< اَلْمُلُوكِ ٱلْأَوَّلُ 18 >

وَبَعْدَ أَيَّامٍ كَثِيرَةٍ كَانَ كَلَامُ ٱلرَّبِّ إِلَى إِيلِيَّا فِي ٱلسَّنَةِ ٱلثَّالِثَةِ قَائِلًا: «ٱذْهَبْ وَتَرَاءَ لِأَخْآبَ فَأُعْطِيَ مَطَرًا عَلَى وَجْهِ ٱلْأَرْضِ». ١ 1
বেশ কিছু সময় পার হয়ে যাওয়ার পর, তৃতীয় বছরে সদাপ্রভুর এই বাক্য এলিয়ের কাছে এসেছিল: “যাও, নিজেকে আহাবের সামনে উপস্থিত করো, আর আমি দেশে বৃষ্টি পাঠাব।”
فَذَهَبَ إِيلِيَّا لِيَتَرَاءَى لِأَخْآبَ. وَكَانَ ٱلْجُوعُ شَدِيدًا فِي ٱلسَّامِرَةِ، ٢ 2
অতএব এলিয় নিজেকে আহাবের সামনে উপস্থিত করতে গেলেন। ইত্যবসরে শমরিয়ায় দুর্ভিক্ষ চরম আকার ধারণ করল,
فَدَعَا أَخْآبُ عُوبَدْيَا ٱلَّذِي عَلَى ٱلْبَيْتِ، وَكَانَ عُوبَدْيَا يَخْشَى ٱلرَّبَّ جِدًّا. ٣ 3
এবং আহাব তাঁর প্রাসাদের প্রশাসক ওবদিয়কে ডেকে পাঠালেন। (ওবদিয় সদাপ্রভুর প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এক বিশ্বাসী ছিলেন।
وَكَانَ حِينَمَا قَطَعَتْ إِيزَابَلُ أَنْبِيَاءَ ٱلرَّبِّ أَنَّ عُوبَدْيَا أَخَذَ مِئَةَ نَبِيٍّ وَخَبَّأَهُمْ خَمْسِينَ رَجُلًا فِي مُغَارَةٍ وَعَالَهُمْ بِخُبْزٍ وَمَاءٍ. ٤ 4
ঈষেবল যখন সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মেরে ফেলছিল, ওবদিয় তখন একশো জন ভাববাদীকে নিয়ে গিয়ে দুটি গুহায়—এক একটিতে পঞ্চাশ জন করে—লুকিয়ে রেখেছিলেন, এবং তাদের জন্য খাবার ও জলের ব্যবস্থা করেছিলেন)।
وَقَالَ أَخْآبُ لِعُوبَدْيَا: «ٱذْهَبْ فِي ٱلْأَرْضِ إِلَى جَمِيعِ عُيُونِ ٱلْمَاءِ وَإِلَى جَمِيعِ ٱلْأَوْدِيَةِ، لَعَلَّنَا نَجِدُ عُشْبًا فَنُحْيِيَ ٱلْخَيْلَ وَٱلْبِغَالَ وَلَا نُعْدَمَ ٱلْبَهَائِمَ كُلَّهَا». ٥ 5
আহাব ওবদিয়কে বললেন, “দেশে যত জলের উৎস ও উপত্যকা আছে, তুমি সেসব স্থানে যাও। হয়তো আমাদের ঘোড়া ও খচ্চরগুলি বাঁচিয়ে রাখার উপযোগী কিছু ঘাসপাতা আমরা পেয়েও যেতে পারি, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও পশু আর হয়তো আমাদের মারতে হবে না।”
فَقَسَمَا بَيْنَهُمَا ٱلْأَرْضَ لِيَعْبُرَا بِهَا. فَذَهَبَ أَخْآبُ فِي طَرِيقٍ وَاحِدٍ وَحْدَهُ، وَذَهَبَ عُوبَدْيَا فِي طَرِيقٍ آخَرَ وَحْدَهُ. ٦ 6
অতএব দেশের যে এলাকাগুলিতে তাদের যেতে হত, সেগুলি তারা দুই ভাগে বিভক্ত করে নিয়েছিলেন। আহাব একদিকে গেলেন ও ওবদিয় অন্যদিকে গেলেন।
وَفِيمَا كَانَ عُوبَدْيَا فِي ٱلطَّرِيقِ، إِذَا بِإِيلِيَّا قَدْ لَقِيَهُ فَعَرَفَهُ، وَخَرَّ عَلَى وَجْهِهِ وَقَالَ: «أَأَنْتَ هُوَ سَيِّدِي إِيلِيَّا؟» ٧ 7
ওবদিয় পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় তাঁর সঙ্গে এলিয়ের দেখা হল। ওবদিয় তাঁকে চিনতে পেরে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বললেন, “হে আমার প্রভু এলিয়, এ কি সত্যিই আপনি?”
