< ٢ كورنثوس 4 >

مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ، إِذْ لَنَا هَذِهِ ٱلْخِدْمَةُ -كَمَا رُحِمْنَا- لَا نَفْشَلُ، ١ 1
এই কারণে, ঈশ্বরের করুণার মাধ্যমে আমাদের যেহেতু এই পরিচর্যা আছে, আমরা নিরুৎসাহ হই না।
بَلْ قَدْ رَفَضْنَا خَفَايَا ٱلْخِزْيِ، غَيْرَ سَالِكِينَ فِي مَكْرٍ، وَلَا غَاشِّينَ كَلِمَةَ ٱللهِ، بَلْ بِإِظْهَارِ ٱلْحَقِّ، مَادِحِينَ أَنْفُسَنَا لَدَى ضَمِيرِ كُلِّ إِنْسَانٍ قُدَّامَ ٱللهِ. ٢ 2
বরং, আমরা গোপনীয় ও লজ্জাজনক পথগুলি ত্যাগ করেছি; আমরা ধূর্ততার আশ্রয় নিই না, কিংবা ঈশ্বরের বাক্যকে বিকৃতও করি না। এর বিপরীতে, সহজসরলভাবে সত্যকে প্রকাশ করে আমরা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সব মানুষের বিবেকের কাছে নিজেদের যোগ্য করে তুলি।
وَلَكِنْ إِنْ كَانَ إِنْجِيلُنَا مَكْتُومًا، فَإِنَّمَا هُوَ مَكْتُومٌ فِي ٱلْهَالِكِينَ، ٣ 3
আবার, আমাদের সুসমাচার যদি আবৃত থাকে, তাহলে যারা ধ্বংস হচ্ছে, তা তাদের কাছেই আবৃত থাকে।
ٱلَّذِينَ فِيهِمْ إِلَهُ هَذَا ٱلدَّهْرِ قَدْ أَعْمَى أَذْهَانَ غَيْرِ ٱلْمُؤْمِنِينَ، لِئَلَّا تُضِيءَ لَهُمْ إِنَارَةُ إِنْجِيلِ مَجْدِ ٱلْمَسِيحِ، ٱلَّذِي هُوَ صُورَةُ ٱللهِ. (aiōn g165) ٤ 4
এই যুগের দেবতা অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করেছে, যেন তারা খ্রীষ্টের মহিমার যে সুসমাচার তার আলো দেখতে না পায়। সেই খ্রীষ্টই হলেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি। (aiōn g165)
فَإِنَّنَا لَسْنَا نَكْرِزُ بِأَنْفُسِنَا، بَلْ بِٱلْمَسِيحِ يَسُوعَ رَبًّا، وَلَكِنْ بِأَنْفُسِنَا عَبِيدًا لَكُمْ مِنْ أَجْلِ يَسُوعَ. ٥ 5
কারণ আমরা নিজেদের বিষয়ে প্রচার করি না, কিন্তু যীশু খ্রীষ্টকে প্রভুরূপে করি এবং যীশুর কারণে নিজেদের পরিচয় দিই তোমাদের দাসরূপে।
لِأَنَّ ٱللهَ ٱلَّذِي قَالَ: «أَنْ يُشْرِقَ نُورٌ مِنْ ظُلْمَةٍ»، هُوَ ٱلَّذِي أَشْرَقَ فِي قُلُوبِنَا، لِإِنَارَةِ مَعْرِفَةِ مَجْدِ ٱللهِ فِي وَجْهِ يَسُوعَ ٱلْمَسِيحِ. ٦ 6
কারণ যে ঈশ্বর বলেছিলেন, “অন্ধকারের মধ্য থেকে জ্যোতি উদ্ভাসিত হোক,” তিনি তাঁর জ্যোতি আমাদের হৃদয়ে উদ্দীপিত করলেন, যেন খ্রীষ্টের মুখমণ্ডলে বিরাজিত ঈশ্বরের যে মহিমা, তার জ্ঞানের আলো আমাদের প্রদান করেন।
وَلَكِنْ لَنَا هَذَا ٱلْكَنْزُ فِي أَوَانٍ خَزَفِيَّةٍ، لِيَكُونَ فَضْلُ ٱلْقُوَّةِ لِلهِ لَا مِنَّا. ٧ 7
কিন্তু এই সম্পদ আমরা মাটির পাত্রে ধারণ করছি, যেন এরকম প্রত্যক্ষ হয় যে সর্বগুণে উৎকৃষ্টতর এই পরাক্রম আমাদের থেকে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে।
مُكْتَئِبِينَ فِي كُلِّ شَيْءٍ، لَكِنْ غَيْرَ مُتَضَايِقِينَ. مُتَحَيِّرِينَ، لَكِنْ غَيْرَ يَائِسِينَ. ٨ 8
আমরা চতুর্দিক থেকেই প্রবলরূপে নিষ্পেষিত হচ্ছি, কিন্তু চূর্ণ হচ্ছি না; হতবুদ্ধি হচ্ছি, কিন্তু নিরাশ হচ্ছি না;
مُضْطَهَدِينَ، لَكِنْ غَيْرَ مَتْرُوكِينَ. مَطْرُوحِينَ، لَكِنْ غَيْرَ هَالِكِينَ. ٩ 9
নির্যাতিত হচ্ছি, কিন্তু পরিত্যক্ত হচ্ছি না; আঘাতে ধরাশায়ী হচ্ছি, কিন্তু বিধ্বস্ত হচ্ছি না।
