< ١ يوحنَّا 4 >

أَيُّهَا ٱلْأَحِبَّاءُ، لَا تُصَدِّقُوا كُلَّ رُوحٍ، بَلِ ٱمْتَحِنُوا ٱلْأَرْوَاحَ: هَلْ هِيَ مِنَ ٱللهِ؟ لِأَنَّ أَنْبِيَاءَ كَذَبَةً كَثِيرِينَ قَدْ خَرَجُوا إِلَى ٱلْعَالَمِ. ١ 1
প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা সব আত্মাকে বিশ্বাস করো না, কিন্তু সব আত্মাকে পরীক্ষা করে দেখ তারা ঈশ্বর থেকে কিনা, কারণ জগতে অনেক ভণ্ড ভাববাদীরা বের হয়েছে।
بِهَذَا تَعْرِفُونَ رُوحَ ٱللهِ: كُلُّ رُوحٍ يَعْتَرِفُ بِيَسُوعَ ٱلْمَسِيحِ أَنَّهُ قَدْ جَاءَ فِي ٱلْجَسَدِ فَهُوَ مِنَ ٱللهِ، ٢ 2
তোমরা ঈশ্বরের আত্মাকে এই প্রকারে চিনতে পার যে, প্রত্যেক আত্মা স্বীকার করে যে ঈশ্বর থেকেই যীশু খ্রীষ্ট দেহ রূপে এসেছিলেন।
وَكُلُّ رُوحٍ لَا يَعْتَرِفُ بِيَسُوعَ ٱلْمَسِيحِ أَنَّهُ قَدْ جَاءَ فِي ٱلْجَسَدِ، فَلَيْسَ مِنَ ٱللهِ. وَهَذَا هُوَ رُوحُ ضِدِّ ٱلْمَسِيحِ ٱلَّذِي سَمِعْتُمْ أَنَّهُ يَأْتِي، وَٱلْآنَ هُوَ فِي ٱلْعَالَمِ. ٣ 3
এবং যে আত্মা যীশুকে স্বীকার করে না সে ঈশ্বরের থেকে নয়। আর সেটাই হলো খ্রীষ্টের শত্রুর আত্মা, তোমরা যার বিষয়ে শুনেছ যে আসছে এবং এখন সেই শত্রুর আত্মা জগতে আছে।
أَنْتُمْ مِنَ ٱللهِ أَيُّهَا ٱلْأَوْلَادُ، وَقَدْ غَلَبْتُمُوهُمْ لِأَنَّ ٱلَّذِي فِيكُمْ أَعْظَمُ مِنَ ٱلَّذِي فِي ٱلْعَالَمِ. ٤ 4
প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা ঈশ্বরের থেকে এবং ওই ভণ্ড ভাববাদীকে গুলিকে জয় করেছ; কারণ যিনি তোমাদের মধ্যে আছেন তিনি জগতের মধ্যে যে আছে তার থেকে মহান।
هُمْ مِنَ ٱلْعَالَمِ، مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ يَتَكَلَّمُونَ مِنَ ٱلْعَالَمِ، وَٱلْعَالَمُ يَسْمَعُ لَهُمْ. ٥ 5
তারা সকলে জগতের থেকেই আর সেইজন্য তারা যা বলে তা জাগতিক কথা এবং জগতের মানুষই ওদের কথা শোনে।
نَحْنُ مِنَ ٱللهِ، فَمَنْ يَعْرِفُ ٱللهَ يَسْمَعُ لَنَا، وَمَنْ لَيْسَ مِنَ ٱللهِ لَا يَسْمَعُ لَنَا. مِنْ هَذَا نَعْرِفُ رُوحَ ٱلْحَقِّ وَرُوحَ ٱلضَّلَالِ. ٦ 6
আমরা ঈশ্বরের থেকেই; ঈশ্বরকে যে জানে সে আমাদের কথা শোনে। যে ঈশ্বর থেকে নয় সে আমাদের কথা শোনে না। এর মাধ্যমেই আমরা সত্যের আত্মাকে ও ভণ্ড আত্মাকে চিনতে পারি।