فَقَالَ لَهُ: «أَنَا هُوَ. ٱذْهَبْ وَقُلْ لِسَيِّدِكَ: هُوَذَا إِيلِيَّا». ٨ 8
“হ্যাঁ, আমিই,” তিনি উত্তর দিলেন। “যাও, গিয়ে তোমার মনিবকে বলো, ‘এলিয় এখানেই আছেন।’”
فَقَالَ: «مَا هِيَ خَطِيَّتِي حَتَّى إِنَّكَ تَدْفَعُ عَبْدَكَ لِيَدِ أَخْآبَ لِيُمِيتَنِي؟ ٩ 9
“আমি কী দোষ করেছি,” ওবদিয় জিজ্ঞাসা করলেন, “যে আপনি আপনার এই দাসকে মেরে ফেলার জন্য আহাবের হাতে তুলে দিচ্ছেন?
حَيٌّ هُوَ ٱلرَّبُّ إِلَهُكَ، إِنَّهُ لَا تُوجَدُ أُمَّةٌ وَلَا مَمْلَكَةٌ لَمْ يُرْسِلْ سَيِّدِي إِلَيْهَا لِيُفَتِّشَ عَلَيْكَ، وَكَانُوا يَقُولُونَ: إِنَّهُ لَا يُوجَدُ. وَكَانَ يَسْتَحْلِفُ ٱلْمَمْلَكَةَ وَٱلْأُمَّةَ أَنَّهُمْ لَمْ يَجِدُوكَ. ١٠ 10
আপনার ঈশ্বর জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, এমন কোনও দেশ বা রাজ্য বাকি নেই, যেখানে আমার মনিব আপনার খোঁজে লোক পাঠাননি। আর যখনই কোনও দেশ বা রাজ্য দাবি করেছে আপনি সেখানে নেই, তখনই তিনি তাদের দিয়ে শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন, যে সত্যিই তারা আপনাকে খুঁজে পায়নি।
وَٱلْآنَ أَنْتَ تَقُولُ: ٱذْهَبْ قُلْ لِسَيِّدِكَ هُوَذَا إِيلِيَّا. ١١ 11
কিন্তু এখন আপনি আমায় বলছেন, আমি যেন গিয়ে আমার মনিবকে বলি, ‘এলিয় এখানে আছেন।’
وَيَكُونُ إِذَا ٱنْطَلَقْتُ مِنْ عِنْدِكَ، أَنَّ رُوحَ ٱلرَّبِّ يَحْمِلُكَ إِلَى حَيْثُ لَا أَعْلَمُ. فَإِذَا أَتَيْتُ وَأَخْبَرْتُ أَخْآبَ وَلَمْ يَجِدْكَ فَإِنَّهُ يَقْتُلُنِي، وَأَنَا عَبْدُكَ أَخْشَى ٱلرَّبَّ مُنْذُ صِبَايَ. ١٢ 12
আমি জানি না, আপনার কাছ থেকে আমি চলে যাওয়ার পর সদাপ্রভুর আত্মা আপনাকে কোথায় নিয়ে যাবে। আমি যদি আহাবকে গিয়ে বলি এবং তিনি আপনাকে খুঁজে না পান, তবে তিনি আমাকেই হত্যা করবেন। অথচ আপনার এই দাস আমি আমার যৌবনকাল থেকেই সদাপ্রভুর আরাধনা করে আসছি।
