< ١ كورنثوس 15 >
وَأُعَرِّفُكُمْ أَيُّهَا ٱلْإِخْوَةُ بِٱلْإِنْجِيلِ ٱلَّذِي بَشَّرْتُكُمْ بِهِ، وَقَبِلْتُمُوهُ، وَتَقُومُونَ فِيهِ، | ١ 1 |
১হে ভাইয়েরা এবং বোনেরা, তোমাদেরকে সেই সুসমাচার জানাচ্ছি, যে সুসমাচার তোমাদের কাছে প্রচার করেছি, যা তোমরা গ্রহণও করেছ, যাতে তোমরা দাঁড়িয়ে আছ;
وَبِهِ أَيْضًا تَخْلُصُونَ، إِنْ كُنْتُمْ تَذْكُرُونَ أَيُّ كَلَامٍ بَشَّرْتُكُمْ بِهِ. إِلَّا إِذَا كُنْتُمْ قَدْ آمَنْتُمْ عَبَثًا! | ٢ 2 |
২আর তারই মাধ্যমে, আমি তোমাদের কাছে যে কথাতে সুসমাচার প্রচার করেছি, তা যদি ধরে রাখ, তবে পরিত্রান পাচ্ছ; না হলে তোমরা বৃথা বিশ্বাসী হয়েছ।
فَإِنَّنِي سَلَّمْتُ إِلَيْكُمْ فِي ٱلْأَوَّلِ مَا قَبِلْتُهُ أَنَا أَيْضًا: أَنَّ ٱلْمَسِيحَ مَاتَ مِنْ أَجْلِ خَطَايَانَا حَسَبَ ٱلْكُتُبِ، | ٣ 3 |
৩ফলে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি তোমাদের কাছে এই শিক্ষা দিয়েছি এবং এটা নিজেও পেয়েছি যে, শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মারা গেলেন।
وَأَنَّهُ دُفِنَ، وَأَنَّهُ قَامَ فِي ٱلْيَوْمِ ٱلثَّالِثِ حَسَبَ ٱلْكُتُبِ، | ٤ 4 |
৪ও কবরপ্রাপ্ত হলেন, আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিনের উত্থাপিত হয়েছেন;
وَأَنَّهُ ظَهَرَ لِصَفَا ثُمَّ لِلِٱثْنَيْ عَشَرَ. | ٥ 5 |
৫আর তিনি কৈফাকে, পরে সেই বারো জনকে দেখা দিলেন;
وَبَعْدَ ذَلِكَ ظَهَرَ دَفْعَةً وَاحِدَةً لِأَكْثَرَ مِنْ خَمْسِمِئَةِ أَخٍ، أَكْثَرُهُمْ بَاقٍ إِلَى ٱلْآنَ. وَلَكِنَّ بَعْضَهُمْ قَدْ رَقَدُوا. | ٦ 6 |
৬তারপরে একবারে পাঁচশোর বেশি ভাই এবং বোনকে দেখা দিলেন, তাদের অধিকাংশ লোক বেঁচে আছে, কিন্তু কেউ কেউ নিদ্রাগত হয়েছে।
وَبَعْدَ ذَلِكَ ظَهَرَ لِيَعْقُوبَ، ثُمَّ لِلرُّسُلِ أَجْمَعِينَ. | ٧ 7 |
৭তারপরে তিনি যাকোবকে, পরে সকল প্রেরিতদের দেখা দিলেন।
وَآخِرَ ٱلْكُلِّ - كَأَنَّهُ لِلسِّقْطِ - ظَهَرَ لِي أَنَا. | ٨ 8 |
৮সবার শেষে অদিনের শিশুর মত জন্মেছি যে আমি, তিনি আমাকেও দেখা দিলেন।
لِأَنِّي أَصْغَرُ ٱلرُّسُلِ، أَنَا ٱلَّذِي لَسْتُ أَهْلًا لِأَنْ أُدْعَى رَسُولًا، لِأَنِّي ٱضْطَهَدْتُ كَنِيسَةَ ٱللهِ. | ٩ 9 |
৯কারণ প্রেরিতদের মধ্যে আমি সবচেয়ে ছোটো, বরং প্রেরিত নামে আখ্যাত হবার অযোগ্য, কারণ আমি ঈশ্বরের মণ্ডলী তাড়না করতাম।
