< اَلْمُلُوكِ ٱلثَّانِي 1 >

وَعَصَى مُوآبُ عَلَى إِسْرَائِيلَ بَعْدَ وَفَاةِ أَخْآبَ. ١ 1
আহাবের মৃত্যুর পর, মোয়াব ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেছিল।
وَسَقَطَ أَخَزْيَا مِنَ ٱلْكَوَّةِ ٱلَّتِي فِي عُلِّيَّتِهِ ٱلَّتِي فِي ٱلسَّامِرَةِ فَمَرِضَ، وَأَرْسَلَ رُسُلًا وَقَالَ لَهُمُ: «ٱذْهَبُوا ٱسْأَلُوا بَعْلَ زَبُوبَ إِلَهَ عَقْرُونَ إِنْ كُنْتُ أَبْرَأُ مِنْ هَذَا ٱلْمَرَضِ». ٢ 2
ইত্যবসরে অহসিয় শমরিয়ায় তাঁর প্রাসাদের উপরের ঘরের জাফরি ভেঙে পড়ে গেলেন ও গুরুতরভাবে আহত হলেন। তাই তিনি দূতদের বলে পাঠালেন, “তোমরা গিয়ে ইক্রোণের দেবতা বায়াল-সবূবের কাছে জেনে এসো, আমি এই আঘাত থেকে সুস্থ হব, কি না।”
فَقَالَ مَلَاكُ ٱلرَّبِّ لِإِيلِيَّا ٱلتِّشْبِيِّ: «قُمِٱصْعَدْ لِلِقَاءِ رُسُلِ مَلِكِ ٱلسَّامِرَةِ وَقُلْ لَهُمْ: أَلَيْسَ لِأَنَّهُ لَا يُوجَدُ فِي إِسْرَائِيلَ إِلَهٌ، تَذْهَبُونَ لِتَسْأَلُوا بَعْلَ زَبُوبَ إِلَهَ عَقْرُونَ؟ ٣ 3
কিন্তু সদাপ্রভুর দূত তিশবীয় এলিয়কে বললেন, “শমরিয়ার রাজার পাঠানো দূতদের কাছে গিয়ে তুমি তাদের একথা জিজ্ঞাসা করো, ‘ইস্রায়েলে কি কোনও ঈশ্বর নেই যে তোমরা ইক্রোণের দেবতা বায়াল-সবূবের কাছে পরামর্শ চাইতে যাচ্ছ?’
فَلِذَلِكَ هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: إِنَّ ٱلسَّرِيرَ ٱلَّذِي صَعِدْتَ عَلَيْهِ لَا تَنْزِلُ عَنْهُ بَلْ مَوْتًا تَمُوتُ». فَٱنْطَلَقَ إِيلِيَّا. ٤ 4
তাই সদাপ্রভু একথা বলেন: ‘যে বিছানায় তুমি শুয়ে আছ, সেটি ছেড়ে তুমি আর উঠতে পারবে না। তুমি অবশ্যই মরবে!’” এই বলে এলিয় চলে গেলেন।
وَرَجَعَ ٱلرُّسُلُ إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُمْ: «لِمَاذَا رَجَعْتُمْ؟» ٥ 5
দূতেরা রাজার কাছে ফিরে আসার পর তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কেন ফিরে এলে?”
فَقَالُوا لَهُ: «صَعِدَ رَجُلٌ لِلِقَائِنَا وَقَالَ لَنَا: ٱذْهَبُوا رَاجِعِينَ إِلَى ٱلْمَلِكِ ٱلَّذِي أَرْسَلَكُمْ وَقُولُوا لَهُ: هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: أَلَيْسَ لِأَنَّهُ لَا يُوجَدُ فِي إِسْرَائِيلَ إِلَهٌ أَرْسَلْتَ لِتَسْأَلَ بَعْلَ زَبُوبَ إِلَهَ عَقْرُونَ؟ لِذَلِكَ ٱلسَّرِيرُ ٱلَّذِي صَعِدْتَ عَلَيْهِ، لَا تَنْزِلُ عَنْهُ بَلْ مَوْتًا تَمُوتُ». ٦ 6
“একজন আমাদের সাথে দেখা করতে এলেন,” তারা উত্তর দিয়েছিল। “আর তিনি আমাদের বললেন, ‘যিনি তোমাদের পাঠিয়েছেন, তোমরা সেই রাজার কাছে ফিরে যাও এবং তাঁকে গিয়ে বলো, “সদাপ্রভু একথাই বলেন: ইস্রায়েলে কি কোনও ঈশ্বর নেই যে তুমি ইক্রোণের দেবতা বায়াল-সবূবের পরামর্শ নেওয়ার জন্য তার কাছে দূত পাঠিয়েছ? তাই যে বিছানায় তুমি শুয়ে আছ, সেটি ছেড়ে তুমি আর উঠতে পারবে না। তুমি অবশ্যই মারা যাবে!”’”