أَلَمْ يُخْبَرْ سَيِّدِي بِمَا فَعَلْتُ حِينَ قَتَلَتْ إِيزَابَلُ أَنْبِيَاءَ ٱلرَّبِّ، إِذْ خَبَّأْتُ مِنْ أَنْبِيَاءِ ٱلرَّبِّ مِئَةَ رَجُلٍ، خَمْسِينَ خَمْسِينَ رَجُلًا فِي مُغَارَةٍ وَعُلْتُهُمْ بِخُبْزٍ وَمَاءٍ؟ ١٣ 13
হে আমার প্রভু, আপনি কি শোনেননি ঈষেবল যখন সদাপ্রভুর ভাববাদীদের হত্যা করছিল তখন আমি কী করেছিলাম? আমি সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মধ্যে একশো জনকে দুটি গুহায়—এক একটিতে পঞ্চাশ জন করে—লুকিয়ে রেখে তাদের জন্য খাবার ও জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম।
وَأَنْتَ ٱلْآنَ تَقُولُ: ٱذْهَبْ قُلْ لِسَيِّدِكَ: هُوَذَا إِيلِيَّا، فَيَقْتُلُنِي». ١٤ 14
আর এখন কি না আপনি আমাকে আমার মনিবের কাছে গিয়ে একথা বলতে বলছেন, ‘এলিয় এখানে আছেন।’ তিনি তো আমায় মেরে ফেলবেন!”
فَقَالَ إِيلِيَّا: «حَيٌّ هُوَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ ٱلَّذِي أَنَا وَاقِفٌ أَمَامَهُ، إِنِّي ٱلْيَوْمَ أَتَرَاءَى لَهُ». ١٥ 15
এলিয় বললেন, “আমি যাঁর সেবা করি, সেই সর্বশক্তিমান জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমি অবশ্যই আজ আহাবের সামনে নিজেকে উপস্থিত করব।”
فَذَهَبَ عُوبَدْيَا لِلِقَاءِ أَخْآبَ وَأَخْبَرَهُ، فَسَارَ أَخْآبُ لِلِقَاءِ إِيلِيَّا. ١٦ 16
অতএব ওবদিয় গিয়ে আহাবের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সব কথা বললেন, এবং আহাবও এলিয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।
وَلَمَّا رَأَى أَخْآبُ إِيلِيَّا قَالَ لَهُ أَخْآبُ: «أَأَنْتَ هُوَ مُكَدِّرُ إِسْرَائِيلَ؟» ١٧ 17
এলিয়ের দেখা পেয়ে আহাব তাঁকে বললেন, “ওহে ইস্রায়েলের অসুবিধা সৃষ্টিকারী লোক, এ কি তুমি?”