وَلَكِنْ بِنِعْمَةِ ٱللهِ أَنَا مَا أَنَا، وَنِعْمَتُهُ ٱلْمُعْطَاةُ لِي لَمْ تَكُنْ بَاطِلَةً، بَلْ أَنَا تَعِبْتُ أَكْثَرَ مِنْهُمْ جَمِيعِهِمْ. وَلَكِنْ لَا أَنَا، بَلْ نِعْمَةُ ٱللهِ ٱلَّتِي مَعِي. | ١٠ 10 |
১০কিন্তু আমি যা আছি, ঈশ্বরের অনুগ্রহেই আছি; এবং আমার প্রতি প্রদত্ত তাঁর অনুগ্রহ নিরর্থক হয়নি, বরং তাঁদের সবার থেকে আমি বেশি পরিশ্রম করেছি, তা না, কিন্তু আমার সহবর্ত্তী ঈশ্বরের অনুগ্রহই করেছে;
فَسَوَاءٌ أَنَا أَمْ أُولَئِكَ، هَكَذَا نَكْرِزُ وَهَكَذَا آمَنْتُمْ. | ١١ 11 |
১১অতএব আমি হই, আর তাঁরাই হোন, আমরা এই ভাবে প্রচার করি এবং তোমরা এই ভাবে বিশ্বাস করেছ।
وَلَكِنْ إِنْ كَانَ ٱلْمَسِيحُ يُكْرَزُ بِهِ أَنَّهُ قَامَ مِنَ ٱلْأَمْوَاتِ، فَكَيْفَ يَقُولُ قَوْمٌ بَيْنَكُمْ: «إِنْ لَيْسَ قِيَامَةُ أَمْوَاتٍ»؟ | ١٢ 12 |
১২ভাল, খ্রীষ্ট যখন এই বলে প্রচারিত হচ্ছেন যে, তিনি মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত হয়েছেন, তখন তোমাদের কেউ কেউ কেমন করে বলছে যে, মৃতদের পুনরুত্থান নেই?
فَإِنْ لَمْ تَكُنْ قِيَامَةُ أَمْوَاتٍ فَلَا يَكُونُ ٱلْمَسِيحُ قَدْ قَامَ! | ١٣ 13 |
১৩মৃতদের পুনরুত্থান যদি না হয়, তবে খ্রীষ্টও তো উত্থাপিত হয়নি।
وَإِنْ لَمْ يَكُنِ ٱلْمَسِيحُ قَدْ قَامَ، فَبَاطِلَةٌ كِرَازَتُنَا وَبَاطِلٌ أَيْضًا إِيمَانُكُمْ، | ١٤ 14 |
১৪আর খ্রীষ্ট যদি উত্থাপিত না হয়ে থাকেন, তাহলে তো আমাদের প্রচারও বৃথা, তোমাদের বিশ্বাসও বৃথা।
وَنُوجَدُ نَحْنُ أَيْضًا شُهُودَ زُورٍ لِلهِ، لِأَنَّنَا شَهِدْنَا مِنْ جِهَةِ ٱللهِ أَنَّهُ أَقَامَ ٱلْمَسِيحَ وَهُوَ لَمْ يُقِمْهُ، إِنْ كَانَ ٱلْمَوْتَى لَا يَقُومُونَ. | ١٥ 15 |
১৫আবার আমরা যে ঈশ্বরের সম্বন্ধে মিথ্যা সাক্ষী, এটাই প্রকাশ পাচ্ছে; কারণ আমরা ঈশ্বরের বিষয়ে এই সাক্ষ্য দিয়েছি যে, তিনি খ্রীষ্টকে উত্থাপন করেছেন; কিন্তু যদি মৃতদের উত্থাপন না হয়, তাহলে তিনি তাঁকে উত্থাপন করেননি।
لِأَنَّهُ إِنْ كَانَ ٱلْمَوْتَى لَا يَقُومُونَ، فَلَا يَكُونُ ٱلْمَسِيحُ قَدْ قَامَ. | ١٦ 16 |
১৬কারণ মৃতদের উত্থাপন যদি না হয়, তবে খ্রীষ্টও উত্থাপিত হননি।
وَإِنْ لَمْ يَكُنِ ٱلْمَسِيحُ قَدْ قَامَ، فَبَاطِلٌ إِيمَانُكُمْ. أَنْتُمْ بَعْدُ فِي خَطَايَاكُمْ! | ١٧ 17 |
১৭আর খ্রীষ্ট যদি উত্থাপিত হয়ে না থাকেন, তাহলে তোমাদের বিশ্বাস মিথ্যা, এখন তোমরা নিজের নিজের পাপে রয়েছ।
