< أفَسُس 5 >
فَكُونُوا مُتَمَثِّلِينَ بِٱللهِ كَأَوْلَادٍ أَحِبَّاءَ، | ١ 1 |
১অতএব প্রিয় শিশুদের মত তোমরা ঈশ্বরের অনুকারী হও।
وَٱسْلُكُوا فِي ٱلْمَحَبَّةِ كَمَا أَحَبَّنَا ٱلْمَسِيحُ أَيْضًا وَأَسْلَمَ نَفْسَهُ لِأَجْلِنَا، قُرْبَانًا وَذَبِيحَةً لِلهِ رَائِحَةً طَيِّبَةً. | ٢ 2 |
২আর প্রেমে চল, যেমন খ্রীষ্টও তোমাদেরকে প্রেম করলেন এবং আমাদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে, সৌরভের জন্য, উপহার ও বলিরূপে নিজেকে বলিদান দিলেন।
وَأَمَّا ٱلزِّنَا وَكُلُّ نَجَاسَةٍ أَوْ طَمَعٍ فَلَا يُسَمَّ بَيْنَكُمْ كَمَا يَلِيقُ بِقِدِّيسِينَ، | ٣ 3 |
৩কিন্তু বেশ্যাগমনের ও সব প্রকার অপবিত্রতা বা লোভের নামও যেন তোমাদের মধ্যে না হয়, যেমন পবিত্রদের উপযুক্ত।
وَلَا ٱلْقَبَاحَةُ وَلَا كَلَامُ ٱلسَّفَاهَةِ وَٱلْهَزْلُ ٱلَّتِي لَا تَلِيقُ، بَلْ بِٱلْحَرِيِّ ٱلشُّكْرُ. | ٤ 4 |
৪আর খারাপ ব্যবহার এবং প্রলাপ কিম্বা ঠাট্টা তামাশা, এই সকল অশ্লীলতা ব্যবহার যেন না হয়, বরং যেন ধন্যবাদ দেওয়া হয়।
فَإِنَّكُمْ تَعْلَمُونَ هَذَا: أَنَّ كُلَّ زَانٍ أَوْ نَجِسٍ أَوْ طَمَّاعٍ -ٱلَّذِي هُوَ عَابِدٌ لِلْأَوْثَانِ- لَيْسَ لَهُ مِيرَاثٌ فِي مَلَكُوتِ ٱلْمَسِيحِ وَٱللهِ. | ٥ 5 |
৫কারণ তোমরা অবশ্যই জানো, বেশ্যাগামী কি অশুচি কি লোভী সে তো প্রতিমা পূজারী কেউই খ্রীষ্টের ও ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পায় না।
لَا يَغُرَّكُمْ أَحَدٌ بِكَلَامٍ بَاطِلٍ، لِأَنَّهُ بِسَبَبِ هَذِهِ ٱلْأُمُورِ يَأْتِي غَضَبُ ٱللهِ عَلَى أَبْنَاءِ ٱلْمَعْصِيَةِ. | ٦ 6 |
৬অযথা কথা দিয়ে কেউ যেন তোমাদেরকে না ভুলায়; কারণ এই সকল দোষের কারণে অবাধ্যতার সন্তানদের উপরে ঈশ্বরের ক্রোধ আসে।
فَلَا تَكُونُوا شُرَكَاءَهُمْ. | ٧ 7 |
৭অতএব তাদের সহভাগী হয়ো না;
لِأَنَّكُمْ كُنْتُمْ قَبْلًا ظُلْمَةً، وَأَمَّا ٱلْآنَ فَنُورٌ فِي ٱلرَّبِّ. ٱسْلُكُوا كَأَوْلَادِ نُورٍ. | ٨ 8 |
৮কারণ তোমরা একদিনের অন্ধকার ছিলে, কিন্তু এখন প্রভুতে আলোকিত হয়েছ; আলোর সন্তানদের মত চল
لِأَنَّ ثَمَرَ ٱلرُّوحِ هُوَ فِي كُلِّ صَلَاحٍ وَبِرٍّ وَحَقٍّ. | ٩ 9 |
৯কারণ সব রকম মঙ্গলভাবে, ধার্ম্মিকতায় ও সত্যে আলোর ফল হয়
مُخْتَبِرِينَ مَا هُوَ مَرْضِيٌّ عِنْدَ ٱلرَّبِّ. | ١٠ 10 |
১০প্রভুর সন্তোষজনক কি, তার পরীক্ষা কর।
وَلَا تَشْتَرِكُوا فِي أَعْمَالِ ٱلظُّلْمَةِ غَيْرِ ٱلْمُثْمِرَةِ بَلْ بِٱلْحَرِيِّ وَبِّخُوهَا. | ١١ 11 |
১১আর অন্ধকারের ফলহীন কাজের ভাগী হয়ো না, বরং সেগুলির দোষ দেখিয়ে দাও।
لِأَنَّ ٱلْأُمُورَ ٱلْحَادِثَةَ مِنْهُمْ سِرًّا، ذِكْرُهَا أَيْضًا قَبِيحٌ. | ١٢ 12 |