فَقَالَ: «لَمْ أُكَدِّرْ إِسْرَائِيلَ، بَلْ أَنْتَ وَبَيْتُ أَبِيكَ بِتَرْكِكُمْ وَصَايَا ٱلرَّبِّ وَبِسَيْرِكَ وَرَاءَ ٱلْبَعْلِيمِ. ١٨ 18
“আমি ইস্রায়েলে অসুবিধা সৃষ্টি করিনি,” এলিয় উত্তর দিলেন। “কিন্তু আপনি ও আপনার বাবার কুলই তা করেছেন। আপনারা সদাপ্রভুর আদেশ পরিত্যাগ করে বায়াল-দেবদের অনুগামী হয়েছেন।
فَٱلْآنَ أَرْسِلْ وَٱجْمَعْ إِلَيَّ كُلَّ إِسْرَائِيلَ إِلَى جَبَلِ ٱلْكَرْمَلِ، وَأَنْبِيَاءَ ٱلْبَعْلِ أَرْبَعَ ٱلْمِئَةِ وَٱلْخَمْسِينَ، وَأَنْبِيَاءَ ٱلسَّوَارِي أَرْبَعَ ٱلْمِئَةِ ٱلَّذِينَ يَأْكُلُونَ عَلَى مَائِدَةِ إِيزَابَلَ». ١٩ 19
এখন ইস্রায়েলের সর্বত্র খবর পাঠিয়ে লোকদের ডেকে আনুন, যেন তারা কর্মিল পাহাড়ে আমার সাথে দেখা করে। আর বায়ালের সেই 450 জন ও আশেরার সেই 400 জন ভাববাদীকেও নিয়ে আসুন, যারা ঈষেবলের টেবিলে বসে ভোজনপান করে।”
فَأَرْسَلَ أَخْآبُ إِلَى جَمِيعِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَجَمَعَ ٱلْأَنْبِيَاءَ إِلَى جَبَلِ ٱلْكَرْمَلِ. ٢٠ 20
অতএব আহাব সমস্ত ইস্রায়েলে খবর পাঠিয়ে ভাববাদীদের কর্মিল পাহাড়ে সমবেত করলেন।
فَتَقَدَّمَ إِيلِيَّا إِلَى جَمِيعِ ٱلشَّعْبِ وَقَالَ: «حَتَّى مَتَى تَعْرُجُونَ بَيْنَ ٱلْفِرْقَتَيْنِ؟ إِنْ كَانَ ٱلرَّبُّ هُوَ ٱللهَ فَٱتَّبِعُوهُ، وَإِنْ كَانَ ٱلْبَعْلُ فَٱتَّبِعُوهُ». فَلَمْ يُجِبْهُ ٱلشَّعْبُ بِكَلِمَةٍ. ٢١ 21
এলিয় লোকদের সামনে গিয়ে বললেন, “আর কত দিন তোমরা দুটি অভিমতের মাঝে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে থাকবে? সদাপ্রভু যদি ঈশ্বর হন, তবে তাঁর অনুগামী হও; কিন্তু বায়াল যদি ঈশ্বর হয়, তবে তারই অনুগামী হও।” কিন্তু লোকেরা কিছুই বলেনি।
ثُمَّ قَالَ إِيلِيَّا لِلشَّعْبِ: «أَنَا بَقِيتُ نَبِيًّا لِلرَّبِّ وَحْدِي، وَأَنْبِيَاءُ ٱلْبَعْلِ أَرْبَعُ مِئَةٍ وَخَمْسُونَ رَجُلًا. ٢٢ 22
তখন এলিয় তাদের বললেন, “সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মধ্যে এখানে একমাত্র আমিই আছি, কিন্তু বায়ালের ভাববাদীরা সংখ্যায় 450 জন।
فَلْيُعْطُونَا ثَوْرَيْنِ، فَيَخْتَارُوا لِأَنْفُسِهِمْ ثَوْرًا وَاحِدًا وَيُقَطِّعُوهُ وَيَضَعُوهُ عَلَى ٱلْحَطَبِ، وَلَكِنْ لَا يَضَعُوا نَارًا. وَأَنَا أُقَرِّبُ ٱلثَّوْرَ ٱلْآخَرَ وَأَجْعَلُهُ عَلَى ٱلْحَطَبِ، وَلَكِنْ لَا أَضَعُ نَارًا. ٢٣ 23