أَيُّهَا ٱلْأَحِبَّاءُ، لِنُحِبَّ بَعْضُنَا بَعْضًا، لِأَنَّ ٱلْمَحَبَّةَ هِيَ مِنَ ٱللهِ، وَكُلُّ مَنْ يُحِبُّ فَقَدْ وُلِدَ مِنَ ٱللهِ وَيَعْرِفُ ٱللهَ. ٧ 7
প্রিয়তমেরা, এস আমরা একে অপরকে ভালবাসি, কারণ ভালবাসা ঈশ্বর থেকেই এবং যে কেউ ঈশ্বরকে ভালবাসে, তার জন্ম ঈশ্বর থেকে এবং সে ঈশ্বরকে জানে।
وَمَنْ لَا يُحِبُّ لَمْ يَعْرِفِ ٱللهَ، لِأَنَّ ٱللهَ مَحَبَّةٌ. ٨ 8
যে কেউ ঈশ্বরকে ভালবাসে না, সে ঈশ্বরকে জানে না, কারণ ঈশ্বরই ভালবাসা।
بِهَذَا أُظْهِرَتْ مَحَبَّةُ ٱللهِ فِينَا: أَنَّ ٱللهَ قَدْ أَرْسَلَ ٱبْنَهُ ٱلْوَحِيدَ إِلَى ٱلْعَالَمِ لِكَيْ نَحْيَا بِهِ. ٩ 9
আমাদের মধ্যে ঈশ্বরের ভালবাসা এই ভাবে প্রকাশিত হয়েছে যে, ঈশ্বর নিজের একমাত্র পুত্রকে জগতে পাঠালেন, যেন তাঁর মাধ্যমে আমরা জীবন পাই।
فِي هَذَا هِيَ ٱلْمَحَبَّةُ: لَيْسَ أَنَّنَا نَحْنُ أَحْبَبْنَا ٱللهَ، بَلْ أَنَّهُ هُوَ أَحَبَّنَا، وَأَرْسَلَ ٱبْنَهُ كَفَّارَةً لِخَطَايَانَا. ١٠ 10
১০এই পুত্রতেই ভালবাসা আছে; আমরা যে ঈশ্বরকে ভালবেসেছিলাম তা নয় কিন্তু তিনিই আমাদেরকে ভালবেসেছিলেন এবং নিজের পুত্রকে পাঠালেন ও আমাদের পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলেন।
أَيُّهَا ٱلْأَحِبَّاءُ، إِنْ كَانَ ٱللهُ قَدْ أَحَبَّنَا هَكَذَا، يَنْبَغِي لَنَا أَيْضًا أَنْ يُحِبَّ بَعْضُنَا بَعْضًا. ١١ 11
১১প্রিয় সন্তানেরা, ঈশ্বর যখন আমাদেরকে এমন ভালবাসলেন তখন আমাদেরও উচিত একে অপরকে ভালবাসা।
ٱللهُ لَمْ يَنْظُرْهُ أَحَدٌ قَطُّ. إِنْ أَحَبَّ بَعْضُنَا بَعْضًا، فَٱللهُ يَثْبُتُ فِينَا، وَمَحَبَّتُهُ قَدْ تَكَمَّلَتْ فِينَا. ١٢ 12
১২কেউ ঈশ্বরকে কখনও দেখেনি। আমরা যদি একে অপরকে ভালবাসি তবে ঈশ্বর আমাদের মধ্যে থাকেন এবং তাঁর ভালবাসা আমাদের মধ্যে পূর্ণতা লাভ করে।
بِهَذَا نَعْرِفُ أَنَّنَا نَثْبُتُ فِيهِ وَهُوَ فِينَا: أَنَّهُ قَدْ أَعْطَانَا مِنْ رُوحِهِ. ١٣ 13
১৩এর থেকে আমরা জানতে পারি যে, আমরা তাঁতে থাকি এবং তিনি আমাদের মধ্যে থাকেন, কারণ তিনি নিজের আত্মা আমাদেরকে দান করেছেন।
وَنَحْنُ قَدْ نَظَرْنَا وَنَشْهَدُ أَنَّ ٱلْآبَ قَدْ أَرْسَلَ ٱلِٱبْنَ مُخَلِّصًا لِلْعَالَمِ. ١٤ 14
১৪এবং আমরা দেখেছি ও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে পিতা পুত্রকে জগতের মানুষের উদ্ধারকর্তা হিসাবে পাঠিয়েছেন।
