَدِهِ، فَدَنَتْ أَسْتِيرُ وَلَمَسَتْ رَأْسَ ٱلْقَضِيبِ. ٢ 2
আর রাজা যখন দেখলেন যে ইষ্টের রাণী উঠানে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন রাজার চোখে ইষ্টের অনুগ্রহ পেলেন, রাজা ইষ্টের প্রতি নিজের হাতে অবস্থিত সোনার রাজদণ্ড বাড়িয়ে দিলেন; তাতে ইষ্টের কাছে এসে রাজদণ্ডের মাথা স্পর্শ করলেন।
فَقَالَ لَهَا ٱلْمَلِكُ: «مَا لَكِ يَا أَسْتِيرُ ٱلْمَلِكَةُ؟ وَمَا هِيَ طِلْبَتُكِ؟ إِلَى نِصْفِ ٱلْمَمْلَكَةِ تُعْطَى لَكِ». ٣ 3
পরে রাজা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ইষ্টের রাণী, তুমি কি চাও? তোমার অনুরোধ কি? রাজ্যের অর্ধেক পর্যন্ত হলেও তা তোমাকে দেওয়া যাবে।”
فَقَالَتْ أَسْتِيرُ: «إِنْ حَسُنَ عِنْدَ ٱلْمَلِكِ فَلْيَأْتِ ٱلْمَلِكُ وَهَامَانُ ٱلْيَوْمَ إِلَى ٱلْوَلِيمَةِ ٱلَّتِي عَمِلْتُهَا لَهُ». ٤ 4
ইষ্টের উত্তর দিলেন, “যদি মহারাজ ভাল মনে হয়, তবে আপনার জন্য আজ আমি যে ভোজ তৈরী করেছি তাতে মহারাজ ও হামন যেন উপস্থিত হন।”
فَقَالَ ٱلْمَلِكُ: «أَسْرِعُوا بِهَامَانَ لِيُفْعَلَ كَلَامُ أَسْتِيرَ». فَأَتَى ٱلْمَلِكُ وَهَامَانُ إِلَى ٱلْوَلِيمَةِ ٱلَّتِي عَمِلَتْهَا أَسْتِيرُ. ٥ 5
তখন রাজা বললেন, “ইষ্টেরের কথামত যেন কাজ হয়, সেইজন্য হামনকে তাড়াতাড়ি করতে বল।” পরে রাজা ও হামন ইষ্টেরের তৈরি ভোজে গেলেন।
فَقَالَ ٱلْمَلِكُ لِأَسْتِيرَ عِنْدَ شُرْبِ ٱلْخَمْرِ: «مَا هُوَ سُؤْلُكِ فَيُعْطَى لَكِ؟ وَمَا هِيَ طِلْبَتُكِ؟ إِلَى نِصْفِ ٱلْمَمْلَكَةِ تُقْضَى». ٦ 6
পরে আঙ্গুর রসের সঙ্গে ভোজের দিনের রাজা ইষ্টেরকে বললেন, “তোমার নিবেদন কি? তা তোমাকে দেওয়া হবে; তোমার অনুরোধ কি? রাজ্যের অর্ধেক পর্যন্ত হলেও তা সম্পূর্ণ হবে।”
فَأَجَابَتْ أَسْتِيرُ وَقَالتْ: «إِنَّ سُؤْلِي وَطِلْبَتِي، ٧ 7
তাতে ইষ্টের উত্তর করে বললেন, “আমার নিবেদন ও অনুরোধ এই,
إِنْ وَجَدْتُ نِعْمَةً فِي عَيْنَيِ ٱلْمَلِكِ، وَإِذَا حَسُنَ عِنْدَ ٱلْمَلِكِ أَنْ يُعْطَى سُؤْلِي وَتُقْضَى طِلْبَتِي، أَنْ يَأْتِيَ ٱلْمَلِكُ وَهَامَانُ إِلَى ٱلْوَلِيمَةِ ٱلَّتِي أَعْمَلُهَا لَهُمَا، وَغَدًا أَفْعَلُ حَسَبَ أَمْرِ ٱلْمَلِكِ». ٨ 8
আমি যদি মহারাজের চোখে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি এবং আমার নিবেদন গ্রহণ করতে ও আমার অনুরোধ সম্পূর্ণ করতে যদি মহারাজের ভালো মনে হয়, তবে আমি আপনাদের জন্য যা তৈরী করব, মহারাজ ও হামন সেই ভোজে আসুন; এবং আমি কাল মহারাজের আদেশ অনুসারে সেই দিন আমি বলব আমি কি চাই।”