আমাদের জন্য দুটি বলদ নিয়ে এসো। বায়ালের ভাববাদীরা নিজেদের জন্য একটি বলদ বেছে নিক, ও সেটি কেটে টুকরো টুকরো করে কাঠের উপর সাজিয়ে রাখুক কিন্তু তাতে যেন তারা আগুন না ধরায়। আমিও অন্য বলদটি প্রস্তুত করে সেটি কাঠের উপর সাজিয়ে রাখব কিন্তু তাতে আগুন দেব না।
ثُمَّ تَدْعُونَ بِٱسْمِ آلِهَتِكُمْ وَأَنَا أَدْعُو بِٱسْمِ ٱلرَّبِّ. وَٱلْإِلَهُ ٱلَّذِي يُجِيبُ بِنَارٍ فَهُوَ ٱللهُ». فَأَجَابَ جَمِيعُ ٱلشَّعْبِ وَقَالُوا: «ٱلْكَلَامُ حَسَنٌ». ٢٤ 24
পরে তোমরা নিজেদের দেবতার নাম ধরে ডেকো, ও আমিও সদাপ্রভুর নাম ধরে ডাকব। যিনি আগুনের দ্বারা উত্তর দেবেন, তিনিই ঈশ্বর।” তখন সব লোকজন বলে উঠেছিল, “আপনি ভালো কথাই বলেছেন।”
فَقَالَ إِيلِيَّا لِأَنْبِيَاءِ ٱلْبَعْلِ: «ٱخْتَارُوا لِأَنْفُسِكُمْ ثَوْرًا وَاحِدًا وَقَرِّبُوا أَوَّلًا، لِأَنَّكُمْ أَنْتُمُ ٱلْأَكْثَرُ، وَٱدْعُوا بِٱسْمِ آلِهَتِكُمْ، وَلَكِنْ لَا تَضَعُوا نَارًا». ٢٥ 25
এলিয় বায়ালের ভাববাদীদের বললেন, “একটি বলদ বেছে নিয়ে তোমরা প্রথমে সেটি প্রস্তুত করো, যেহেতু সংখ্যায় তোমরাই বেশি। তোমাদের দেবতার নাম ধরে ডাকো, কিন্তু আগুন জ্বালিয়ো না।”
فَأَخَذُوا ٱلثَّوْرَ ٱلَّذِي أُعْطِيَ لَهُمْ وَقَرَّبُوهُ، وَدَعَوْا بِٱسْمِ ٱلْبَعْلِ مِنَ ٱلصَّبَاحِ إِلَى ٱلظُّهْرِ قَائِلِينَ: «يَا بَعْلُ أَجِبْنَا». فَلَمْ يَكُنْ صَوْتٌ وَلَا مُجِيبٌ. وَكَانُوا يَرْقُصُونَ حَوْلَ ٱلْمَذْبَحِ ٱلَّذِي عُمِلَ. ٢٦ 26
অতএব যে বলদটি তাদের দেওয়া হল, সেটি তারা প্রস্তুত করে রেখেছিল। পরে তারা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বায়ালের নাম ধরে ডেকেছিল। “হে বায়ালদেব, আমাদের উত্তর দাও!” এই বলে তারা চিৎকার করছিল। কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি; কেউ উত্তর দেয়নি। তারা আবার তাদের তৈরি করা যজ্ঞবেদি ঘিরে নাচতেও লাগল।
وَعِنْدَ ٱلظُّهْرِ سَخِرَ بِهِمْ إِيلِيَّا وَقَالَ: «ٱدْعُوا بِصَوْتٍ عَالٍ لِأَنَّهُ إِلَهٌ! لَعَلَّهُ مُسْتَغْرِقٌ أَوْ فِي خَلْوَةٍ أَوْ فِي سَفَرٍ! أَوْ لَعَلَّهُ نَائِمٌ فَيَتَنَبَّهَ!» ٢٧ 27