مَنِ ٱعْتَرَفَ أَنَّ يَسُوعَ هُوَ ٱبْنُ ٱللهِ، فَٱللهُ يَثْبُتُ فِيهِ وَهُوَ فِي ٱللهِ. ١٥ 15
১৫যারা যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলে স্বীকার করে, ঈশ্বর তাদের মধ্যে থাকেন এবং তারা ঈশ্বরে থাকে।
وَنَحْنُ قَدْ عَرَفْنَا وَصَدَّقْنَا ٱلْمَحَبَّةَ ٱلَّتِي لِلهِ فِينَا. ٱللهُ مَحَبَّةٌ، وَمَنْ يَثْبُتْ فِي ٱلْمَحَبَّةِ، يَثْبُتْ فِي ٱللهِ وَٱللهُ فِيهِ. ١٦ 16
১৬আর আমরা জানি এবং বিশ্বাস করি যে ঈশ্বর আমাদের ভালবাসেন। ঈশ্বরই ভালবাসা, আর ভালবাসার মধ্যে যে থাকে সে ঈশ্বরের মধ্যে থাকে এবং ঈশ্বর তার মধ্যে থাকেন।
بِهَذَا تَكَمَّلَتِ ٱلْمَحَبَّةُ فِينَا: أَنْ يَكُونَ لَنَا ثِقَةٌ فِي يَوْمِ ٱلدِّينِ، لِأَنَّهُ كَمَا هُوَ فِي هَذَا ٱلْعَالَمِ، هَكَذَا نَحْنُ أَيْضًا. ١٧ 17
১৭এই ভাবে ভালবাসা আমাদের মধ্যে পরিপূর্ণ হয়, যেন বিচারের দিনের আমারা সাহস পাই, কারণ তিনি যেমন আছেন আমরাও এই জগতে তেমনি আছি।
لَا خَوْفَ فِي ٱلْمَحَبَّةِ، بَلِ ٱلْمَحَبَّةُ ٱلْكَامِلَةُ تَطْرَحُ ٱلْخَوْفَ إِلَى خَارِجٍ لِأَنَّ ٱلْخَوْفَ لَهُ عَذَابٌ. وَأَمَّا مَنْ خَافَ فَلَمْ يَتَكَمَّلْ فِي ٱلْمَحَبَّةِ. ١٨ 18
১৮ভালবাসায় ভয় নেই, বরং পরিপূর্ণ ভালবাসা ভয়কে বের করে দেয়, কারণ ভয়ের সঙ্গে শাস্তির যোগ আছে এবং যে ভয় করে সে ভালবাসায় পরিপূর্ণ হয়নি।
نَحْنُ نُحِبُّهُ لِأَنَّهُ هُوَ أَحَبَّنَا أَوَّلًا. ١٩ 19
১৯আমরা তাঁকে ভালবাসি, কারণ ঈশ্বর প্রথমে আমাদের ভালবেসেছেন।
إِنْ قَالَ أَحَدٌ: «إِنِّي أُحِبُّ ٱللهَ» وَأَبْغَضَ أَخَاهُ، فَهُوَ كَاذِبٌ. لِأَنَّ مَنْ لَا يُحِبُّ أَخَاهُ ٱلَّذِي أَبْصَرَهُ، كَيْفَ يَقْدِرُ أَنْ يُحِبَّ ٱللهَ ٱلَّذِي لَمْ يُبْصِرْهُ؟ ٢٠ 20
২০যদি কেউ বলে আমি ঈশ্বরকে ভালবাসি কিন্তু নিজের ভাইকে ঘৃণা করে, তবে সে মিথ্যা কথা বলে; কারণ যাকে দেখেছে, নিজের সেই ভাইকে যে ভালবাসে না, সে ঈশ্বরকেও ভালবাসতে পারে না যাকে সে দেখেনি।
وَلَنَا هَذِهِ ٱلْوَصِيَّةُ مِنْهُ: أَنَّ مَنْ يُحِبُّ ٱللهَ يُحِبُّ أَخَاهُ أَيْضًا. ٢١ 21
২১আর আমরা তাঁর কাছ থেকে এই আদেশ পেয়েছি যে, ঈশ্বরকে যে ভালবাসে সে নিজের ভাইকেও ভালো বাসুক।

< ١ يوحنَّا 4 >