< اَلْمُلُوكِ ٱلْأَوَّلُ 14 >

فِي ذَلِكَ ٱلزَّمَانِ مَرِضَ أَبِيَّا بْنُ يَرُبْعَامَ. ١ 1
সেই দিন যারবিয়ামের ছেলে অবিয় অসুস্থ হয়ে পড়ল।
فَقَالَ يَرُبْعَامُ لِٱمْرَأَتِهِ: «قُومِي غَيِّرِي شَكْلَكِ حَتَّى لَا يَعْلَمُوا أَنَّكِ ٱمْرَأَةُ يَرُبْعَامَ وَٱذْهَبِي إِلَى شِيلُوهَ. هُوَذَا هُنَاكَ أَخِيَّا ٱلنَّبِيُّ ٱلَّذِي قَالَ عَنِّي إِنِّي أَمْلِكُ عَلَى هَذَا ٱلشَّعْبِ. ٢ 2
তখন যারবিয়াম নিজের স্ত্রীকে বললেন, “উঠ, তুমি এমন কাপড় পর যাতে তোমাকে যারবিয়ামের স্ত্রী বলে চেনা না যায়। তারপর তুমি শীলোতে যাও। ভাববাদী অহিয় সেখানে আছেন। তিনিই আমাকে বলেছিলেন যে, আমি এই লোকদের রাজা হব।
وَخُذِي بِيَدِكِ عَشْرَةَ أَرْغِفَةٍ وَكَعْكًا وَجَرَّةَ عَسَلٍ، وَسِيرِي إِلَيْهِ وَهُوَ يُخْبِرُكِ مَاذَا يَكُونُ لِلْغُلَامِ». ٣ 3
তুমি সঙ্গে করে দশটা রুটি, কিছু পিঠা ও এক ভাঁড় মধু নিয়ে তাঁর কাছে যাও। ছেলেটির কি হবে তা তিনি তোমাকে বলে দেবেন।”
فَفَعَلَتِ ٱمْرَأَةُ يَرُبْعَامَ هَكَذَا، وَقَامَتْ وَذَهَبَتْ إِلَى شِيلُوهَ وَدَخَلَتْ بَيْتَ أَخِيَّا. وَكَانَ أَخِيَّا لَا يَقْدِرُ أَنْ يُبْصِرَ لِأَنَّهُ قَدْ قَامَتْ عَيْنَاهُ بِسَبَبِ شَيْخُوخَتِهِ. ٤ 4
যারবিয়ামের স্ত্রী তাঁর কথামতই কাজ করলেন এবং শীলোতে অহিয়ের বাড়িতে গেলেন। তখন অহিয় চোখে দেখতে পেতেন না; কারণ বেশী বয়স হওয়ার জন্য তাঁর দেখবার শক্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
وَقَالَ ٱلرَّبُّ لِأَخِيَّا: «هُوَذَا ٱمْرَأَةُ يَرُبْعَامَ آتِيَةٌ لِتَسْأَلَ مِنْكَ شَيْئًا مِنْ جِهَةِ ٱبْنِهَا لِأَنَّهُ مَرِيضٌ. فَقُلْ لَهَا: كَذَا وَكَذَا، فَإِنَّهَا عِنْدَ دُخُولِهَا تَتَنَكَّرُ». ٥ 5
কিন্তু সদাপ্রভু অহিয়কে বলেছিলেন, “যারবিয়ামের স্ত্রী তোমার কাছে তার ছেলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে আসছে। ছেলেটির অসুখ হয়েছে। তুমি তার কথার এই এই উত্তর দেবে। এখানে এসে সে অন্য আর একজন স্ত্রীলোক বলে অপরিচিতের মত ভান করবে।”
فَلَمَّا سَمِعَ أَخِيَّا حِسَّ رِجْلَيْهَا وَهِيَ دَاخِلَةٌ فِي ٱلْبَابِ قَالَ: «ٱدْخُلِي يَا ٱمْرَأَةَ يَرُبْعَامَ. لِمَاذَا تَتَنَكَّرِينَ وَأَنَا مُرْسَلٌ إِلَيْكِ بِقَوْلٍ قَاسٍ؟ ٦ 6
তখন দরজার কাছে তাঁর পায়ের শব্দ শুনে অহিয় বললেন, “ভিতরে এস, যারবিয়ামের স্ত্রী। তুমি কেন অপরিচিতের মত ভান করছ? তোমাকে খারাপ খবর দেবার জন্য আমাকে বলা হয়েছে।