إِذًا ٱلَّذِينَ رَقَدُوا فِي ٱلْمَسِيحِ أَيْضًا هَلَكُوا! | ١٨ 18 |
১৮সুতরাং যারা খ্রীষ্টে মারা গিয়েছে, তারাও বিনষ্ট হয়েছে।
إِنْ كَانَ لَنَا فِي هَذِهِ ٱلْحَيَاةِ فَقَطْ رَجَاءٌ فِي ٱلْمَسِيحِ، فَإِنَّنَا أَشْقَى جَمِيعِ ٱلنَّاسِ. | ١٩ 19 |
১৯শুধু এই জীবনে যদি খ্রীষ্টে দয়ার প্রত্যাশা করে থাকি, তবে আমরা সব মানুষের মধ্যে বেশি দুর্ভাগা।
وَلَكِنِ ٱلْآنَ قَدْ قَامَ ٱلْمَسِيحُ مِنَ ٱلْأَمْوَاتِ وَصَارَ بَاكُورَةَ ٱلرَّاقِدِينَ. | ٢٠ 20 |
২০কিন্তু বাস্তবিক খ্রীষ্ট মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত হয়েছেন, তিনি মৃতদের অগ্রিমাংশ।
فَإِنَّهُ إِذِ ٱلْمَوْتُ بِإِنْسَانٍ، بِإِنْسَانٍ أَيْضًا قِيَامَةُ ٱلْأَمْوَاتِ. | ٢١ 21 |
২১কারণ মানুষের মাধ্যমে যেমন মৃত্যু এসেছে, তেমন আবার মানুষের মাধ্যমে মৃতদের পুনরুত্থান এসেছে।
لِأَنَّهُ كَمَا فِي آدَمَ يَمُوتُ ٱلْجَمِيعُ، هَكَذَا فِي ٱلْمَسِيحِ سَيُحْيَا ٱلْجَمِيعُ. | ٢٢ 22 |
২২কারণ আদমে যেমন সবাই মরে, তেমনি আবার খ্রীষ্টেই সবাই জীবনপ্রাপ্ত হবে।
وَلَكِنَّ كُلَّ وَاحِدٍ فِي رُتْبَتِهِ: ٱلْمَسِيحُ بَاكُورَةٌ، ثُمَّ ٱلَّذِينَ لِلْمَسِيحِ فِي مَجِيئِهِ. | ٢٣ 23 |
২৩কিন্তু প্রত্যেক জন নিজের নিজের শ্রেণীতে; খ্রীষ্ট অগ্রিমাংশ, পরে খ্রীষ্টের লোক সব তাঁর আগমন কালে।
وَبَعْدَ ذَلِكَ ٱلنِّهَايَةُ، مَتَى سَلَّمَ ٱلْمُلْكَ لِلهِ ٱلْآبِ، مَتَى أَبْطَلَ كُلَّ رِيَاسَةٍ وَكُلَّ سُلْطَانٍ وَكُلَّ قُوَّةٍ. | ٢٤ 24 |
২৪তারপরে পরিণাম হবে; তখন তিনি সব আধিপত্য, সব কর্তৃত্ব এবং পরাক্রম কে পরাস্ত করলে পর পিতা ঈশ্বরের হাতে রাজত্ব সমর্পণ করবেন।
لِأَنَّهُ يَجِبُ أَنْ يَمْلِكَ حَتَّى «يَضَعَ جَمِيعَ ٱلْأَعْدَاءِ تَحْتَ قَدَمَيْهِ». | ٢٥ 25 |
২৫কারণ যত দিন না তিনি “সব শত্রুকে তাঁর পদতলে না রাখবেন,” তাঁকে রাজত্ব করতেই হবে।
آخِرُ عَدُوٍّ يُبْطَلُ هُوَ ٱلْمَوْتُ. | ٢٦ 26 |
২৬শেষ শত্রু যে মৃত্যু, সেও বিলুপ্ত হবে।
لِأَنَّهُ أَخْضَعَ كُلَّ شَيْءٍ تَحْتَ قَدَمَيْهِ. وَلَكِنْ حِينَمَا يَقُولُ: «إِنَّ كُلَّ شَيْءٍ قَدْ أُخْضِعَ» فَوَاضِحٌ أَنَّهُ غَيْرُ ٱلَّذِي أَخْضَعَ لَهُ ٱلْكُلَّ. | ٢٧ 27 |
২৭কারণ “ঈশ্বর সবই বশীভূত করে তাঁর পদতলে রাখলেন।” কিন্তু যখন তিনি বলেন যে, সবই বশীভূত করা হয়েছে, তখন স্পষ্ট দেখা যায়, যিনি সবই তাঁর বশীভূত করলেন, তাঁকে বাদ দেওয়া হল।