১২কারণ ওরা গোপনে যে সব কাজ করে, তা উচ্চারণ করাও লজ্জার বিষয়।
وَلَكِنَّ ٱلْكُلَّ إِذَا تَوَبَّخَ يُظْهَرُ بِٱلنُّورِ. لِأَنَّ كُلَّ مَا أُظْهِرَ فَهُوَ نُورٌ. | ١٣ 13 |
১৩কিন্তু দোষ দেখিয়ে দেওয়া হলে সকলই আলোর দ্বারা প্রকাশ হয়ে পড়ে; সাধারণত যা প্রকাশ হয়ে পড়ে, তা সবই আলোকিত।
لِذَلِكَ يَقُولُ: «ٱسْتَيْقِظْ أَيُّهَا ٱلنَّائِمُ وَقُمْ مِنَ ٱلْأَمْوَاتِ فَيُضِيءَ لَكَ ٱلْمَسِيحُ». | ١٤ 14 |
১৪এই জন্য পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “হে ঘুমন্ত ব্যক্তি, জেগে ওঠ এবং মৃতদের ভিতর থেকে উঠ, তাতে খ্রীষ্ট তোমার উপরে আলোক উজ্জ্বল করবেন।”
فَٱنْظُرُوا كَيْفَ تَسْلُكُونَ بِٱلتَّدْقِيقِ، لَا كَجُهَلَاءَ بَلْ كَحُكَمَاءَ، | ١٥ 15 |
১৫অতএব তোমরা ভালো করে দেখ, কিভাবে চলছ; অজ্ঞানের মতো না চলে জ্ঞানীদের মতো চল।
مُفْتَدِينَ ٱلْوَقْتَ لِأَنَّ ٱلْأَيَّامَ شِرِّيرَةٌ. | ١٦ 16 |
১৬সুযোগ কিনে নাও, কারণ এই দিন খারাপ।
مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ لَا تَكُونُوا أَغْبِيَاءَ بَلْ فَاهِمِينَ مَا هِيَ مَشِيئَةُ ٱلرَّبِّ. | ١٧ 17 |
১৭এই কারণ বোকা হয়ো না, কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা কি, তা বোঝো।
وَلَا تَسْكَرُوا بِٱلْخَمْرِ ٱلَّذِي فِيهِ ٱلْخَلَاعَةُ، بَلِ ٱمْتَلِئُوا بِٱلرُّوحِ، | ١٨ 18 |
১৮আর দ্রাক্ষারসে মাতাল হয়ো না, তাতে সর্বনাশ আছে; কিন্তু পবিত্র আত্মাতে পরিপূর্ণ হও;
مُكَلِّمِينَ بَعْضُكُمْ بَعْضًا بِمَزَامِيرَ وَتَسَابِيحَ وَأَغَانِيَّ رُوحِيَّةٍ، مُتَرَنِّمِينَ وَمُرَتِّلِينَ فِي قُلُوبِكُمْ لِلرَّبِّ. | ١٩ 19 |
১৯গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্ত্তনে একে অপরে কথা বল; নিজ নিজ হৃদয়ে প্রভুর উদ্দেশ্যে গান ও বাজনা কর;
شَاكِرِينَ كُلَّ حِينٍ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ فِي ٱسْمِ رَبِّنَا يَسُوعَ ٱلْمَسِيحِ، لِلهِ وَٱلْآبِ. | ٢٠ 20 |
২০সবদিন সব বিষয়ের জন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ কর;
خَاضِعِينَ بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ فِي خَوْفِ ٱللهِ. | ٢١ 21 |
২১খ্রীষ্টের ভয়ে একজন অন্য জনের বাধ্য হও।
أَيُّهَا ٱلنِّسَاءُ، ٱخْضَعْنَ لِرِجَالِكُنَّ كَمَا لِلرَّبِّ، | ٢٢ 22 |
২২নারীরা, তোমরা যেমন প্রভুর, তেমনি নিজ নিজ স্বামীর বাধ্য হও।
لِأَنَّ ٱلرَّجُلَ هُوَ رَأْسُ ٱلْمَرْأَةِ كَمَا أَنَّ ٱلْمَسِيحَ أَيْضًا رَأْسُ ٱلْكَنِيسَةِ، وَهُوَ مُخَلِّصُ ٱلْجَسَدِ. | ٢٣ 23 |
২৩কারণ স্বামী স্ত্রীর মস্তক, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীর মস্তক; তিনি আবার দেহের উদ্ধারকর্তা;