اِذْهَبِي قُولِي لِيَرُبْعَامَ: هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: مِنْ أَجْلِ أَنِّي قَدْ رَفَعْتُكَ مِنْ وَسْطِ ٱلشَّعْبِ وَجَعَلْتُكَ رَئِيسًا عَلَى شَعْبِي إِسْرَائِيلَ، ٧ 7
যাও, তুমি গিয়ে যারবিয়ামকে বল যে, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি লোকদের মধ্য থেকে তোমাকে উঁচুতে তুলেছি এবং আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের উপরে নেতা করেছি।
وَشَقَقْتُ ٱلْمَمْلَكَةَ مِنْ بَيْتِ دَاوُدَ وَأَعْطَيْتُكَ إِيَّاهَا، وَلَمْ تَكُنْ كَعَبْدِي دَاوُدَ ٱلَّذِي حَفِظَ وَصَايَايَ وَٱلَّذِي سَارَ وَرَائِي بِكُلِّ قَلْبِهِ لِيَفْعَلَ مَا هُوَ مُسْتَقِيمٌ فَقَطْ فِي عَيْنَيَّ، ٨ 8
আমি দায়ূদের বংশ থেকে রাজ্য ছিঁড়ে নিয়ে তোমাকে দিয়েছি, কিন্তু তুমি আমার দাস দায়ূদের মত হও নি। দায়ূদ আমার আদেশ মেনে চলত এবং মনে প্রাণে আমার বাধ্য ছিল। আমার চোখে যা ঠিক সে কেবল তাই করত।
وَقَدْ سَاءَ عَمَلُكَ أَكْثَرَ مِنْ جَمِيعِ ٱلَّذِينَ كَانُوا قَبْلَكَ، فَسِرْتَ وَعَمِلْتَ لِنَفْسِكَ آلِهَةً أُخْرَى وَمَسْبُوكَاتٍ لِتُغِيظَنِي، وَقَدْ طَرَحْتَنِي وَرَاءَ ظَهْرِكَ. ٩ 9
তোমার আগে যারা ছিল তুমি তাদের চেয়েও বেশী খারাপ কাজ করেছ। তুমি নিজের জন্য দেব দেবতা বানিয়ে নিয়েছ আর ছাঁচে ঢেলে মূর্ত্তি তৈরী করেছ। তুমি আমাকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছ এবং আমাকে তোমার পিছনে ফেলে রেখেছ।
لِذَلِكَ هَأَنَذَا جَالِبٌ شَرًّا عَلَى بَيْتِ يَرُبْعَامَ، وَأَقْطَعُ لِيَرُبْعَامَ كُلَّ بَائِلٍ بِحَائِطٍ مَحْجُوزًا وَمُطْلَقًا فِي إِسْرَائِيلَ، وَأَنْزِعُ آخِرَ بَيْتِ يَرُبْعَامَ كَمَا يُنْزَعُ ٱلْبَعْرُ حَتَّى يَفْنَى. ١٠ 10
১০এই জন্য আমি যারবিয়ামের বংশের উপর বিপদ নিয়ে আসব। তার বংশ থেকে প্রত্যেকটি পুরুষকে আমি শেষ করে দেব, সে দাস হোক বা স্বাধীন হোক। লোকে যেমন করে ঘুঁটে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলে তেমনি করে আমি যারবিয়ামের বংশকে একেবারে শেষ করে দেব।
مَنْ مَاتَ لِيَرُبْعَامَ فِي ٱلْمَدِينَةِ تَأْكُلُهُ ٱلْكِلَابُ، وَمَنْ مَاتَ فِي ٱلْحَقْلِ تَأْكُلُهُ طُيُورُ ٱلسَّمَاءِ، لِأَنَّ ٱلرَّبَّ تَكَلَّمَ. ١١ 11
১১তার বংশের যে সব লোক শহরে মরবে তাদের খাবে কুকুরে আর যারা মাঠের মধ্যে মরবে তাদের খাবে পাখীতে। কারণ আমি সদাপ্রভুই এই কথা বলেছি।’
وَأَنْتِ فَقُومِي وَٱنْطَلِقِي إِلَى بَيْتِكِ، وَعِنْدَ دُخُولِ رِجْلَيْكِ ٱلْمَدِينَةَ يَمُوتُ ٱلْوَلَدُ، ١٢ 12
১২সুতরাং তুমি উঠ, এখন বাড়ি ফিরে যাও। তুমি শহরে পা দেওয়া মাত্রই ছেলেটি মারা যাবে।