وَمَتَى أُخْضِعَ لَهُ ٱلْكُلُّ، فَحِينَئِذٍ ٱلِٱبْنُ نَفْسُهُ أَيْضًا سَيَخْضَعُ لِلَّذِي أَخْضَعَ لَهُ ٱلْكُلَّ، كَيْ يَكُونَ ٱللهُ ٱلْكُلَّ فِي ٱلْكُلِّ. | ٢٨ 28 |
২৮আর সবই তাঁর বশীভূত করা হলে পর পুত্র নিজেও তাঁর বশীভূত হবেন, যিনি সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন; যেন ঈশ্বরই সর্বেসর্বা হন।
وَإِلَّا فَمَاذَا يَصْنَعُ ٱلَّذِينَ يَعْتَمِدُونَ مِنْ أَجْلِ ٱلْأَمْوَاتِ؟ إِنْ كَانَ ٱلْأَمْوَاتُ لَا يَقُومُونَ ٱلْبَتَّةَ، فَلِمَاذَا يَعْتَمِدُونَ مِنْ أَجْلِ ٱلْأَمْوَاتِ؟ | ٢٩ 29 |
২৯অথবা, মৃতদের জন্য যারা বাপ্তিষ্ম নেয়, তারা কি করবে? মৃতেরা যদি একেবারেই উত্থাপিত না হয়, তাহলে ওদের জন্য তারা আবার কেন বাপ্তিষ্ম নেবে?
وَلِمَاذَا نُخَاطِرُ نَحْنُ كُلَّ سَاعَةٍ؟ | ٣٠ 30 |
৩০আর আমরাই কেন ঘন্টায় ঘন্টায় বিপদের মধ্যে পড়ি?
إِنِّي بِٱفْتِخَارِكُمُ ٱلَّذِي لِي فِي يَسُوعَ ٱلْمَسِيحِ رَبِّنَا، أَمُوتُ كُلَّ يَوْمٍ. | ٣١ 31 |
৩১ভাইয়েরা এবং বোনেরা, আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদের বিষয়ে আমার যে গর্ব, তার দোহাই দিয়ে বলছি, আমি প্রতিদিন মারা যাচ্ছি।
إِنْ كُنْتُ كَإِنْسَانٍ قَدْ حَارَبْتُ وُحُوشًا فِي أَفَسُسَ، فَمَا ٱلْمَنْفَعَةُ لِي؟ إِنْ كَانَ ٱلْأَمْوَاتُ لَا يَقُومُونَ، «فَلْنَأْكُلْ وَنَشْرَبْ لِأَنَّنَا غَدًا نَمُوتُ!». | ٣٢ 32 |
৩২ইফিষে পশুদের মত লোকেদের সাথে যে যুদ্ধ করেছি, তা যদি মানুষের মত করে থাকি, তবে তাতে আমার কি লাভ হবে? মৃতেরা যদি উত্থাপিত না হয়, যেমন পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, তবে “এস, আমরা খাওয়া দাওয়া করি, কারণ কাল মারা যাব।”
لَا تَضِلُّوا: «فَإِنَّ ٱلْمُعَاشَرَاتِ ٱلرَّدِيَّةَ تُفْسِدُ ٱلْأَخْلَاقَ ٱلْجَيِّدَةَ». | ٣٣ 33 |
৩৩ভ্রান্ত হয়ো না, কুসংস্কার শিষ্টাচার নষ্ট করে।
اُصْحُوا لِلْبِرِّ وَلَا تُخْطِئُوا، لِأَنَّ قَوْمًا لَيْسَتْ لَهُمْ مَعْرِفَةٌ بِٱللهِ. أَقُولُ ذَلِكَ لِتَخْجِيلِكُمْ! | ٣٤ 34 |
৩৪ধার্মিক হবার জন্য চেতনায় ফিরে এস, পাপ কর না, কারণ কার কার ঈশ্বর-জ্ঞান নেই; আমি তোমাদের লজ্জার জন্য এই কথা বলছি।
لَكِنْ يَقُولُ قَائِلٌ: «كَيْفَ يُقَامُ ٱلْأَمْوَاتُ؟ وَبِأَيِّ جِسْمٍ يَأْتُونَ؟». | ٣٥ 35 |
৩৫কিন্তু কেউ বলবে, মৃতরা কিভাবে উত্থাপিত হয়? কিভাবে বা দেহে আসে?