وَلَكِنْ كَمَا تَخْضَعُ ٱلْكَنِيسَةُ لِلْمَسِيحِ، كَذَلِكَ ٱلنِّسَاءُ لِرِجَالِهِنَّ فِي كُلِّ شَيْءٍ. | ٢٤ 24 |
২৪কিন্তু মণ্ডলী যেমন খ্রীষ্টের বাধ্য, তেমনি নারীরা সব বিষয়ে নিজের নিজের স্বামীর বাধ্য হোক।
أَيُّهَا ٱلرِّجَالُ، أَحِبُّوا نِسَاءَكُمْ كَمَا أَحَبَّ ٱلْمَسِيحُ أَيْضًا ٱلْكَنِيسَةَ وَأَسْلَمَ نَفْسَهُ لِأَجْلِهَا، | ٢٥ 25 |
২৫স্বামীরা, তোমরা নিজের নিজের স্ত্রীকে সেই মত ভালবাসো, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে ভালবাসলেন, আর তার জন্য নিজেকে দান করলেন;
لِكَيْ يُقَدِّسَهَا، مُطَهِّرًا إِيَّاهَا بِغَسْلِ ٱلْمَاءِ بِٱلْكَلِمَةِ، | ٢٦ 26 |
২৬যেন তিনি জল স্নান দ্বারা বাক্যে তাকে শুচি করে পবিত্র করেন,
لِكَيْ يُحْضِرَهَا لِنَفْسِهِ كَنِيسَةً مَجِيدَةً، لَا دَنَسَ فِيهَا وَلَا غَضْنَ أَوْ شَيْءٌ مِنْ مِثْلِ ذَلِكَ، بَلْ تَكُونُ مُقَدَّسَةً وَبِلَا عَيْبٍ. | ٢٧ 27 |
২৭যেন নিজে নিজের কাছে মণ্ডলীকে মহিমাময় অবস্থায় উপস্থিত করেন, যেন তার কলঙ্ক বা সঙ্কোচ বা এই রকম আর কোন কিছুই না থাকে, বরং সে যেন পবিত্র ও নিন্দা হীন হয়।
كَذَلِكَ يَجِبُ عَلَى ٱلرِّجَالِ أَنْ يُحِبُّوا نِسَاءَهُمْ كَأَجْسَادِهِمْ. مَنْ يُحِبُّ ٱمْرَأَتَهُ يُحِبُّ نَفْسَهُ. | ٢٨ 28 |
২৮এই রকম স্বামীরাও নিজ নিজ স্ত্রীকে নিজ নিজ শরীরের মত ভালবাসতে বাধ্য। নিজের স্ত্রীকে যে ভালবাসে, সে নিজেকেই ভালবাসে।
فَإِنَّهُ لَمْ يُبْغِضْ أَحَدٌ جَسَدَهُ قَطُّ، بَلْ يَقُوتُهُ وَيُرَبِّيهِ، كَمَا ٱلرَّبُّ أَيْضًا لِلْكَنِيسَةِ. | ٢٩ 29 |
২৯কেউ ত কখনও নিজ দেহের প্রতি ঘৃণা করে নি, বরং সবাই তার ভরণ পোষণ ও লালন পালন করে; যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে করছেন;
لِأَنَّنَا أَعْضَاءُ جِسْمِهِ، مِنْ لَحْمِهِ وَمِنْ عِظَامِهِ. | ٣٠ 30 |
৩০কারণ আমরা তাঁর দেহের অঙ্গ।
«مِنْ أَجْلِ هَذَا يَتْرُكُ ٱلرَّجُلُ أَبَاهُ وَأُمَّهُ وَيَلْتَصِقُ بِٱمْرَأَتِهِ، وَيَكُونُ ٱلِٱثْنَانِ جَسَدًا وَاحِدًا». | ٣١ 31 |
৩১“এই জন্য মানুষ নিজ পিতা মাতাকে ত্যাগ করে নিজ স্ত্রীতে আসক্ত হবে এবং সেই দুই জন এক দেহ হবে।”
هَذَا ٱلسِّرُّ عَظِيمٌ، وَلَكِنَّنِي أَنَا أَقُولُ مِنْ نَحْوِ ٱلْمَسِيحِ وَٱلْكَنِيسَةِ. | ٣٢ 32 |
৩২এই লুকানো সত্য মহৎ, কিন্তু আমি খ্রীষ্টের ও মণ্ডলীর উদ্দেশ্যে এটা বললাম।
وَأَمَّا أَنْتُمُ ٱلْأَفْرَادُ، فَلْيُحِبَّ كُلُّ وَاحِدٍ ٱمْرَأَتَهُ هَكَذَا كَنَفْسِهِ، وَأَمَّا ٱلْمَرْأَةُ فَلْتَهَبْ رَجُلَهَا. | ٣٣ 33 |
৩৩তবুও তোমারও প্রত্যেকে নিজ নিজ স্ত্রীকে সেই রকম নিজের মত ভালবেস; কিন্তু স্ত্রীর উচিত যেন সে স্বামীকে ভয় করে।