وَيَنْدُبُهُ جَمِيعُ إِسْرَائِيلَ وَيَدْفِنُونَهُ، لِأَنَّ هَذَا وَحْدَهُ مِنْ يَرُبْعَامَ يَدْخُلُ ٱلْقَبْرَ، لِأَنَّهُ وُجِدَ فِيهِ أَمْرٌ صَالِحٌ نَحْوَ ٱلرَّبِّ إِلَهِ إِسْرَائِيلَ فِي بَيْتِ يَرُبْعَامَ. ١٣ 13
১৩ইস্রায়েলের সবাই তার জন্য শোক করতে করতে তাকে কবর দেবে। যারবিয়ামের নিজের লোকদের মধ্যে কেবল সেই কবর পাবে, কারণ যারবিয়ামের বংশে কেবলমাত্র সেই ছেলেটির মধ্যেই ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর প্রতি ভক্তি দেখতে পেয়েছেন।
وَيُقِيمُ ٱلرَّبُّ لِنَفْسِهِ مَلِكًا عَلَى إِسْرَائِيلَ يَقْرِضُ بَيْتَ يَرُبْعَامَ هَذَا ٱلْيَوْمَ. وَمَاذَا؟ اَلْآنَ أَيْضًا! ١٤ 14
১৪সদাপ্রভু নিজের উদ্দেশ্যে ইস্রায়েলের লোকদের উপরে এমন এক জনকে রাজা করবেন যে যারবিয়ামের বংশকে একেবারে ধ্বংস করে দেবে। আজকেই সেই দিন, হ্যাঁ, এখনই।
وَيَضْرِبُ ٱلرَّبُّ إِسْرَائِيلَ كَٱهْتِزَازِ ٱلْقَصَبِ فِي ٱلْمَاءِ، وَيَسْتَأْصِلُ إِسْرَائِيلَ عَنْ هَذِهِ ٱلْأَرْضِ ٱلصَّالِحَةِ ٱلَّتِي أَعْطَاهَا لِآبَائِهِمْ، وَيُبَدِّدُهُمْ إِلَى عَبْرِ ٱلنَّهْرِ لِأَنَّهُمْ عَمِلُوا سَوَارِيَهُمْ وَأَغَاظُوا ٱلرَّبَّ. ١٥ 15
১৫সদাপ্রভু ইস্রায়েলকে আঘাত করবেন, আর তাতে তা জলের মধ্যে দুলতে থাকা নল খাগড়ার মত হবে। যে দেশ তিনি তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলেন সেই সুন্দর দেশ থেকে তিনি তাদের উপড়ে তুলে ফরাৎ (ইউফ্রেটিস) নদীর ওপারে ছড়িয়ে দেবেন, কারণ আশেরা মূর্ত্তি স্থাপন করে তারা সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছে।
وَيَدْفَعُ إِسْرَائِيلَ مِنْ أَجْلِ خَطَايَا يَرُبْعَامَ ٱلَّذِي أَخْطَأَ وَجَعَلَ إِسْرَائِيلَ يُخْطِئُ». ١٦ 16
১৬যারবিয়াম নিজে যে সব পাপ করেছে এবং ইস্রায়েলীয়দের লোকদের দিয়ে করিয়েছে তার জন্য সদাপ্রভু তাদের ত্যাগ করবেন।”
فَقَامَتِ ٱمْرَأَةُ يَرُبْعَامَ وَذَهَبَتْ وَجَاءَتْ إِلَى تِرْصَةَ، وَلَمَّا وَصَلَتْ إِلَى عَتَبَةِ ٱلْبَابِ مَاتَ ٱلْغُلَامُ، ١٧ 17
১৭এর পর যারবিয়ামের স্ত্রী উঠলেন এবং তির্সা শহরে গিয়ে উপস্থিত হলেন। তিনি বাড়ীর দরজার চৌকাঠে পা দেওয়া মাত্রই ছেলেটি মারা গেল।
فَدَفَنَهُ وَنَدَبَهُ جَمِيعُ إِسْرَائِيلَ حَسَبَ كَلَامِ ٱلرَّبِّ ٱلَّذِي تَكَلَّمَ بِهِ عَنْ يَدِ عَبْدِهِ أَخِيَّا ٱلنَّبِيِّ. ١٨ 18
১৮সদাপ্রভু নিজের দাস ভাববাদী অহিয়ের মধ্য দিয়ে যেমন যে বাক্য বলেছিলেন তেমনই ইস্রায়েলের সমস্ত লোক ছেলেটির জন্য শোক করতে করতে তাকে কবর দিল।
