عَامُوس 4

١ 1 اِسْمَعِي هَذَا ٱلْقَوْلَ يَا بَقَرَاتِ بَاشَانَ ٱلَّتِي فِي جَبَلِ ٱلسَّامِرَةِ، ٱلظَّالِمَةَ ٱلْمَسَاكِينِ، ٱلسَّاحِقَةَ ٱلْبَائِسِينَ، ٱلْقَائِلَةَ لِسَادَتِهَا: «هَاتِ لِنَشْرَبَ».

শমরিয়ার পর্বতের উপরে বিচরণ করা বাশনের গাভীসকল, তোমরা এই বাণী শ্রবণ করো, তোমরা সেই নারীরা যারা দরিদ্রদের নিপীড়ন ও নিঃস্বদের চূর্ণ করো, যারা নিজের নিজের স্বামীকে বলো, “আমাদের জন্য কিছু পান করার সুরা এনে দাও!”

٢ 2 قَدْ أَقْسَمَ ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ بِقُدْسِهِ: «هُوَذَا أَيَّامٌ تَأْتِي عَلَيْكُنَّ، يَأْخُذُونَكُنَّ بِخَزَائِمَ، وَذُرِّيَّتَكُنَّ بِشُصُوصِ ٱلسَّمَكِ.

সার্বভৌম সদাপ্রভু তাঁর পবিত্রতায় শপথ করেছেন: “সেই সময় অবশ্যই আসবে, যখন তোমাদের কড়া লাগিয়ে, তোমাদের শেষতম ব্যক্তিকে বড়শি গেঁথে নিয়ে যাওয়া হবে।

٣ 3 وَمِنَ ٱلشُّقُوقِ تَخْرُجْنَ كُلُّ وَاحِدَةٍ عَلَى وَجْهِهَا، وَتَنْدَفِعْنَ إِلَى ٱلْحِصْنِ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ.

তোমাদের মধ্যে প্রত্যেকে প্রাচীরের ভাঙা স্থান দিয়ে সোজা বের হয়ে যাবে, আর তোমাদের হর্মোণের দিকে নিক্ষেপ করা হবে,” সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।

٤ 4 «هَلُمَّ إِلَى بَيْتِ إِيلَ، وَأَذْنِبُوا إِلَى ٱلْجِلْجَالِ، وَأَكْثِرُوا ٱلذُّنُوبَ، وَأَحْضِرُوا كُلَّ صَبَاحٍ ذَبَائِحَكُمْ، وَكُلَّ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ عُشُورَكُمْ.

“তোমরা বেথেলে যাও ও পাপ করো; তোমরা গিল্‌গলে যাও ও আরও বেশি পাপ করো। রোজ সকালে তোমাদের নৈবেদ্য নিয়ে এসো, প্রত্যেক তিন বছর পরপর তোমাদের দশমাংশ উৎসর্গ করো।

٥ 5 وَأَوْقِدُوا مِنَ ٱلْخَمِيرِ تَقْدِمَةَ شُكْرٍ، وَنَادُوا بِنَوَافِلَ وَسَمِّعُوا، لِأَنَّكُمْ هَكَذَا أَحْبَبْتُمْ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ، يَقُولُ ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ.

ধন্যবাদের বলিরূপে খামিরযুক্ত রুটি পোড়াও, আর স্বেচ্ছাকৃত দান ঘোষণা করো, তোমরা ইস্রায়েলীরা, সেগুলির জন্য গর্ব করো, কারণ তোমরা এরকমই করতে ভালোবাসো,” সার্বভৌম সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।

٦ 6 «وَأَنَا أَيْضًا أَعْطَيْتُكُمْ نَظَافَةَ ٱلْأَسْنَانِ فِي جَمِيعِ مُدُنِكُمْ، وَعَوَزَ ٱلْخُبْزِ فِي جَمِيعِ أَمَاكِنِكُمْ، فَلَمْ تَرْجِعُوا إِلَيَّ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ.

“প্রত্যেকটি নগরে আমি তোমাদের শূন্য উদরে রেখেছি, প্রত্যেকটি নগরে রয়েছে খাদ্যের অভাব, তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে আসোনি,” সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।

٧ 7 وَأَنَا أَيْضًا مَنَعْتُ عَنْكُمُ ٱلْمَطَرَ إِذْ بَقِيَ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ لِلْحَصَادِ، وَأَمْطَرْتُ عَلَى مَدِينَةٍ وَاحِدَةٍ، وَعَلَى مَدِينَةٍ أُخْرَى لَمْ أُمْطِرْ. أُمْطِرَ عَلَى ضَيْعَةٍ وَاحِدَةٍ، وَٱلضَّيْعَةُ ٱلَّتِي لَمْ يُمْطَرْ عَلَيْهَا جَفَّتْ.