يَاغَبِيُّ! ٱلَّذِي تَزْرَعُهُ لَا يُحْيَا إِنْ لَمْ يَمُتْ. | ٣٦ 36 |
৩৬হে নির্বোধ, তুমি নিজে যা বোনো, তা না মরলে জীবিত করা যায় না।
وَٱلَّذِي تَزْرَعُهُ، لَسْتَ تَزْرَعُ ٱلْجِسْمَ ٱلَّذِي سَوْفَ يَصِيرُ، بَلْ حَبَّةً مُجَرَّدَةً، رُبَّمَا مِنْ حِنْطَةٍ أَوْ أَحَدِ ٱلْبَوَاقِي. | ٣٧ 37 |
৩৭আর যা বোনো, যে মৃতদেহ উৎপন্ন হবে, তুমি তাহা বোনো না; বরং গমেরই হোক, কি অন্য কোন কিছুরই হোক, বীজমাত্র বুনছ;
وَلَكِنَّ ٱللهَ يُعْطِيهَا جِسْمًا كَمَا أَرَادَ. وَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِنَ ٱلْبُزُورِ جِسْمَهُ. | ٣٨ 38 |
৩৮আর ঈশ্বর তাকে যে দেহ দিতে ইচ্ছা করলেন, তাই দেন; আর তিনি প্রত্যেক বীজকে তার নিজের মৃত দেহ দেন।
لَيْسَ كُلُّ جَسَدٍ جَسَدًا وَاحِدًا، بَلْ لِلنَّاسِ جَسَدٌ وَاحِدٌ، وَلِلْبَهَائِمِ جَسَدٌ آخَرُ، وَلِلسَّمَكِ آخَرُ، وَلِلطَّيْرِ آخَرُ. | ٣٩ 39 |
৩৯সকল মাংস এক ধরনের মাংস না; কিন্তু মানুষের এক ধরনের, পশুর মাংস অন্য ধরনের, পাখির মাংস অন্য ধরনের, ও মাছের অন্য ধরনের।
وَأَجْسَامٌ سَمَاوِيَّةٌ، وَأَجْسَامٌ أَرْضِيَّةٌ. لَكِنَّ مَجْدَ ٱلسَّمَاوِيَّاتِ شَيْءٌ، وَمَجْدَ ٱلْأَرْضِيَّاتِ آخَرُ. | ٤٠ 40 |
৪০আর স্বর্গীয় দেহ আছে, ও পার্থিব মৃতদেহ আছে; কিন্তু স্বর্গীয় দেহগুলির এক প্রকার তেজ, ও পার্থিব দেহগুলির অন্য ধরনের।
مَجْدُ ٱلشَّمْسِ شَيْءٌ، وَمَجْدُ ٱلْقَمَرِ آخَرُ، وَمَجْدُ ٱلنُّجُومِ آخَرُ. لِأَنَّ نَجْمًا يَمْتَازُ عَنْ نَجْمٍ فِي ٱلْمَجْدِ. | ٤١ 41 |
৪১সূর্য্যের এক প্রকার তেজ, চন্দ্রের আর এক ধরনের তেজ, ও নক্ষত্রদের আর এক প্রকার তেজ; কারণ তেজ সম্বন্ধে একটি নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্র ভিন্ন।
هَكَذَا أَيْضًا قِيَامَةُ ٱلْأَمْوَاتِ: يُزْرَعُ فِي فَسَادٍ وَيُقَامُ فِي عَدَمِ فَسَادٍ. | ٤٢ 42 |
৪২মৃতদের পুনরুত্থানও সেই রকম। ক্ষয়ে বোনা যায়, অক্ষয়তায় উত্থাপন করা হয়;
يُزْرَعُ فِي هَوَانٍ وَيُقَامُ فِي مَجْدٍ. يُزْرَعُ فِي ضَعْفٍ وَيُقَامُ فِي قُوَّةٍ. | ٤٣ 43 |
৪৩অনাদরে বোনা যায়, গৌরবে উত্থাপন করা হয়; দুর্বলতায় বোনা যায়, শক্তিতে উত্থাপন করা হয়;