حَامِلِينَ فِي ٱلْجَسَدِ كُلَّ حِينٍ إِمَاتَةَ ٱلرَّبِّ يَسُوعَ، لِكَيْ تُظْهَرَ حَيَاةُ يَسُوعَ أَيْضًا فِي جَسَدِنَا. ١٠ 10
আমরা সবসময়ই, আমাদের শরীরে যীশুর মৃত্যুকে বহন করে চলেছি, যেন আমাদের শরীরে যীশুর জীবনও প্রকাশ পায়।
لِأَنَّنَا نَحْنُ ٱلْأَحْيَاءَ نُسَلَّمُ دَائِمًا لِلْمَوْتِ مِنْ أَجْلِ يَسُوعَ، لِكَيْ تَظْهَرَ حَيَاةُ يَسُوعَ أَيْضًا فِي جَسَدِنَا ٱلْمَائِتِ. ١١ 11
কারণ আমরা যারা জীবিত আছি, তাদের সবসময়ই যীশুর কারণে মৃত্যুর কাছে সমর্পণ করা হচ্ছে, যেন আমাদের এই মানবিক দেহে তাঁর জীবনও প্রকাশিত হতে পারে।
إِذًا ٱلْمَوْتُ يَعْمَلُ فِينَا، وَلَكِنِ ٱلْحَيَاةُ فِيكُمْ. ١٢ 12
তাহলে এখন, মৃত্যু আমাদের শরীরে সক্রিয় ঠিকই, কিন্তু তোমাদের মধ্যে জীবন সক্রিয় আছে।
فَإِذْ لَنَا رُوحُ ٱلْإِيمَانِ عَيْنُهُ، حَسَبَ ٱلْمَكْتُوبِ: «آمَنْتُ لِذَلِكَ تَكَلَّمْتُ»، نَحْنُ أَيْضًا نُؤْمِنُ وَلِذَلِكَ نَتَكَلَّمُ أَيْضًا. ١٣ 13
বিশ্বাসের সেই একই আত্মা আমাদের আছে বলে, যেমন লেখা আছে, “আমি বিশ্বাস করেছি, তাই কথা বলেছি,” সেই অনুযায়ী আমরাও বিশ্বাস করি ও সেই কারণে কথা বলি।
عَالِمِينَ أَنَّ ٱلَّذِي أَقَامَ ٱلرَّبَّ يَسُوعَ سَيُقِيمُنَا نَحْنُ أَيْضًا بِيَسُوعَ، وَيُحْضِرُنَا مَعَكُمْ. ١٤ 14
কারণ আমরা জানি যে, যিনি প্রভু যীশুকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করেছেন, তিনি যীশুর সঙ্গে আমাদেরও উত্থাপিত করবেন এবং তোমাদের সঙ্গে আমাদেরও তাঁর সান্নিধ্যে উপস্থিত করবেন।
لِأَنَّ جَمِيعَ ٱلْأَشْيَاءِ هِيَ مِنْ أَجْلِكُمْ، لِكَيْ تَكُونَ ٱلنِّعْمَةُ وَهِيَ قَدْ كَثُرَتْ بِٱلْأَكْثَرِينَ، تَزِيدُ ٱلشُّكْرَ لِمَجْدِ ٱللهِ. ١٥ 15
এসবই তোমাদের কল্যাণের জন্য, যেন যে অনুগ্রহ আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে উপস্থিত হচ্ছে, তা ঈশ্বরের মহিমার উদ্দেশে উপচে পড়া ধন্যবাদ জ্ঞাপনের কারণ হয়।
لِذَلِكَ لَا نَفْشَلُ، بَلْ وَإِنْ كَانَ إِنْسَانُنَا ٱلْخَارِجُ يَفْنَى، فَٱلدَّاخِلُ يَتَجَدَّدُ يَوْمًا فَيَوْمًا. ١٦ 16
সেই কারণে, আমরা নিরুৎসাহ হই না। যদিও বাহ্যিকভাবে আমরা ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছি, তবুও অভ্যন্তরীণভাবে দিন-প্রতিদিন আমরা নতুন হচ্ছি।
لِأَنَّ خِفَّةَ ضِيقَتِنَا ٱلْوَقْتِيَّةَ تُنْشِئُ لَنَا أَكْثَرَ فَأَكْثَرَ ثِقَلَ مَجْدٍ أَبَدِيًّا. (aiōnios g166) ١٧ 17
কারণ আমাদের তুচ্ছ ও ক্ষণস্থায়ী কষ্টসমস্যাগুলি আমাদের জন্য যে চিরন্তন মহিমা অর্জন করছে, তা সেইসব কষ্টসমস্যাকে বিপুলরূপে অতিক্রম করে। (aiōnios g166)
وَنَحْنُ غَيْرُ نَاظِرِينَ إِلَى ٱلْأَشْيَاءِ ٱلَّتِي تُرَى، بَلْ إِلَى ٱلَّتِي لَا تُرَى. لِأَنَّ ٱلَّتِي تُرَى وَقْتِيَّةٌ، وَأَمَّا ٱلَّتِي لَا تُرَى فَأَبَدِيَّةٌ. (aiōnios g166) ١٨ 18
তাই কোনো দৃশ্যমান বস্তুর দিকে নয়, কিন্তু যা অদৃশ্য তার প্রতি আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করি। কারণ যা কিছু দৃশ্যমান, তা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু যা কিছু অদৃশ্য তাই চিরন্তন। (aiōnios g166)

< ٢ كورنثوس 4 >