وَأَمَّا بَقِيَّةُ أُمُورِ يَرُبْعَامَ، كَيْفَ حَارَبَ وَكَيْفَ مَلَكَ، فَإِنَّهَا مَكْتُوبَةٌ فِي سِفْرِ أَخْبَارِ ٱلْأَيَّامِ لِمُلُوكِ إِسْرَائِيلَ. ١٩ 19
১৯যারবিয়ামের অন্যান্য কাজ, তাঁর সব যুদ্ধ এবং রাজত্ব করবার কথা “ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
وَٱلزَّمَانُ ٱلَّذِي مَلَكَ فِيهِ يَرُبْعَامُ هُوَ ٱثْنَتَانِ وَعِشْرُونَ سَنَةً، ثُمَّ ٱضْطَجَعَ مَعَ آبَائِهِ، وَمَلَكَ نَادَابُ ٱبْنُهُ عِوَضًا عَنْهُ. ٢٠ 20
২০বাইশ বছর রাজত্ব করবার পর তিনি তাঁর পূর্বপরুষদের সঙ্গে নিদ্রা গেলেন এবং তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে নাদব রাজা হলেন।
وَأَمَّا رَحُبْعَامُ بْنُ سُلَيْمَانَ فَمَلَكَ فِي يَهُوذَا. وَكَانَ رَحُبْعَامُ ٱبْنَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ سَنَةً حِينَ مَلَكَ، وَمَلَكَ سَبْعَ عَشْرَةَ سَنَةً فِي أُورُشَلِيمَ، ٱلْمَدِينَةِ ٱلَّتِي ٱخْتَارَهَا ٱلرَّبُّ لِوَضْعِ ٱسْمِهِ فِيهَا مِنْ جَمِيعِ أَسْبَاطِ إِسْرَائِيلَ، وَٱسْمُ أُمِّهِ نِعْمَةُ ٱلْعَمُّونِيَّةُ. ٢١ 21
২১এদিকে যিহূদা দেশে শলোমনের ছেলে রহবিয়াম রাজত্ব করলেন। তিনি যখন রাজত্ব করতে শুরু করেন তখন তাঁর বয়স ছিল একচল্লিশ। ইস্রায়েলের গোষ্ঠীগুলোর সমস্ত জায়গার মধ্য থেকে যে শহরটা সদাপ্রভু নিজের বাসস্থান হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন সেই যিরূশালেম শহরে রহবিয়াম সতেরো বছর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল নয়মা; তিনি জাতিতে ছিলেন একজন অম্মোনীয়।
وَعَمِلَ يَهُوذَا ٱلشَّرَّ فِي عَيْنَيِ ٱلرَّبِّ وَأَغَارُوهُ أَكْثَرَ مِنْ جَمِيعِ مَا عَمِلَ آبَاؤُهُمْ بِخَطَايَاهُمُ ٱلَّتِي أَخْطَأُوا بِهَا. ٢٢ 22
২২সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ যিহূদা লোকেরা তাই করতে লাগল। তাদের পূর্বপুরুষরা যা করেছে তার চেয়ে তাদের পাপের মধ্য দিয়ে তারা সদাপ্রভুর অন্তরের জ্বালা আরও বেশী করে জাগিয়ে তুলতো।
وَبَنَوْا هُمْ أَيْضًا لِأَنْفُسِهِمْ مُرْتَفَعَاتٍ وَأَنْصَابًا وَسَوَارِيَ عَلَى كُلِّ تَلٍّ مُرْتَفِعٍ وَتَحْتَ كُلِّ شَجَرَةٍ خَضْرَاءَ. ٢٣ 23
২৩এছাড়া তারা নিজেদের জন্য প্রত্যেকটি উঁচু পাহাড়ের উপরে ও প্রত্যেকটি ডালপালা ছড়ানো সবুজ গাছের নীচে উঁচু জায়গা ঠিক করেছিল এবং পবিত্র পাথর ও আশেরা খুঁটি স্থাপন করেছিল।
وَكَانَ أَيْضًا مَأْبُونُونَ فِي ٱلْأَرْضِ، فَعَلُوا حَسَبَ كُلِّ أَرْجَاسِ ٱلْأُمَمِ ٱلَّذِينَ طَرَدَهُمُ ٱلرَّبُّ مِنْ أَمَامِ بَنِي إِسْرَائِيلَ. ٢٤ 24