দুপুর হতে না হতেই এলিয় তাদের বিদ্রুপের খোঁচা দিতে শুরু করলেন। তিনি বললেন, “আরও জোরে চিৎকার করো! সে তো অবশ্যই একজন দেবতা! হয়তো সে গভীর ধ্যানে মগ্ন হয়ে আছে, হয়তো বা সে খুব ব্যস্ত, বা কোথাও বেড়াতে গিয়েছে। হতে পারে সে হয়তো ঘুমাচ্ছে আর তাকে জাগাতে হবে।”
فَصَرَخُوا بِصَوْتٍ عَالٍ، وَتَقَطَّعُوا حَسَبَ عَادَتِهِمْ بِٱلسُّيُوفِ وَٱلرِّمَاحِ حَتَّى سَالَ مِنْهُمُ ٱلدَّمُ. ٢٨ 28
তাই তারা আরও জোরে চিৎকার করতে শুরু করল এবং তাদের লোকাচার অনুসারে, রক্তের ধারা প্রবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তরোয়াল ও বর্শা দিয়ে নিজেদের শরীর ক্ষতবিক্ষত করে তুলেছিল।
وَلَمَّا جَازَ ٱلظُّهْرُ، وَتَنَبَّأُوا إِلَى حِينِ إِصْعَادِ ٱلتَّقْدِمَةِ، وَلَمْ يَكُنْ صَوْتٌ وَلَا مُجِيبٌ وَلَا مُصْغٍ، ٢٩ 29
দুপুর গড়িয়ে গেল, তবু তারা সন্ধ্যাকালীন বলিদানের সময় পর্যন্ত তাদের ক্ষিপ্ত ভাববাণী আউড়ে গেল। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি, কেউ উত্তর দেয়নি, কেউ তাতে মনোযোগ দেয়নি।
قَالَ إِيلِيَّا لِجَمِيعِ ٱلشَّعْبِ: «تَقَدَّمُوا إِلَيَّ». فَتَقَدَّمَ جَمِيعُ ٱلشَّعْبِ إِلَيْهِ. فَرَمَّمَ مَذْبَحَ ٱلرَّبِّ ٱلْمُنْهَدِمَ. ٣٠ 30
তখন এলিয় সব লোকজনকে বললেন, “এখানে আমার কাছে এসো।” তারা তাঁর কাছে এসেছিল, ও তিনি ভেঙে পড়ে থাকা সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদিটি মেরামত করলেন।
ثُمَّ أَخَذَ إِيلِيَّا ٱثْنَيْ عَشَرَ حَجَرًا، بِعَدَدِ أَسْبَاطِ بَنِي يَعْقُوبَ، ٱلَّذِي كَانَ كَلَامُ ٱلرَّبِّ إِلَيْهِ قَائِلًا: «إِسْرَائِيلَ يَكُونُ ٱسْمُكَ» ٣١ 31
সেই যাকোব থেকে উৎপন্ন বংশের সংখ্যানুসারে এলিয় বারোটি পাথর হাতে তুলে নিয়েছিলেন, যাঁর কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হল, “তোমার নাম হবে ইস্রায়েল।”
وَبَنَى ٱلْحِجَارَةَ مَذْبَحًا بِٱسْمِ ٱلرَّبِّ، وَعَمِلَ قَنَاةً حَوْلَ ٱلْمَذْبَحِ تَسَعُ كَيْلَتَيْنِ مِنَ ٱلْبَزْرِ. ٣٢ 32
সেই পাথরগুলি দিয়ে তিনি সদাপ্রভুর নামে একটি যজ্ঞবেদি নির্মাণ করলেন, এবং সেটির চারপাশে দুই কাঠা বীজ ধারণ করতে পারে, এত বড়ো একটি নালা কেটে দিলেন।
ثُمَّ رَتَّبَ ٱلْحَطَبَ وَقَطَّعَ ٱلثَّوْرَ وَوَضَعَهُ عَلَى ٱلْحَطَبِ، وَقَالَ: «ٱمْلَأُوا أَرْبَعَ جَرَّاتٍ مَاءً وَصُبُّوا عَلَى ٱلْمُحْرَقَةِ وَعَلَى ٱلْحَطَبِ». ٣٣ 33