يُزْرَعُ جِسْمًا حَيَوَانِيًّا وَيُقَامُ جِسْمًا رُوحَانِيًّا. يُوجَدُ جِسْمٌ حَيَوَانِيٌّ وَيُوجَدُ جِسْمٌ رُوحَانِيٌّ. | ٤٤ 44 |
৪৪প্রাণিক দেহ বোনা যায়, আত্মিক দেহ উত্থাপন করা হয়। যখন মৃতদেহ আছে, তখন আত্মিক দেহও আছে।
هَكَذَا مَكْتُوبٌ أَيْضًا: «صَارَ آدَمُ، ٱلْإِنْسَانُ ٱلْأَوَّلُ، نَفْسًا حَيَّةً»، وَآدَمُ ٱلْأَخِيرُ رُوحًا مُحْيِيًا. | ٤٥ 45 |
৪৫এই ভাবে পবিত্র শাস্ত্রে লেখাও আছে, প্রথম “মানুষ” আদম “সজীব প্রাণী হল,” শেষ আদম জীবনদায়ক আত্মা হলেন।
لَكِنْ لَيْسَ ٱلرُّوحَانِيُّ أَوَّلًا بَلِ ٱلْحَيَوَانِيُّ، وَبَعْدَ ذَلِكَ ٱلرُّوحَانِيُّ. | ٤٦ 46 |
৪৬কিন্তু যা আত্মিক, তা প্রথম না, বরং যা প্রাণিক, তাই প্রথম; যা আত্মিক তা পরে।
ٱلْإِنْسَانُ ٱلْأَوَّلُ مِنَ ٱلْأَرْضِ تُرَابِيٌّ. ٱلْإِنْسَانُ ٱلثَّانِي ٱلرَّبُّ مِنَ ٱلسَّمَاءِ. | ٤٧ 47 |
৪৭প্রথম মানুষ পৃথিবীর ধূলো থেকে, দ্বিতীয় মানুষ স্বর্গ থেকে।
كَمَا هُوَ ٱلتُّرَابِيُّ هَكَذَا ٱلتُّرَابِيُّونَ أَيْضًا، وَكَمَا هُوَ ٱلسَّمَاوِيُّ هَكَذَا ٱلسَّمَاوِيُّونَ أَيْضًا. | ٤٨ 48 |
৪৮মাটির ব্যক্তিরা যে মাটির মত এবং স্বর্গীয় ব্যক্তিরা সেই স্বর্গীয়ের মত।
وَكَمَا لَبِسْنَا صُورَةَ ٱلتُّرَابِيِّ، سَنَلْبَسُ أَيْضًا صُورَةَ ٱلسَّمَاوِيِّ. | ٤٩ 49 |
৪৯আর আমরা যেমন সেই মাটির প্রতিমূর্ত্তি ধারণ করেছি, তেমনি সেই স্বর্গীয় ব্যক্তির প্রতিমূর্ত্তিও ধারণ করব।
فَأَقُولُ هَذَا أَيُّهَا ٱلْإِخْوَةُ: إِنَّ لَحْمًا وَدَمًا لَا يَقْدِرَانِ أَنْ يَرِثَا مَلَكُوتَ ٱللهِ، وَلَا يَرِثُ ٱلْفَسَادُ عَدَمَ ٱلْفَسَادِ. | ٥٠ 50 |
৫০আমি এই বলি, ভাইয়েরা এবং বোনেরা, রক্তমাংস ও মাংস ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না; এবং ক্ষয় অক্ষয়তার অধিকারী হয় না।
هُوَذَا سِرٌّ أَقُولُهُ لَكُمْ: لَا نَرْقُدُ كُلُّنَا، وَلَكِنَّنَا كُلَّنَا نَتَغَيَّرُ، | ٥١ 51 |
৫১দেখ, আমি তোমাদেরকে এক গুপ্ত সত্য বলি; আমরা সবাই মারা যাব না, কিন্তু সবাই রূপান্তরীকৃত হব;