২৪এমন কি, তাদের দেশে পুরুষ বেশ্যাও ছিল। যে জাতিগুলোকে সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের সামনে থেকে দূর করে দিয়েছিলেন তাদের সমস্ত ঘৃণার কাজ যিহূদার লোকেরা করতে লাগল।
وَفِي ٱلسَّنَةِ ٱلْخَامِسَةِ لِلْمَلِكِ رَحُبْعَامَ، صَعِدَ شِيشَقُ مَلِكُ مِصْرَ إِلَى أُورُشَلِيمَ، ٢٥ 25
২৫রাজা রহবিয়ামের রাজত্বের পঞ্চম বছরে মিশরের রাজা শীশক যিরূশালেম আক্রমণ করলেন।
وَأَخَذَ خَزَائِنَ بَيْتِ ٱلرَّبِّ وَخَزَائِنَ بَيْتِ ٱلْمَلِكِ، وَأَخَذَ كُلَّ شَيْءٍ. وَأَخَذَ جَمِيعَ أَتْرَاسِ ٱلذَّهَبِ ٱلَّتِي عَمِلَهَا سُلَيْمَانُ. ٢٦ 26
২৬সে সদাপ্রভুর গৃহের সম্পত্তি ও রাজবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে গেল; সব কিছুই নিয়ে গেল, এমন কি, শলোমনের তৈরী সোনার সব ঢালগুলোও নিয়ে গেল।
فَعَمِلَ ٱلْمَلِكُ رَحُبْعَامُ عِوَضًا عَنْهَا أَتْرَاسَ نُحَاسٍ وَسَلَّمَهَا لِيَدِ رُؤَسَاءِ ٱلسُّعَاةِ ٱلْحَافِظِينَ بَابَ بَيْتِ ٱلْمَلِكِ. ٢٧ 27
২৭কাজেই রাজা রহবিয়াম সেগুলোর বদলে পিতলের ঢাল তৈরী করালেন। রাজবাড়ীর দরজায় যে সব সৈন্যেরা পাহারা দিত তাদের সেনাপতিদের কাছে তিনি সেগুলো রক্ষা করবার ভার দিলেন।
وَكَانَ إِذَا دَخَلَ ٱلْمَلِكُ بَيْتَ ٱلرَّبِّ يَحْمِلُهَا ٱلسُّعَاةُ، ثُمَّ يُرْجِعُونَهَا إِلَى غُرْفَةِ ٱلسُّعَاةِ. ٢٨ 28
২৮রাজা যখন সদাপ্রভুর ঘরে যেতেন তখন পাহারাদার সৈন্যেরা সেই ঢালগুলো ধরে নিয়ে তাঁর সঙ্গে যেত এবং পরে সেগুলো তারা পাহারাদার দের ঘরে জমা দিত।
وَبَقِيَّةُ أُمُورِ رَحُبْعَامَ وَكُلُّ مَا فَعَلَ، أَمَا هِيَ مَكْتُوبَةٌ فِي سِفْرِ أَخْبَارِ ٱلْأَيَّامِ لِمُلُوكِ يَهُوذَا؟ ٢٩ 29
২৯রহবিয়ামের অন্যান্য কাজ, অর্থাৎ তিনি যা কিছু করেছিলেন তা সব “যিহূদার রাজাদের ইতিহাস” নামে বইটিতে কি লেখা নেই?
وَكَانَتْ حَرْبٌ بَيْنَ رَحُبْعَامَ وَيَرُبْعَامَ كُلَّ ٱلْأَيَّامِ. ٣٠ 30
৩০রহবিয়াম ও যারবিয়ামের মধ্যে অনবরত যুদ্ধ চলত।
ثُمَّ ٱضْطَجَعَ رَحُبْعَامُ مَعَ آبَائِهِ، وَدُفِنَ مَعَ آبَائِهِ فِي مَدِينَةِ دَاوُدَ. وَٱسْمُ أُمِّهِ نِعْمَةُ ٱلْعَمُّونِيَّةُ. وَمَلَكَ أَبِيَامُ ٱبْنُهُ عِوَضًا عَنْهُ. ٣١ 31
৩১পরে রহবিয়াম নিজের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রিত হলেন এবং দায়ূদ শহরে কবর প্রাপ্ত হলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল নয়মা; তিনি অম্মোনীয়া। পরে তাঁর ছেলে অবিয়াম তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।

< اَلْمُلُوكِ ٱلْأَوَّلُ 14 >