فَقَالَ لَهُمْ: «مَا هِيَ هَيْئَةُ ٱلرَّجُلِ ٱلَّذِي صَعِدَ لِلِقَائِكُمْ وَكَلَّمَكُمْ بِهَذَا ٱلْكَلَامِ؟» ٧ 7
রাজামশাই তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “যিনি তোমাদের সাথে দেখা করতে এলেন ও তোমাদের এইসব কথা বললেন, তাঁকে দেখতে কেমন?”
فَقَالُوا لَهُ: «إِنَّهُ رَجُلٌ أَشْعَرُ مُتَنَطِّقٌ بِمِنْطَقَةٍ مِنْ جِلْدٍ عَلَى حُقَوَيْهِ». فَقَالَ: «هُوَ إِيلِيَّا ٱلتِّشْبِيُّ». ٨ 8
তারা উত্তর দিয়েছিল, “তাঁর গায়ে ছিল লোমের এক পোশাক এবং তাঁর কোমরে বাঁধা ছিল চামড়ার এক কোমরবন্ধ।” রাজামশাই বললেন, “তিনি তিশবীয় এলিয় ছিলেন।”
فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ رَئِيسَ خَمْسِينَ مَعَ ٱلْخَمْسِينَ ٱلَّذِينَ لَهُ، فَصَعِدَ إِلَيْهِ وَإِذَا هُوَ جَالِسٌ عَلَى رَأْسِ ٱلْجَبَلِ. فَقَالَ لَهُ: «يَا رَجُلَ ٱللهِ، ٱلْمَلِكُ يَقُولُ ٱنْزِلْ». ٩ 9
পরে এলিয়র কাছে তিনি পঞ্চাশ জন সৈন্য সমেত একজন সেনাপতিকে পাঠালেন। এলিয় যখন একটি পাহাড়ের চূড়ায় বসেছিলেন, তখন সেই সেনাপতি তাঁর কাছে গিয়ে বললেন, “হে ঈশ্বরের লোক, রাজামশাই বলেছেন, ‘আপনি নিচে নেমে আসুন!’”
فَأَجَابَ إِيلِيَّا وَقَالَ لِرَئِيسِ ٱلْخَمْسِينَ: «إِنْ كُنْتُ أَنَا رَجُلَ ٱللهِ، فَلْتَنْزِلْ نَارٌ مِنَ ٱلسَّمَاءِ وَتَأْكُلْكَ أَنْتَ وَٱلْخَمْسِينَ ٱلَّذِينَ لَكَ». فَنَزَلَتْ نَارٌ مِنَ ٱلسَّمَاءِ وَأَكَلَتْهُ هُوَ وَٱلْخَمْسِينَ ٱلَّذِينَ لَهُ. ١٠ 10
এলিয় সেই সেনাপতিকে উত্তর দিলেন, “আমি যদি সত্যিই ঈশ্বরের লোক, তবে আকাশ থেকে আগুন নেমে এসে তোমাকে ও তোমার পঞ্চাশ জন লোককে গ্রাস করে ফেলুক!” তখন আকাশ থেকে আগুন নেমে এসে সেই সেনাপতি ও তাঁর পঞ্চাশ জন লোককে গ্রাস করে ফেলেছিল।
ثُمَّ عَادَ وَأَرْسَلَ إِلَيْهِ رَئِيسَ خَمْسِينَ آخَرَ وَٱلْخَمْسِينَ ٱلَّذِينَ لَهُ. فَأَجَابَ وَقَالَ لَهُ: «يَارَجُلَ ٱللهِ، هَكَذَا يَقُولُ ٱلْمَلِكُ: أَسْرِعْ وَٱنْزِلْ». ١١ 11
এই অবস্থা দেখে রাজামশাই অন্য আরেকজন সেনাপতিকে তাঁর পঞ্চাশ জন সৈন্য সমেত এলিয়র কাছে পাঠালেন। সেই সেনাপতিও এলিয়কে গিয়ে বললেন, “হে ঈশ্বরের লোক, রাজা একথা বলেছেন, ‘আপনি এক্ষুনি নিচে নেমে আসুন!’”