তিনি কাঠ সাজিয়ে, বলদটি টুকরো টুকরো করে কেটে কাঠের উপর সাজিয়ে রেখেছিলেন। পরে তিনি তাদের বললেন, “চারটি বড়ো বড়ো বয়ামে জল ভরে সেই জল বলির পশু ও কাঠের উপর ঢেলে দাও।”
ثُمَّ قَالَ: «ثَنُّوا» فَثَنَّوْا. وَقَالَ: «ثَلِّثُوا» فَثَلَّثُوا. ٣٤ 34
“আবার এরকম করো,” তিনি বললেন, ও তারা আবার তা করল। “তৃতীয়বারও এরকম করো,” তিনি আদেশ দিলেন, ও তারা তৃতীয়বার তা করল।
فَجَرَى ٱلْمَاءُ حَوْلَ ٱلْمَذْبَحِ وَٱمْتَلَأَتِ ٱلْقَنَاةُ أَيْضًا مَاءً. ٣٥ 35
বেদি উপচে জল গড়িয়ে পড়েছিল ও এমনকি নালাও ভরিয়ে তুলেছিল।
وَكَانَ عِنْدَ إِصْعَادِ ٱلتَّقْدِمَةِ أَنَّ إِيلِيَّا ٱلنَّبِيَّ تَقَدَّمَ وَقَالَ: «أَيُّهَا ٱلرَّبُّ إِلَهُ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَإِسْرَائِيلَ، لِيُعْلَمِ ٱلْيَوْمَ أَنَّكَ أَنْتَ ٱللهُ فِي إِسْرَائِيلَ، وَأَنِّي أَنَا عَبْدُكَ، وَبِأَمْرِكَ قَدْ فَعَلْتُ كُلَّ هَذِهِ ٱلْأُمُورِ. ٣٦ 36
বলিদান উৎসর্গ করার সময় ভাববাদী এলিয় এগিয়ে এসে প্রার্থনা করলেন: “হে সদাপ্রভু, অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর, লোকেরা আজ জানুক যে ইস্রায়েলে তুমিই ঈশ্বর এবং আমি তোমার দাস ও আমি তোমার আদেশেই এসব কাজ করেছি।
ٱسْتَجِبْنِي يَارَبُّ ٱسْتَجِبْنِي، لِيَعْلَمَ هَذَا ٱلشَّعْبُ أَنَّكَ أَنْتَ ٱلرَّبُّ ٱلْإِلَهُ، وَأَنَّكَ أَنْتَ حَوَّلْتَ قُلُوبَهُمْ رُجُوعًا». ٣٧ 37
আমায় উত্তর দাও, হে সদাপ্রভু, আমায় উত্তর দাও, যেন এইসব লোক জানতে পারে যে তুমি তাদের অন্তর আবার ফিরাতে চলেছ।”
فَسَقَطَتْ نَارُ ٱلرَّبِّ وَأَكَلَتِ ٱلْمُحْرَقَةَ وَٱلْحَطَبَ وَٱلْحِجَارَةَ وَٱلتُّرَابَ، وَلَحَسَتِ ٱلْمِيَاهَ ٱلَّتِي فِي ٱلْقَنَاةِ. ٣٨ 38
তখন সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগুন নেমে এসেছিল এবং বলির পশু, কাঠ, পাথর ও মাটি পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছিল, এবং নালার জলও নিকেশ করে ফেলেছিল।
فَلَمَّا رَأَى جَمِيعُ ٱلشَّعْبِ ذَلِكَ سَقَطُوا عَلَى وُجُوهِهِمْ وَقَالُوا: «ٱلرَّبُّ هُوَ ٱللهُ! ٱلرَّبُّ هُوَ ٱللهُ!». ٣٩ 39
সব লোকজন যখন এই দৃশ্য দেখেছিল, তারা মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে চিৎকার করে উঠেছিল, “সদাপ্রভুই ঈশ্বর! সদাপ্রভুই ঈশ্বর!”