“আমি তোমাদের কাছ থেকে বৃষ্টিও ধরে রেখেছি, যখন শস্যচয়নের সময় তখনও তিন মাস দূরে ছিল। আমি একটি নগরে বৃষ্টি পাঠিয়েছি, অথচ, অন্য নগরে তা নিবারণ করেছি। একটি মাঠে বৃষ্টি হয়েছে, অন্য মাঠে তা না-হওয়ায় সব শুকিয়ে গেছে।

٨ 8 فَجَالَتْ مَدِينَتَانِ أَوْ ثَلَاثٌ إِلَى مَدِينَةٍ وَاحِدَةٍ لِتَشْرَبَ مَاءً وَلَمْ تَشْبَعْ، فَلَمْ تَرْجِعُوا إِلَيَّ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ.

লোকেরা নগর থেকে নগরে জলের জন্য টলতে টলতে যেত, কিন্তু পান করার জন্য যথেষ্ট জল পেত না, তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে আসোনি,” সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।

٩ 9 ضَرْبَتُكُمْ بِٱللَّفْحِ وَٱلْيَرَقَانِ. كَثِيرًا مَا أَكَلَ ٱلْقَمَصُ جَنَّاتِكُمْ وَكُرُومَكُمْ وَتِينَكُمْ وَزَيْتُونَكُمْ، فَلَمْ تَرْجِعُوا إِلَيَّ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ.

“অনেকবার আমি তোমাদের উদ্যানগুলিতে ও দ্রাক্ষাকুঞ্জগুলিতে আঘাত করেছি, কুঁকড়ে যাওয়া ও ছাতারোগে আমি সেগুলিতে আঘাত করেছি। পঙ্গপালেরা তোমাদের ডুমুর ও জলপাইগাছগুলি গ্রাস করেছে, তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে আসোনি,” সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।

١٠ 10 أَرْسَلْتُ بَيْنَكُمْ وَبَأً عَلَى طَرِيقَةِ مِصْرَ. قَتَلْتُ بِٱلسَّيْفِ فِتْيَانَكُمْ مَعَ سَبْيِ خَيْلِكُمْ، وَأَصْعَدْتُ نَتْنَ مَحَالِّكُمْ حَتَّى إِلَى أُنُوفِكُمْ، فَلَمْ تَرْجِعُوا إِلَيَّ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ.

“আমি তোমাদের মধ্যে মহামারি পাঠিয়েছি, যেমন মিশরে করেছিলাম, আমি তরোয়ালের দ্বারা তোমাদের যুবকদের হত্যা করেছি, সেই সঙ্গে হত্যা করেছি অধিকৃত সব ঘোড়াদেরও। আমি তোমাদের নাসারন্ধ্রে তোমাদের শিবিরের দুর্গন্ধ প্রবেশ করিয়েছি, তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে আসোনি,” সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।

١١ 11 قَلَبْتُ بَعْضَكُمْ كَمَا قَلَبَ ٱللهُ سَدُومَ وَعَمُورَةَ، فَصِرْتُمْ كَشُعْلَةٍ مُنْتَشَلَةٍ مِنَ ٱلْحَرِيقِ، فَلَمْ تَرْجِعُوا إِلَيَّ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ.

“আমি তোমাদের কাউকে কাউকে উৎপাটন করেছি, যেমন আমি সদোম ও ঘমোরাকে উৎপাটন করেছিলেন। তোমরা ছিলে আগুন থেকে কেড়ে নেওয়া জ্বলন্ত কাঠের টুকরোর মতো, তবুও তোমরা আমার কাছে ফিরে আসোনি,” সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।

١٢ 12 «لِذَلِكَ هَكَذَا أَصْنَعُ بِكَ يَا إِسْرَائِيلُ. فَمِنْ أَجْلِ أَنِّي أَصْنَعُ بِكَ هَذَا، فَٱسْتَعِدَّ لِلِقَاءِ إِلَهِكَ يَا إِسْرَائِيلُ».

“সেই কারণে, ওহে ইস্রায়েল, আমি তোমাদের প্রতি এইরকম ব্যবহার করব, আর যেহেতু আমি এইরকম ব্যবহার করব, ওহে ইস্রায়েল, তুমি তোমার ঈশ্বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য প্রস্তুত হও।”

١٣ 13 فَإِنَّهُ هُوَذَا ٱلَّذِي صَنَعَ ٱلْجِبَالَ وَخَلَقَ ٱلرِّيحَ وَأَخْبَرَ ٱلْإِنْسَانَ مَا هُوَ فِكْرُهُ، ٱلَّذِي يَجْعَلُ ٱلْفَجْرَ ظَلَامًا، وَيَمْشِي عَلَى مَشَارِفِ ٱلْأَرْضِ، يَهْوَهُ إِلَهُ ٱلْجُنُودِ ٱسْمُهُ.

যিনি পর্বতসকলের নির্মাতা, যিনি বাতাস সৃষ্টি করেন, যিনি তাঁর চিন্তাধারা মানুষের কাছে প্রকাশ করেন, যিনি প্রত্যূষকালকে অন্ধকারে পরিণত করেন ও পৃথিবীর উঁচু স্থানগুলির উপর দিয়ে চলেন— সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সদাপ্রভু, এই তাঁর নাম।