فَأَجَابَ إِيلِيَّا وَقَالَ لَهُمْ: «إِنْ كُنْتُ أَنَا رَجُلَ ٱللهِ، فَلْتَنْزِلْ نَارٌ مِنَ ٱلسَّمَاءِ وَتَأْكُلْكَ أَنْتَ وَٱلْخَمْسِينَ ٱلَّذِينَ لَكَ». فَنَزَلَتْ نَارُ ٱللهِ مِنَ ٱلسَّمَاءِ وَأَكَلَتْهُ هُوَ وَٱلْخَمْسِينَ ٱلَّذِينَ لَهُ. ١٢ 12
“আমি যদি সত্যিই ঈশ্বরের লোক,” এলিয় উত্তর দিলেন, “তবে আকাশ থেকে আগুন নেমে এসে তোমাকে ও তোমার পঞ্চাশ জন লোককে গ্রাস করে ফেলুক!” তখন আকাশ থেকে ঈশ্বরের আগুন নেমে এসে তাঁকে ও তাঁর পঞ্চাশ জন লোককে গ্রাস করে ফেলেছিল।
ثُمَّ عَادَ فَأَرْسَلَ رَئِيسَ خَمْسِينَ ثَالِثًا وَٱلْخَمْسِينَ ٱلَّذِينَ لَهُ. فَصَعِدَ رَئِيسُ ٱلْخَمْسِينَ ٱلثَّالِثُ وَجَاءَ وَجَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ أمَامَ إِيلِيَّا، وَتَضَرَّعَ إِلَيْهِ وَقَالَ لَهُ: «يَا رَجُلَ ٱللهِ، لِتُكْرَمْ نَفْسِي وَأَنْفُسُ عَبِيدِكَ هَؤُلَاءِ ٱلْخَمْسِينَ فِي عَيْنَيْكَ. ١٣ 13
অতএব রাজামশাই তৃতীয় একজন সেনাপতিকে তাঁর পঞ্চাশ জন সৈন্য সমেত সেখানে পাঠালেন। তৃতীয় এই সেনাপতি সেখানে গিয়ে এলিয়র সামনে নতজানু হলেন। “হে ঈশ্বরের লোক,” তিনি ভিক্ষা চেয়েছিলেন, “দয়া করে আপনার দাস—আমার ও এই পঞ্চাশ জন লোকের প্রাণের মর্যাদা রক্ষা করুন!
هُوَذَا قَدْ نَزَلَتْ نَارٌ مِنَ ٱلسَّمَاءِ وَأَكَلَتْ رَئِيسَيِ ٱلْخَمْسِينَيْنِ ٱلْأَوَّلَيْنِ وَخَمْسِينَيْهِمَا، وَٱلْآنَ فَلْتُكْرَمْ نَفْسِي فِي عَيْنَيْكَ». ١٤ 14
দেখুন, আকাশ থেকে আগুন নেমে এসে প্রথম দুজন সেনাপতি ও তাদের লোকজনকে গ্রাস করল। কিন্তু এখন আমার প্রাণের মর্যাদা রক্ষা করুন!”
فَقَالَ مَلَاكُ ٱلرَّبِّ لِإِيلِيَّا: «ٱنْزِلْ مَعَهُ. لَا تَخَفْ مِنْهُ». فَقَامَ وَنَزَلَ مَعَهُ إِلَى ٱلْمَلِكِ. ١٥ 15
সদাপ্রভুর দূত এলিয়কে বললেন, “এর সাথে তুমি নিচে নেমে যাও; একে ভয় পেয়ো না।” অতএব এলিয় উঠে তাঁর সাথে রাজার কাছে চলে গেলেন।
وَقَالَ لَهُ: «هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: مِنْ أَجْلِ أَنَّكَ أَرْسَلْتَ رُسُلًا لِتَسْأَلَ بَعْلَ زَبُوبَ إِلَهَ عَقْرُونَ، أَلَيْسَ لِأَنَّهُ لَا يُوجَدُ فِي إِسْرَائِيلَ إِلَهٌ لِتَسْأَلَ عَنْ كَلَامِهِ! لِذَلِكَ ٱلسَّرِيرُ ٱلَّذِي صَعِدْتَ عَلَيْهِ لَا تَنْزِلُ عَنْهُ بَلْ مَوْتًا تَمُوتُ». ١٦ 16
তিনি রাজাকে বললেন, “সদাপ্রভু একথাই বলেন: ইস্রায়েলে তোমাকে পরামর্শ দেওয়ার মতো কোনও ঈশ্বর কি ছিলেন না, যে তুমি পরামর্শ নেওয়ার জন্য ইক্রোণের দেবতা বায়াল-সবূবের কাছে দূত পাঠিয়েছিলে? যেহেতু তুমি এই কাজ করেছ, তাই যে বিছানায় তুমি শুয়ে আছ, সেখান থেকে তুমি আর উঠতে পারবে না। তুমি অবশ্যই মরবে!”
فَمَاتَ حَسَبَ كَلَامِ ٱلرَّبِّ ٱلَّذِي تَكَلَّمَ بِهِ إِيلِيَّا. وَمَلَكَ يَهُورَامُ عِوَضًا عَنْهُ فِي ٱلسَّنَةِ ٱلثَّانِيَةِ لِيَهُورَامَ بْنِ يَهُوشَافَاطَ مَلِكِ يَهُوذَا، لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لَهُ ٱبْنٌ. ١٧ 17
তাই এলিয় যা বললেন, সদাপ্রভুর সেই কথানুসারে তিনি মারা গেলেন। যেহেতু অহসিয়ের কোনও ছেলে ছিল না, তাই যিহোশাফটের ছেলে যিহূদার রাজা যিহোরামের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে রাজারূপে যোরাম অহসিয়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
وَبَقِيَّةُ أُمُورِ أَخَزْيَا ٱلَّتِي عَمِلَ، أَمَا هِيَ مَكْتُوبَةٌ فِي سِفْرِ أَخْبَارِ ٱلْأَيَّامِ لِمُلُوكِ إِسْرَائِيلَ؟ ١٨ 18
অহসিয়ের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, এবং তিনি যা যা করলেন, তার বিবরণ কি ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা নেই?

< اَلْمُلُوكِ ٱلثَّانِي 1 >