فَقَالَ لَهُمْ إِيلِيَّا: «أَمْسِكُوا أَنْبِيَاءَ ٱلْبَعْلِ وَلَا يُفْلِتْ مِنْهُمْ رَجُلٌ». فَأَمْسَكُوهُمْ، فَنَزَلَ بِهِمْ إِيلِيَّا إِلَى نَهْرِ قِيشُونَ وَذَبَحَهُمْ هُنَاكَ. ٤٠ 40
তখন এলিয় তাদের আদেশ দিলেন, “বায়ালের ভাববাদীদের ধরে ফেলো। কেউ যেন পালাতে না পারে!” তারা তাদের ধরে ফেলেছিল, ও এলিয় তাদের কীশোন উপত্যকায় নামিয়ে এনে সেখানে তাদের হত্যা করলেন।
وَقَالَ إِيلِيَّا لِأَخْآبَ: «ٱصْعَدْ كُلْ وَٱشْرَبْ، لِأَنَّهُ حِسُّ دَوِيِّ مَطَرٍ». ٤١ 41
আর এলিয় আহাবকে বললেন, “যান, ভোজনপান করুন, কারণ প্রবল বৃষ্টির শব্দ শোনা যাচ্ছে।”
فَصَعِدَ أَخْآبُ لِيَأْكُلَ وَيَشْرَبَ، وَأَمَّا إِيلِيَّا فَصَعِدَ إِلَى رَأْسِ ٱلْكَرْمَلِ وَخَرَّ إِلَى ٱلْأَرْضِ، وَجَعَلَ وَجْهَهُ بَيْنَ رُكْبَتَيْهِ. ٤٢ 42
অতএব আহাব ভোজনপান করতে চলে গেলেন, কিন্তু এলিয় কর্মিল পাহাড়ের চূড়ায় উঠে গিয়ে, মাটিতে হাঁটু মুড়ে, নিজের মুখটি দুই হাঁটুর মাঝখানে রেখে বসেছিলেন।
وَقَالَ لِغُلَامِهِ: «ٱصْعَدْ تَطَلَّعْ نَحْوَ ٱلْبَحْرِ». فَصَعِدَ وَتَطَلَّعَ وَقَالَ: «لَيْسَ شَيْءٌ». فَقَالَ: «ٱرْجِعْ» سَبْعَ مَرَّاتٍ. ٤٣ 43
“যাও, সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকো,” তিনি তাঁর দাসকে বললেন। আর সে গিয়ে তাকিয়ে থেকেছিল। “সেখানে কিছুই নেই,” সে বলল। সাতবার এলিয় বললেন, “তুমি ফিরে যাও।”
وَفِي ٱلْمَرَّةِ ٱلسَّابِعَةِ قَالَ: «هُوَذَا غَيْمَةٌ صَغِيرَةٌ قَدْرُ كَفِّ إِنْسَانٍ صَاعِدَةٌ مِنَ ٱلْبَحْرِ». فَقَالَ: «ٱصْعَدْ قُلْ لِأَخْآبَ: ٱشْدُدْ وَٱنْزِلْ لِئَلَّا يَمْنَعَكَ ٱلْمَطَرُ». ٤٤ 44
সপ্তমবারে সেই দাস এসে খবর দিয়েছিল, “মানুষের হাতের মতো ছোটো একখণ্ড মেঘ সমুদ্র থেকে উঠে আসছে।” অতএব এলিয় বললেন, “যাও, আহাবকে গিয়ে বলো, ‘হ্যাঁচকা টান মেরে আপনার রথটি ওঠান ও বৃষ্টি বাধ সাধার আগেই আপনি চলে যান।’”
وَكَانَ مِنْ هُنَا إِلَى هُنَا أَنَّ ٱلسَّمَاءَ ٱسْوَدَّتْ مِنَ ٱلْغَيْمِ وَٱلرِّيحِ، وَكَانَ مَطَرٌ عَظِيمٌ. فَرَكِبَ أَخْآبُ وَمَضَى إِلَى يَزْرَعِيلَ. ٤٥ 45
এদিকে, আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেল, বাতাস উঠেছিল, প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হল এবং আহাব রথে চড়ে যিষ্রিয়েলে চলে গেলেন।
وَكَانَتْ يَدُ ٱلرَّبِّ عَلَى إِيلِيَّا، فَشَدَّ حَقْوَيْهِ وَرَكَضَ أَمَامَ أَخْآبَ حَتَّى تَجِيءَ إِلَى يَزْرَعِيلَ. ٤٦ 46
সদাপ্রভুর শক্তি এলিয়ের উপর নেমে এসেছিল, এবং নিজের আলখাল্লাটি কোমরবন্ধে গুঁজে নিয়ে তিনি আহাবের আগেই দৌড়ে যিষ্রিয়েলে পৌঁছে গেলেন।

< اَلْمُلُوكِ ٱلْأَوَّلُ 18 >