فَخَرَجَ هَامَانُ فِي ذَلِكَ ٱلْيَوْمِ فَرِحًا وَطَيِّبَ ٱلْقَلْبِ. وَلَكِنْ لَمَّا رَأَى هَامَانُ مُرْدَخَايَ فِي بَابِ ٱلْمَلِكِ وَلَمْ يَقُمْ وَلَا تَحَرَّكَ لَهُ، ٱمْتَلَأَ هَامَانُ غَيْظًا عَلَى مُرْدَخَايَ. ٩ 9
সেই দিন হামন খুশী হয়ে আনন্দিত মনে বাইরে গেল। কিন্তু সে যখন রাজবাড়ীর দরজায় মর্দখয়কে দেখতে পেল এবং তিনি তার সামনে উঠে দাঁড়ালেন না ও সরলেন না, তখন হামন মর্দখয়ের ওপর রেগে গেলেন।
وَتَجَلَّدَ هَامَانُ وَدَخَلَ بَيْتَهُ وَأَرْسَلَ فَٱسْتَحْضَرَ أَحِبَّاءَهُ وَزَرَشَ زَوْجَتَهُ، ١٠ 10
১০তা সত্বেও হামন রাগ সংযত করল এবং নিজে বাড়ি এসে নিজের বন্ধুদেরকে ও নিজের স্ত্রী সেরশকে ডেকে আনাল।
وَعَدَّدَ لَهُمْ هَامَانُ عَظَمَةَ غِنَاهُ وَكَثْرَةَ بَنِيهِ، وَكُلَّ مَا عَظَّمَهُ ٱلْمَلِكُ بِهِ وَرَقَّاهُ عَلَى ٱلرُّؤَسَاءِ وَعَبِيدِ ٱلْمَلِكِ. ١١ 11
১১আর হামন তাদের কাছে নিজের ধনসম্পদের জাঁকজমক ও তার ছেলেদের সংখ্যার কথা এবং রাজা কিভাবে তাকে শাসনকর্ত্তাদের ও রাজার দাসদের থেকে শ্রেষ্ঠ আসন দিয়েছেন, এই সমস্ত তাদের কাছে বিবরণ দিল।
وَقَالَ هَامَانُ: «حَتَّى إِنَّ أَسْتِيرَ ٱلْمَلِكَةَ لَمْ تُدْخِلْ مَعَ ٱلْمَلِكِ إِلَى ٱلْوَلِيمَةِ ٱلَّتِي عَمِلَتْهَا إِلَّا إِيَّايَ. وَأَنَا غَدًا أَيْضًا مَدْعُوٌّ إِلَيْهَا مَعَ ٱلْمَلِكِ. ١٢ 12
১২হামন আরও বলল, “ইষ্টের রাণী নিজের তৈরী ভোজে রাজার সঙ্গে আর কাউকেও নিমন্ত্রণ করেন নি, শুধু আমাকেই করেছেন; কালও আমি রাজার সঙ্গে তাঁর কাছে নিমন্ত্রিত আছি।
وَكُلُّ هَذَا لَا يُسَاوِي عِنْدِي شَيْئًا كُلَّمَا أَرَى مُرْدَخَايَ ٱلْيَهُودِيَّ جَالِسًا فِي بَابِ ٱلْمَلِكِ». ١٣ 13
১৩কিন্তু যে পর্যন্ত আমি রাজবাড়ির দরজায় বসে থাকা যিহূদী মর্দখয়কে দেখতে পাই, সে পর্যন্ত এই সব কিছুতে আমার শান্তি হয় না।”
فَقَالَتْ لَهُ زَرَشُ زَوْجَتُهُ وَكُلُّ أَحِبَّائِهِ: «فَلْيَعْمَلُوا خَشَبَةً ٱرْتِفَاعُهَا خَمْسُونَ ذِرَاعًا، وَفِي ٱلصَّبَاحِ قُلْ لِلْمَلِكِ أَنْ يَصْلِبُوا مُرْدَخَايَ عَلَيْهَا، ثُمَّ ٱدْخُلْ مَعَ ٱلْمَلِكِ إِلَى ٱلْوَلِيمَةِ فَرِحًا». فَحَسُنَ ٱلْكَلَامُ عِنْدَ هَامَانَ وَعَمِلَ ٱلْخَشَبَةَ. ١٤ 14
১৪তখন তার স্ত্রী সেরশ ও তার সব বন্ধু তাকে বলল, “তুমি পঞ্চাশ হাত উঁচু একটা ফাঁসিকাঠ তৈরী করাও; আর মর্দখয়কে তার উপরে ফাঁসি দেবার জন্য কাল সকালে রাজার কাছে জানাও; পরে খুশি হয়ে রাজার সঙ্গে ভোজে যাও।” তখন হামন এই কথায় আনন্দিত হয়ে সেই ফাঁসিকাঠ তৈরী করাল।

< أَسْتِير 5 >