فِي لَحْظَةٍ فِي طَرْفَةِ عَيْنٍ، عِنْدَ ٱلْبُوقِ ٱلْأَخِيرِ. فَإِنَّهُ سَيُبَوَّقُ، فَيُقَامُ ٱلْأَمْوَاتُ عَدِيمِي فَسَادٍ، وَنَحْنُ نَتَغَيَّرُ. | ٥٢ 52 |
৫২এক মুহূর্তের মধ্যে, চোখের পলকে, শেষ তুরী ধ্বনি হবে; কারণ তুরী বাজবে, তাতে মৃতের অক্ষয় হয়ে উত্থাপিত হবে এবং আমরা রূপান্তরীকৃত হব।
لِأَنَّ هَذَا ٱلْفَاسِدَ لَابُدَّ أَنْ يَلْبَسَ عَدَمَ فَسَادٍ، وَهَذَا ٱلْمَائِتَ يَلْبَسُ عَدَمَ مَوْتٍ. | ٥٣ 53 |
৫৩কারণ এই ক্ষয়ণীয়কে অক্ষয়তা পরিধান করতে হবে এবং এই মর্ত্ত্যকে অমরতা পরিধান করতে হবে।
وَمَتَى لَبِسَ هَذَا ٱلْفَاسِدُ عَدَمَ فَسَادٍ، وَلَبِسَ هَذَا ٱلْمَائِتُ عَدَمَ مَوْتٍ، فَحِينَئِذٍ تَصِيرُ ٱلْكَلِمَةُ ٱلْمَكْتُوبَةُ: «ٱبْتُلِعَ ٱلْمَوْتُ إِلَى غَلَبَةٍ». | ٥٤ 54 |
৫৪আর এই ক্ষয়ণীয় যখন অক্ষয়তা পরিহিত হবে এবং এই মর্ত্ত্য যখন অমরতা পরিহিত হবে, তখন এই যে কথা পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, তা সফল হবে,
«أَيْنَ شَوْكَتُكَ يَا مَوْتُ؟ أَيْنَ غَلَبَتُكِ يَا هَاوِيَةُ؟» (Hadēs ) | ٥٥ 55 |
৫৫“মৃত্যু জয়ে কবলিত হল।” “মৃত্যু, তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু, তোমার হুল কোথায়?” (Hadēs )
أَمَّا شَوْكَةُ ٱلْمَوْتِ فَهِيَ ٱلْخَطِيَّةُ، وَقُوَّةُ ٱلْخَطِيَّةِ هِيَ ٱلنَّامُوسُ. | ٥٦ 56 |
৫৬মৃত্যুর হুল হল পাপ, ও পাপের শক্তি হলো নিয়ম।
وَلَكِنْ شُكْرًا لِلهِ ٱلَّذِي يُعْطِينَا ٱلْغَلَبَةَ بِرَبِّنَا يَسُوعَ ٱلْمَسِيحِ. | ٥٧ 57 |
৫৭কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হোক, তিনি আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জয় প্রদান করেন।
إِذًا يَا إِخْوَتِي ٱلْأَحِبَّاءَ، كُونُوا رَاسِخِينَ، غَيْرَ مُتَزَعْزِعِينَ، مُكْثِرِينَ فِي عَمَلِ ٱلرَّبِّ كُلَّ حِينٍ، عَالِمِينَ أَنَّ تَعَبَكُمْ لَيْسَ بَاطِلًا فِي ٱلرَّبِّ. | ٥٨ 58 |
৫৮অতএব, হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা এবং বোনেরা, সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কাজে সবদিন উপচিয়ে পড়, কারণ তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল না।